বাংলাদেশ
ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি: বিএএসএ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চায় যেখানে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ডলার।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমরা এই পর্যায়ে থেমে থাকতে চাই না, বরং পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হল ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু কমপক্ষে ১২ হাজার ডলার আয় করা।’
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাঁচ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে, যা ছোট বিষয় নয়। তবে মনে রাখবেন যে আপনি যত দ্রুত এগিয়ে যাবেন, তত বেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মুখোমুখি হবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে অনেকেই চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। তাই, অনেকেই আমাদের অগ্রগতি পছন্দ করেন না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের সমর্থন করেনি তারা এখন ভাবতে পারে যে আমরা (বাংলাদেশ) তাদের উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি নিজেকে জনগণের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আমি ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি।
তার সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এখন ঘোষণা করেছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে আইটি জ্ঞান, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার (ই-গভর্নেন্স) দিয়ে সজ্জিত একটি স্মার্ট জনসংখ্যা থাকবে।
আরও পড়ুন: বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কারণ তাদের আন্তরিক কাজের কারণে দেশটি এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। তাই, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএএসএ’র সভাপতি ও নৌ পরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাসার মহাসচিব ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আলম।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলের পল্লবী স্টেশন খুলে দেয়া হলো আজ
রাজধানীতে মেট্রোরেল উদ্বোধনের প্রায় এক মাস পর মিরপুরের পল্লবী স্টেশন যাত্রীদের জন্য বুধবার খুলে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেন, আজ থেকে যাত্রীরা উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) স্টেশন থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে উত্তরা, আগারগাঁও থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত তিনটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করতে পারবেন।
এছাড়া যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের জন্য নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব: সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
টিকিট কেনার জন্য সকাল ৮টায় গেট খুলে দেয়া হয় বলে জানান তিনি। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে উত্তরা এবং আগারগাঁও থেকে পল্লবীর ভাড়া ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
সরকার গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সীমিত পরিসরে মেট্রোরেল সার্ভিস চালু করায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত কোনো থাকার সুযোগ রাখা হয়নি। তবে এখন মেট্রোরেল পল্লবী স্টেশনেও থামবে।
ডিএমটিসিএল’র মতে, মতিঝিল পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হতে পারে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এবং কমলাপুর পর্যন্ত চালু হতে পারে ২০২৫ সালের মধ্যে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগারগাঁও থেকে কমলাপুর রুটে ২৪টি ট্রেন চলাচল শুরু করবে।
আরও পড়ুন: ২৫ জানুয়ারি থেকে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে
মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর স্টেশন ভাঙার প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি: প্রধানমন্ত্রী
মুন্সীগঞ্জে যুবলীগ নেতার গুলিতে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ
মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ীতে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবদলের অপর এক নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার উপজেলার বেশনালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জিয়া সরকারকে (৪৫) সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের জেদ্দাল সরকারের ছেলে। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সেরজাবাদে সে ইট-বালু ব্যবসা করে।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাবুল সরকার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা শিপন পাটোয়ারী তার মেয়েকে বেশনাল কালভার্টের পাশের একটি স্কুল থেকে নিতে যাওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাসে করে জিয়াকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
তিনি আরও বলেন, নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে যুবলীগের লোকজন জিয়াকে চেয়ারম্যান রিপনের বাড়ির কাছে আমঘাটা এলাকায় নিয়ে যায় এবং পায়ে গুলি করে ও ছুরিকাঘাত করে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেশনাল থেকে তাকে তুলে এনে পায়ে গুলি করে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আমঘাটায় ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় মোল্লাকান্দিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘কে বা কারা কুপিয়েছে জানি না। তবে আমার ভাই এর সঙ্গে জড়িত না। তাছাড়া যাকে কুপিয়েছে সে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। সে মুক্তারপুর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সৈবাল বসাক জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া পায়ে দুটি গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আহত জিয়াকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুজ্জামান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) থান্দার খায়রুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি ওই ব্যক্তিকে ডিবি পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে মারধর করে। ওই ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপানোর চিহ্ন মিলেছে। পায়ে থেতলানো অংশে, কোপ হতে পারে আবার গুলিও হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগের ৩ নেতা গুলিবিদ্ধ
প্রচারণার সময় হঠাৎ হামলায় পিরোজপুরে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বুধবার (আজ) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী আউয়াল বলেন, আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সভা শেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম এবং ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: স্পিকারের সাক্ষাৎ চেয়েছেন সিইসি
জাতীয় সংসদের পরিচালক (জনসংযোগ) তারিক মাহমুদ বলেন, সিইসি স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এ বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। সিইসি স্পিকারকে অবহিত করেন যে তারা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
আবদুল হামিদ ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হলেও ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
নড়াইলে একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হয়রানির অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলায় এই উত্যক্ত ও বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ স্থানীয় অভিভাবক ও সুশীল সমাজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তুলারাম-শেখহাটি সড়কে বিদ্যালয়ের সামনে ঝাড়ু মিছিল করে।
এতে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র অধিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার পাল ও বিপ্রদা প্রসন্ন মল্লিক, সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদির কুমার পাল।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত কুমার গোস্বামী পড়ানোর নামে ছাত্রীদের শারীরিকভাবে হয়রানি ও উত্যক্ত করছিলেন।
১৮ জানুয়ারি বিকালে ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে স্কুলের দোতলায় একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে হয়রানি করেন।
পরে নির্যাতিতা বিষয়টি তার বন্ধু ও মাকে জানান।
কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়ার পর বাড়িতে ফেরার সময় গোস্বামী তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার অজুহাতে ডেকে নিয়ে হয়রানি করেন।
এমনকি নির্যাতনের কাউকে কিছু বললে তাকে পরীক্ষায় ফেল করার হুমকিও দিয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, গত ২২ জানুয়ারি তার মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবককে তুলে এনে ববি ছাত্রদের মারধর!
প্রধান শিক্ষক মন্ডল জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রতন ভৌমিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোস্বামীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনবি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আত্মরক্ষা করে বলেন, তার বিরোধীরা তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি অভিযুক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে উত্যক্তের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় রফিজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামির উপস্থিতিকে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন (৫৫) মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সঞ্জিব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত রফিজ উদ্দিন ও আসামি শামসুদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশি।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১০ মে রফিজ উদ্দিন আসামি প্রতিবেশী শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনায় রফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করে। এতে রফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে শামসুদ্দিন শাবল নিয়ে পালাতে চাইলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ঘটনার পর ওই দিন শামসুদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন। মামলার সাত বছর পর আসামির উপস্থিতিতে আদালত শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাঁজা দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সংসদে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন বিল পাস
দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যাকে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ইউনিভার্সাল পেনশন ম্যানেজমেন্ট বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিল অনুসারে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই পেনশন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন।
ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে বিলের খসড়া তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ।
এটির মাধ্যমে মূলত বয়স্ক জনগোষ্ঠী অবসরে বা বেকার হয়ে যাওয়ার পর উপকৃত হবেন। এছাড়া রোগ, পক্ষাঘাত, বার্ধক্য বা অন্যান্য অনুরূপ পরিস্থিতিতে বা উচ্চ আয়ু হারের মধ্যে চরম দারিদ্র্য হলেও তারা সুবিধা পাবেন।
খসড়া আইন অনুসারে একজন ব্যক্তিকে ৬০ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছর বিরতিহীনভাবে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে।
৭৫ বছর বয়সের আগে একজন বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেলে মনোনীত ব্যক্তি অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পাবেন।
তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: স্পিকারের সাক্ষাৎ চেয়েছেন সিইসি
সরকার চেয়ারম্যান এবং বাকি চার সদস্যকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেবে।
অর্থমন্ত্রী গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান থাকবেন যেখানে অন্য সদস্যরা হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের
সচিব, প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বিএসইসি চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান।
গভর্নিং বডি প্রতি বছর কমপক্ষে তিনটি সভা করবে।
কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে এবং পূর্বানুমতি সাপেক্ষে দেশের যেকোনো স্থানে এর শাখা স্থাপন করা যাবে।
এই পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি স্বেচ্ছায় হবে, যদি না সরকার এটিকে বাধ্যতামূলক করার জন্য কোনো গেজেট জারি না করে।
জমাকৃত ফিকে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করবেন এবং কর মওকুফের জন্য প্রযোজ্য হবে যখন পেনশনটি করমুক্ত হবে।
বিলে বলা হয়েছে যে বিনামূল্যের একটি অংশ সরকার সর্বনিম্ন আয়ের স্তরের নীচে বা যারা দেউলিয়া তাদের জন্য দিতে পারে।
একটি সর্বজনীন পেনশন তহবিল জমাকৃত অর্থ সঠিকভাবে পরিচালনা করবে। এক বা একাধিক তফসিলি ব্যাংক তহবিলের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করবে।
নির্দিষ্ট সময়ে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করা হবে এবং এর জন্য একটি কেন্দ্রীভূত এবং স্বয়ংক্রিয় পেনশন বিতরণ কাঠামো গঠন করা হবে।
সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোকে এই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বিলটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের একটি চমৎকার উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন।
তবে, তিনি বলেন যে এই পেনশন ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের সাড়া পাবে না। কারণ সরকারি কর্মচারীরা যেভাবে পেনশন পান তার সঙ্গে অনেক কিছুই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, ‘মানুষ কীভাবে লাভ বা সুবিধা পাবে তা পরিষ্কার নয়। এটা অনেকটা ব্যাংকিং প্যাকেজের মতো। এই বিল পাশ হওয়ার আগে জনগণের মতামত নেয়া উচিত।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, এই বিল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, বেকারত্ব, অসুস্থতা বা দুর্বলতা বা বিধবা, পিতামাতাহীনতা বা বার্ধক্য বা অন্যান্য অনুরূপ পরিস্থিতির মতো অনিয়ন্ত্রিত কারণে সরকারের কাছ থেকে জনগণের সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোছা. ডরথী রহমান
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের কাছ থেকে ফি নেবে এবং ফেরত দেবে। এই বিল পাশ হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, বিলের কথাগুলো ভালো। ‘কিন্তু এই পেনশন স্কিমে সরকারের অংশগ্রহণ কি?
পেনশনে সরকারের কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এটা ব্যাংকের ডিপিএস স্কিমের মতো। গুজব আছে যে সরকারের অর্থের অভাব থাকায় জনগণের কাছ থেকে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছে?
অর্থমন্ত্রীর মৌন অবস্থান নেয়ার সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, অর্থমন্ত্রী বেশি কথা বলেন না।
তিনি বলেন, ‘বোবার কম শত্রু আছে। কিন্তু কথাগুলো অর্থমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে কি না তা জানা যায়নি। তার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া বা উদ্যোগ দেখা যায় না।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আপাতদৃষ্টিতে আইন ভালো। কিন্তু বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের দেয়া পথের বাইরে কিছু আছে বলে মনে হয় না।
‘সরকার কী লাভ দেবে তা পরিষ্কার নয়।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, এটা শেয়ালের কাছে মুরগি পালনের মতো।
‘মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখবে এবং ব্যাংকগুলো টাকা বিদেশে পাচার করবে। ব্যাংকগুলো মানুষের আস্থা হারিয়েছে। এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঋণ খেলাপিরা সব সুবিধা পাচ্ছে।
বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
যারা অর্থ পাচার করছে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এই বিল আনার আগে অনেক আলোচনা হয়েছে।
‘যারা লিখিত মন্তব্য জমা দিয়েছেন তাদের বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতেও বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিলটি গ্রহণযোগ্যতার লক্ষ্যে সংসদে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ভোলার গ্যাস আগামী মাসেই আসবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে।
তিনি বলেন, তবে পাইপলাইনে নয়, আপাতত সিএনজিতে রূপান্তর করে কনটেইনারে ভরে মূল ভূখণ্ডে এনে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস যুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজিত জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী করোনায় আক্রান্ত
তিনি বলেন, জেলাপ্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতি বলব যে এই বছরটি আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতার। সব উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্নতা অপরিহার্য। এছাড়া আমাদের সেচ মৌসুম শুরু হচ্ছে। সামনে আমাদের রোজার মাস শুরু হবে। বৈশ্বিক জ্বালানির চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা ও বিভাগ অনুসারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের স্থগিত বিলগুলো, বিশেষ করে আমাদের জেলা পর্যায়ের সরকারি অফিসগুলোর বিলগুলো নিয়মিত করতে বলা হয়েছে। সামনের মাস থেকে যেহেতু সেচ শুরু হবে, তারা যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পেতে পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, স্ব স্ব জেলা ও বিভাগীয় কমিশনাররা যাতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন, সেই জন্য কমিটি করে দেয়া আছে। বিদ্যুতের ব্যাপারে যদি চ্যালেঞ্জিং কিছু থাকে, কোনো ঘাটতি যদি থাকে, সেই বিষয়গুলো সুরাহা করার ব্যাপারে সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকারে রাখা হয়েছে। যেমন হাসপাতাল,শিল্পকারখানা ও কৃষি ইত্যাদি। এসব খাতগুলোতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের যেসব পরিত্যক্ত জমি আছে সেগুলো সোলারের আওতায় আনা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে যত সরকারি ভবন আছে সবগুলোর ছাদে এবং সরকারি স্কুলগুলোতেও সোলারের ব্যবস্থা করা যায়।
গরমে বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবিলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব কিছুটা গ্যাস বৃদ্ধি করেছি। এছাড়া স্পট থেকে কিছু কেনার ব্যবস্থা করেছি। আমরা শিল্পে গ্যাসের দামে সমন্বয় করেছি। শিল্পতে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখা চ্যালেঞ্জ। আমরা অন্য ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কীভাবে নিরাবচ্ছিন্ন করা যায়, তা নিয়ে ভাবছি।
দাম বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা বলছি, প্রতি মাসে একটি সমন্বয়ে যাবো। সেটা নির্ভর করে জ্বালানির মূল্যের ওপর। সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।
গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা এখন বলতে পারছি না। দাম কমতেও পারে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
প্রকল্প পরিচালকদের ব্যর্থতার দায় মন্ত্রণালয় নেবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
সংসদে শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির তালিকা দিলেন অর্থমন্ত্রী
দেশের শীর্ষ ২০ খেলাপির মোট ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী তালিকায় শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির নাম, মোট ঋণের পরিমাণ এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পাচারকৃত অর্থ দেশে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে: অর্থমন্ত্রী
তিনি সংসদকে আরও জানান, দেশে মোট খেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন।
তালিকা অনুযায়ী, শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির মধ্যে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
অন্যান্য ১৯ জনের ঋণের পরিমাণ এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ হল-ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, এর সমস্তটাই খেলাপি ঋণ; রাইজিং স্টিল কোম্পানি লিমিটেড ১ হাজার ১৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা; মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, এর সমস্ত পরিমাণই খেলাপি ঋণ।
রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ একই। তাদের খেলাপি ঋণ ৮৭৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
ক্রিসেন্ট লেদারস প্রোডাক্টস লিমিটেডের ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।
কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সাদ মুসা ফেব্রিক্স লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৭২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল অংশীদার: অর্থমন্ত্রী
মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৭৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সামনাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫১ দশমিক ৭ কোটি টাকা।
মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এশিয়ান এডুকেশন লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৮৮৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
অ্যাপোলো স্টিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এহসান স্টিল রি-রোলিং লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সিদ্দিকী ট্রেডার্সের ঋণের পরিমাণ ৬৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
ক্ষমতাসীন দলের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, কৃষি ঋণের সুদ মওকুফের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এর কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে কৃষকদের ঋণ দেয়। আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে কৃষকদের দেয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়।
সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি, ঋণ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এই ঋণটি ৩০ বছরে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ পরিশোধযোগ্য।’
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাপান সরকার ৯২১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় দিয়েছে।
গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কর রাজস্ব কম ছিল উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মুদ্রানীতি এবং কঠোরতা নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব সংগ্রহ ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাজেটের প্রথম ত্রৈমাসিক কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক: অর্থমন্ত্রী
সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধি এবং পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে অবিরাম কাজ করছে।
তিনি বলেন, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, পানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অনুসরণ, সংযোগ বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার এবং মানবিক সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ‘বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যু’র রাজনৈতিক ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি হলো-সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়- বৈশ্বিক শৃঙ্খলা যে দিকেই অগ্রসর হচ্ছে তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মৌলিক অবস্থান হলো- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, এটি অক্ষত থাকবে না, যাই ঘটুক না কেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ কখনোই আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘এগুলো অক্ষত রেখে, বাংলাদেশ তার সম্পদ অব্যাহত রাখবে ... আমাদের প্রচুর বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে .. আমাদের অবশ্যই কিছু নমনীয় শক্তি আছে।’
আলম বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী এলাকায় একটি ভালো প্রতিবেশী হিসেবে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে।
‘আমরা (এছাড়াও) আশা করি যে আমাদের প্রতিবেশীরা তাদের সর্বোত্তম ক্ষমতা দিয়ে এটির প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব যখন একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন এগুলো আরও প্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি এম হুমায়ুন কবির সভাপতিত্ব করেন এবং বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন ডক্টর লাইলুফার ইয়াসমিন ‘বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক(দক্ষিণ এশিয়া)এটিএম রোকেবুল হক ‘প্রতিবেশীদের প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি: অংশীদারিত্বে সমৃদ্ধির বন্ধুত্ব’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন।
বিআইআইএসএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন উপায় অন্বেষণ’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন।
বিআইএসএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এম আশিক রহমান ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্প্রসারিত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা’ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এশিয়ার পুনঃউত্থানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি উভয় ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বর্ধিত প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেন এবং আঞ্চলিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে বহুপাক্ষিকতাকে উন্নীত করার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেছেন যে পরিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় বিশ্বের দেশগুলো প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের বৈদেশিক নীতি প্রণয়নের জন্য লড়াই করছে এবং বাংলাদেশকে সতর্কতার সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, সাবেক কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, গবেষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন থিংক ট্যাংক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী