বাংলাদেশ
জামালপুরে একসঙ্গে ৪ কন্যা সন্তানের জন্ম!
জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আঞ্জুয়ারা বেগম(২০) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আমলাপাড়া এপোলো হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিনি চার সন্তান প্রসব করেন।
আঞ্জুয়ারা জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আঞ্জুয়ারা বেগম প্রসববেদনা নিয়ে গত বুধবার জামালপুর শহরের আমলাপাড়ায় এপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ তার সফল অস্ত্রোপচারে একে একে চারটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ সংবাদে হাসপাতাল এলাকায় একনজর নবজাতকদের দেখতে অনেকেই ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম
গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ বলেন, বর্তমানে প্রসূতি ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। তবে বাচ্চাদের ওজন যথাক্রমে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, এক কেজি ৭০০ গ্রাম, এক কেজি ৬০০ গ্রাম ও এক কেজি ৪০০ গ্রাম। তাদের ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আঞ্জুয়ারার স্বামী আতাউর রহমান বাবুর জানান, প্রথম তারা সন্তানের বাবা-মা হলেন।
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় অবাক হয়েছেন এবং খুশিও হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এপোলো হাসপাতালের পরিচালক শরিফুজ্জামান রুবেল জামালী বলেন, বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো। একে একে চারটি সন্তান প্রসব সত্যিই বিরল। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অনেক মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
বর্তমানে মা ও শিশুরা ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার: নবজাতকের মায়ের মামলা
মানব পাচার প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা ও বিস্তৃত প্রচেষ্টা 'অত্যাবশ্যক': ব্লিঙ্কেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মানব পাচার একটি বৈশ্বিক অপরাধ; যা কয়েক লাখ মানুষকে তাদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘এই অপরাধকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য এবং মানব পাচার বন্ধ করার জন্য আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিতে হবে। এজন্য লক্ষ্যযুক্ত সচেতনতা এবং বিস্তৃত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।’
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ পাচারের শিকার।
তিনি আরও বলেন, এই মাসটি জাতীয় মানব পাচার প্রতিরোধ মাস। ‘যৌন পাচার এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ সকল ধরনের মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায়’ মানুষ, সংস্থা, সম্প্রদায় এবং ফেডারেল সংস্থাগুলোর যোগদানের সময় এটি।
কালুখালীতে আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
রাজবাড়ীর কালুখালীতে আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (বশেমুমেক)এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহত উজায়ফা(৮) উপজেলার মাঝবাড়ী গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে এবং হাসান(৩) একই গ্রামের ইকরামের ছেলে।
মাঝবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মাসুমুর রহমান বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে বাবু বিশ্বাসের বাড়িতে দুই শিশু খেলা করছিল। এক পর্যায়ে দুই শিশু রান্না ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় বাবু বিশ্বাসের বাড়ির লোকজন পাশের বাড়িতে থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে রান্না ঘরে রাখা খড়িতে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশিরা দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকরামের ছেলে হাসান মারা যায়। অবস্থার অবনতি হলে বাবু বিশ্বাসের ছেলে উজায়ফাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে উজায়ফা মারা যায়।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. সজিব বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দুই শিশুর পরিবারের পাশে আছি।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশু দুটির পরিবারের সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পার্বতীপুরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশের প্রথম ব্রেন ডেড নারীর কিডনি প্রতিস্থাপনে জীবন বাঁচল ২ জনের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জনরা বুধবার রাতে সফলভাবে মৃত (ব্রেন ডেড) নারীর শরীর থেকে পৃথক দুই রোগীর শরীরে প্রথমবারের মতো কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ডা. মিলন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নেয়া হয়। এর আগে বুধবার বিকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে তার মা অপারেশনের সম্মতি দেন।
যাকে আগে বুধবার বিকেলে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়, পরে তার মা অপারেশনের জন্য তার সম্মতি দেন।
ভিসি বলেন, বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে সার্জনদের একটি দল বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা কিডনি প্রতিস্থাপনের অপারেশন করেন।
আরও পড়ুন: চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
তিনি বলেন, অ্যানেস্থেশিয়া, অ্যানালজেসিয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় অপারেশনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিডনি দাতা সারাহকে চার দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যখন কিডনি গ্রহীতা দুই নারী অস্ত্রোপচারে পরে সুস্থ হয়ে উঠেন।
কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিএসএমএমইউ এবং ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনে পৃথক অস্ত্রোপচার করা হয়।
কিডনি গ্রহীতাদের একজন মিরপুরের ৩৪ বছর বয়সী শামীমা আক্তার এবং আরেকজন কিডনি ফাউন্ডেশনের রোগী। এ ছাড়া দাতার কর্নিয়া সফলভাবে চক্ষু রোগীদের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়।
ভিসি বলেন, আইসিইউ রোগীদের যাদের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে ব্রেন-ডেথ বলা হয় এবং যাদের জীবন ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না তাদের ক্ষেত্রে ক্যাডেভারিক। ক্যাডেভারিক রোগীরা তাদের অঙ্গ দান করতে পারেন যদি না তারা ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, এইচআইভি ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হন।
আজিমপুর কবরস্থানে দাফনের আগে বিএসএমএমইউ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে সারার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষিকা শবনম সুলতানার বড় সন্তান সারা ছিলেন বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
যখন তার বয়স মাত্র ১০ মাস ছিল তখন তিনি অপরিবর্তনীয় যক্ষ্মা স্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত হন।
সারা দেশে ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রথম অঙ্গ দাতা হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন। তার সাহস তাকে মৃত মানুষকে অঙ্গ দান করতে উৎসাহিত করেছে। ক্যাডেভারিক রোগীদের অঙ্গ দানের মাধ্যমে অনেককে স্বাভাবিক জীবনে আনা সম্ভব।
অপারেশন সফল হওয়ার জন্য ভিসি অপারেশন প্রধান ডা. দুলাল ও তার দলকে ধন্যবাদ জানান।
অপারেশনে অংশ নেন ডা. মো. সাইফুল হোসেন ধিপু, ডা. ফারুক হোসেন, ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, ডা. দেবাশিস বনিক, ডা. দেবব্রত বণিক, ডা. দিলীপ ভৌমিক ও ডা. মো. আশরাফুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চমেকের সেই আলোচিত ছাত্র আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন
দেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন সিরাজগঞ্জের মেরিনা
বাংলাদেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মেরিনা খাতুন।
রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালকের অনুরোধ করা পত্রটি ‘যুদ্ধশিশু’ মেরিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তাড়াশের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত ফাজিল আকন্দের বিধবা স্ত্রী পচি বেওয়াকে (বর্তমানে মৃত) বাড়ি থেকে স্থানীয় রাজাকাররা অস্ত্রের মুখে তুলে পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে আটক রেখে হানাদার বাহিনী তার ওপর পাশবিক শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর জন্ম হয় যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুনের। অবশ্য এ কারণে ২০১৮ সালে পচি বেওয়াকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেটভুক্তও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সন পদক অর্জন করেছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম
স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত সম্বলিত পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মেরিনা খাতুন বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পর দেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় সে খুবই খুশি ও আনন্দিত। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জামুকার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। সেইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যুদ্ধশিশুদের আর্থিকভাবে সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবিও জানিয়েছেন মেরিনা।
এর আগে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বীরাঙ্গনা পচি বেওয়ার (মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত) মেয়ে মেরিনা খাতুন ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জামুকার মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী জামুকার ৮২তম সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং ৯.১৩ নম্বর আলোচ্য সূচিতে আলোচনা শেষে সর্বসম্মতভাবে ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে মেরিনা খাতুনকে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেলেন মাগুরার মেরিনা
৫০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে।
ফজরের নামাজের পর উর্দু ও আরবি ভাষার মিশ্রণে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান। সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষায় এর তরজমা করেন মুফতি জিয়া বিন কাসেম। দুপুরে জুম্মার নামাজে ইমামতি করবেন দিল্লি নিজামুদ্দীন মারকাজের মাওলানা সাদ কান্দলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী। মাওলানা সাদ ইজতেমা ময়দানে আসেননি।
ইজতেমায় একজন মুসুল্লি মারা গেছেন। বরগুনার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম ( ৭৫) বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে নিজ বিছানায় মারা যান।
আরও পড়ুন: ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব: সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ময়দানে কয়েকটি আলাদা আলাদা মজমা (বয়ান প্রোগ্রাম) হয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদেরও আলাদা বয়ানের আয়োজন রয়েছে।
জুমার নামাজের পর সংক্ষিপ্ত বয়ান করবেন কাকরাইলের শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা সাদের মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্দলভী। মাগরিবের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী সাহেব।
ইজতেমা ময়দানে পাঁচ হাজারের মতো বিদেশি মুসল্লি এসেছেন। বিদেশিদের তাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। অবজারভেশন টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্যান্ডেলের ভেতর ও বাইরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা সদস্যও রয়েছেন। সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
ইজতেমার মুসল্লিদের ভোগান্তি কমাতে জিএমপি’র ট্রাফিক নির্দেশনা জারি
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের সাক্ষাৎ
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ানবিষয়ক পরিচালক বার্ট্রান্ড লরথোলারি সাক্ষাৎ করেন।
বৃহস্পতিবারের এই সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপু এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের ফলোআপ, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বার্ট্রান্ড ও মাসুদ বিমান চলাচল, মহাকাশ ও মহাকাশ প্রযুক্তি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও প্রত্নতত্ত্বে সহযোগিতা, জিএসপি+, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, ইউক্রেনের যুদ্ধ, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়েও কথা বলেছেন।
বার্ট্রান্ড বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক আলোচনার সহ-সভাপতি করতে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
ইন্দো-প্যাসিফিক: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়াতে চায় ফ্রান্স
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আরও ২ বছর দায়িত্ব পালন করবেন কামরুল আহসান
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কামরুল আহসানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কামরুল আহসানের পুনর্নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
রাষ্ট্রদূত কামরুল ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদান করেন এবং ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাশিয়ায় তার নিয়োগের পূর্বে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলারবিষয়ক সচিব ছিলেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে তিনি সচিব পদে উন্নীত হন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন
রাষ্ট্রদূত কামরুল ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি আর্জেন্টিনা, কিউবা, জ্যামাইকা ও ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও স্বীকৃতি পান।
এছাড়াও, তিনি কানাডায় এশিয়া প্যাসিফিক কূটনৈতিক গ্রুপের ডিন ছিলেন।
তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত কামরুল সিঙ্গাপুরে কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কর্পসের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সিঙ্গাপুরের আবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং কর্পোরেট হাউসের প্রতিনিধিদের একটি প্ল্যাটফর্ম ক্লাব ২০০-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
জাতিসংঘের ৩ সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত মুহিত
ডিএমপি’র মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৬০
রাজধানীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে চার হাজার ৯৫৫টি ইয়াবা বড়ি, ৫৮০ গ্রাম হেরোইন, ৭৫ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও ৫৬ দশমিক ৪১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
ডিএমপি’র নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও স্থানীয় থানা পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোট ৪৫টি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার প্রথম সরকারি সফরে এসে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ সংক্রান্ত তৎপরতা চলমান দেখে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটাই তার প্রথম সফর এবং বর্তমান পরিস্থিতি তিনি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত