বাংলাদেশ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে গেলে দেশ আবারও চাঙ্গা হবে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বর্তমান সময় সংকটময় সেটা বাংলাদেশের মানুষ জানে কারণ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। তবে বাংলাদেশের এই অবস্থা থাকবে না। সারাবিশ্বের থেকে আমরা এখন পর্যন্ত অনেক ভালো আছি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে গেলে দেশ আবারও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাতে আওয়ামীলীগ সরকার আর না করতে পারে সে জন্য একটা বিরোধী শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। তারা দেশের শান্তি নষ্ট করতে চায়। এমনকি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য প্রস্তুত থাকে তারা। এই দিকে আমাদের সকলকে সর্তক থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন,,আগামী এক বছর পর জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা অশুভ শক্তি দেশে অনেক কিছু করার চেষ্টা করতে পারে। এই অশুভ শক্তি যাতে তাদের এই শক্তিটা প্রয়োগ করতে না পারে এই জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনপ্রতিনিধি ও দেশের সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে। সে জন্য সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে, সবাইকে ভোট প্রয়োগ করতে হবে।
মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, নাদের বখত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে আজও ২ মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৬
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৬৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৪৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৪৩ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২০৪ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৩৯
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬২ হাজার ১২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯ হাজার ৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২৩ হাজার ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬১ হাজার ৪০২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৩৮ হাজার ৬৮৫ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২২ হাজার ৭১৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৪৯
করোনা: শনাক্ত ৭, মৃত্যু নেই
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। এই সময়ে নতুন করে সাতজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৩১ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ১৬
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৪ জন।
এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫১ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৬
অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা তাদের বক্তব্য দেবেন প্রসিডিউর আছে বা রুলস অব এনগেজমেন্ট অনুযায়ী। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী।
কোনো বিষয়ে কোনো ইস্যু থাকে অবশ্যই তা তারা আমাদের জানাবেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ পরিপক্ব। আমাদের সার্বভৌমত্ব আছে। আমরা স্বাধীন দেশ। তার এই বার্তা সব দেশের জন্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হ্যাঁ যেই হোক না কেন?
আরও পড়ুন: ‘ফুটবলপ্রেমে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মানুষের হৃদয় একই বন্ধনে আবদ্ধ’
মার্কিন ও রুশ উভয় পক্ষের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
মোমেন বলেন, এদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বিভাগ এসব নিয়ে মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা একমাত্র দেশ পৃথিবীর মধ্যে যে দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য, বিচারের জন্যে, মানবাধিকার রক্ষার জন্য, মানুষের মর্যাদা রক্ষার জন্য। আমাদের মজ্জার মধ্যে, প্রতিটি রক্তের কণিকায় মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি চাই না রাশিয়ান, আমেরিকান কোনো দেশে আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাক।
ঢাকা মেট্রো রেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, হলি আর্টিজান হামলায় জাপানি নাগরিকসহ ২০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়া সত্ত্বেও সরকার জাপানের নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন - আমীর খসরুর স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম, হোটেল সারিনার চেয়ারম্যান গোলাম মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেরা সরোয়ার (নীনা), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশা অনুমোদন শাখার বিল্ডিং ইন্সপেক্টর আওরঙ্গজেব নান্নু।
রাজউক, ঢাকা কর্তৃক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭নং প্লটটি ডেভেলপ করার নামে উক্ত প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫ নং প্লট ক্রয় পূর্বক অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে যথাক্রমে ২২ তলা ও ২১ তলা ভবন নির্মাণ শেষে পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড পরিচালনা করে পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একে অপরের সহায়তায় নিজেদেরকে লাভবান করায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (২নং আইন) এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এ একটি মামলা করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
তাদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম উভয়ে ঢাকাস্থ বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ ও ২৫ নং প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। জব্দকৃত এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী মিসেস তাহেরা খসরু আলম যৌথভাবে তার ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনার সঙ্গে হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড নামক পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করে গেছেন।
এছাড়াও আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা আসামি গোলাম সরোয়ার বনানী ১৭ নং রোডের ২৫নং প্লটটি, যা বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত সেটি যৌথ নামে ক্রয় করে রাজউকের অনুমোদিত ১৫ তলা নকশার স্থলে ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন। আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিত ভাবে নানা কৌশলে প্রথমে নিজের ভায়রাকে দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) বর্ণিত ২৭ নং প্লটের ডেভলপার নিযুক্ত করে পরে সেখানে নিজে স্ত্রীসহ যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে জব্দ করা রেকর্ডপত্র এবং সংগৃহীত রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর জন্য ঢাকায় ‘সিএসই ভবন’ নির্মাণের প্রয়োজনে রাজউক থেকে ঢাকাস্থ বনানী বানিজ্যিক এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ নং প্লটটির নিলাম ক্রয় করা হয়।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নিশ্চিহ্নের পথে ৭১ এর আট গণকবর
মাগুরার শালিখা উপজেলার হাজরাহাটি এলাকায় চিত্রা নদীর পাড়ে অবস্থিত আটজন শহীদের গণ কবর। সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেয়ায় যে কোন সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে এটি।
হাজরাহাটি গ্রামে অধির অধিকারীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে চিত্রা নদীর তীরে এ গণ কবরটি অবস্থিত।
১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় রাজাকাররা পাশের জুনারী গ্রাম থেকে আটজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে আসে। এ সমস্ত মুক্তিকামী মানুষ দেশের বিভিন্ন অংশ পাকিস্তান হানাদার মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মহান বিজয় অর্জিত হচ্ছে এমন খবরে নিজেদের বাড়ি ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামে ফিরে যাচ্ছিলেন।
রাজাকাররা তাদেরকে ধরে এনে পরদিন ৭ ডিসেম্বর চিত্রা নদীর পাড়ে প্রথমে বর্বর নির্যাতন করে। পরে নদীর পাড়ে হাত বেঁধে তাদের গুলি করে হত্যা করে। এরপর গ্রামবাসীকে দিয়ে নদীর পাড়ে তাদের গণ কবর দেয়া হয়।
এখানে শায়িত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-যদুনাথ গুহ, পঞ্চানন পাল, হরিপদ দাস, নিত্যান্দন ভদ্র, মনোরঞ্জন দত্ত, নারুগোপাল রায়, সুরেশ কর ও অজ্ঞাত একজন।
এদের সবার বাড়ি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী গ্রামে।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
শালিখা উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের ছবি রাণী অধিকারী কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আজও আমি চিত্রা নদীর পাড়ে বসে আমার ভাই যদুনাথ গুহকে খুঁজে ফিরি। তার ছবিখানা হাতে নিয়ে নদীর পাড়ে গিয়ে সেই গণকবরের কাছে যাই আর বলি- ফিরে আয় আমার ভাই, ফিরে আয় আমার ভাই।
ছবি রাণী বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজাকাররা আমার ভাইসহ আরও সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। তারা শুধু তাদের হত্যাই করেনি বরং চোখ বেঁধে তাদের ওপর নির্মম অত্যাচার করে। তারপর একে একে হত্যা করে আটজন মুক্তিযোদ্ধাকে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও তাদের এ গণকবর যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। বৃষ্টির ভরা মৌসুমে নদীতে যখন পানি ভরে যায় তখন গণকবরের সীমানায় পানি প্রবেশ করে। হয়তো আগামী দিনে এ গণকবর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
একই গ্রামের স্থানীয় রতন কুমার দাস বলেন, স্বাধীনতার সময় আমার বয়স ১৩ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের গ্রামের রাজাকাররা মানুষের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করে। নিরীহ মানুষকে ধরে তারা অত্যাচার করে মুক্তিযোদ্ধাদের খবর জানতে চায়।
তিনি বলেন, যুদ্ধের শেষ সময়ে ভারত থেকে কিছু মুক্তিযোদ্ধা আমাদের গ্রাম দিয়ে তাদের নিজ জেলা ফরিদপুর জেলায় যাচ্ছিল। এ খবর রাজাকাররা পেয়ে তাদের লোকজন দিয়ে আটজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে আনে। তারপর চিত্রা নদীর পাড়ে তাদের চোখ বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে চলে যায়। তখন গ্রামবাসীরা একটি কবর খুঁড়ে সেই কবরে আটজনকে মাটি চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: কানাডার আরেকটি আদিবাসী স্কুলে গণকবরের সন্ধান
এছাড়া গণকবরটি নদীর পাড়ে হওয়ায় সেটি বিলীনের সম্মুখীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনকে বার বার তাগিদ দেয়ার পরও তারা কোন উদ্যাগ নেয়নি। শুধু কয়েকবার পরিদর্শন করে যায়। কিন্তু কোন সংরক্ষণের কাজ করে না। বিশেষ করে ভারী বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি ভরে গেলে গণকবরের কাছাকাছি উঠে যায়।
মাগুরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিটের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক যুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় রাজাকাররা ভারত থেকে ট্রেনিং করে ফিরে আসা আট মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে চিত্রা নদীর পাড়ে চোখ বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে এলাকার স্থানীয়রা তাদের গণকবর দেয়।
তিনি বলেন, আমরা কয়েকবার ওই স্থান পরিদর্শন করেছি এবং উপজেলার প্রশাসনকে বারবার তাগিদ দিয়েছে তা সংরক্ষণ করার জন্য। তাছাড়া আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়গুলো দেখবাল করার জন্য অনুরোধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এ আট মুক্তিযোদ্ধার সবার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। প্রতিবছর ৭ ডিসেম্বর ফরিদপুর বোয়ালমারী থেকে এ আট মুক্তিযোদ্ধার স্বজনরা ওই স্থানে এসে মিলিত হয় এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কিন্তু এবার কোন কারণবশত হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের প্রাণ তাদের প্রাণের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করেছে। তাই তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: স্যাটেলাইট ছবিতে মারিউপোলের কাছে সম্ভাব্য গণকবরের সন্ধান
রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ মঙ্গলবার। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী বিধি মোতাবেক নির্বাচনের প্রচারণা গতকাল রবিবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে।
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের মো. তউহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মো. মোস্তাফিজার রহমান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদের মো. শফিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম এবং স্বতন্ত্র মো. লতিফুর রহমান, মো. মেহেদি হাসান (বনি)।
আরও পড়ুন: রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
নির্বাচন কমিশন বলছেন, রংপুর সিটি করপোরেশনে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৭৬ জন। বর্তমানে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটারের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের একজন আছেন।
রবিবার বিকালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। রবিবার রাতে প্রচারণা শেষ । ২১৯টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইভিএম মেশিন এসেছে। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে মক ভোটিং শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে।
কোনও প্রার্থীই যাতে নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারেন সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯টি। নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থাকবেন এক হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার থাকবেন দুই হাজার ৬৯৮ জন।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: ভোট কক্ষে ২ জনের বেশি সাংবাদিক নয়
জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
সর্বশেষ এই সিটিতে নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট। আর রসিক সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির থেকে আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
রংপুর সিটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। ২০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা
পুলিশের ওপর হামলা, জামায়াতের ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরে ১০ দফা দাবি আদায়ে ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ মিছিল থেকে ১৩ জন আসামিকে আটক করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
পরে যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন শিবির কর্মীকে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জামায়াতের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে দলটির ১৩ জন নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ছয় জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের ব্যানারে শহরের শপথ চত্বর এলাকা থেকে গণমিছিল বের হয়।
শহর প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী।
তবে পুলিশের দাবি মিছিল শেষে জামায়াত ও শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।
এ সময় সদর থানার ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করায় উল্টো বাদী গ্রেপ্তার
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিজেরাই সমাধান করবো: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো আমরা নিজেরাই সমাধান করবো।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যেভাবেই হোক জাতির পাশে থাকবে আ.লীগ: কাদের
তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিদেশি দূতাবাসের যারা কথা বলেন তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জেনেভা কনভেনশনে যে নিয়ম রয়েছে তার বাইরে তাদের যাওয়া উচিত নয়।’
কাদের বলেন, যানবাহন ও দোকানে আগুন দেয়ার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সরকার সহ্য করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমরা সদা সজাগ। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সহিংসতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল: শেখ হাসিনা-কাদের পুননির্বাচিত
স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায়।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দেশের প্রতিটি নাগরিক ন্যায় বিচার পাবে। আমরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাই। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই... আমরা সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস সমান অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের উজ্জ্বল ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আসুন আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করি, যাতে তারা একটি উন্নত জীবন পেতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগীয় সেবার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো: প্রধানমন্ত্রী
বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী