%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, চলছে বিরামহীন প্রচারণা
দীর্ঘ ১০ বছর পর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাই জনসভাকে ঘিরে চলছে পক্ষকালব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি। আগামী ৪ ডিসেম্বর নগরীর ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ জনসভা।
শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে এখন বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করতে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ব্যানার-পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগাতে। জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জনসভা সফল করতে দিন-রাত নগর থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে। নৌকার আদলে ১৬০ ফুট দীর্ঘ মঞ্চটি তৈরির কাজ চলছে। মঞ্চের মাঝখানের ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে ২০০ অতিথি বসবেন। মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট। ১৫ নভেম্বর থেকে ভেন্যু তৈরির কাজ শুরু হয়। জনসভার জন্য ঢাকা থেকে আসছে দেড়শ মাইক। মূলমঞ্চ ছাড়াও জনসভাস্থলের আশপাশে বসানো হচ্ছে সাতটি বড় পর্দা। এসব পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের বক্তব্য।
আরও পড়ুন: পঞ্চম দফা পৌর নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শনিবার
এছাড়াও মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষ এ সমোবেশে জড়ো হবেন বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নগরীর প্রেসপাড়া খ্যাত আন্দরকিল্লাস্থ বিভিন্ন ছাপা খানায় ঘুরে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে চলছে শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেট তৈরির ধুম। এদিকে নগরীর সড়কে সড়কে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের ব্যানার-পোস্টার। যেখানে স্থান পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের শুভেচ্ছা বার্তা। এছাড়া জনসভার স্থানে চলছে তুমুল প্রস্তুতি। প্রতিদিনই চলছে সভা-সমাবেশ মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরণের প্রচার প্রচারণা। নগরীর ২০টি স্পটে চলছে টানা মাইকিং।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভা সফলে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
এছাড়া ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগর জুড়ে ঘোড়াগাড়ি ও ট্রাক নিয়ে ব্যাতিক্রমী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপি এবং নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আসবেন। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও ১০ দশ গুণ লোকের সমাগম হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের গৌরবময় ভূমিকা আছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও হয়তো চট্টগ্রামবাসীকে নিরাশ করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমনকে ঘিরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ উপক্ষে নগরীকে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। নতুন করে রঙ করা হয়েছে নগরীর প্রধান ও বড় দুই ফ্লাইওভার, নগরীর প্রতিটি সড়ক ডিভাইডার, সরকদ্বীপসমূহ নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আপামর জনগণের সংগঠন। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। সুতরাং ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে শুধু আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসবেন তা নয়। প্রিয় নেত্রীকে দেখতে চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চলে আসবে। আর এতে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাপিয়ে আশেপাশের এলাকাও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর একই মাঠে আবারও ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এ জনসভা সফল করতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ বুধবার, আওয়ামী লীগের হুঁশিয়ারি
বিএনপির সময়ে রিজার্ভ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বিভিন্ন স্থানে মিটিংয়ে বলে বেড়াচ্ছেন হিসাব শেষ। দেশ শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অথচ বাংলাদেশে এই মুহুর্তে রিজার্ভ আছে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকের হিসাবেও রয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। আর বাকী ডলার বিভিন্ন সংস্থায় আছে।
তাই আমি বিএনপি’র মহাসচিবকে জিজ্ঞাসা করেছি আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন রিজার্ভ কত ছিল? একটু আমাদেরকে জানান।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি মেহের ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। এই বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন মাত্র সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল। সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার দিয়ে দেশ শেষ হয়নি। আর এখন ৩৯ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। অথচ তিনি বলছেন- দেশ শেষ হয়ে গেছে।
হানিফ বলেন, বিএনপির গত কয়েকদিনের আন্দোলন সংগ্রামে দু’একজন কর্মী নাকি মারা গেছে। তিনি এক সমাবেশে চোখের পানি ফেলে বললেন-সরকার নির্যাতন করছে, আমাদের অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা জিজ্ঞেস করি-মির্জা ফখরুল সাহেব ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনার এই চোখের পানি কোথায় ছিল! কোথায় ছিল আপনার গণতন্ত্র ও মানবতা!
হানিফ আরও বলেন, ২০০১ সালে আপনারা ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করেছিলেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন। ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছিল এই বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের হাতে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, জাপায় ঐক্যের ডাক
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে জাতীয় পার্টির নেতা রওশন এরশাদ আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ।
পরে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি সব সময় জাতীয় পার্টির ঐক্য চাই… দল ভাঙার প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, অতীতের মতো দলকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র হতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, জাপায় ঐক্যের ডাক
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৭৮ বছর বয়সী বিধবা রওশনও দাবি করেছেন, পার্টির চেয়ারম্যান ও তার দেবর জিএম কাদেরের সঙ্গে তার কোনও বিরোধ নেই।
রওশন বলেন, ‘আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি এবং বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সব সংসদ সদস্য, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অন্যদের সঙ্গে বসব। আমি নিশ্চিত, আমরা শিগগিরই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে সক্ষম হব।’
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিউর রহমান মঞ্জুর ও কাজী জাফর আহমেদের সঙ্গে যারা বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পার্টি ছেড়েছেন তাদের দলে ফেরার আহ্বান জানান বিরোধী দলীয় এই নেতা।
তিনি বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়ে যারা আমাদের পাশে ছিলেন তাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
রওশন বলেন, তাদের দল ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে একজন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির যেকোন জোট করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ‘জনগণ অগ্রগতি ও শান্তির জন্য পরিবর্তন চায়, যা শুধু জাতীয় পার্টিই নিশ্চিত করতে পারে, বিএনপি নয়। বিএনপির সঙ্গে কোনো জোট করার প্রশ্নই আসে না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি জোট করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রওশন বলেন, সময়ই বলে দেবে।
তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রওশন বলেন, তিনি এখন ভালো আছেন, তবে এখনও তার পায়ে কিছু সমস্যা রয়েছে যার জন্য তিনি ফিজিওথেরাপি নিচ্ছেন।
তাকে সমর্থন করার জন্য এবং ব্যাংককে চিকিৎসাকালীন তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রওশন।
তিনি বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনীতি, বিশেষ করে ইউক্রেনের যুদ্ধ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সকলকে আরও সতর্ক থাকতে হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
রাহগীর আল মাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ নামেই বেশি পরিচিত) ও তার স্ত্রী মাহিমা সাদ এবং রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেতাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সুনীল শুভ রায় ও গোলাম মসিহ প্রমুখ।
৫ জুলাই রওশন ফলোআপ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যান।
এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর তার স্বাস্থ্যের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ২৭ জুন দেশে ফিরে আসেন এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়ার আগে দেশে আট দিন অবস্থান করেন।
আগের বারের মতো বাসার পরিবর্তে এবারও তিনি বিমানবন্দর থেকে নগরীর গুলশান এলাকার ওয়েস্টিন হোটেলে থাকার জন্য যান বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
রওশন এমন এক সময়ে দেশে ফিরেছেন যখন জাতীয় পার্টি দলীয় কাউন্সিল করার জন্য তার আগের আহ্বানে বিভক্ত এবং সম্প্রতি মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে রওশন এরশাদকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠান জাপা এমপিরা।
এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দল থেকে বহিষ্কৃত জাপা’র সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১শে অক্টোবর জিএম কাদেরকে দলের বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ
প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের নববর্ষের শুভেচ্ছা
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যত্যয় সৃষ্টি করে, ঢাকা শহরে ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি ঢাকা শহরে আগুন সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে, ঘাপটি মেরে বসে আছে। সভা উপলক্ষে তারা ধীরে ধীরে আবার বের হওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির যে সমস্ত নেতা বড় গলায় কথা বলছেন, তারা এই অগ্নিসন্ত্রাসের অর্থদাতা, মদদদাতা, হুকুমদাতা। প্রয়োজনে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রবিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার বিএনপি কুমিল্লায় সমাবেশ করেছে। আপনারা হয়তো জানেন, শতাধিক গরু জবাই করে তারা একটি বড় পিকনিক করেছে কুমিল্লায়। পিকনিকের আয়োজন এমন যে, আগের রাত্রে অনেক মানুষ ছিলো পরের দিন অনেকেই চলে গেছে। কুমিল্লার জনসভায় মির্জা ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলেছেন, তিনি এই কথাও বলেছেন যে, সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু তারা না কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার কাউকে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার এবং গন্ডগোল করার সুযোগ দিতে পারে না। সৎ উদ্দেশ্যেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটি হীন ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সভা করতে চায়। নয়াপল্টনের সামনে কোনো মাঠ নেই, সেটি ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বড় রাস্তা। সেই রাস্তা বন্ধ করে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেন তারা সেখানে সভা করতে চায়!
তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এরপরও মির্জা ফখরুল সাহেব অসৎ উদ্দেশ্যে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছেন।
তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ৬ প্রস্তাব
এর আগে সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) এনজিও আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।
ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্তি, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাকজাত কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, তামাকপণ্য প্যাকেটে সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ ও ই-সিগারেট ও হিটেড তামাকপণ্য নিষিদ্ধ করা-ডরপ উত্থাপিত এই ছয়টি প্রস্তাব সেমিনারে আলোচিত হয়।
আজীবন অধুমপায়ী ড. হাছান বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন পরিমার্জন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। প্রস্তাবনাগুলো পরিমার্জিত আইনের খসড়ায় অন্তর্ভূক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানের পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।
ডরপ প্রেসিডেন্ট মো. আজাহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপ-নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়ক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ এর গ্র্যান্টস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিঞা প্রমুখ। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিড়ি শ্রমিক ও যুব ফোরামের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ যেন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের ৮ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৬ তারিখে করবে।
রবিবার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো বাধা দিবে না সরকার, তবে আগুন-লাঠি নিয়ে খেলতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
বিএনপিকে একটি ‘সন্ত্রাসী দল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কানাডার একটি আদালত বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাদের রাজনীতি হচ্ছে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে নেতা বানানো এতো সহজ নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? আপনাদের নেত্রীই তো বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়!’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মিউজিয়ামে।’
কুমিল্লার সমাবেশে কোথায় গেল হাঁকডাক, কোথায় গেল জনস্রোত আর ঢল- এমনটা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন যে ঢাকা শহরে দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
বিএনপি নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার 'মিথ্যা' মামলায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মতো তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের কারাগারে রেখে আগামী নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা সহজেই দূর করার ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করবেন না, ততদিন বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই শাসন কিছুই অক্ষত রাখে নি। আমরা এখন বিচার পাচ্ছি না। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করে আমাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে। আমাদের সকল সিনিয়র নেতাদের নামে ১০-৬০টি মামলা রয়েছে।’
ফখরুল বলেন, সরকার এখন বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছে। ‘এর মানে এই যে, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে যেভাবে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল, সেভাবে তারা (সরকার) আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের কারাগারে নিক্ষেপ করে সহজেই নির্বাচনের বাধা অতিক্রম করতে চায়।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ এবার সরকারকে আর কোনো একতরফা জাতীয় নির্বাচন করতে দেবে না।
বিএনপির বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে দলটির কুমিল্লা মহানগর শাখা।
এবারের সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট ছাড়া কিছুটা স্বস্তির মধ্যে কুমিল্লায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন।
মানুষ আর নৌকায় চড়ে না
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী তার অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচন জোর করে ক্ষমতা দখল করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার যশোরে জনসভা করেছেন শেখ হাসিনা। ‘সেই জনসভায়, তিনি (তার অধীনে) আবার নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং নৌকা (আ.লীগের) নির্বাচনী প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন…কিন্তু সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন গান গাইছে, যদি তারা পরিণতি জানত তাহলে তারা নৌকায় চড়ত না। ’
তিনি বলেন, তাই সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার আগে মর্যাদার সঙ্গে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, কারণ মানুষ এখন চায় আপনি চলে যান।’
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে হবে, জীবন উৎসর্গ করতে হবে।
জামানতের টাকা হারাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা
বিএনপি বলেছে, সরকার এর অধীনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে একটি মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচন করার জন্য আবারও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। কারণ একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা তাদের জামানতের অর্থ হারাবেন।
তিনি বলেন, সরকার দল ও এর কর্মসূচি দমন করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কাল্পনিক মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। ‘এটা একটা নির্লজ্জ শাসন। এদের চামড়া গন্ডারের মতো পুরু।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ১০ ডিসেম্বরের জনসভা ঠেকাতে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও রাজধানীতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। ‘আপনারা কুমিল্লাসহ কোথাও আমাদের সমাবেশ থামাতে পারেননি। আপনিও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায়ও এটি করতে পারবেন না।’
ঢাকা মহানগরীতে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়ার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নানা মন্তব্য করলেও ফখরুল বলেন, তারা এখন বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে এসে নয়াপল্টনে সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র, ভোট ও জনগণের অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে কিন্তু সরকার একে অন্য দিকে মোড় নেয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আপেক্ষিক স্বস্তির মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
আগামী নির্বাচনের আগে কোনো সংলাপ না করার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো সংলাপ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘অনেকেই বলেন ডায়ালগ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে। কাদের সঙ্গে? ওই বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া- সাজাপ্রাপ্ত আসামি; যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের সঙ্গে?’
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন যে সভা-সমাবেশ করতে বিএনপির কোনো বাধা নেই। তবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে তারা যদি অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড ঘটায় তাহলে তার সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ২৯ বছরেও বাংলাদেশ কেন উন্নয়নের মুখ দেখেনি: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি বিএনপিকে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনাদের আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে অগ্নিসংযোগ, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা ও নিরীহদের ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটলে আমরা একজনকেও রেহাই দেব না।’
প্রধানমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি এসেছে যখন বিএনপি আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশের প্রচারণা করছে। বিরোধী দল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদও করছে।
২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে নির্যাতন ও দমন-পীড়নের লাগাম টেনে ধরার জন্য বিএনপি-জামায়াত শাসনের সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
আপেক্ষিক স্বস্তির মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
পরিবহন ধর্মঘট ছাড়া আপেক্ষিক স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি কুমিল্লা মহানগর শাখা।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরসহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে সমাবেশস্থলে সকাল থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় জমায়। অন্যান্য বিভাগে দলের আগের সমাবেশের বিপরীতে এখানে কোনো পরিবহন ধর্মঘট না হওয়ায় কুমিল্লায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ ও উচ্ছ্বাস।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটের পর বিভাগীয় পর্যায়ে কুমিল্লায় এটি বিএনপির অষ্টম সমাবেশ।
জানা গেছে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে - সংবিধান অনুমোদন করে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও জানান আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ আজ
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ আজ
কুমিল্লার টাউন হল মাঠে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। আগের দিনই বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় পূর্ণ হয়েছে এই সমাবেশস্থল।
খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা এসেছেন। বর্তমানে টাউন হল মাঠে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। জানা গেছে, তারা কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এসেছেন। তারা ব্যান্ড পার্টি, ব্যানার পোস্টার নিয়ে নেচে-গেয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, জ্বালানি তেল, চাল, ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি। দেশব্যাপী বিএনপির নেতা কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই গণসমাবেশ করছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বরকত উল্লাহ বুলু।
সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। মঞ্চে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য দু’টি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে। সকাল ১২ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। পূর্বের সমাবেশগুলোর তুলনায় এবারে কিছুটা সহজ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পালন করতে যাচ্ছে দলটি। যা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপি শুক্রবার পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা শহর নিজেদের দখলে নেয়া শুরু করে।
গত মাসে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা জানান যে তারা সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি বিশাল শোডাউন করবে।
দুপুর ১২টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পূর্বের অন্তত ছয়টি সমাবেশের সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিলেও এবার তারা সেরকম কোনো কর্মসূচি দেননি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যেহেতু এবারের সমাবেশ কোনো পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং পুলিশের অনুমতির বিষয় বেশ সরল প্রক্রিয়া, তাই শনিবারের সমাবেশটি আগের চেয়েও বেশ বড় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা দলটির নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আগের জনসভায় সমর্থকের অভাব না থাকলেও বিএনপি দাবি করে আসছে, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে কথিত বাধা সৃষ্টি না করলে উপস্থিতি আরও বেশি হতো।
ইউএনবি’র সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির সমাবেশের আগে কুমিল্লায় কোনো পরিবহন ধর্মঘট না ডাকায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
বিএনপি সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী দুই নেতা নগর শাখার আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিন এবং সাবেক সিটি মেয়র ও বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বিশাল সমাবেশ করার জন্য দলের প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, স্থানীয় দলীয় কর্মীরা ইউএনবিকে বলেছেন যে ইয়াসিন ও সাক্কু উভয়েই তাদের অনুসারীদের সমাবেশকে সফল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যদি কিছু হয় তবে কে বেশি জমায়েত করতে পারে তার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে 'গণতরঙ্গ' ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগাম আসতে শুরু করায় কুমিল্লা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন যে সমাবেশের আগে 'সরকারের নির্দেশে' পুলিশ তাদের হয়রানি করছে এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপির সমাবেশে যোগ দিলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাল্পনিক মামলায় ফাঁসানোসহ ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিচ্ছে।
মোশাররফ অবশ্য বলেছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, কুমিল্লায় ‘স্মরণীয়’ সমাবেশ করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর না হলেও আমাদের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের বাধার মুখে পড়ছেন। তবে কোনো বাধাই আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশ নিতে বাধা দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার আশঙ্কায় সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিএনপি সমর্থকদের কুমিল্লা শহরে আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিলে জড়ো হওয়ায় জনসমাগম তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে তাদের রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় আয়োজকরা তাদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছেন।চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে অনুষ্ঠিত ৭টি সমাবেশের পর শনিবার কুমিল্লায় হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৮ম সমাবেশ।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হোক। তবে সংবিধান তা হতে দেয় না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী