%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপিংয়ের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপ করা অনৈতিক এবং বেআইনি। এটা দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।’
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জিএম কাদের বলেন, দেশে একটি গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে জেনেছি যে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীদের স্মার্টফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো- রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিশেষ করে যারা সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জড়িত তাদের মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন মেসেঞ্জার অ্যাপ অনুমতি ছাড়াই রেকর্ড করা হচ্ছে।’
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- এসব কাজের যুক্তি ও উদ্দেশ্য কী হতে পারে?
এখানে তাদের একটি যু্ক্তি হলো- সরকারের সমালোচনাকে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা মনে করে। তাই বলে কি সরকার ও রাষ্ট্র একীভূত হয়েছে?
তিনি বলেন, আরেকটি উদ্দেশ্য (ট্যাপিং) হতে পারে যে সরকার সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিরোধীদের এ ধরনের হয়রানি, বিরোধীদের নজরদারি ও হয়রানি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা। কথা বলার অধিকার প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহ হতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য। আমরা তাদের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলি। আমরা জনগণের পক্ষে সমালোচনা করে সরকারের ভুল তুলে ধরছি। এটা কখনই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়।’
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক বৈঠকে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষকে বিভক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার স্বাধীনতার আগে আমাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই বৈষম্য এখনও অব্যাহত আছে। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী।’
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে জোটকে বন্ধুত্ব মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জোট দাসত্ব নয়। জনগণের স্বার্থ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা কখনোই সত্য ও ন্যায়ের পথে হাল ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আরও দুটি পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট আবারও পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিট ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ইউনিট ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় শ্যামলী খেলার মাঠ থেকে বসিলা সাত রাস্তা মোড় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
এর আগে গত ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীরা ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
পরে ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে আরেকটি পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: ১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১২টি হিন্দু মন্দিরে ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি শুধু আপত্তিকরই নয়, রহস্যজনক, পূর্বপরিকল্পিত এবং লজ্জাজনকও বটে। এর নিন্দা করার উপযুক্ত শব্দ নেই।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা নরকের পোকা।
তিনি বলেন, ‘বালিডাঙ্গীর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরকারী অপরাধীদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২টি হিন্দু মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাতনামারা।
ফখরুল বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির পরিপন্থী এই নৃশংস ঘটনার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারের মন্দির ও প্রতিমা বেশি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সাধারণত রাতে এই এলাকায় টহল দেয়। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিও রহস্যজনক। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে যে দুর্বৃত্তরা তাদের (পুলিশের) অবহেলার কারণেই এত বড় মন্দির ও প্রতিমা সহজেই ভাঙচুর করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সরকার তার দায় এড়াতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, দেশে চলমান দুঃশাসন একটি অস্বাভাবিক ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে প্রকৃত অপরাধীরা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অপরাধ করে পালিয়ে যায়।
ফখরুল বলেন, ‘ফলে, অপরাধীরা দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন অপরাধ করে চলেছে। দেশ এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ায় মানুষ এখন এখানে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীন।
দেশে অনিরাপদ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে হয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, অতীতেও মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, কিন্তু সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে দোষীদের বিচার করতে পারেনি।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং তাদের জমি-জমা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের আগের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গীতে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ, তার পরিবারের সদস্যরা এবং তার অনুগত লোকজন শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিই দখল করেনি, হামলা ও ভয়ভীতিও দেখিয়েছে। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
ফখরুল অবিলম্বে সরকারি খরচে ভাঙচুর করা মন্দিরের পুনর্নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত। আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করব এবং সরকার চাইলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেব।’
সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংসদের বিরোধী দলীয় উপ নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আবার সাধারণ মানুষ বিএনপিকেও পছন্দ করে না। এমতাবস্থায় দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া তৃতীয় শক্তি দেখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জিএম কাদের বলেন, তাদের দল দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, টেন্ডারবাজি, রাজনীতিকরণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করার রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আদালতের সব নির্দেশনা মেনে চলি।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দলীয় দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার হওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও দেশের সাধারণ মানুষ খুশি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দাবি করছে তা কোন দিনই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ এটা বাস্তবসম্মত না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, তারা নাকি ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন করবে না। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোন দিন আসবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন যে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের জন্য কিছু করে। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পায়।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর্ন্তজাতিক বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি। আমরা আশা করি ২০৪০ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।
তোফায়েল আহমেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আজকে বাংলাদেশে যে উন্নতি হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, ভোলায় অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হয়েছে এবং ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। ভোলাকে শিল্প নগরীতে পরিণত করা হবে।
এ সময় জেলা আওয়াম লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমদাদ হোসেন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তাদের দল দেশে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সমাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ‘
রবিবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলেই দেশের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করে দেশ পরিচালনা করতে পারবে। তারা যদি আবারও জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে তবে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি পরিবর্তন করতে পারে।
সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি দেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘বৈষম্য দূর করা উচিত। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই বৈষম্য স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী।’
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
জাতীয় পার্টি প্রধান আরও বলেন, ‘দেশে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। একদল লোক টাকার অভাবে তিনবেলা খেতে পারছে না এবং তাদের সন্তানদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছে না। আবার আরেক দল হাজার হাজার কোটি টাকা কামাচ্ছে এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের জনগণ মারাত্মক অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পণ্যের দাম বাড়ছে। আবারও ডলারের সংকটের কারণে এলসি খোলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।
দেশে চাহিদার তুলনায় কম পণ্য আমদানি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হঠাৎ করেই বাড়ছে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির সংকটে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন দিন বেকারত্ব বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, অন্যদিকে মানুষের আয় বাড়ছে না। তাই দেশের মানুষের মধ্যে হাহাকার বিরাজ করছে। মনে হয় সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝার কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: হাইকোর্ট
যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গেছে: হিরো আলম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করেছেন আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। একই সঙ্গে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে ভোট পুনঃগণনার আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
রবিবার দুপুর ১টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন জমা দেয়ার পর দাবির কথা সাংবাদিকদের জানান তিনি।
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বলেন, 'আমার নির্বাচনী ফলাফল তারা (নির্বাচন কমিশন) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেনি। সবগুলো ভোট কেন্দ্রের ফলাফল আমি জোগাড় করেছি। কিছু কেন্দ্রে আমিসহ প্রায় সব প্রার্থী অস্বাভাবিক ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্রগুলো উল্লেখ করে আমি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে ভোট পুনঃগণনার আবেদন জমা দিয়েছি। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তবে কবে আবারও ভোট পুনঃগণনা করবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি। যদি তারা সাড়া না দেন তাহলে আমি আদালতে যাবো।'
আরও পড়ুন: আমার মতো পাগলকে একবার ভোট দিয়ে দেখেন: হিরো আলম
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপি আমার পক্ষে কাজ করলে ভোটের দিন তারা মাঠেই থাকতো। বিএনপির কোন লোক আমার সঙ্গে ছিল না। এসব কিছু লোকের বানানো কথা। শুধু বিএনপির মির্জা ফখরুল স্যার নয় সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশ আমার পক্ষে কথা বলেছেন।
হিরো আলম আরও বলেন, ‘সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্যার বলেছেন, হিরো আলম জিরো হয়ে গেছে। তবে হিরো আলম কখনও জিরো হয় না। যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: হেরে গেলেন হিরো আলম
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেতুমন্ত্রী আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। তবে একজন মন্ত্রী দেশের নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন, আসুন খেলা হবে। আমি ওবায়দুল স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সঙ্গে করতে হবে না। আমি হিরো আলমের সঙ্গে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কিনা।
খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পায়না। আমার সঙ্গে একটু প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন। উনি কেন আমাকে ছোট করে কথা বলে। উনাকে বলবো বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) থেকে ভোট করুন, আমাকে যে আসন থেকে পরাজিত করে দেয়া হয়েছে।
হিরো আলম আরও বলেন, আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে: হিরো আলম
১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবিতে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, এই সরকারের পদত্যাগ, একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিসহ আমাদের ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট যারা যুগপৎ আন্দোলনে আছে তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাইফুল।
ঢাকায় তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ সকাল ১০টায় মিরপুর-১২ থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন হয়ে মতিঝিল অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করবে।
একই সঙ্গে সারাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের জোট একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান সাইফুল।
তিনি বলেন, জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে এবং সরকার উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবে না।
যুগপৎ আন্দোলনের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশ শেষে জোটের নেতাকর্মীরা কাকরাইল অভিমুখে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
এদিকে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গণতন্ত্র মঞ্চের মতো ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্য সব বিভাগেও সমাবেশ করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী নতুন প্লাটফর্ম 'সমমনা গণতান্ত্রিক জোট' এর আত্মপ্রকাশ