%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ২৪ তারিখের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
তবে, সারাদেশে অন্যান্য সব মহানগর ও জেলায় মিছিল করার তারিখ ২৪ ডিসেম্বর রয়ে গেছে। ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের যেমন আশা করেছিলেন এবং আমাদের গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগ ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় কাউন্সিল করবে। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কাজ করতে চায়। বিএনপি কোনও সংঘাত চায় না এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
তিনি বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে, আমরা ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য একটি উপযুক্ত দিন ভেবেছিলাম এবং ৩০ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন এবং একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের কথা জনগণকে মনে করিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার কর্মসূচির ভেন্যু পরে ঘোষণা করা হবে।
তিনি সারাদেশের সকল দলের নেতাকর্মীদের গণমিছিলকে সফল করার আহ্বান জানান এবং ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বর বিকালের সমাবেশে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদেরকেও মিছিলে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের জনসভা থেকে দেশব্যাপী গণমিছিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি'র ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
খোকসায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বিএনপির
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলটির সিনিয়র নেতারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের দিনে আমরা আশা করি, প্রত্যাশা করি- বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান হবে, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস বিকৃত করেছে। তারা তাদের সুবিধা মতো কথা বলে। জনগণ কিন্তু সচেতন। জনগণই বিচার করবে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) সঠিক, না জনগণ সঠিক।’
দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বিএনপি। বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে। এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার জাতি পালন করেছে বিজয় দিবস।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের ৫১ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিরা বিজয়ের আনন্দকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারাগারে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কারাগারে আমাদের দলের শীর্ষ নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে তাদের ডিভিশন দেয়া হয়নি।
প্রিন্স বলেন, এমনকি তাদের দলের অসুস্থ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালামকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠাতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘জেলে তাদের (গ্রেপ্তার দলের নেতাদের) কাছে প্রয়োজনীয় পোশাক পৌঁছানো যাচ্ছে না। বন্দিদের পরিবার বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জেলগেটে নিয়ে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ সেগুলো ফেরত দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
প্রিন্স আরও অভিযোগ করেছেন যে বেশিরভাগ কারাবন্দি নেতাদের এখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে জেলে গেলেও তাদের সঙ্গে কুখ্যাত খুনি ও অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে, যা জেলবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি এমন জঘন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জেলকোড অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকেও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
যুব মহিলা লীগের নতুন সভাপতি ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক লিলি
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের নতুন সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২০০২ সালে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালে ১০১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।
২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রথম কাউন্সিলে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১৩ বছর পর ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিলে ফের নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
ছবির ক্যাপশন-যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধকতার ৫১ বছর পরও আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠা। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এই সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আমরা সমগ্র দেশের জনগণ সঙ্গে নিয়ে এই শাসককে উৎখাত করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বলপ্রয়োগ করে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই সংসদ গঠন করেছিল এবং ২০১৮ সালে তারা রাতে ভোট দেয়। তারা এখন আবারও দেশে একটি একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য ১০ দফা দাবি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের দল ক্ষমতায় এলে কীভাবে দেশ মেরামত করবে তার একটি রূপরেখাও তারা উপস্থাপন করবেন। ‘আসুন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সেই রূপরেখা এবং ১০ দফা নিয়ে এগিয়ে যাই। দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার এই দিনে আমরা শপথ নিই।’
মোশাররফ বলেন, লাখ লাখ মানুষ সারাদেশে তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে বার্তা দেয় যে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতি ও বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে এবং সমাজকে কলুষিত করেছে তারা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং জনগণ যে পরিবর্তন চায় তা আনার দায়িত্ব এখন বিএনপি, সব জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির।’
এর আগে সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
পরে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় তুলে নিয়ে যায়।
এ উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকায় বর্ণাঢ্য ‘বিজয় দিবসের র্যালি’ বের করবে বিএনপি।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র্যালি বের করা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ইভেন্ট কাভারের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কনস্টেবল প্রত্যাহার
বিজয় দিবস উপলক্ষে দলটি ১৬ ডিসেম্বর সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে।
এদিন সকাল ৯টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
পরে তারা একই দিন রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালন করবে।
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের কর্মসূচি সফল করতে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে জাতি শুক্রবার ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করবে।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এবং ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং প্রায় অর্ধলাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গৌরবময় দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অনুরোধে গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করবে বিএনপি
১০ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বুধবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাটির কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শাজাহান খান; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. হাসান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
আ.লীগের অনুরোধে গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করবে বিএনপি
আওয়ামী লীগের অনুরোধে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে গণ-মিছিলের তারিখ পরিবর্তন করতে পারে বিরোধী দল বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল না। গণ-মিছিলের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী তারিখ জানানো হবে। সোমবার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
এর আগে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে দেশব্যাপী গণমিছিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে গত কয়েকদিন ধরেই গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন তারা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে উঠবে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে ওঠে না।
এ জন্য প্রতিটি পক্ষকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন (আরসিসি) নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে। রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন আর ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন এক জিনিস নয়।’
একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে সিইসি সব দলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কাউকে বাধ্য করতে পারে না।
তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি খুশি হব।
এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান সিইসি।‘যদি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয়, তাহলে তা সঠিক জনমতের প্রতিফলন ঘটায় না।’
আরসিসি নির্বাচন প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি নগরবাসীকে ২৭ ডিসেম্বর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
ঢাকা থেকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সিইসি।
গাইবান্ধা নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনী অনিয়মের জন্য দায়ী পোলিং এজেন্টরা যাতে পুনঃনির্বাচনে উপস্থিত থাকতে না পারে সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রংপুরের মেয়র, ৩৩ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি