%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ব্যতিক্রমী একটি প্রতিযোগিতা। বিদেশি সাতটি ভাষায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থান করা হয়েছে। এই ভাষণ উৎসবের বিজয়ীদের পুরস্কার ও বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের।
প্রতিযোগিতার বিদেশি ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, স্পানিশ, ফরাসি, জাপানিজ, চাইনিজ,হিন্দি ও আরবি।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে সমবেত হন।
৭ মার্চ এর ভাষণ ৭টি বিদেশি ভাষায় উপস্থাপনকারী শিশুদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের শিশুরা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে গেলেন; আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি আজকে চলে যাবো। কিন্তু, এ স্মৃতি কোনোদিন ভুলব না। আমি ১৪ মাস ফরিদপুর কারাগারে জেল খেটেছিলাম; আর এখান থেকেই আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলাম।’
কাদের বলেন, ‘তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস, তবে দুর্নীতিকে ঘৃণা করো। তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস তবে সন্ত্রাসীকে ঘৃণা করো। তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস তবে খাদ্যে ভেজাল দেয়াকে ঘৃণা করো, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদকে ঘৃণা করো।
জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই উৎসবে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন,ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
বিনা পরোয়ানায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে ডিএমপিকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি
বিনা পরোয়ানায় দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের মিন্টু রোডের কার্যালয়ে বৈঠকে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ অনুরোধ জানায়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, বিনা পরোয়ানায় রাজধানীতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন,‘আমরা দেখেছি ২০১৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং মিথ্যা ও ভুতুড়ে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি কোনো পরোয়ানা ছাড়াই এ ধরনের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, রাজধানীতে তাদের দলের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ‘এমনকি আমাদের নেতাকর্মীদের হোটেল-ক্লাবের সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা তাদের বলেছি, আওয়ামী লীগের নির্দেশে আমাদের নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেপ্তার না করতে এবং মিথ্যা মামলায় না জড়াতে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
আমান বলেন, রমজান মাসে তারা রাজধানীর প্রতিটি থানায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন এবং কোনো বাধা ছাড়াই এসব কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালনে ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে তাদের গৃহীত কর্মসূচি নিয়ে ডিএমপি কর্তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
আমান বলেন, ডিএমপি কমিশনার তাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন এবং তাদের অনুরোধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমান বলেন, ডিএমপি প্রধান তাদের বলেছেন, ভবিষ্যতে যাতে বিনা পরোয়ানায় কেউ গ্রেপ্তার না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তর মহানগর শাখার সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি উঠে এসেছে: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি উঠে এসেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২২ বাংলাদেশে ভয়াবহ গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি চিত্রিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনটি পড়ে আমি লজ্জিত হয়েছি কারণ এতে দেখানো হয়েছে যে এখানে (বাংলাদেশ) গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
এক আলোচনা সভার বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিবেদনে কীভাবে মানুষ ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে। ‘কীভাবে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকরা কীভাবে সত্য প্রকাশের অধিকার হারিয়েছে, সে বিষয়েও প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে… দেশের এমন ভয়াবহ চিত্র প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এর আগে সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার চর্চা-২০২২ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে গত সাধারণ নির্বাচন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বলপূর্বক গুম, এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অভাব, শ্রম অধিকার এবং সমাবেশ করার স্বাধীনতা।
তবে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে কিছু মৌলিক ত্রুটি রয়েছে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন বলছেন, বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও দেশটি নিজের দিকে তাকায় না। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করছে যেভাবে তারা নিজেদের দিকে তাকায়।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে কাজ করছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দমনমূলক ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
বিএনপি নেতা বলেন, সারাদেশ এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী ‘মিথ্যা’ মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। কারণ এটি যদি চাইতো, তারা আদালতে গিয়ে বড়বড় আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়তো। তারা কিন্তু মামলা লড়ে না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে ফখরুলের ভূমিকা শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিশেষ শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে উনাকে যদি বিদেশ নেয়া না হয় উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাচ্ছিল বেগম খালেদা জিয়া মারা যাক। উনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আর মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয় নাই- মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করেন, আর বলেন দেশে কিছু হয় নাই। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলেন দেশে কিছু হয় নাই।'
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি'র সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজ রাষ্ট্রে মানবাধিকার নাই, ভোটাধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য সংবিধানকে দলীয় দলিলে পরিণত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হওয়ার পর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তখন নতুন সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরে বিএনপি কোন নীতিতে দেশ পরিচালনা করবে, এ বিষয়কে সামনে রেখেই দীর্ঘ গবেষণার পর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ থাকবে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর একটি হোটেলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- শীর্ষক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন করলে নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। এই পদ্ধতিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে না। তাই জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া অপরিহার্য। কিন্তু সংবিধান থেকে এটিকে বাদ দেয়া হয়েছে। জনবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে আছে তা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এটিকে সরকার বলা যায় না। সরকার হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছে। এছাড়া ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়েছে। বিএনপি তার পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। কারণ বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা চায় না, বিএনপি শান্তি চায়।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগে কি হচ্ছে, তা সবাই দেখছেন। যেখানে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেখানে সুবিচার পাওয়ার স্বপ্নও দেখা যায় না। আমরা বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার জন্য একটি জুডিশিয়ারি কমিশন গঠনের কথা বলেছি। তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করবে, অন্যায় ভাবে দেশ চালাবে। এর নামই আওয়ামী লীগ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির।
জেলা বিএনপির সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহেদ আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বহিষ্কার
দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রবীণ এই সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকতকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শওকতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে একই ধরনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া শওকত আবারও আলোচিত হন, যখন তিনি বৃহস্পতিবার লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কিছু নাগরিক এবং বিরোধী দলের কিছু নেতার সম্মানে তারা নৈশভোজের আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
গত বছরের এপ্রিলে একই ধরনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া শওকত আবারও আলোচিত হন, বৃহস্পতিবার যখন তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস বা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কিছু নাগরিক এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন দলের কিছু নেতার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
১০ বছর আগে চালু হওয়া প্ল্যাটফর্মের সদস্য সচিব শওকত এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য উপস্থাপন করেন এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে কথা বলেন।
তবে, বৈঠকে বিএনপির কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না এবং দলটি এমন একটি প্ল্যাটফর্মের হঠাৎ পুনরুজ্জীবনের পিছনে একটি অশুভ উদ্দেশ্যের কথা সন্দেহ করছে।
সোমবার তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমকে সন্দেহজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শওকত ও মজহার এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন যখন তাদের দল এবং আরও ৫০ জনেরও বেশি নেতা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য যুগপৎ আন্দোলন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই সন্দেহজনক সংগঠনের আকস্মিক পুনরুজ্জীবনের পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও শওকত এমন একটি সন্দেহজনক সংগঠনের সদস্য সচিব হওয়ায় তারা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ওই বিএনপি নেতা জানান।
তিনি বলেন, শওকত দলীয় অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে জড়িত থাকায় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে এ বিষয়ে আগেও সতর্ক করা হয়েছে।
দলের সম্মতি ছাড়াই রাজধানীতে সমাবেশ করে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল শওকতকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।
তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দিলেও দলটি তখন তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের
এবার নির্বাচন নিয়ে সরকারি কোনো চক্রান্ত কাজ করবে না: ফখরুল
আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা সামান্য বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি, এটাই চূড়ান্ত। বরং সেই পরিকল্পিত প্রহসনের নির্বাচন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। দলীয় ফায়দা হাসিলে মত্ত হয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে লুট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে একদলীয় বাকশালী শোষণ চালাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ স্বৈরশাসকের জুলুমের ফলে বাক স্বাধীনতা হারিয়ে মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার স্বেচ্ছাচারিতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তার খেসারত স্বরূপ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশবাসীকে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। এই নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশ ও জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই নির্বাচনী ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে।
তিনি বলেন, এ কারণে বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তাদের এ ভীতি অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীকালে উপ-নির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনসহ মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটিও জানে, সে কারণেই তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পর ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। এর বাইরে আর কোনোকিছু নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। দেশে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।
এর আগে সেমিনারের বিষয়বস্তু সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ড. হাছান বলেন, একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে হত্যা ও নির্যাতনের সময় তাদের দলের নেতাকর্মীদের মানুষ মনে করেন না বলে সুশীল সমাজের সদস্যরা চুপ থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে একটি কথা বলতে চাই যে আমরা ব্যাপক অবিচার ও দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছি এবং গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু আমাদের লোকেরা যারা গণতন্ত্র, ভালো সমাজ, উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের দেশের কথা বলে, তারা আমাদের নেতাকর্মীদের মানুষ মনে করে না।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা শিগগিরই জয়ী হব: ফখরুল
এছাড়া যে কোনো ঘটনা ঘটলেই পুলিশ বিএনপির পরিচিত ১০০ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরও এক হাজারের বেশির বিরুদ্ধে মামলা করে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ ‘মিথ্যা’ মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। ‘এটা কি ভাবা যায়? কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে একটি গণতান্ত্রিক দলের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীকে কি ৩৫ লাখ মামলায় ফাঁসানো যায়? এটাকে কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায়? আমাদের একমাত্র অপরাধ আমরা জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছি।’ শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে তারা কতটা অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে?
তিনি বলেন, সুশীল সমাজের সদস্যরা এ ধরনের দমন-পীড়নের বিষয়ে নীরব থাকেন। কারণ, তারা মনে করেন নিহতরা বিএনপির এবং তারা মানুষ ও দেশের নাগরিক নয়।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জিয়া পরিষদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ তার ৫২ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। কারণ, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ‘তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে, সর্বত্র মানুষকে এত প্রতারিত করছে, যা কল্পনাও করা যায় না।’
তিনি বলেন, সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদের চিহ্নিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘মানুষ আগে কাকে চিহ্নিত করবে? জনগণ ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে যে তারা (আ.লীগ) প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, ধ্বংসও করছে। সংসদসহ এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেনি।
তিনি বলেন, সরকার দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস ঘরে থাকতে পারছে না।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জীবন দিয়েছে। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের ধারণা নয়, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত মিলে ধারণা নিয়ে এসেছিল’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, আবার জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া পুনরুদ্ধার করেছে। ‘এটাই সত্য এবং এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: এবার নির্বাচন নিয়ে সরকারি কোনো চক্রান্ত কাজ করবে না: ফখরুল
খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রোজার মাসে খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ কখনই খাদ্য মজুদ করতে না পারে এবং এসব জিনিসের কালোবাজারি করতে না পারে।’
রবিবার রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা/কেজি দরে ভর্তুকি দিয়ে চাল দেয় এবং আরও ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা/কেজি দরে চাল দেয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনে সরকার আরও ৫০ লাখ মানুষকে (১৫ টাকা/কেজিতে) চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, চালের পাশাপাশি সরকার দরিদ্রদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রমজানে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলাসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও অধ্যাপক ডা. মেরিনা জাহান কবিতা, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী