বাংলাদেশ
কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের প্রভাবে পৌষের শুরুতেই কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার জনপদ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া ভোর থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার ট্রেন ও নৌ চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। দেরি করে ছাড়ছে এসব যানবাহন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ: দুর্ভোগে ছিন্নমূল মানুষ
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শেষের কয়েকটি দিন ও বছরের শুরুতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে ও বছরের শুরুতে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি তীব্রতায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাবলু মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে অত্যধিক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। সরকারিভাবেও এখনও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।
একই এলাকার পাশ্ববর্তী গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, শীত উপেক্ষা করে আলু ক্ষেতের পরিচর্চা, বীজতলা তৈরীসহ নানা ধরণের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। ঠাণ্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
এছাড়া সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। তবে শীত মোকাবিলায় দুর্গত মানুষের সহায়তার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আসন্ন শীতে জেলার গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত এসব কম্বল ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা শাখা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি
শীতের প্রকোপে সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ছে
ঝিনাইদহে কীটনাশক প্রয়োগ করে পাখি হত্যা!
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলিয়ার বাকড়ি গ্রামের মাঠে গমখেতে কীটনাশক প্রয়োগ করে ৬০-৭০টি পাখি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বাকড়ি গ্রামের কৃষক মো. মুন্নু গেলো কয়েকদিনে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হত্যার পর ওই পাখিগুলোকে তিনি লাঠির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন বলেও জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ দিন আগে নিজের ১৮ কাঠা জমিতে গমের বীজ বপন করেন স্থানীয় কৃষক মুন্নু। এরপর সেখানে শালিক, ঘুঘুসহ অন্য পাখি বসে অনেক বীজ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কৃষক জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। ফলে কীটনাশক মেশানো গম খেয়ে একের পর এক পাখি মারা যেতে থাকে। এরপর মৃত পাখিগুলোকে রশি দিয়ে লাঠিতে বেঁধে ক্ষেতেই ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। অনেক পাখিই এরই মধ্যে পচে গেছে, কোনোটি আবার শেয়ালে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
এছাড়া নির্দয়ভাবে পাখি হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল ও এক লাখ টাকা জরিমনা। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ফসলের খেতে কীটনাশক দিয়ে পাখি হত্যা অবশ্যই অপরাধ। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হতে পারে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কীটনাশক পান করে ২ কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
‘২ সাঁওতাল কৃষকের মৃত্যু কীটনাশক পানেই’
পেরেক খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু
হাজীগঞ্জে ভবন নির্মাণের সময় পেরেক খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের সর্বতআরা গ্রামের নতুন সর্দার বাড়ির আলী আকবরের দোতলা ভবনে ওই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
নিহত মো. আবুল কাশেম মোল্লা (৩৪)। তিনি উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের কোন্দ্রা গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার পাঁচ বছর বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান মজিব।
নিহতের বড় ভাই জসিম মোল্লা জানান, দুই মাস যাবৎ তারা দুই ভাই দোতলা ভবনের কাজ করছিলেন। বিকালে লোহার সাবল দিয়ে ভবনের পেরেক খোলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এসময় গুরুতর আহত হন কাশেম।
অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
চাঁদপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সর্ফমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক আহত!
নাগেশ্বরীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বাসের ধাক্কায় এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার আরও দুই যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কের ভাই-ভাই মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অটোরিকশা চালক শহীদ মিয়া (২৮) রায়গঞ্জ ইউনিয়নের নার্সারি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় পিকআপ চালকসহ নিহত ৩
স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি রায়গঞ্জের ভাই-ভাই মোড় থেকে যাওয়ার পথে ভুরুঙ্গামারী থেকে আসা কুড়িগ্রামগামী একটি নৈশ কোচের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি ভেঙে যায়।
এ সময় অটোতে থাকা চালক শহীদ মিয়াসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা অটো চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া আহতরা নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে আছি বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪
রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম যুক্তরাষ্ট্রকে বলেন, রাষ্ট্রদূতদের কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বোঝা দরকার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে টেলিফোনে তার কথা হয়।
ডেপুটি সেক্রেটারি ও প্রতিমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
শাহরিয়ার ও শেরমান কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৬১-এর ভিয়েনা কনভেনশনে পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির বিষয়েও কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূতরা বরাবরের মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেতে থাকবেন।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
শারম্যান বাংলাদেশে তার বেশ কয়েকটি সফরের কথা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য শাহরিয়ারকে অভিনন্দন জানান এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এই টেলিফোন কলটি ১২ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছিল কিন্তু পরে তা পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
এনবিএফআই ৮ বছরের আগে গাড়ি পরিবর্তন করতে পারবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক নয়, এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) একটি গাড়ি নূন্যতম আট বছর ব্যবহার করতে হবে। এর আগে গাড়ি পরিবর্তন করা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)।
এর আগে ২০১৫ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর গাড়ি পরিবর্তনের সুযোগ ছিল।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালন এবং উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস করার সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এনবিএফআই দ্বারা সরকারি ব্যয়ে যে কোনও ধরনের যানবাহন (নতুন এবং প্রতিস্থাপন) ক্রয় স্থগিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কোম্পানির খরচে একাধিক গাড়ি দেয়া যাবে না। এ ছাড়া যেসব কর্মকর্তা গাড়ি ঋণ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ নেন তারা কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বিবি।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় থাকলেও অধিকাংশই রিটার্ন জমা দেয় না: এনবিআর কর্মকর্তা
সৌদিতে লোহার পিলার চাপায় চাঁদপুরের যুবক নিহত
সৌদি আরবের দাম্মামে এক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের এক যুবক মারা গেছেন। পরিবারের স্বজনরা জানান, গ্রিল ওয়েল্ডিং এর কাজ করার সময় উঁচু ক্রেন থেকে হঠাৎ একটি লোহার পিলার তার গায়ে পড়লে মো. রবিউল বেগ (২৩) নামের মারা যান।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় দাম্মাম শহরের আল কাতিব এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মো. রবিউল বেগ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ষোলদানা গ্রামের বেগের বাড়ির আবুল কালাম বেগের বড় ছেলে।
ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি ২০১৫ সালে সৌদি আরবে পাড়ি দেন। কিছুদিন পরে তার বাড়িতে আসার কথা থাকলেও ফেরা হলো তার।
বাংলাদেশি সহকর্মী সালাউদ্দিন সজিব বলেন, রবিউল প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে ওয়েল্ডিং এর কাজ করছিলেন। ক্রেনের ওপরে লোহার পাইপ ঝালাইয়ের কাজ করছিলেন তিনি। হঠাৎ ক্রেনের ত্রুটির কারণে ৪২ ফুট ওপর থেকে হঠাৎ একটি পাইপ তার গায়ে পড়ে সে মারাত্মক আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা অ্যাম্বুলেন্সে করে সৌদি আরব আল কাতিব সেন্টার হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাই। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৬ ভাইবোনের মধ্যে রবিউল সবার বড়। তার পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে।
কাঁদতে কাঁদতে রবিউলের বাবা আবুল কালাম বেগ ইউএনবিকে জানান, সাত বছর আগে রবিউল সৌদিতে যায়। দু’ বছর পর বিয়ে করেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তার বাড়িতে আসার কথা ছিল; অগ্রিম বিমানের টিকিটও কেটে রেখেছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস? যে বিমানে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে রবিউলের দেখা করতে আসার কথা। আজ সেই বিমানে আসবে তার নিথর দেহটি। কত যে বেদনাদায়ক একজন বাবার জন্য।
তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানে রবিউল কাজ করছিলেন সে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
এদিকে রবিউলের লাশ কবে আসবে সেই প্রতীক্ষায় পরিবার।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিডি
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ভর্তুকি হিসাবে ৫৬ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
বৃহস্পতিবার সিপিডি অফিসে ‘খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি): পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে কি?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চাওয়ার সময় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়।
তিনি বলেন, মোট প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পেট্রোলিয়াম আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে ১৯ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি আমদানির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাবে আমরা একমত নই’।
তিনি আরও বলেন, বরং সরকারের উচিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমাতে বেশি ভাড়া এবং কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করতে একটি পরিকল্পনা নেয়া উচিত।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিসি এখন জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পরে পেট্রোলিয়াম ব্যবসায় লোকসানের পরিবর্তে প্রচুর মুনাফা করছে, কারণ বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, বিপিসি এখন প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে ৩০ টাকার ওপরে লাভ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হতে পারে মূল্যস্ফীতির কারণে মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)গ্রহণের জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে ডা. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এর কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে।
তিনি বলেন,‘কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এই পদক্ষেপের প্রশংসা করি, কারণ এটি নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে আগের তুলনায় তারা (সরকার) অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, তবে সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বিবৃতিতে একটি বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কারণ তারা এখন লক্ষ্যমাত্রা ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’র পরিবর্তে, ‘ক্লিন এনার্জি’ ‘৪০শতাংশ পর্যন্ত’ শব্দটি ব্যবহার করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, সরকার ‘কার্বন ক্যাপচার টেকনোলজি’ চালু করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ফেজ আউট পরিকল্পনা থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব এখন এই প্রযুক্তি থেকে সরে আসছে। কারণ এই পদ্ধতিটি পরিবেশ বান্ধব নয়। কারণ এই ধরনের প্রযুক্তি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বন ক্যাপচার করতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন:বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌর ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির খরচ কমছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ বা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন সহজে বাস্তবায়নযোগ্য। কেননা অনেক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি দিন দিন সস্তা হচ্ছে। সরকারের উচিত অপ্রমাণিত প্রযুক্তির পরিবর্তে এই বিষয়ে প্রমাণিত প্রযুক্তির দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও লক্ষ্য করেছেন যে সরকার শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির উৎসাহিত করতে চায়, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যথাযথ মনোযোগ পায়না।
তিনি বলেন,‘প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দেয়া হয়নি, তবে এটিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
প্রায় ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: ৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
সচিব জানান, তদন্তকালে আসামি মতিউর রহমানের নামে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের নামে আট কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মতিউর রহমান ছয় কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমান দুই কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারার গত বছর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। পরে তদন্ত শেষে চলতি মাসে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো আগামী বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনার পক্ষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে মার্চে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।
‘দুই দেশের মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
এদিকে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ আজ (বৃহস্পতিবার) বলেছেন তার দেশ আগামী বছর পুনরায় ঢাকায় একটি কূটনৈতিক মিশন স্থাপনে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমরা (আর্জেন্টিনা) আমাদের দলের সমর্থনে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের উদযাপন, খুব কাছ থেকে দেখেছি।’
তিনি আরও জানান, পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আর্জেন্টিনা দলের জন্য ও ফাইনালে তাদের জয়ের পর বাংলাদেশের ব্যাপক ও আন্তরিক জনসমর্থন ও উদযাপনে; দেশটির জনগণ এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু