বাংলাদেশ
সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে বিদেশি তীর্থযাত্রীদের জন্য বিস্তীর্ণ ওমরাহ বীমার খরচ ৬৩ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সৌদি আরবের দৈনিক সৌদি গেজেট জানিয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ১০ জানুয়ারি থেকে খরচ ২৩৫ থেকে ৮৭ সৌদি রিয়াল কমিয়েছে।
ওমরাহ’র জন্য বীমা হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি সমন্বিত নীতি।
আরও পড়ুন: ওমরাহ ই-ভিসা: বাংলাদেশসহ ৫ দেশের যাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য আবশ্যক
এটি ভিসা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হচ্চে- চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি, গর্ভাবস্থা, জরুরি প্রসব, জরুরি ডেন্টাল কেস, ট্র্যাফিক দুর্ঘটনায় আঘাত, ডায়ালাইসিস কেস এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চিকিৎসা স্থানান্তর।
দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যু ও মৃত্যুর ঘটনা, মৃত ব্যক্তির দেহ তার দেশে ফেরত দেয়া এবং আদালতের রায়ে জারি করা ব্লাড মানি’র মতো সাধারণ মামলাগুলো এর অন্তর্ভুক্ত। এতে ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষতিপূরণ এবং ফ্লাইট বাতিলের ক্ষতিপূরণের কভারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বীমা সৌদি আরবে প্রবেশের দিন থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত কাজ করবে এবং তা শুধুমাত্র দেশটির মধ্যেই কার্যকর।
ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহ বীমা পলিসি দেখতে, এর বৈধতা যাচাই করতে এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সম্পর্কে জানতে বিস্তীর্ণ বীমা প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালন নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের
৭ মাস পর মক্কায় মুসল্লিদের ওমরাহ পালন শুরু
কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
দেশের কারাগারগুলোতে শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ পালন না করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে ২৪ জানুয়ারি সশরীরে হাজির হয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, একাধিকবার সময় নিয়েও কারাগারের শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়নি।
কারাগারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের দাবিতে আইনজীবী জে আর খান রবিন হাইকোর্টে রিট করেন ২০১৯ সালে। পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুন এক আদেশে হাইকোর্ট সারা দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
ওই নির্দেশ অনুসারে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আদালতে কারামহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন ১০ জন।
ওই প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের মধ্যে ১১২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন জানান, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪১টি কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে চিকিৎসক আছেন মাত্র চারজন। যে কারণে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগে আদালতের আগের আদেশ বাস্তবায়নের অবস্থা জানানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি।
এছাড়া ১৫ নভেম্বর আদালত আগের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।
আর এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদন দিতে মৌখিকভাবে আদেশ দেন।
ওই আদেশ অনুসারে ১৩ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮টি কারাগার ও একটি ২০০ শয্যার কারা হাসপাতালে বিভিন্ন স্তরের মোট ১৪১ সংখ্যক চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে। কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
পরে আদালত বাকি ৩৮টি শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের আদেশ ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নের আদেশ দেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন না করায় মঙ্গলবার ডিজিকে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
লক্ষ্মীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত আমেনা রায়পুর উপজেলার বামনী ইউপি’র বামনী গ্রামের মমিনুল হকের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়িও একই এলাকায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ মার্চ রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে স্বামী সহিদ হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী আমেনা বেগম। বিষয়টি গোপন রেখে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আমেনা। দাফনের জন্য গোসল করাতে নিলে গলায় আঁচড়ের দাগ দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
এদিকে এ ঘটনায় সহিদের বড় ভাই আব্দুল আলী খোকন বাদী হয়ে আমেনা বেগমকে আসামি করে ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া এ ঘটনায় একই বছরের ২৩ মে আদালতে তদন্তপত্র দাখিল করে পুলিশ।
জানা গেছে, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল পুলিশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে। এতে সহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে প্রমাণ পাওয়া যায় বলে দাবী পুলিশের।
পারিবারিক কলহের জেরে মুখ চেপে ধরে আমেনা সহিদকে হত্যা করে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় পুলিশের প্রতিবেদনে।
পুলিশ জানান, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আমেনার বিরুদ্ধে রায় দেন। সহিদ জীবিত থাকা অবস্থায় তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। তার মৃত্যুর সময় আমেনা গর্ভবতী ছিলেন।
পরে আমেনা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ১৬ মাস বয়সী মেয়ে ফাতেমা আক্তার মারিয়াকে নিয়েই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রোহিঙ্গাদের শীতবস্ত্র উপহার ইরানের
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শীতবস্ত্র উপহার দিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।
শীতের প্রকোপ থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
গত সপ্তাহে ইরানের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজরের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের চার নম্বর ক্যাম্পে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করে।
এই প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয় বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের আগস্টে বৃহৎ আকারে সঙ্কটে পড়ে। এরপর থেকেই রাষ্ট্রবিহীন এসব মানুষের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত
সিলেট-ঢাকা রুটে বাড়তি দামেও মিলছে না বিমানের টিকিট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সিলেট-ঢাকা রুটে এবার দেখা দিয়েছে বিমানের টিকিট সংকট। আবার টিকিট পাওয়া গেলেও যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য। এতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটগুলো ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীদের পরিবহন করছে না। এ কারণে এ রুটে টিকিটের কিছুটা সংকট চলছে। দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
ইউএস বাংলা ও বিমানের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ১৪ জানুয়ারি সিলেট-ঢাকা রুটে ইউএস বাংলার ভাড়া ছয় হাজার ৪০০ টাকা, ১৫ জানুয়ারি ইউএস বাংলার ভাড়া চার হাজার ৯০০ টাকা, বিমানের তিন হাজার ৮৩৩ টাকা, তিন হাজার ৯৫০ টাকা ও পাঁচ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া ১৬ জানুয়ারি ইউএস বাংলা তিন হাজার ৭৬৫ টাকা, বিমানে তিন হাজার ৫৫৬ টাকা ভাড়া।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিমানের টিকিট বিক্রি সাময়িক বন্ধ
এ রুটের যাত্রী সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক আবাসন ব্যবসায়ী মুহাম্মদ মুনতাসির আলী জানান, তিনি নিয়মিত এ রুটের যাত্রী। কিন্তু প্রায়ই তাকে টিকিট সংকটে পড়তে হয়। এ সংকট উত্তরণে সংশ্লিষ্ট সকলের পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও সিপার এয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সিলেট-ঢাকা বিমান রুটে টিকিটের চাহিদা ব্যাপক। তাই এ রুটে শিগগিরই বোয়িং চালু করা জরুরি। সিলেট-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার এই তিনটি এয়ারলাইন্সের বিমান আসা-যাওয়া করে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন করে কূল পাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় সময়ই সাড়ে তিন হাজার টাকার টিকিট কিনতে হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকদিন আগে আয়োজিত গণশুনানিতে শাফি নামের একজন যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে বিমানের একটি ফ্লাইটের একটি টিকিট তাকে ১০ হাজার টাকা মূল্যে কিনতে হয়।
সূত্র জানায়, বিমানের বোয়িং-এ করে প্রায় এক মাসের অধিক সময় ধরে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সুযোগে বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি বিমান অপারেটরগুলোও তাদের টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানের জেলা ব্যবস্থাপক মনসুর আহমদ ভুঁইয়া জানান, বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ওসমানীতে আসা ফ্লাইটগুলো ইতোপূর্বে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী পরিবহন করতো।
কিন্তু ১ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটগুলো ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীদের পরিবহন করছে না। এ কারণে এ রুটে টিকিটের কিছুটা সংকট চলছে। দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া বোয়িংয়ে যাত্রী পরিবহন করা গেলে এ সংকট থাকবে না বলে মন্তব্য এই কর্মকর্তার।
বিমানের অন্য একটি সূত্র জানায়, প্রতি সপ্তাহে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেট-হিথরো চারটি, সিলেট-ম্যানচেস্টার তিনটিসহ দুবাই-শারজাহ-জেদ্দা মিলিয়ে মোট ১৫টি ফ্লাইট অপারেট হয়। ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত এসব ফ্লাইটে অভ্যন্তরীণ রুটের প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী অপারেটর করা যেতো। প্রতিটি বোয়িংয়ের ধারণ ক্ষমতা ছিল সাড়ে তিনশ’। বর্তমানে ড্যাশ-৮ ও এটিআরসহ যেসব ফ্লাইট অপারেট হচ্ছে, সেগুলোর যাত্রী ধারণক্ষমতা ৬০-৬৫ জন। যে কারণে এ রুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
এদিকে, বিমান ও ট্রাভেল এজেন্সি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেট-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারের ফ্লাইট চলাচল করছে।
সবমিলিয়ে প্রতিদিন এ রুটে ১০-১২টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল করলেও এর মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিটের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু বলেন, এবার দেশে প্রবাসীদের ব্যাপক আগমনের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে টিকিটের কিছুটা সংকট চলছে। এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী অপারেটরগুলোর ৮০ পার্সেন্ট টিকিট বুকড হয়ে গেলে বাকি ২০ পার্সেন্ট টিকিটের দাম বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে পিক টাইমের কারণে। এছাড়া তিনি এ রুটে ডোমেস্টিক ফ্লাইট বৃদ্ধির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে বিমানের টিকিট ক্রয়ে ১০ শতাংশ ছাড়
২৯ মে সৌদি আরবে বিমান ফ্লাইট শুরু
বগুড়ায় টাকার জন্য স্কুল শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষার্থী খুন
বগুড়ার শিবগঞ্জে টাকার জন্য পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে খুন করেছে অপর শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বগুড়ার শিবগঞ্জে আবু হুরায়রা নামের ওই ছাত্রকে টাকার জন্য খুন করা হয় বলে জানিয়েছে মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ইন্সপেক্টর) আশিক ইকবাল।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
নিহত হুরায়রা শিবগঞ্জ উপজেলার কড়িবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কড়িবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মনজুরুল ইসলামের ছেলে। সোমবার রাতে সৈয়দপুর ইউনিয়নের বজলুর মোড় এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তার পাঁচ শিশুর মধ্যে তিনজন সপ্তম শ্রেণিতে, একজন হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন ও একজন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুরতে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার পাঁচ শিশু আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা টাকা সংগ্রহ করতে পারছিল না। পরে তারা প্রতিবেশি আবু হুরায়রাকে অপহরণ করে টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুল ছুটির পর তারা আবু হুরায়রাকে ডেকে নিয়ে হনুমান দেখানোর কথা বলে পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর তারা জোর করে হুরায়রার সাইকেল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তারা সবাই মিলে হুরায়রাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তারা স্থানীয় ডাকুমারা হাটে ওই সাইকেল দুই হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করে।
এদিকে রাত হয়ে যাওয়ার পরেও হুরায়রা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয় এবং খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ডাকুমারা হাটে হুরায়রার সাইকেল দেখতে পেয়ে দোকানীর বরাতে জানা যায় এক কিশোর সাইকেলটি বিক্রি করেছে।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ শিশুকে গ্রেপ্তার করে।
মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, হুরায়রার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় এক জন নিহত ও পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারী) বিকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর হরিপাড়া গ্রামের পাশে ঘোড়াঘাট-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিকল অবস্থায় দাঁড়ানো ছিল।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এ সময় পাঁচ যাত্রীসহ ট্রাক্টরটি অতিক্রম করছিল। একই সময় বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফিরে আসা দিনাজপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ট্রাক্টরসহ ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ট্রাক্টরটি ছিটকে সড়কের পাশে উলটে যায়।
অপরদিকে বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টরের ভ্যানে থাকা ছয় যাত্রীর এক নারী যাত্রী নিহত হয়।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২,আহত ৪
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে ঢাকাসহ সকল জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা চালু করা হয়েছে। আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা ব্যবস্থা উদ্বোধন করা হলো। এর ফলে এখন থেকে এই জায়গাতেই একজন রোগী সব রকম সেবা ঝামেলামুক্ত থেকেই পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি, এখানে ৫০০ বেড থেকে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে এই হাসপাতালে আজ থেকে প্রায় ১৩৫০ বেডের সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো।’
মন্ত্রী বলেন, এখানে নানারকম টেস্ট সুবিধা, আইসিইউ, এসডিইউ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এখন থেকে আর কোনো রোগীকে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা এই হাসপাতালে এখন থেকে উন্নত বেডে চিকিৎসা নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি এন্ড ক্যাজুয়াল্টি (ওএসইসি) সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শুধু ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার কাজেই সরকারের ৯২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৭৫ হাজার স্কয়ার ফিটের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি নতুন অপারেশন থিয়েটারসহ শতশত বেড বৃদ্ধি করা হলো। কিন্তু এগুলোতে যদি সেবা দিতে কাজ করাই না হয়, মানুষকে সেবা দিতে নৈতিকতা কাজ না করে তাহলে সরকারের সব প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। কোন যন্ত্র নষ্ট হলে তা যদি ঠিক না করে ফেলে রেখে রোগীদের বাইরে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয় সেটা নৈতিক অপরাধ হবে। এজন্য যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে হবে, মেরামত না হলে নতুন করে কিনতে হবে, কিন্তু সরকারি সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদের নিজেদের সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিকিৎসা সেবা দিয়ে আপনারা সরাসরি মানুষের দোয়া পান, মানুষের ভালোবাসা লাভ করতে পারেন যা অন্য কোন পেশায় চাকরি করে পাওয়া অসম্ভব। কাজেই এই দোয়ার কাজটি আরও দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোন অসহায় মানুষ যেনো সরকারি হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে চলে না যান সেটি আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আর ভালো কাজ করলে আপনাদের জন্য সরকার সব সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবিএম মাসুদুল আলম, পরিচালক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের ওপরে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
র্যাব বর্তমানে যে কার্যক্রম করছে তাতে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞা উত্তরণে বাংলাদেশ সঠিক পথেই হাঁটছে। আমাদের ল'ইয়ার ভালো ভূমিকা রাখছে। যেভাবে চলছে তা চলমান থাকলে আমাদের ওপর থেকে অচিরেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা সফর করে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দিনের সফরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য বৈঠক করেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ১৫ জানুয়ারির বৈঠকে র্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনায় হয়। এ নিয়ে সোমবার ( ১৬ জানুয়ারি) বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে আমাদের কয়েকজন মন্ত্রীর একান্তে মিটিং হয়েছে। আমার সঙ্গে তার আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেখানে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। তাতে আমার যা মনে হয়েছে,বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বন্ধ হোক আমেরিকার সরকার তা চায় না।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চায়। তারা চায় এদেশের মানবাধিকার যেন আরও ওপরে থাকে। তারা চায় এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কেউ যেন সহিংসতায় লিপ্ত না হয়। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি অতীতে আমরা কিভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলা করেছি। তারা এর প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আইএলআইএস’ চালু করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আলোচনায় নির্বাচনের প্রসঙ্গে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সংবিধান আছে সে অনুযায়ী আমাদের দেশের নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগেই আমাদের সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে যায়। আমাদের সরকারের সব কিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা মন্ত্রীরা শুধু অফিসওয়ার্ক করি। কাজেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশবাহিনীসহ যারা সব সময় নির্বাচন কাজে থাকে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমরা যে বিভিন্ন জনসভা করতে দিচ্ছি, এজন্য তারা আমাদের প্রশংসা করেছেন। তবে সমাবেশের নামে অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুর ও রাস্তায় ব্যারিকেড; এসব বিষয় আমেরিকার সরকার সমর্থন করেনা।
র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে তিনি ডোনাল্ড লু-কে বলেছেন, র্যাবকে আপনারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ২০০৪ সালে আপনারাই র্যাবকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়েছেন। শুধু র্যাবকে নয় পুলিশের অনেকবাহিনীকে অস্ত্র দিয়েছেন। তাদের ভালো কর্মদক্ষতার জন্য সব সময় প্রশংসা করেছেন। আত্মরক্ষার জন্য এই বাহিনীরও অস্ত্র হাতে নিতে হয়। তবে প্রতিটা গুলির জন্য আমাদের একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে জানালে আমরা সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, র্যাবের ১৮ জন সদস্য জেলে শাস্তি ভোগ করছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আপনারা দেখছেন গত ১৫ বছর আগে যেটা ছিলো, সেখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলেছি। তারাও বলেছেন বিগত দুই বছরে র্যাব ভালো কাজ করেছে। র্যাব ভালোভাবে জঙ্গি ও মাদক মোকাবিলা করেছে।
নিষেধাজ্ঞা তোলার প্রক্রিয়া জটিল বলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও, একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করতে হবে। সে প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। এই প্রক্রিয়ায় কতোগুলো ধাপ আছে, সেগুলো পার হতে হয়।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানের জামিন বহাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে তার কারামুক্তিতে কোন বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় শর্ত সাপেক্ষে শাহজাহানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিনের আদেশ বৃহস্পতিবার
তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, দুটি শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেগুলো হলো-দেশের বাইরে যেতে পারবেন না ও অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। পরে এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।পরে ১৫ ডিসেম্বর তার জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে দুদকের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী সোমবার শুনানি শেষে দুদকের আবেদন খারিজ করে দেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।গত বছরের ৫ মে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। আসামিরা হলেন-নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
গত বছরের ২২ মে শাহজাহানসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে শাহজাহান কারাগারে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমের জামিন আপিলে বহাল