বাংলাদেশ
ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ মোতায়েন
আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে রবিবার পর্দা নামছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের। ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনার শেষ নেই।
এ অবস্থায় সমর্থকরা যেন কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়ায়, সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আ’লীগের নির্বাচনী অফিসে হামলা, যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
একইসঙ্গে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের অতিরিক্ত ১৪টি টিম কাজ করবে।
রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যেহেতু ফাইনালে ব্রাজিল নেই, তাই এখন আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি। তাই ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বসিত সমর্থকেরা খেলার আগে ও পরে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে, তাই জেলা শহরে সাতটিসহ মোট ১৪টি পুলিশের অতিরিক্ত দল মাঠে কাজ করবে।
পাশাপাশি নিয়মিত টহল দলও কাজ করবে।
তিনি জানান, জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচের আগেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যকার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটে।
এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য নিহত
জাবির মুক্তমঞ্চে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘নদীরক্স’-কনসার্টের উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়ে এ শিল্পকর্মটি উপহার দেয় তারা।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
প্রত্নতত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সৌমিক বাগচী বলেন, ‘আমরা আসলে এমন একটা নদী আঁকতে চেয়েছি, যে নদীটা সম্পূর্ণ দেখা যাবে। সেই তার উৎসমুখ থেকে তার মানুষের কাছে আসা পর্যন্ত-পুরো তার জীবন প্রবাহ। আমাদের আঁকা নদীটা দেখলে দেখবেন, মানুষের কাছাকাছি আসতে আসতে নীল জলের নদীটা কালো হয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ মানুষের সংস্পর্শে এসে সে তার জীবন হারাচ্ছে-যা আমাদের নদীমাতৃক বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবচিত্র।’
সৌমিক আরও জানান, এ চিত্রকর্মটি আঁকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, কনসার্টটিতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হয় বলে জানা গেছে। প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ কনসার্টে দেশের নদীগুলো বাঁচাতে জনসচেতনায় গান পরিবেশন করেন-দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ ব্যান্ড চিরকুট, অ্যাশেজ, বাংলা ফাইভ, এফ মাইনর ও স্মুচেস।
এ উদ্যোগে সমর্থন ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।
নদীরক্স কনসার্টের সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপি।
দেশের মৃতপ্রায় ও ক্ষতিগ্রস্ত নদীগুলো বাঁচাতে দেশব্যাপী জনসচেতনতামূলক ‘নদীরক্স’ কনসার্টের আয়োজন করছেন শারমিন সুলতানা সুমী।
তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভূতপূর্ব সাড়া পাবো তা ভাবতে পারিনি। এ আবেগ শুধু গানের জন্য ছিল না, ছিল নদীর জন্যও এটিই সবচেয়ে অভিভূত করেছে। মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে তাদের আঁকা নদীটা দেখলেই তা বোঝা যায়।’
শিক্ষার্থীদের মতে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নয়, দেশের আনাচে কানাচে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত কোন নদীগুলোর তীরে এ কনসার্ট আয়োজিত হলে আয়োজনটি আরও সফল হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার
জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘চিলাহাটি থেকে মঙ্গলা পর্যন্ত রেল পথে জুন মাসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলা পোর্ট থেকে ভারত-বাংলাদেশ এবং নেপাল-ভুটানসহ চারটি দেশই চিলাহাটি রেলপথটিকে ব্যবহার করতে পারবে তাদের মালামাল পরিবহন এবং যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে।
তারই লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে।
এছাড়া জুন মাসের মধ্যে এসব কাজ সমাপ্ত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
রবিবার দুপুরে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্টেশন ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি অবিভক্ত ভারতের পুরানা রেলপথ। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর এ যোগাযোগ ব্যবস্থাটি বন্ধ হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে দীর্ঘদিন এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধই ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন আলাদা রেল মন্ত্রণালয় করার মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে পুনরায় চালু করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। আমাদের সঙ্গে অবিভক্ত ভারতে যে আটটি রেল সংযোগ ছিল, পর্যায়ক্রমে সবগুলোর যোগাযোগ স্থাপন, রেলকে প্রত্যেকটি জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, আমাদের যে দুই ধরনের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটারগেজকে এককেন্দ্রীক করে ব্রডগেজে রূপান্তর করার কাজ হাতে নেন। এসবের অনেকগুলো প্রকল্প আমাদের চলমান আছে।
তারই অংশে দর্শনা, বেনাপোল, রহনপুর, বিরোল এবং পঞ্চম চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথও আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার মালামাল পরিবহনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রী পরিবহনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।
সে লক্ষে চিলাহাটি রেলস্টেশনটির আমূল পরিবর্তনের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। প্রথম পর্যায়ে অনেকগুলো কাজ হয়েছে, তাতে করে রেল যোগাযোগটা হয়েছে, এখন কাজ চলছে রেলস্টেশনের আইকনিক ভবনসহ অন্যান্য উন্নয়নের।
চিলাহাটি থেকে বর্তমানে ঢাকা চলাচল করছে রাত্রিকালীন একটি আন্তনগর ট্রেন। নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল দিবাকালীন ঢাকাগামী আরেকটি ট্রেন।
জুনের মধ্যে সে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, খুলনার দিক থেকে ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করানো সম্ভব হলে জুন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চিলাহাটি-ঢাকা আরেকটি নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় রেল সেতু ডবল লাইন ডুয়েল গেজ দিয়ে ২৪ সালের আগস্টের মধ্যে আমরা ট্রেন চালাতে পারেবো।
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রিবাহী কোচ আমদানির প্রক্রিয়ায় আছে।
ইতোমধ্যে ১৫টি কোচ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে, আশা করছি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিংহভাগ কোচ আমরা পেয়ে যাবো।
সেই সঙ্গে জুন মাসে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুরপাড় ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশটিতে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবো।
খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকা ট্রেন চলাচল শুরু হলে চাপ কমবে বঙ্গবন্ধুর সেতুর ওপর।
এসময়ে চিলাহাটি-ঢাকা আরেকটি নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী চিলাহাটি রেলস্টেশনের আইকনিক ভবন, লুপলাইন স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় জমির মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চিলাহাটি স্টেশনের অতিথিশালায়।
এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, চিলাহাটি-হলদীবাড়ি রেলপথ স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহীম ছাড়াও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলে।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি পদক পেলেন ৫ বিচারক
অধস্তন আদালতের বিচারকদের সততা, মেধা-যোগ্যতা ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগতভাবে পাঁচজন বিচারককে ও দলগতভাবে একটি জেলার আদালতকে ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক গ্রহণ করেন পদকপ্রাপ্তরা।
আরও পড়ুন: রামগড়ের ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
ব্যক্তিগতভাবে পদক পাওয়া পাঁচ ক্যাটাগরির বিচারকরা হলেন- জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা, অতিরিক্ত জেলা জজ ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইলের মুখ্য বিচারিক হাকিম সাউদ হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহকারি জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারি জজ মোসা. রেশমা খাতুন এবং সহকারি জজ ক্যাটাগরিতে রংপুরের সহকারী জজ মো. হাসিনুর রহমান মিলন।
এদিকে, দলগতভাবে পদক পেয়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ। এ জেলার পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন পদক গ্রহণ করেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধান বিচারপতি পদক চালুর ঘোষণা দেন।
সে অনুযায়ী এপ্রিলে আপিল বিভাগের একজন বিচারককে সভাপতি করে হাইকোর্ট বিভাগের আরও পাঁচ বিচারককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
কমিটি গঠন সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিনকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
সদস্য হিসাবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর এবং বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান।
এ কমিটি ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি পদকের জন্য ব্যক্তি বাছাইয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়। পরে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রবিবার পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
সিদ্ধিরগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় সৈয়দ মারুফ হোসেন (২৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার শিমরাইল এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম ঢালে সাজেদা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ মারুফ হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মীর বাড়ি কেরোয়া এলাকার সৈয়দ আমির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগামী লেনে দ্রুতগামী অজ্ঞাত এক গাড়ি মারুফের মোটরসাইকেলটিকে (যার নং নোয়াখালী-ল-১১-৫৯০৩) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু ঘটে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফ এম আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত গাড়ির চালক দ্রুত পালিয়ে গেছে। তাই এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এছাড়া জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
টেকসই উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সম্মিলিতভাবে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকারের এককভাবে সাফল্য অর্জন করা কঠিন, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও-এ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ নিরাপদ পানি, স্যনিটেশন ও হাইজিন, প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অভীষ্ট-৬ অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেকে এগিয়ে আসতে হবে৷
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
এছাড়া সরকারের এককভাবে সাফল্য অর্জন করা কঠিন, সামষ্টিকভাবে আমাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
তিনি বলেন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে৷ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন জাতীয় বাজেট স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে৷
এছাড়া আমাদের বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে তিনি জানান৷
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয়, পার্বত্য এবং খরাপ্রবণ এলাকার জন্য আমাদের ভিন্ন ভিন্নভাবে সমাধান করতে হবে৷
শহরের দরিদ্র ও ধনী শ্রেণির জন্য আলাদা পানির দর নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন৷
গুলশান-বনানী অভিজাত এলাকায় পানির দর বেশি এবং বস্তি এলাকায় পানির দর কম করার ব্যবস্থা করতে হবে৷
মন্ত্রী আরও বলেন, সেমিনার বা সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু একই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, এগুলোর মাধ্যমে সঠিক তথ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায়৷
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুমানা আক্তার৷
সেমিনারে বক্তারা এসডিজি অভীষ্ট-৬ অর্জনে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিনিয়োগের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন৷
সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন আমাদের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর পরিচালক রিসার্স ফেলো মাহফুজ কবির৷
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান৷
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশকে বলেছি কিছু লোক নিয়ে যান। সে কাজ স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফেরত যাবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের একার কাজ না। বিশ্ব মোড়লদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। আর এতে করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র একটা অভিশাপ। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগে নিয়েছেন দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্রসীমার হার তিন শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
‘৮ বছরে ৫১ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ কয়েক হাজার’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ২৮০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ‘সুযোগ, মর্যাদা, স্বাধীনতা ও উন্নত জীবন’ পাওয়ার আশায় নিজ দেশ ছেড়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ক্রমবর্ধমান বিপজ্জনক রুট ধরে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন এবং পাচারকারীদের নিষ্ঠুরতার কারণে তাদেরকে (অভিবাসীদের) ভয়াবহ মূল্য দিতে হয়।’
রবিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বার্তায় গুতেরেস এ কথা বলেন।
তবে এই অভিবাসীদের ৮০ শতাংশেরও বেশি যারা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেন, তাদেরকে ‘অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, গতিশীলতা ও মেধার’ শক্তিশালী চালক হিসেবে কৃতিত্ব দেন তিনি।
জাতিসংঘের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেছেন, গত আট বছরে অন্তত ৫১ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন এবং আরও কয়েক হাজার নিখোঁজ হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একজন মানুষ রয়েছেন; যিনি হয়ত কারও বোন, ভাই, মেয়ে, ছেলে, মা বা বাবা।’
তিনি ফের মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘অভিবাসীদের অধিকার, মানবাধিকার।’
গুতেরেস বলেন, তাদের অবশ্যই বৈষম্যহীনভাবে সম্মান করতে হবে।
'সাধ্যমতো সব কিছু করুন'
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসীদের ব্যাপারে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে: ঢাকা
মানবিক বাধ্যবাধকতা এবং নৈতিক ও আইনি বাধ্যবাধকতা হিসেবে গুতেরেস বিশ্বকে তাদের জীবনহানি রোধ করতে ‘সম্ভবপর সবকিছু করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
অভিবাসন সংকট নেই; সংহতির সংকট আছে
মহাসচিব তার বার্তার উপসংহারে বলেছেন, অভিবাসন সংকট নেই; সংহতির সংকট আছে। ‘আজ ও প্রতিদিন, আসুন আমাদের সাধারণ মানবতাকে রক্ষা করি এবং সকলের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত করি।’
মৌলিক অধিকার আদায় করুন
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রধান, গিলবার্ট এফ হাউংবো, বিশ্বের ১৬৯ মিলিয়ন অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া তার বার্তায় তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও ভালভাবে নিশ্চিত করতে হবে... তারা যাতে [অভিবাসীরা] তাদের মৌলিক মানব ও শ্রম অধিকারগুলো যাতে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়।’
গিলবার্ট আরও বলেন, নিজেদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে অক্ষম অভিবাসী শ্রমিকেরা ‘সমাজে তাদের অবদান দেখাতে অদৃশ্য, দুর্বল ও অবমূল্যায়িত’ হয়।
তিনি বলেন, জাতি, জাতীয়তা ও লিঙ্গভিত্তিক বিভিন্ন বৈষম্যের জন্য, তাদের অধিকার আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
ন্যায্য শ্রম অভিবাসন
এদিকে, আইএলও ন্যায্য শ্রম অভিবাসনকে বাস্তবে পরিণত করতে সরকার, নিয়োগকর্তা ও কর্মীদের সমর্থন করে।
আইএলও প্রধান আরও বলেন, সকল কর্মচারীদের মতো অভিবাসী শ্রমিকরাও শ্রমের মান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সুরক্ষার অধিকারী। তারা বৈষম্যহীনভাবে সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সমষ্টিগত দর কষাকষি, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ প্রাপ্য।
তাদের সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন ও স্বীকৃতিরও অধিকার থাকা উচিত।
এই অধিকারগুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য গিলবার্ট ন্যায্য নিয়োগের ওপর মূল জোর দেন। যা অভিবাসী কর্মীদের জন্য নেয়া নিয়োগ ফি বাদ দেয়া, মানব পাচার এবং জোরপূর্বক শ্রম নির্মূল করতে সাহায্য করতে পারে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) প্রধান আন্তোনিও ভিটোরিনো তার বার্তায় অভিবাসীদেরকে ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘অভিবাসনের রাজনীতিকরণ, শত্রুতা ও বিভেদমূলক আখ্যানের কারণে, আমরা নিজেদেরকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারি না।’
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা অনেক আগ থেকেই তা লক্ষ্য করে আসছি। সেটাকে নিরুৎসাহিত করতে আমরা একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা শিগগিরই একটা সমাধান বের করবেন। রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন এবং আমাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন, সেই ব্যবস্থা করবেন।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
আজ ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা’ সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন আসাদুজ্জামান খাঁন।
সভা শেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে আমাদের নেটওয়ার্কে ঢুকতে পারে, তার ব্যবস্থা করা নিয়েও বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও টহল রাস্তা নির্মাণ প্রায় শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুর্দিকে আমরা কাঁটাতারের বেষ্টনী, টহল রাস্তা ও ওয়াচটাওয়ার নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এরইমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ করে দিয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ৯৯ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চায়, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের এপিবিএনের কাছে পর্যায়ক্রমে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। শুধু নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো তৈরি বাকি রয়েছে। বাকি সব কাজ শেষ হয়েছে।’
তিনি জানান, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাদের দক্ষতা বাড়ানো, বিশেষ করে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে কিংবা তাদের জীবিকা অর্জনে যা যা করা দরকার, তা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন এনজিও, সরকার, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই কাজ করেছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজ আমরা যে রিপোর্ট দেখতে পেলাম, সে অনুসারে আমরা ৬৫ শতাংশ রোহিঙ্গাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি। এটা আরও ভালো জায়গায় অর্থাৎ আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাইরে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেখানে কিছু কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তা নজরদারিতে আনা হচ্ছে। আমাদের এপিবিএনও কাজ করছে।’
তিনি জানান, ভাসানচরে একটা দীর্ঘ দাবি ছিল যে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমাদের ভাসানচরে ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা কমিউনিটি গেছে। এনজিও, পুলিশও সেখানে গেছে। সেখানে একটি ভালো হাসপাতাল হওয়া দরকার। আজ বৈঠক তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
হাসপাতালটি যাতে আরও সমৃদ্ধ করা হয় ও শিগগিরই তা কার্যকারিতায় নিয়ে আসতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে কাজ করে খেতে পারে, সেজন্য সেখানে বিভিন্ন এনজিও সক্রিয় রয়েছে। তাদের আমরা আরও সহযোগিতা করবো। তারা (রোহিঙ্গারা) যাতে সেখানে কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারে, সে জন্য ছোটো ছোটো লেক করে দেয়া হয়েছে। সেখানে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক কাজ করছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ব্যবহারিকভাবে মৎস্য ও কৃষি উৎপাদনে দক্ষ করে তুলতে ব্র্যাক কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মাঝিদের (রোহিঙ্গা নেতা) কয়েকজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না-ঘটে, সে জন্য সেনাবাহিনী থেকে প্রশাসন সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসনে আমরা কাজ করছি। ক্যাম্পের পাশে থাকা বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দাসংস্থাকে ভালোভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হবে। যাতে অপরাধ হ্রাসের পাশাপাশি মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনা করেছি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বন্ধু দেশগুলোও কাজ করছে। আমাদের আশা, শিগগিরই এর সমাধান হবে।
যুক্তরাষ্ট্র কী পরিমাণ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে নিতে চায় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ভিসা দিয়েই বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের নিচ্ছে। বছর তিনেক আগে আমার সঙ্গে জাতিসংঘে নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি তখন রোহিঙ্গা নেয়ার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন। আজ জানতে পারলাম তিনি মাত্র সাতজন নিয়েছেন। আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ২৪। এটা সংখ্যায় খুবই কম। এ নিয়ে কথা বলে সবার মনোযোগ টানতে চাই না।
তবে আমেরিকা কতজন রোহিঙ্গা নেবে, কীভাবে নেবে; তা নিয়ে বাংলাদেশকে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে হুসেন আলী (৬৬) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নাচোল রেলওয়ে স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হুসেন আলী ওই উপজেলার গুঠাইল গ্রামের মৃত সাইফুদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
নচোল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম জানান, হুসেন আলী সকাল ১১টার দিকে নাচোল রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে রেললাইনে দাঁড়িয়ে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রহনপুরগামী কমিউটারট্রেনটি দ্রুত চলে এলে তিনি রেল লাইন থেকে সরবার আগেই ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তবে ঘটনাস্থল রেললাইন হওয়ায় এটি দেখার বিষয় রেলওয়ে পুলিশের।
এছাড়া জিআরপি পুলিশ জানায়, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু
ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লো রাজমিস্ত্রি