বাংলাদেশ
কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কাতারে ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হোটেল, স্টেডিয়াম ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে নিহত ও আহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণলায় এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে এই তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানবেতর পরিস্থিতে কাজ করতে গিয়ে যদি বাংলাদেশের সাড়ে চারশ’ শ্রমিকের মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বাংলাদেশ অফিস, ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র), কাতারের শ্রমমন্ত্রীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানবেতর পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তত ৪৫০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ওই শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
বিবিসি, সিএনএন, গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়।
রিট করার পর এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে কাতারে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা।
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে বাধ্য করা হয় তাদের। শ্রম অধিকারের আন্তর্জাতিক কোনো রীতিনীতি তারা মানেনি।
এজন্য বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা রিট দায়ের করেছি।
রিট আবেদনে সংযুক্ত করা বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ বছর আগে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়ার পর এর প্রস্তুতিতে সেখানে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি দক্ষিণ এশিয়ান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১
বগুড়ায় ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় কাহালু উপজেলার কালিয়াপুকুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
নিহত শহিদুল (৫২) কাহালু উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ইব্রাহিম খায়ের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় অটোরিকশায় থাকা শহিদুল নামের এক যাত্রী গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে পিকআপ-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ২
চাঁদপুরে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আলোচিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে তিন মামলায় আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট। এছাড়াও তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তিন মামলায় এ সাবেক কাউন্সিলর আগাম জামিন চেয়েছিলেন। আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাগুলো হলো-চাঁদাবাজি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের (ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় পরিচালনা) মাধ্যমে ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৯ টাকা উপার্জন, ৫১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ও ৬৮ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বিদেশে পাচারের অভিযোগে সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইমের উপপরিদর্শক মো. সোহানুর রহমান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৩০ মে মামলা মতিঝিল থানায় দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় আরেকটি মামলা করেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পুলিশ পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত।
মামলাটি তদন্ত করে নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক জায়েদ আলী জাহিদ।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের হলরুলে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বর্ণিত সংঘবদ্ধ অপরাধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
অপরটি ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নামে সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাসিনো পরিচালনাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ চার কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬১ টাকা অর্জন করেছেন।
মামলাগুলোতে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানান।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাই মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার।
তিনি বলেন, শুধু এ কমিশন নয়, যেই মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে কাজ করবে, সরকার তাকেই সহায়তা করবে।
সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এসময় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
আনিসুল হক বলেন, দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ যেখানে বসবাস করে, সেখানে এখনো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পৌঁছাতে পারেনি।
তিনি শিশু ও পিঁছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ মানুষ এখনও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়।
এসব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন।এজন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনের পিছনেও ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে।
সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষে-মানুষে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী কোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনুসন্ধানের তথ্য কমিশন পাওয়া মাত্র সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন, যাতে সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারে।
বৈঠকে চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমিশনের কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান এবং তা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় তিনি কমিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ, অবৈতনিক সদস্যদের মর্যাদা নির্ধারণ, সরাসরি কমিশনের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কমিশনের অবৈতনিক সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: আইনমন্ত্রী
তথ্য সুরক্ষায় তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৭ জন আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে চার জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি তিন জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১৪ জন আক্রান্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৭ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২৫ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ২৬৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪৯৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ২৩৭ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২৫৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১২ জন
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮ জন
করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১১
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ১১ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৩ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ১০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৪৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৪ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১৬
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ছাড়াল
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় আসবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মেসিকে সঙ্গে আনতে বলেছি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুই দিনের সরকারি সফরে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় আসবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো। কারণ দুই পক্ষ আগামী দিনে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।
তিনি বলেন, আমি সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এছাড়া আমি তাকে বলেছি লিওনেল মেসিকে তার সঙ্গে আনতে।
সোমবার মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনা ঢাকায় তার মিশন বা কনস্যুলেট খুলতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারেরও আর্জেন্টিনায় একটি মিশন খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্রাজিলে একটি মিশন খুলেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি আমরা ভবিষ্যতে আর্জেন্টিনায় একটি বাংলাদেশ মিশন খুলব।
এছাড়া বিদেশে যেকোন মিশন খোলার আগে বাংলাদেশ তিনটি বিষয় বিবেচনা করে-সেখানে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আকার, আয়োজক দেশের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের ভালো বন্ধু এবং সব সময় সমর্থন করে। আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা সাম্প্রতিক চিঠিতে মোমেন বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও ফুটবলে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মানুষের হৃদয় এক হয়ে গেছে।
এছাড়া তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি আমাদের পারস্পরিক অগ্রাধিকার একত্রিত করতে এবং আগামী দিনে একে অপরের রাজধানীতে মিশন খোলার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
এছাড়া বিশ্বকাপ ফাইনালে নজিরবিহীন জয়ের পর আর্জেন্টিনা এবং বাংলাদেশ জুড়ে বাড়ি ও রাস্তা উদযাপনের জায়গা হয়ে ওঠে। ফ্রান্সকে পরাজিত করে এটি ছিল আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয়।
আরও পড়ুন: তৌহিদুল মেধাবী ও বুদ্ধিমান কূটনীতিক, আমি তাকে রক্ষা করব: মোমেন
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে: মোমেন
কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারসহ পাঁচজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আরসা কমান্ডার ডা. রফিক (৫৪), সদস্য মোহাম্মদ রফিক (২০), নুরুল আমিন (৩৪), মোহাম্মদ রফিক (২১) খায়রুল আমিন (৩২)। তারা সবাই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উখিয়া বাজারে আরসা’র আহত সদস্যদের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে এলে অভিযান চালায় আর্মড পুলিশ ও র্যাবের দল। এসময় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও পুলিশ লাঞ্ছিতসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তাদের মামলা দিয়ে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া দু’টি ভিডিও বক্তব্য সরাতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে কোনো ধরনের ভিডিও তৈরি ও প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গুলশানের ওই বাড়ি নিয়ে রিট মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় ওই ভিডিও বক্তব্য দেয়ার প্রেক্ষাপটে সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীরা ভিডিও বক্তব্য দুটি অপসারণ চাইলে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারি ব্যারিস্টার সুমন ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি
এই ভিডিও দুটি অপসারণ করতে হবে। আদালত এই রিট মামলার প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত রাজউকের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। তাই বাড়িটি অবমুক্ত করার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
অন্যদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করেছে দুদক। যে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি বলেছে, বাস্তবে ওই এলাকায় রাজউকের লে-আউট নক্সায় কথিত বাড়ির অস্তিত্ব বিদ্যমান নাই। এক্ষেত্রে সুকৌশলে ওই এলাকার ১০৪ নং রোডে অবস্থিত উক্ত বাড়িটি ১০৩ নং রোড দেখিয়ে জাল-কাগজপত্র সৃজনপূর্বক হস্তান্তর-নামজারিসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারের দুই সংস্থার দুই ধরনের তথ্য আসায় দুদক একটি নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আালম খান।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমন ও ইশরাতের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন গঠন সংক্রান্ত দুদকের নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, আব্দুস সালাম মোর্শেদীর বাড়ি-১০, গুলশান-২, ঢাকা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রাজউকের চেয়ারম্যানের সহায়তায় পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের অভিযোগটি দুই সদস্য বিশিষ্ট টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহাপরিচালক (তদন্ত-১) বরাবর চিঠি পাঠানোর জন্য কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ অবস্থায়, ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সবপক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ৮ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তারও আগে সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রিট করা হয়।
৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত নথি ও প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলার মেরিট নিয়ে প্রম্ন তুলে কোন কিছু না লিখতে মিডিয়ার প্রতি নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্যারিস্টার সুমনের পদত্যাগ
১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
সেদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
এরপর ২৩ জানুয়ারি দুদক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে হাইকোর্টে দাখিল করেন। ঐ দিন ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লাইভ বক্তব্য প্রচার করেন।
এরপর একই বিষয়ে গত ২৫ জানুয়ারি আরও একটি লাভই প্রচার করেন ব্যারিস্টার সুমন। পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানায় সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীরা।
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাঙালির আত্মপরিচয় জাগিয়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালি যতবার সভ্যতার সংকটে পড়েছে; ততবার কবিগুরুর কবিতা, গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, কথা, কবিতা ও গানে বিশ্বকবি সামগ্রিকভাবে বাঙালির নন্দনতত্ত্বকে তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে। নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্বকে পরিচিত করতে প্রতিটি জেলায় রবীন্দ্র সম্মেলন আয়োজন করা দরকার।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ৪১তম জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একাত্তরের কোটি মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের যে অনুভবতা আমরা লক্ষ করেছি। তিনি যে মুক্তির ডাক দিয়েছেন, তার রচিত স্বদেশের গানে তা অনুরণিত হতে দেখেছি একাত্তরে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়, জেলা পরিষদেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম শাহনেওয়াজ, এফবিসিসিআই পরিচালক ও নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সেও সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ নওগাঁর সাধারন সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৩-৫ মার্চ নওগাঁ জেলায় ৪১তম রবীন্দ্র সম্মিলন অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য থাকবে সহস্র কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন, পতিসরে রবীন্দ্র প্রীতি সম্মেলন ও স্মৃতিচারণ, রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং কবিগুরুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা।
এতে অংশ নেবেন- আসাদুজ্জমান নূর, রামেন্দু মজুমদার, রেজোয়ানা চৌধুরীবন্যাসহ দেশ বরেণ্য শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী