বাংলাদেশ
ভবনে রঙ করতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই রঙ মিস্ত্রির
ঢাকার দোহার উপজেলায় ভবনে রঙ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই রঙ মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকায় একটি ভবনে রঙয়ের কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির থানার মাঝিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও সানি খিস্টান পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাহারুল ইসলাম এ ঘটনায় সত্যাতা স্বীকার করেছে।
তিনি জানায়, বুধবার সকাল ৯ টায় জয়পাড়া এলাকায় মুসার বাড়িতে রঙ মিস্ত্রি মনির ও সানি রঙের কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুড়তর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানায়, বুধবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তারা মারা যায়।
এছাড়া এব্যাপার বিকালে দোহার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধার মৃত্যু, ভাসুর গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ছুরিকাঘাতে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাসুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে কামারখন্দ থানার ওসি নুরনবী প্রধান জানান।
নিহত পারভীন বেগম (৬৫) উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের চাঁদ আলী সরকারের স্ত্রী এবং গ্রেপ্তার তারা সরকার চাঁদ আলী সরকারের বড় ভাই।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ৫ ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক একটি ঘটনার মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার বৈঠক বসে। বৈঠকে উভয়পক্ষের সমঝোতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।
কিন্তু মীমাংসার পর স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) তাঁরা সরকার পারভীন বেগমের বুকে ছুরিকাঘাত করে এতে সে আহত হয়।
পরিবারের লোকজন তাকে আহতাবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি'র ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে সাজাপ্রাপ্ত ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে দেড় দশকে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারসহ অনেক কাজ করতে হয়েছে।
বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দাতে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে ওআইসি'র প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন আইন প্রণীত হলেও এর বাস্তবায়নে সরকারকে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সাধন ও নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিস্টেন্স আইন, সাক্ষ্য আইনের সংস্কার।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার: আইনমন্ত্রী
এছাড়াও দুর্নীতির বহুমাত্রিকতা থাকায় তা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আলাদাভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, যাতে করে দুদকের পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া দ্রুততর ও সহজতর হয়।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হওয়ায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে আঞ্চলিক ও আন্তজার্তিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।
তিনি পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ একজন প্রাক্তন সরকার প্রধানের সন্তানের পাচারকৃত অর্থ আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা দুর্নীতির জন্য নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করায়, তা সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়োজিত সংস্থার লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি এ প্রসঙ্গে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ডিজিটাইজেশনের ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার জন্য গৃহীত ও আইসি কনভেশনের আওতায় প্রশিক্ষণ, তথ্য বিনিময়, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ দুর্নীতি প্রতিরোধে উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে ইন্টারপোলের মহাসচিব জার্গেন স্টক, জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত অফিসের নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি, মিশরের প্রশাসন মন্ত্রী মেজর জেনারেল আমর আদেল ও এগমন্ত গ্রুপের সভাপতি জোলিসাইল খানাইল বক্তব্য দেন।
পরে আলোচকরা ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
আরও পড়ুন: যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে: আইনমন্ত্রী
২০২৩ সালের মাঝামাঝি শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে: আইনমন্ত্রী
বিমানবন্দর সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় মেহেরপুরের মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোররাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত তানভীর(৩২) সাজ্জাদ সৌরভ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাসিন্দা।
বিমান বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে তানভীর তার বন্ধুদের মোটরসাইকেলে করে মিরপুর-১০ থেকে উত্তরা যাচ্ছিলেন। বলাকা ভবনের কাছে গেলে ট্রাকটি দুই চাকার গাড়িতে ধাক্কা মারে। ‘
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহত ব্যক্তিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাত আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জুয়েল জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
ফটিকছড়িতে ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে যুবক নিহত
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের অভিযোগ
বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এমএফএস বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে। এছাড়া আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততার শিকল ভাঙ্গতে পারেনি, কিন্ত এমএফএস তা পেরেছে।
তিনি বলেন, এমএফএস সেবা দেশের জনগণ ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
এমএফএস যাতে জনগণ সঞ্চয় করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখার প্রয়োনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, এতে জনগণের অংশগ্রহণ অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
বুধবার ঢাকায় আইডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি শক্তিশালী করণে এমএফএসের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় কাগজের নোটের দিন শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিন ফুরিয়ে আসছে। সামনের পাঁচ বছরে বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনা কোথায় যাবে আমরা কেউ জানি না। দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব। তবে এই মুদ্রা কাগজের নোট ছাড়া অন্যকোন ভাবে লেনদেন হবে এটা গভীর বিবেচনায় নিতে হবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ভবিষ্যত গতিবিধি আয়ত্ত্ব করে আমাদের সামনে এগুতে হবে বলে উল্লেখ করেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিত্তির ওপর স্মার্ট প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালে স্মাট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে আমরা অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পৃথিবীর সমান্তরালে এসেছি।
এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পৃথিবীর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের বিকাশের বিপ্লবের সূচনা হয়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল থেকেই।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, দেশে টেলিকম সভ্যতার মহাসড়ক আমরা তৈরি করেছি। এই মহাসড়ক দিয়েই ডিজিটাল সভ্যতা এগিয়ে যাবে।
তিনি ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, আমরা ৫জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছি। আজ মোবাইলে যে ফিনান্সিয়াল সার্ভিস হচ্ছে পরবর্তীতে আইওটি ডিভাইস মোবাইলের স্থান দখল করতে পারে।
মন্ত্রী প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ভবিষ্যতের প্রযুক্তির গতিবিধি আয়ত্ত্ব করতে না পারলে গবেষণার ফলাফল কাজে আসবে না বলে উল্লেখ করেন।
সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইডিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর, বিকাশের সিইও কামাল কাদির, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাহুল হক, সাবেক নির্বাহী পরিচালক লীলা রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের লিড রিসার্চার হোসাইন এ সামাদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিজিটার প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ভবিষ্যত প্রযুক্তির ওপর লাগসই গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুককে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে শরণখোলা থানা পুলিশ তিনজনকে এবং মোংলা থানা পুলিশ বাকিদের উদ্ধার করেছে।
তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত কোনো দস্যুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে জেলেবহর থেকে ১১ জনকে অপহরণ করে দস্যুরা।
পরে একেকজন জেলের মুক্তির জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে তারা।
শরণখোলা থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা জেলেরা হলেন-হানিফ হাওলাদার (৪৮), সোহেল মল্লিক (২৮) এবং আসাদুল শেখ (৩২)।
মোংলা থানা পুলিশের উদ্ধার করা জেলেরা হলেন-মো. আকরাম হোসেন (৪২), আনিচ শেখ (২২), মো. মিলন শেখ (২৩), মো. রফিকুল ইসলাম খান (৩৫), শুকুর আলী বেপারি (৩০), মো. মনির বেপারী (৩৬), মো. অলি শিকদার (৪৮) ও মো. বকতিয়ার বেপারী (৩৫)।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধার এবং দস্যুদের ধরতে মঙ্গলবার সকালে শরণখোলা ও মোংলা থানা পুলিশ যৌথ ভাবে সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকের নেতৃত্বে ওই বিশেষ অভিযান সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় চলতে থাকে। পুলিশি অভিযান চলাকালে দস্যুদের কবল থেকে ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর থানায় রেখে জেলেদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম আরও জানান, সুন্দরবনে কয়েক দফায় দস্যুদের হাতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১১ জেলের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। দস্যুদের ধরতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
তবে কোন জেলে দস্যুদেরকে অর্থ দিয়েছে কি না সে বিষয়ে পুলিশের কিছু জানা নেই।
এদিকে জেলেদের সুত্র জানায়, দস্যুরা সুন্দরবনে জেলেদের অপহরণ করার পর তাদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করে। স্বজনদের প্রাণ বাঁচাতে তাদের মধ্যে কেউ কেউ দস্যুদেরকে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর থেকে ৪৪ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় আ. লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ৪ জন আহত
নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনের চার জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এসব হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন রিয়নকে (৪০) আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
আহত পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহম্মদ আশা (৩৫), সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান (৪৮) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বুলবুলকে (৪০) জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহম্মদ আশা অভিযোগ করে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সেলিমের নেতৃত্বে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এসব হামলা চালায়।
খবর পেয়ে বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।
তিনি দ্রুত অভিযুক্তদের আটক করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, বিচ্ছিন্নভাবে যারা এসব হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: খেলা দেখা নিয়ে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৭
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস সমান অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশে বসবাসকারী সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে আসছি। এখানে সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
রবিবার পালিত বড়দিন উপলক্ষে তিনি দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোনো এক ধর্মাবলম্বী মানুষের দেশ নয়, সব ধর্মের মানুষের দেশ। ‘আমরা সব ধর্মীয় বিশ্বাসের কল্যাণের জন্য কাজ করি।’
তিনি বলেন, তার সরকার যে কোনো সমস্যায় সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের দেশের সকল মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি হিজড়া সম্প্রদায় ও অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
ইসলাম ধর্মে হিজড়াদের অধিকারও নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধানে তাদের (হিজড়াদের) অধিকার সুরক্ষিত করেছি।’
তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডাররা চাকরি, সব ধরনের বা পরিচয়পত্রের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি তিনি দেখেন যে কোনো বিশেষ সম্প্রদায় পিছিয়ে আছে, তাহলে তিনি তাদের এগিয়ে নিয়ে আসবেন এবং তাদের জন্য শিক্ষা, চাকরি, জীবিকা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আমরা এটি নির্মাণ করতে চাই।’
মসজিদভিত্তিক শিক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হিন্দু মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়েও একই শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই আপনারা সবাই নিজ নিজ অধিকার নিয়ে এদেশে বসবাস করুন… বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং এর সুফল সব মানুষ ভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরার ৩ মহাসড়ক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বৈশ্বিক সংকটে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করুন: স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মাগুরার ৩ মহাসড়ক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
‘উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী ৫১টি জেলার ১০০টি মহাসড়কের ২০০০ কিলোমিটার মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব মহাসড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাগুরা জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ এর সার্বিক আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৫০ জেলায় ১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
এর মধ্যে মাগুরার তিনটি মহাসড়ক রয়েছে।
এ সড়কগুলো হলো-
১. মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চার লেন ১০.১৫ কিলোমিটার।
২. মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া-কালিগঞ্জ মহাসড়ক ১৪.৩৪ কিলোমিটার।
৩. মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া-শালিখা মহাসড়ক ১০.১৯৫ কিলোমিটার।
জেলার মোট ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ১৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাগুরা জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম আব্দুল ফাত্তাহ, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিফ উল হাসান, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম ও স্থানীয় নেতারা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা এবং সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করুন: স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ২০
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কেউ মারা যায়নি। এই সময়ে নতুন করে ২০ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৭ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ২০
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৪৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮১ জন।
এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ২৮ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০৮
ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১১৩