বাংলাদেশ
আরও ২৪ করোনা রোগী শনাক্ত, মৃত্যু নেই
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩০জনের। আর শনাক্তের সংখ্যা অদ্যাবধি ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৭জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৩৮
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৩জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৭জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১৮
করোনাভাইরাস: দেশে মৃত্যু নেই,শনাক্ত ১৯
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬৪৬জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৩০জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮৫
আক্রান্তদের মধ্যে ৩২০জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৩২৬জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৪৭৮জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৩৮৬জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ৯২জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫২ হাজার ৮০৭জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৪ হাজার ৭১জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩৬জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫০ হাজার ৯৯জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৪৮জন ঢাকার এবং বাকি ১৭ হাজার ৫৫১জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৫৯
ডেঙ্গু: ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫০
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এ বছর ২০৯৭ জনের প্রাণহানি
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৯.২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৯৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
রবিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত বছর প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৭৫৮ জন নিহত হয়েছে।
এটি বলেছে যে এই বছরের তুলনায় এই সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭৬৪ জন ছাত্র, যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং চার দশমিক ৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেলের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত পথচারী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা ফাউন্ডেশন এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ৩৭৪টি অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ৬২৯টি ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ৯৫৮টি দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল অন্য যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে এবং ৪২টি অন্যান্যভাবে ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনার মধ্যে ৮৩৭টির ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকরা ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
গ্রুপের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, আঞ্চলিক সড়কে ৮৭৯টি, জাতীয় সড়কে ৬৯৫টি এবং গ্রামের সড়কে ১০২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরএসএফ বিশ্লেষণ অনুসারে, দুর্ঘটনার ২৬ দশমিক ৮০ সকালে এবং ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ রাতে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬ বছরের কিশোর নিহত
কারণ
আরএসএফ যুবক, কিশোরদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের সহজলভ্যতা, শিথিল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নজরদারিতে অসঙ্গতি, সব যানের বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, মোটরসাইকেল চালকদের ট্রাফিক নিয়ম না মানার প্রবণতা, যুবকদের অতিরিক্তগতিতে গাড়ি চালানোর উৎসাহমূলক ভাষা বিজ্ঞাপনে ব্যবহারা করা। সড়ক ও মহাসড়কে ডিভাইডারের অভাব এবং বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সংস্কৃতি তৈরিতে রাজনৈতিক মদদই দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সুপারিশ
গ্রুপটি তাদের প্রতিবেদনে যুবকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে এবং দ্রুতগতির যানবাহনের বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
এতে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মোটরসাইকেল ও কম গতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কে সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন, গতি নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরএসএফ সুপারিশ করে যে রাস্তাগুলোতে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বন্ধ করতে গণপরিবহনের উন্নতি এবং আরও সহজলভ্য করে মোটরসাইকেল চালানোকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চবির শিক্ষক নিহত
বিইআরসি বাল্ক বিদ্যুতের শুল্কের রিভিউ আপিলের রায় দিবে সোমবার
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সোমবার বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) পুনর্বিবেচনার আপিলের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
রবিবার একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিন্তু ভোক্তা অধিকারকর্মীরা আর কোনো মূল্য বৃদ্ধির বিপক্ষে।
গত ১৩ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক কর্তৃক প্রস্তাব প্রত্যাখানের পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিপিডিবি ১৪ নভেম্বর বিইআরসিতে রিভিউ আপিল করে।
বিইআরসি থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবটি জমা দেয়ার আগে বিপিডিবি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিগত পর্যায় থেকে একটি অনুমোদন পেয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও রিভিউ আপিল করতে অনুমোদন দিয়েছেন।
বিইআরসি ১৩ অক্টোবর বিপিডিবির বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে সংক্ষুব্ধ পক্ষ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়ন্ত্রকের সিদ্ধান্ত পুনমূল্যায়নের জন্য আপিল প্রস্তাব জমা দিতে পারে।
তবে, বিইআরসি এই বিষয়ে আর কোনও গণশুনানি ছাড়াই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এএসএম শামসুল আলম কোনও গণশুনানি ছাড়াই বিইআরসির সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারী কাজ এবং বিইআরসি আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘লোডশেডিং এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অত্যধিক মূল্যে মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে, তখন বিইআরসির এই ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে’।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য সরকার প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। যা সংকট ব্যবস্থাপনার সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর আগে ১৩ অক্টোবর বিপিডিবির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্ত দেয়ার সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেছিলেন, বিপিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু লেনদেনের তথ্য জমা দেয়নি।
আরও পড়ুন: পাইকারি পর্যায়ে অপরিবর্তিত থাকবে বিদ্যুতের দাম: বিইআরসি
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথ্যের অস্পষ্টতা ছিল। এ কারণেই আমরা ভোক্তাদের ওপর বাল্ক শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্লেষণ করিনি।'
তিনি উল্লেখ করেন, বিইআরসি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় বর্তমান আর্থ-সামাজিক এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েছিল।
ফলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত পূর্ববর্তী শুল্ক অনুসারে বিদ্যুতের শুল্ক অপরিবর্তিত রয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপিডিবির বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর সর্বশেষ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ১৮ মে।
বিপিডিবি গণশুনানিতে বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় এবং বিইআরসির একটি প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন কমিটি ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল।
বিপিডিবি তার সর্বশেষ পর্যালোচনা আপিল প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে যে তার সরবরাহের প্রকৃত খরচ প্রতি ইউনিট আট দশমিক ১৬ টাকা পূর্বের গণনাকৃত ট্যারিফের পরিবর্তে প্রতি ইউনিট আট দশমিক ৯৬ টাকা।
প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে বিপিডিবি কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে সংস্থাটির বিদ্যুত বিতরণ সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করতে ৮৮ হাজার ৯৯৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টা (ইউনিট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ৭৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা রাজস্বের প্রয়োজন হবে।
অফিসিয়াল সূত্র জানিয়েছে, এখন বিতরণ কোম্পানিগুলো খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, বিতরণ সংস্থাগুলো খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির জন্য জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দিতে তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো এখন তাদের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছে...তারা বাল্ক শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব হিসাব করছে।’
বিপিডিবি কর্মকর্তারা আশা করছেন যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাল্ক শুল্ক বাড়াবে।
বিপিডিবি’র একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি বিবেচনা করে বিপিডিবি বিদ্যুতের খুচরা শুল্ক কমপক্ষে ১২ শতাংশ বাড়াতে চাইছে।
বিইআরসি একটি গণশুনানির পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল।
একটি ঘোষণার মাধ্যমে বিইআরসি ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হিসাবে খুচরা পর্যায়ে পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ এবং পাইকারি স্তরে আট দশমিক চার শতাংশ সামগ্রিকভাবে গড়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুচরা বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা) ছয় দশমিক ৭৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাত দশমিক ১৩ টাকা এবং বাল্ক পর্যায়ে চার দশমিক ৭৭ টাকা থেকে পাঁচ দশমিক ১৭ টাকা করা হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ছে না: বিইআরসি
আদালত থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার একটি আদালতের লক-আপ থেকে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়ার এআইজি মো. মনজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
আরও পড়ুন : আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
হারুন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাহধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হয় এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আনসার-আল-ইসলামের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন- মো. আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, মো. শেখ আবদুল্লাহ আলী জুয়াস আলী। জাভেদ, সৈয়দ জিয়াউল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত মেজর যিনি সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড়ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ নামে পরিচিত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাঈদ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, রবিবার দুপুরে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ধরতে সরকার দেশের সব প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ সর্বত্র তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সীমান্ত এলাকায় তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি যাতে তারা (দণ্ডপ্রাপ্তরা) দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হবে: সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘পুলিশের হাত থেকে জঙ্গিদের পলায়ন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: তুমব্রুতে ডিজিএফআই অফিসারকে মাদককারবারীদের গুলির সত্যতা প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাটোরে বিস্ফোরক আইনে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরের লালপুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পাশে পাঁচটি ককটেল ও দুইটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় ২৫ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।
লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হালদার ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী শরিফুল নেওয়াজ বাদী হয়ে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলামসহ দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মামলা সূত্র বলছে, শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবলীগ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালপুর সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বলেন, পরে তারা অফিসের পাশ থেকে পাঁচটি ককটেল ও দুটি বোমার মতো বস্তু উদ্ধার করে। পরে পুলিশ কার্যালয়টি সিলগালা করে দেয়।
এর আগে ১৫ নভেম্বর রাতে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সভা চলাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখনও কাউকে ধরা হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
সেনাবাহিনীতে চাকরির আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ, আটক ১
চাপাইনবাবগঞ্জে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৭ টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।আটক মুনিরুল ইসলাম (৫৭) লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মৃত এরফান আলীর ছেলে।
র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,একজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১২লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের দল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল শনিবার রাত ৭ টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় একটি ভুয়া নিয়োগপত্র,একটি চেক,তিনটি ভুয়া সিল ও একটি স্ট্যাম্প প্যাডসহ মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে সে।
এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আটকে থাকা লিফট থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, এনজিও পরিচালক আটক
বেনাপোল সীমান্তে ১৫ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ২
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায় এবং আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।’
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানের সীমান্তবর্তী হাটগুলো পুনরায় চালু হবে।
আসাম প্রতিনিধিদলকে সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় এবং তা প্রচার করে।
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন যে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পারস্পরিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বৈঠকে আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন যে বাংলাদেশে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েচে এবং আসাম বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হবে।
প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায় কারণ দেশটির এ খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
রবিবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এর মধ্যে চারটি শিল্প ইউনিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এবং আটটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন শুরু করেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) প্রশাসনিক ভবন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, ২০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভিএ গ্রিডলাইন এবং বিএসএমএসএন-এ সাবস্টেশন খোলা হয়েছে।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর এবং বিএসএমএসএন-এ প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিএসএমএসএন-এ যে চারটি শিল্প কারখানা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে সেগুলো হল ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশের ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ও টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সমুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে রয়েছে এবং অন্য ৬১টি নির্মাণাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগকারী সমিতির সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী