%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
এক দফা আন্দোলন: রাজধানীতে কালো পতাকা নিয়ে বিএনপির গণমিছিল শুরু
বিএনপির একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টন ও শ্যামলী এলাকায় কালো পতাকা হাতে পৃথক দুটি মিছিল করেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন বিকাল ৪টা ২০মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়াগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে এই নেতা বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তিরস্কার করেন।
তিনি বলেন, কিছু অশিক্ষিত লোক যারা দেশকে নয়, অর্থকে ভালোবাসে, তারা তাদের অপকর্ম ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে রাস্তায় নামলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায় এবং তাদের হত্যা করে। ‘আপনারা কেন এমন করেন? আপনারা কি বিদেশি?’
তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ইউটিলিটি সেবার দাম কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে, কিন্তু সরকার তা করতে পারছে না। কারণ তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আর ক্ষমতায় থাকলে মানুষের টিকে থাকা খুবই কঠিন হবে এবং দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশটি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমি তাদের বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আহ্বান জানাতে চাই, কোনো সরকার বা দলের সঙ্গে নয়।
আব্বাস বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে আগামী নির্বাচন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
এদিকে, বিকাল ৪টার দিকে নগরীর শ্যামলী রিং রোডে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খসরু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার শপথ নিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে তাদের অবস্থান থেকে কখনো পিছু হটেনি এবং তারা সব সময় বিজয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সিরাজগঞ্জ শাখার ২১ নেতাকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিন আহমেদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট: খুলনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতা বহিষ্কার
সাময়িক বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- সিরাজগঞ্জ ছাত্রলীগ পৌর শাখার সহ-সভাপতি শেখ জাকারিয়া রনি আনন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান তপু, সদস্য সায়েম হোসেন রেজা, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ রিমন ও আশরাফুল ইসলাম কুদ্দুস, শিক্ষাক্রম বিষয়ক সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত রুকুনি, সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক খায়রুল কবির খান, পূর্ণিমাগঞ্জি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফয়সাল আহমেদ ও সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, দুর্গানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি আহমেদ, শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সেক্রেটারি নাহিদ হাসান, পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাঁধন ইসলাম, রূপবাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক খালিদ হাসান, সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল-আমিন, সদস্য রাসেল হাসান রাসু ও নাইমুল ইসলাম নয়ন, নলকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মানিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির রহমান রুম্মান ও সদস্য আসলাম হোসেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ছাত্র সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: নওগাঁয় ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকে অব্যাহতি
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসংঘ: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচন দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে আজকের আলোচনা তা থেকে ভিন্ন। নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়।’
বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত এমপি উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির চাপে জাতিসংঘের কোনো মাথাব্যথা নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই, নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে দেশে-বিদেশে তত গ্রহণযোগ্য হবে।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা তাদের (বিএনপিকে নির্বাচনে যোগ দিতে) বাধ্য করতে পারি না।
তিনি বলেন, অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের আগের বৈঠকগুলো মূলত নির্বাচন সংক্রান্ত হলেও আজকের বৈঠকটি ছিল একটু ভিন্ন। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও এসডিজিতে করণীয়।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সকল বড় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ বিএনপির শর্তের বিষয়ে কোনো কথা তোলেনি, তবে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তাদের ভালো লাগবে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা নিয়ে গণমিছিল বের করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের এটি পঞ্চম কর্মসূচি।
শনিবার এক দফা দাবিতে সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট পৃথকভাবে কালো পতাকা নিয়ে গণমিছিল বের করবে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করবে মহানগর দক্ষিণ শাখা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গণমিছিলের উদ্বোধন করবেন এবং এটি শেষ হবে দয়াগঞ্জে।
মহানগর উত্তর শাখার মিছিলটি শ্যামলী রিং রোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ, এবি পার্টি, জনতার অধিকার পার্টি ও এনডিপি পৃথকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
এর আগে, ১৮ আগস্ট (শুক্রবার) বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
চলতি বছরের ১২ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
দলটির এই দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ মামলা প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
ব্যক্তিগত সচিব এম ইউনুস আলী ইউএনবিকে জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে মির্জা সাফারুহ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ঘাড়ের স্নায়ুতে ব্লকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ফখরুলকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এছাড়া বিএনপি নেতার স্ত্রীর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে বলেও জানান ইউনুস।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কবে ঢাকায় ফিরবেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ফখরুল, সেখানে তার ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকে প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে বলে মন্ত্রব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। রওশন এরশাদের দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদ আমাদের ভাবী, তিনি আমাদের বড় ভাইয়ের স্ত্রী। ছোটবেলা থেকেই আমরা আমাদের বড় ভাইকে বাবার মতো ভাবতাম, একইভাবে রওশন এরশাদকে আমরা ছোটবেলা থেকেই মাতৃতুল্য ভাবতাম।
‘আমি তার সঙ্গে কখনও বিরোধ করিনি এবং আমাদের এখনও কোন বিরোধ নেই। রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে। অনেক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, এবং আমার জানামতে, তিনি ইচ্ছা করে সেসব বিবৃতি দিচ্ছেন না।’
ভারত সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কিছু লোক জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যাতে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা প্রমাণ করতে চায় জাতীয় পার্টির শক্তি নেই, দলে ঐক্য নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা দল নিয়ে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি মনে করি যারা এটা করছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
পরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের বন্ধু নয়, তারা আমাদের দুর্বল করতে চায়।
এদিকে, তার ভারত সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। ‘আমরা বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জিএম কাদের
বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা না হলে তারা খুশি হবে। এ দেশে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে, তাই তারা এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা করছেন।’
বাংলাদেশের প্রধান দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ভারত এটাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে।
তিনি বলেন, ‘তবে তারা চায় আমরা সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান করি।’
আরও পড়ুন: নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন রওশন
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির ও পাগল হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছে। সেখান থেকে আন্দোলন আর সন্ত্রাসের জন্য নেতা-কর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। লন্ডনে নিরাপদে থেকে দেশে বিএনপির কর্মীদের ও এদেশের মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় সফল, রাজপথেও সফল: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার শাহবাগে শিশু পার্কের সামনে ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার ক্ষমতা কারো নেই। বিএনপির আন্দোলনের কোনো ভিত্তি নেই। তাদের আন্দোলনে কিছু কর্মী যোগ দিলেও, সাধারণ জনগণ এসব আন্দোলনের সঙ্গে নেই। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি যেসব অপকর্ম করেছিল, সেজন্য তারা এখনো জনবিচ্ছিন্ন।
কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সফল হতে পারবে না।
সারা বছর ফুল উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও যাতে রপ্তানি করা যায়, সেলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় নানান রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ফুল উৎপাদন খুবই সম্ভাবনাময়।
তিনি আরও বলেন, এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ বাড়ছে। সেজন্য ফুল চাষিদের স্বার্থ রক্ষায় কৃত্রিম বা সিনথেটিক ফুলের ব্যবহার কমাতে হবে। কৃত্রিম ফুল আমদানিতে অচিরেই উচ্চহারে শুল্কারোপ করা হবে। যাতে করে আমদানি না হয়।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্টের মতো এমন ভয়াবহ ঘটনাকে মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলেছেন, যেখানে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তারা এটি ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন জঘন্য, ঘৃণ্য, বীভৎস মিথ্যাচার একটি দলের মহাসচিব করতে পারেন, আমার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে তার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। আর পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, মির্জা ফখরুল সাহেব সোমবার এই ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন- ‘যে জায়গায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেখানে না করে তারা অন্য জায়গায় কেন করল।’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা ২১ আগস্টের কয়েকদিন আগেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ মুহূর্তে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে প্রমাণ হয় যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার সুবিধার্থেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, সেখানে গ্রেনেড ছোঁড়ার সুবিধা সেভাবে নেই। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশের বিল্ডিং থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া যায়। সে জন্যই সেখানে সমাবেশ করতে বলা হয়।’
তিনি বলেন, সমাবেশের সময় বিল্ডিংয়ের ওপরে সাদা পোশাকে বা পোশাকধারী পুলিশ থাকে। কিন্তু সেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কোনো পুলিশ পাহারায় ছিল না, পরিবর্তে সেখানে তৎকালীন বিএনপি সরকার, তারেক রহমান জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিল। এবং সেখান থেকেই গ্রেনেডগুলো ছোঁড়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাল কাদের
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকালে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময়কালে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভক্তি থাকলে আমাদের শত্রুরা সুবিধা নেবে।’
কাদের বলেন, এদেশের ইতিহাসে দু’টি নাম অমর: বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা।
‘১৯৭৫ সালে আমরা যে যুদ্ধ করেছি তা ছিল টিকে থাকার লড়াই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর শেখ হাসিনা এদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। তার নেতৃত্বেই সব উন্নয়ন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে বিএনপি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভুয়া ভোটার তৈরি করে, ভোট চুরি করে, সন্ত্রাস করে এবং ক্ষমতা দখল করে তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ কী শিক্ষা নেবে?
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কঠোর হাতে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যে হাতগুলো আগুন নিয়ে আসবে আমরা তাদের পুড়িয়ে দেব। ‘আমরা লাঠি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর হাত ভেঙে দেব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পশ্চিমা ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার নিরপরাধ মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা কয়েকদিন আগে দেখেছেন যে গভীন জঙ্গল উল্লেখ করা একটি এলাকা থেকে কিছু সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে আসা হয়।’
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধ আছে তা দেখানোর জন্যই সরকার এটা করেছে। আর জঙ্গিদের দমন করতে শুধু তাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ জঙ্গি, তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ধ্বংস করছে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তকমা চাপিয়ে দিয়ে তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ… এটা কোন পাপ বা অপরাধ নয়। সরকার ধর্ম পালনকারীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।’
জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এবং সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন নির্ভর করছে আমরা ফ্যাসিবাদকে সরাতে পারি কি না তার ওপর।
তিনি বলেন, এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে জনগণ বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে ও জেগে উঠছে এবং এক বছরে ২২ জন মানুষ সড়কে জীবন উৎসর্গ করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে অবশ্যই ফ্যাসিবাদীদের দমন করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার একটি বাসা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ নেতাকে তুলে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর ৩টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মনে হয় ২০/২৫ বছর ধরে ওই অস্ত্রগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে ছিল এবং সেখান থেকে সেদিন আনা হয়েছিল। এই মিথ্যা প্রচারণা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। তারা মনে করে সব দেশের মানুষ বোকা, কিন্তু সবাই বোঝে যে তারা (সরকার) এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের পরিবারকে খুনি বলে অভিহিত করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল এখন কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরোধী নির্মূল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক: ফখরুল