%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ
রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি জনসভা করার অনুমতি চেয়েছে; সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুমতি দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের যেখানে অনুমতি দিয়েছেন, সেখানেই জনসভা করতে হবে, সেটাই করা উচিত।
রাষ্ট্রের যে কোনো আইন সকলকে অনুসরণ করতে হবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি দেশের সরকার মানবে না, সংবিধান বা সরকারের আইন মানবে না; এরকম কোনো অধিকার সরকার কাউকে দেয়নি, রাষ্ট্রও দেয়নি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থল নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের সমাবেশ করছে। আওয়ামী লীগের জনসভাকে ঘিরে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে একটা আবেগ উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে।
হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের এই জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। সেটা দেখার জন্য, জানার জন্য ও প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিবেন। সেটার জন্য চট্টগ্রামবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমাদের বিশ্বাস, রবিবারের জনসভা শুধু এই পলোগ্রাউন্ড এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গোটা চট্টগ্রামের শহরেই সকল মানুষের উপস্থিততে জনসমুদ্রে রুপ নিবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, সকাল আটটা থেকে মহাসমাবেশ স্থলের দরজা খোলা থাকবে। আমাদের নেতাকর্মীদেরও সকাল আটটা থেকে মাঠে প্রবেশের জন্য সকল প্রস্তুতি আছে। আমরা আশাকরি দুপুর আড়াইটার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসবেন এবং তিনটার মধ্যেই তিনি বক্তব্য শুরু করবেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রবিবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা। চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে।
এই জনসভায় ১০ লাখের অধিক মানুষ সমবেত হবে। পলোগ্রাউন্ড ময়দান ছাপিয়ে এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দীন নাসিম, আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সময়ে রিজার্ভ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার: হানিফ
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কি না, তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিবে কি না তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছিল। যুক্তিসঙ্গত কারণেই সংসদের সামনের রাস্তা দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম ছিল। বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম দুদিন আগে এগিয়ে এনে স্থানটি খালি করার ব্যবস্থা করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের নবনির্মিত শায়েস্তাগঞ্জ থানা ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এখন শুনছি বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। তারা বলছে সারাদেশ থেকে অনেক মানুষ সমাগম ঘটবে ঢাকায়। এমনিতেই দুই কোটি মানুষ বসবাস করেন ঢাকায়। এমতাবস্থায় বাইরে থেকে মানুষের সমাগম হলে রাজধানীর পরিবেশ কী হবে তা সহজে বুঝা যায়।
তিনি বলেন, রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সচল, যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ কমিশনার যা যা করণীয় তাই করবেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নাকি লাখ লাখ লোক নিয়ে আসবে। ঢাকাকে অচল করে দিবে। সরকার পতনের দাবি তুলবে। সেজন্যই তারা চাল-ডাল নিয়ে ওখানেই (দলীয় কার্যালয়ে) বসবাস করবেন। ওখানেই থাকবেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেছেন, ওখান থেকেই তারা নাকি সরকার পতনের ডাক দিবেন।
তিনি বলেন, তারা বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। সেজন্যই তারা নানা ধরনের ফন্দিফিকির, নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের চিন্তা করেন। চাল-ডাল নিয়ে আসা ইঙ্গিতও সে রকমেরই। আমরা তা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছি। যেটা আওয়ামী লীগ কখনোই এধরনের চিন্তা করে না। আওয়ালীগ সবসময়ই জনগণের মেন্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার নতুন ও পুরাতন মিলে ১০১টি থানা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ একটি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি প্রমুখ।
প্রায় দেড় একর জমিতে সোয়া আট কোটি টাকা ব্যয়ে থানা ভবন নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। এর আগে মন্ত্রী মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপিকে এখনও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশের জনগণের প্রতি আস্থা না থাকায় সরকার ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করতে চাই। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা (আ.লীগ) ঘুম হারিয়েছে। তারা নিজেরাই বলছে যে তাদের সিংহাসন উল্টে দেয়া হবে।’
শনিবার এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এর আগেও কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই নয়াপল্টনে বিএনপি অনেক সমাবেশ করেছে, এমনকি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেও।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ) জানেন আপনারা অনেক অপকর্ম করেছেন। মানুষের প্রতি আপনাদের আস্থা নেই।তাই আপনারা ভীত এবং দুঃস্বপ্ন দেখছেন যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান (ক্ষমতায়) আসছেন।’
দলের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির রাজশাহী মহানগর শাখা রাজশাহী মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে।
র্যালিতে বিভাগের আট জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
র্যালিকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং প্রবেশপথে চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজশাহীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার থেকে বিভিন্ন বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলো থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ট্রেন, ট্রাক, নৌকাসহ মানববাহী গাড়ি, অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, মোটরবাইক, মাইক্রোবাসে করে নগরীতে আসেন।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এছাড়া শুক্রবার বিকালে রাজশাহী অটোরিকশা মালিক সমিতিও অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তাদের সমাবেশে জনতার ঢল বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই হরতাল।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল এবং ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় আটটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় রাজশাহীতে এটি ছিল বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির নবম সমাবেশ।
সিলেট, ফরিদপুর, বরিশাল, রংপুর ও খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও একই ধরনের হরতাল কার্যকর করা হয়েছিল, তবে দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক বাধা অতিক্রম করে সমাবেশে অংশ নেন।
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ জনসভা করে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করবে দলটি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলের নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
চট্টগ্রামে আ.লীগের সমাবেশ: প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দীর্ঘ ১০ বছর পর রবিবার চট্টগ্রামে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি পুরোদমে চলতে থাকায় শনিবার বন্দর নগরী উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।
বিশাল জনসমাবেশের প্রধান স্থান পলো গ্রাউন্ডে ১৬০ ফুট নৌকা আকৃতির মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই মঞ্চেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ সমাবেশটির আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
আ.লীগ প্রধানকে উৎসব মুখর পরিবেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম।
আ.লীগ নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার আগমনে শুধু চট্টগ্রাম নয়, গোটা অঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
শনিবার সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এটি হবে বিশাল সমাবেশ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, আগামীকাল দলীয় সভাপতির উপস্থিতিতে জনসভা করতে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ও জনগণ পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আগামীকাল চট্টগ্রাম শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম আ.লীগ তার সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করবে এবং যে কোনো অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সব উন্নয়ন কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বিশ্বমানের উন্নত শহরে পরিণত হবে।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানার সংবলিত রঙিন তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
নগরীর জামাল খান, কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানের হাট, কদমতলী, নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙিয়েছেন নেতারা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার। এরই অংশ হিসেবে যশোর স্টেডিয়ামে প্রথম জনসভা করেন তিনি।
যশোরে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রচারণা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে: আ.লীগ
আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় আরেকটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন তিনি।
এসব জনসভায় দলের সভানেত্রী তার দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগণকে নতুন বার্তা দেন।
বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে একদিনের সফরে রবিবার সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা।
সফরকালে শেখ হাসিনা ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রেসিডেন্ট প্যারেড-২০২২-এ অংশ নিবেন। তিনি বিএমএতে পাসিং আউট প্যারেডে অভিবাদনও নেবেন।
সরকার চট্টগ্রামের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যা এখন বাস্তবায়নাধীন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, চায়না ইকোনমিক জোন, কোরিয়ান ইপিজেড, মহেশখালীর চারটি প্রকল্প— অর্থনৈতিক অঞ্চল, এলএনজি টার্মিনাল, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দর। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ, লালখান থেকে বিমানবন্দর সড়কে ফ্লাইওভার, চট্টগ্রাম বন্দরে বে টার্মিনাল।
সমাবেশকে সামনে রেখে ফুটপাত পরিষ্কার ও রং করা, রঙিন আলো দিয়ে ফ্লাইওভার সাজানো এবং বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামতসহ বিভিন্ন সড়কে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটারের আশেপাশে পাঠানপাড়া, সিপাইপাড়া, লক্ষ্মীপুর, ফায়ার সার্ভিসের মোড়, বর্ণালী, নগরভবন এলাকায় কোনো ইন্টারনেট নেই। এমন কি এসব এলাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধাও বন্ধ করে রাখা আছে বলে জানান নেট ব্যবহারকারীরা।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হাওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
সমাবেশস্থলে একটি ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. সজল জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছিল নগরীর মাদরাসা মাঠে। সেখানে ইন্টারনেট নেই। মূল সার্ভার থেকেই বন্ধ করে রাখা আছে। আমাদের কিছু করার নেই।
এদিকে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এ সরকার আমাদের সব কাজেই বাঁধা দিচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধও একটি বাঁধা। আমাদের সমাবেশ যাতে বিপুল পরিমাণে প্রচার না পায় এজন্য তারা ভয়ে বন্ধ করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
রাজশাহীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে দলটির ৯ম বিভাগীয় সমাবেশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়।
দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
গণসমাবেশের মিডিয়া কমিটির সদস্য ও বিএনপির রাজশাহী জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা এখন রাজশাহীতে এবং তারা মঞ্চে।
সকালে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশ এলাকায় আসতে দেখা যায় এবং অসংখ্য মানুষ আশপাশের সড়কে ভিড় করতে থাকে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অসংখ্য মানুষ সমাবেশে যোগ দেন।
সকাল ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ দেখতে পান ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
বৃহস্পতিবার থেকেই নগরীতে পৌঁছানো নেতাকর্মীরা ভেন্যু সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেন।
শুক্রবার রাতে নগরীতে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নগরীর সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপি’র নবম বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে নগরীতে পৌঁছেছেন।
শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহী মহানগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান।
সমাবেশস্থলে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছেন। সকাল ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ দেখতে পান ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার আগে থেকেই নগরীতে পৌঁছানো নেতাকর্মীরা ভেন্যু সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেন।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হবে এবং এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে নগরীতে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নগরীর সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সাদা পোশাকেও পুলিশ পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
রাজশাহীতে বিএনপি’র নবম বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার
পরিবহন ধর্মঘট ও নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শনিবার রাজশাহীতে নবম বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি।
বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজশাহী মহানগর বিএনপি নগরীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন করবে।
এখন পর্যন্ত আটটি সফল জনসভার মাধ্যমে প্রধান বিরোধী দলটি সংখ্যায় এবং সাংগঠনিক ক্ষমতার দিক থেকে তার শক্তি প্রমাণ করেছে। এমনকি বিএনপি জনসভা সফলে সকল বাধা মোকাবিলায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনসভা সফল করতে এই অঞ্চলে তারা বাস ও অটোরিকশা ধর্মঘট মানবে না।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
রাজশাহীতে শনিবার সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশের জন্য মাদরাসা মাঠে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে যোগ দিতে এই গণসমাবেশের আগের দিন শুক্রবার দুপুর থেকে রাজশাহী শহরে বিভাগীয় নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে।
এর আগের বিভাগীয় সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা অবস্থান করলেও প্রশাসনের বাধার কারণে রাজশাহীতে সমাবেশস্থলে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ঢুকতে পারেন নি। অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ এবং আশপাশ এলাকায়।
এদিকে গণপরিবহন ধর্মঘটের পর শুক্রবার থেকে থ্রি হুইলার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এপরও বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রাজশাহী ঢুকছেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকাল থেকে বেশ কিছু মোটরসাইকেল বহর রাজশাহীতে ঢুকতে দেখা যায়।
সকালে নওগাঁর মান্দা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী আসে।
এছাড়াও বগুড়া থেকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এসেছেন নেতারা। তবে পথে পথে তল্লাশির নামে পুলিশের বাধা ও মাঝপথ থেকে বহরটিকে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। নৌকায় করেও নেতাকর্মীরা সমাবেশে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে খালেদা জিয়ার যোগদানের প্রশ্নই আসে না: বিএনপি
খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া বিএনপির জনসভায় যাওয়া না যাওয়ার আলোচনা অবাস্তব ও এটি উদ্ভট অলীক চিন্তা।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আদালত থেকে কোনো জামিন পাননি। তিনি নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয় সেই দিনটিতে জন্মদিনের কেক কাটেন। এরপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এখন যদি তারা এ রকম চিন্তা করে থাকে তাহলে সরকার তাকে কারাগারে পাঠাতে বাধ্য হবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের পুণর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে তিনি ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে বেগম জিয়ার অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদ দিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে কেন-এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত: নয়া পল্টনের সামনে বড় জোর পঞ্চাশ হাজার মানুষ ধরে। অর্থাৎ তাদের জনসভায় যে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ হবে না এটি তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়ত: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, কার্যত স্বাধীনতাই ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সেখানেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিএনপি তো পাকিস্তানের দোসর, তাদের মহাসচিব বলেছেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। সেই কারণে এই উদ্যান তাদের পছন্দ নয়।
কিন্তু বড় জনসভার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই হচ্ছে উত্তম এবং তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল, তাদের চাওয়া অনুযায়ী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে কি ব্যবস্থা-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি তো বিশৃঙ্খলাই করতে চায়। সে কারণেই তারা নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেয়া হবে না। জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে পুরো চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের মাঝে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, এতে আমরা নিশ্চিত যে এটা স্মরণকালের বৃহত্তম এবং লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে ইনশাল্লাহ।
এর আগে মহসিন কলেজের প্রাক্তনীদের পুণর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম শুধুমাত্র পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেখানে একজন ছাত্র অনেক কিছু শেখে, তার বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
তিনি বলেন, আমার স্কুলই আমার জীবনের ভিত রচনা করে দিয়েছে। একইভাবে কলেজেও সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি স্যারসহ আরও অনেক শিক্ষক ছিলেন যাদের সান্নিধ্য না পেলে আমি আজকের এই জায়গায় দাঁড়াতে পারতাম না। চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা এই কলেজের অ্যলামনাই এসোসিয়েশন আরও সমাজহিতৈষী কর্মসূচি নেবে যেগুলো সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেবে, আশাপ্রকাশ করেন ড. হাছান।
মহসিন কলেজ অ্যলামনাই এসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
আরও পড়ুন: এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী