%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ঢাকা সফরে ডোনাল্ড লুর বক্তব্য নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বলেছেন, গত সপ্তাহে ঢাকা সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু যে বিবৃতি দিয়েছেন তা নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লু’র সফর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে বলে জনগণের সামনে জোর করে বার্তা দেয়ার জন্য এই সরকার গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে।
সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়- এমন ধারণা তারা (সরকার) মিডিয়া ব্যবহার করে জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, যোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু এ বিষয়ে গতকাল (১৭ জানুয়ারী) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বক্তব্যই বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট। দূতাবাসের ওই বিবৃতিতে তা পরিষ্কার করা হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই এই মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ করেছে,’ ফখরুল বলেন।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
লু’র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে কখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এখানে সর্বদা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে জনগণের ক্ষমতায়।
‘এবারও আপনি লক্ষ্য করেছেন যে জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হচ্ছে, জনগণ সব বাধা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছে।’
‘সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা রাশিয়া বা ভারত যাই বলুক না কেন, অবশ্যই একটি ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি রয়েছে। তবে আমরা যা লক্ষ্য করেছি তা হল এই সফরে গণতন্ত্রের প্রতি মার্কিন অঙ্গীকার অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত হয়েছে।’
সুষ্ঠু নির্বাচন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছেন।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে লু কিছু বলেননি। মন্ত্রীরা কীভাবে বলতে পারেন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা সরকারের ওপর চাপানো উচিত। এই সমস্ত বিষয়গুলি সরকারের নির্দেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ... এটি যুক্তরাষ্ট্র চাপিয়ে দেয় কি না তা কোন বিষয় নয়। জনগণ এখন সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।’
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের কোনো কর্মসূচি আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমাদের সঙ্গে তার কোনো কর্মসূচি ছিল না। এবার অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেননি।
আরও পড়ুন: সরকারের দমনমূলক কৌশল বন্ধের দাবি বিএনপির
বিনিময়ের জন্য জনগণের কাজ করে না আ.লীগ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করার বিনিময়ে কী পায় তা কখনই বিবেচনা করে না।
চট্টগ্রামে নবনির্মিত বাশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বরং আমরা তাদের কল্যাণে আমরা কী করতে পারি তা বিবেচনা করি।’
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে কারণ ‘আমরা সবসময় চিন্তা করি আমরা জনগণের জন্য কী করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয় তার দলের নীতি ও আদর্শ তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে।
তিনি আওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, তার সরকার দারিদ্র্য কমাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং গত ১৪ বছরে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহ সেবা নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা তার দলকে ভোট দিয়েছেন। আমরা জনগণের জন্য সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
সরকারের দমনমূলক কৌশল বন্ধের দাবি বিএনপির
সরকার বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখন ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছে। আমাদের কর্মসূচিতে যোগদানকারী আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সাধারণ মানুষ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন বা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সোমবার তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে এবং বিদ্যুতের শুল্ক ও মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালন করার সময় পুলিশ প্রশাসন হামলা, নির্যাতন চালিয়েছে ও বাধা দিয়েছে।
এছাড়া অধিকাংশ বিভাগীয় শহর ও উপজেলা সদরে কর্মসূচি পালন না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
বিএনপির পক্ষ থেকে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি পালন করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর, সীতাকুণ্ড, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, মুক্তাগাছা, ঢাকার ধামরাই, নরসিংদীর পলাশ, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, কুলিয়ারচর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মাদারীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করে।
প্রিন্স বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ‘আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি সরকারের প্রতি দমন-পীড়ন বন্ধ করে রাজনীতির স্বাভাবিক পথ খোলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সকল মহানগর ও জেলা সদরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল শাসন চালু হয় এবং গণতন্ত্র ধ্বংস হয়। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি জানাতে আগামী ২৫ জানুয়ারি বিএনপি সব শহর ও জেলায় দেশব্যাপী সমাবেশ করবে।’
এর আগে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে এবং সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনার প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করেন।
সকল মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভা সদরে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
গত ১১ জানুয়ারি বিএনপি দেশব্যাপী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) পৃথকভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে এবং ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ দেশের ৯টি বিভাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আইনজীবী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ উপনির্বাচনে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্য চার প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্রভাবে জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু আসিফ।
উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে মো মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদসহ দলের অভ্যন্তরীণ সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাত্তার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের সাতজন বিএনপি সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন, সরকার টিকে থাকার জন্য যতই দমন-পীড়ন করুক না কেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন একটি বর্বর ও দানবীয় শক্তি আমাদের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে... আমাদের প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, ছয় হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।’
শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত কয়েকজন বিএনপি নেতার পরিবারকে সহায়তা প্রদানের জন্য এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ব্যাপকভাবে মামলা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও তাদের দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখতে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত এবং নৈতিকভাবে শক্তিশালী রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেকোনো ধরনের দমন-পীড়নকে উপেক্ষা করে আমরা এই ভয়ঙ্কর দানবকে (সরকারকে) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করব। আমরা এখানে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। আমরা যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি তাতে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’
ফখরুল নিহত বিএনপি নেতাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, তাদের দল সব সময় তাদের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা একটি আদর্শের জন্য এবং একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এটি করেছেন: ‘সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো আমাদের দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করা এবং বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি দাবি করেন, গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে চলতি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বা আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডারদের’ নির্যাতনে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুন নতুবা রাজপথে নামবে জনগণ: সরকারকে বিএনপি
ফখরুল ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ‘তারা (নিহত বিরোধী নেতাকর্মীরা) শহীদ হয়েছেন কিন্তু বীরের মতো। পালানোর সময় তাদের কেউ মারা যায়নি, কারণ তারা সামনে দাঁড়িয়ে বুলেট নেয়ার জন্য বুক পেতে দিয়েছিল। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তাদের আত্মত্যাগ এদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চলমান গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে প্রাণ হারানো বাগেরহাটের নুর আলম তনু, ঢাকার মকবুল হোসেন এবং পঞ্চগড়ের আবদুর রশিদ আরেফিনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কলে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে 'জনবিরোধী' বলে অভিহিত করেছেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার অনির্বাচিত হওয়ায় জনগণের চরম দুর্ভোগের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি বুদ্ধিহীন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
মাসিক মূল্য সমন্বয়ের নামে সরকার ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‘এটি মানুষের সঙ্গে একটি খুচরা কৌশল মাত্র।’
ফখরুল বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১৬ জানুয়ারি সকল মহনগরী ও উপজেলায় সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া বিদ্যুতের খুচরা মূল্য পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবার খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
ফখরুল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুতের দাম এমন সময়ে বাড়ানো হলো- যখন চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব পণ্যের দাম চরমভাবে বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছে। ‘সুতরাং, বিদ্যুৎ বৃদ্ধির পদক্ষেপ মানুষের দুর্ভোগকে আরও তীব্র করবে।’
তিনি আরও বলেন, খুচরা এবং এর আগে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নতুন করে বৃদ্ধির ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় এবং সেচ ও কল-কারখানার উৎপাদন খরচসহ সবকিছুর দাম বাড়বে।
বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের খেসারত জনগণই দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুন নতুবা রাজপথে নামবে জনগণ: সরকারকে বিএনপি
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুন নতুবা রাজপথে নামবে জনগণ: সরকারকে বিএনপি
সরকার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এটা সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। আমরা এর বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি সারাদেশের মহানগরী ও উপজেলায় বিক্ষোভ করব।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা বলেন, অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ‘অন্যথায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। আমরা আগামী দিনে বিদ্যুৎ বিল দেব না এবং মানুষ বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ করে দেবে।’
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদালতের আদেশের প্রতিবাদে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ ডেমোক্রেসি ফোরাম।
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
জানুয়ারি থেকে কার্যকর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে সরকারের নির্দেশে আদালত তারেক ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বুলু। এই সরকার তারেক রহমানের ভয়ে ভুগছে।
তিনি বলেন, দুঃশাসনের কারণে জনগণ আর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে।
কুইক রেন্টাল অ্যান্ড রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও মেগা প্রজেক্টের নামে যারা ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা লুট করেছে এবং বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তাদের আগামী দিনে জনআদালতে বিচার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বুলু।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
সংসদের পরবর্তী উপনেতা হতে যাচ্ছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই পদের জন্য মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন, যা সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সমর্থন করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে উপনেতার পদটি শূন্য হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা টানা তৃতীয়বারের মতো একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
সংসদে উপনেতা পদে কাউকে নিয়োগ দিতে বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কাউকে উপনেতা হিসেবে নিয়োগ দেননি।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয়বার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই একজন সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী পদে বসিয়েছে।
মতিয়া পাঁচবারের সংসদ সদস্য।
এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের জনগণের কাছাকাছি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণেতাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট কার্ড রয়েছে এবং যারা জনগণের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের নির্বাচনী এলাকায় ভালো কাজ করছেন, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
প্রধানমন্ত্রী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
বৈঠকে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘তবে তারা যদি অতীতে যেভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিল, একইভাবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পথ অবলম্বন করে; তবে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সরকার এই মুহূর্তে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেবে না। বরং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেবে সরকার।
এদিন রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাজেদা চৌধুরীকে অভিনন্দন
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, চলমান গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে সরকার ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, আপনি (আ.লীগ নেতা) কয়েকদিন আগে বলতেন, আমাদের রাজপথে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, আমাদের পিঠ ভেঙে গেছে। কিন্তু এখন আপনারা (আ.লীগ) এতটাই অস্থির হয়ে পড়েছেন যে আমাদের আন্দোলন থামানোর জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে নিপীড়ন করছেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা বিএনপি’র
তিনি বলেন, ‘সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলেছে। সরকার এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তাদের পতন টের পেয়ে চলমান আন্দোলন নিয়ে নানা রকম অসংযত মন্তব্য করছেন।
ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে পুলিশ শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেনি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।
এই বিএনপি নেতা দাবি করেন, হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই বিভাগের শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও ২৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
ছোট দল নিয়ে একযোগে আন্দোলনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা কী বলেন, জনগণ তা আমলে নেয় না। ‘আমার মতো, সারা দেশের মানুষ তার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয় না।’
১৬ জানুয়ারি জেলা পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি নেই:
ফখরুল বলেন, সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি সব মহানগরী ও উপজেলা সদরে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করবে তাদের দল।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আমি বলেছিলাম সব জেলায়ও কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে জেলায় নয়, সব মেট্রোপলিটন শহর ও উপজেলাতেই কর্মসূচি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল