%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বিভাগীয় শহরে তাদের দলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে সারাদেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সমাবেশের মাধ্যমে একটি গণঅভ্যুত্থান হবে। হাজার হাজার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেবে। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এই শাসনের পতন ঘটাব।’
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের দুই অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
দলের পরিকল্পিত বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি বন্দরনগরীর পলো গ্রাউন্ডে সমাবেশ করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন মির্জা ফখরুল।
চলমান বিদ্যুৎ সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএনপির আন্দোলনের সময় ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের পাঁচ নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এটিই হবে প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ।
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে: বিএনপি
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বিশাল জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে দলটি।
দুই পক্ষের সঙ্গে কথা হয়
দুই দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণকারী বর্তমান অনির্বাচিত ও লুটেরা শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সেই দ্বিতীয় দফা আলোচনা করছি এবং আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মূল দাবিগুলো নিয়ে কথা বলছি।’
ফখরুল বলেন, তারা ইতোমধ্যে ১১টি দলের সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপে বসেছেন। ‘বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করতে একমত হয়েছি।’
আলোচনায় নিজ নিজ দলের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি।
দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ অক্টোবর কল্যাণ পার্টির সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের দাবি ও ইস্যু চূড়ান্ত করতে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এবং অলি আহমেদের এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং মুসলিম লীগের সঙ্গেও আলোচনায় বসে দলটি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
নাটোরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন (৫০) ও স্থানীয় ব্যবসায়ী রুহুল আমিন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বামিহাল গ্রামের ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে আফতাবের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান,রবিবার রাত ৯টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে একটি দল ফরিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
তিনি বলেন,খবর পেয়ে ফরিদ মেম্বারের সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালিয়ে আফতাব ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামকে কুপিয়ে জখম করে।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জামিল আক্তার জানান, রবিবার রাতেই আফতাবকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়
আরও পড়ুন: বিএনপিকে মোকাবিলার শক্তি আ’লীগের আছে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানায়,রুহুল ইউপি সদস্য ফরিদের সমর্থক। অপর আহতরা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে ওসি মিজানুর জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জামিল আক্তার জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে: বিএনপি
সারাদেশে ‘নজীরবিহীন’ লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারকে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, এতে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট এখন প্রকাশ পেয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের লুণ্ঠনের অভয়ারণ্য হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। সে কারণে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের আসল চিত্র ফুটে উঠেছে।’
রবিববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনসাধারণের জন্য একটি ভয়ানক বিপদে পরিণত হয়েছে, যা মানুষকে হতাশায় ফেলেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ (রবিবার) যখন বাড়ি থেকে আসছিলাম, তখন অন্য দিনের মতো রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছিল।’
তিনি বলেন, ‘লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বড়াই করেছেন। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল জীবন্ত হয়ে এখন জাদুঘর থেকে এসে নৌকায় উঠে(আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) নাচানাচি করছে।’
রিজভী বলেন, ‘জবাবদিহিতা না থাকলে উন্নয়ন হয়ে পড়ে ফাঁপা, যা হাইড্রোজেন বেলুনের মতো বাতাসে উড়ে যাবে। এ কারণে দেশ এখন ভয়াবহ লোডশেডিং দেখছে।’
আরও পড়ুন: ত্রয়োদশ সংশোধনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা পেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের টাকা লুটপাট করা এবং ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এজন্য তারা একটি আইন প্রণয়ন করে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।’
ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কমিশন মূলত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন; যেমন তারা (ইসি) মূলত প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই করবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের অবস্থান পরিষ্কার যে বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেবে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে চায়: বিএনপি
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তারা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই, বিএনপির সঙ্গেও নেই।
কাদের বলেন, ‘জাপা যেকোনো দলের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু কারও দাসত্ব করবে না।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলি, আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারো সাথে নাকে খদ দিয়ে রাজনীতি করবো না। কারো দালালী করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়।
এসময় কাদের আরও বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম-এ নির্বাচনের বিরোধীতা করছি। আমরা মনে করি, ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ আছে। ইভিএম-এ কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা হলে, চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করছেন, একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে বিজয়ী হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি করবেন। এটা যারা মনে করেন তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের জাতীয় পার্টি থেকে চলে যেতে হবে অথবা সংশোধন হতে হবে। আমরা শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়তে, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবো না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি, দুঃশাসন আর দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির স্বর্নালী যুগের কথা মনে রেখেছেন। তারা আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং বিচার বিভাগের বেশির ভাগই এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনে। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না।
এসময় ফখরুল ইমাম এমপি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মুক্তি এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহের সকল উপজেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
২০০৭ সালের নির্বাচনের আগে ‘৩০০ দলীয় ক্যাডার’ নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত: জয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সরকার ‘৩০০ দলীয় ক্যাডার’কে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
শুক্রবার জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) ব্যবহার করে এত দ্রুত কোনো নিয়োগ ইতিহাসে কখনো হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুজব থেকে দূরে থাকুন, সত্য তথ্য জানুন: সজীব ওয়াজেদ
পোস্টে তিনি আরও বলেন, কোনো পরীক্ষা ছাড়া সরাসরি তালিকার মাধ্যমে এবং এসব নিয়োগ দিয়ে পিএসসি ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছে খালেদা জিয়ার সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: সজীব ওয়াজেদ
ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)বলেছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসমা আশরাফের ওপর হামলার নিন্দা ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
শুক্রবার জিএম কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই আসমা আশরাফের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে সরকার সমর্থকরা।
সরকারপন্থী এসব লোকের কর্মকাণ্ড নির্বাচনের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুও জাতীয় পার্টির নেত্রী আসমার ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ
নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের তথ্য সংগ্রহের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার জেলার সব থানার ওসিকে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পৃষ্ঠপোষকদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
‘বিএনপি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছে যে, ঢাকার বিশেষ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের সব জেলার পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ এলাকার সব থানার ওসিদের কাছে ওয়ারলেস বার্তার মাধ্যমে এ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছেন। তারা বলেছে, বিরোধী দলের নেতা ও অনুসারীদের তথ্য সংগ্রহ করুন,’ বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সংবিধান বা দেশের প্রচলিত অন্য কোনো আইন বা বিধি অনুযায়ী পুলিশ এভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। ‘পুলিশ সুপার ওসিদের কাছে ওয়্যারলেস মেসেজ বা অন্য কোনো মাধ্যমে যে তথ্য চেয়েছেন তা বেআইনি ও স্বেচ্ছাচারী। এটি একটি বিচারবহির্ভূত এবং অননুমোদিত পদক্ষেপ।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে দমন করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিএনপি এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধ করে ভবিষ্যতে এ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাদের সমর্থক ও দাতাদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী, কোনো দলীয় বাহিনী নয়। পুলিশ বাহিনীর আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করার কথা নয়। আমরা মনে করি তাদের উদ্দেশ্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে হয়রানি করা।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
আ.লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে চায়: বিএনপি
বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) চান না বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। তারা ফাঁকা মাঠে গোল করতে এবং ওয়াকওভার পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আমরা বলেছি জনগণ আর এ ধরনের নির্বাচন মেনে নেবে না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার চায় সব দল অংশগ্রহণ করুক-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মন্তব্যের জবাবে শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, আমরা তো একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তবে তা হতে হবে প্রকৃত নির্বাচন, ওটা তামাশা হওয়ার জন্য হলে হবে না।
ফখরুল বলেন, যারা নির্বাচনের আগের রাতে ভোট করে ফেলে, ১৫৪ জনকে বিনা ভোটে নির্বাচিত করে, বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেয় এবং মাঠ ফাঁকা করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটা মেনে নেয়া যায় না যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন হবে…এভাবেই সামরিক স্বৈরশাসকরা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে কারণ তারা জনগণের কাছে যেতে এবং তাদের কাছে ভোট চাইতে ভয় পায়। এটাই তো বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছেন।
ফখরুল বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির ভয় পাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং, তারা (আ.লীগ) শঙ্কিত যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এটাই হচ্ছে মূল কথা। এজন্য তারা নানা কৌশল ও প্রতারণার মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করছে। তাই মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বের অন্যান্য স্বৈরাচারী সরকারের মতো আওয়ামী লীগও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য নির্বাচনকে প্রহসন ও খেলায় পরিণত করেছে।
এ অবস্থায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে সংলাপ করছি যারা এই সরকারকে মানে না। যারা মনে করে এই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা ছাড়া না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রশ্নই উঠে না।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টের জন্য রাজবাড়ীতে মহিলা দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ‘ভয়ানক স্বৈরাচারে’ পরিণত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজবাড়ীতে দুই নাবালক সন্তান রয়েছে এমন এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তার অপরাধ তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কি ঈশ্বর, যে আপনার বিরুদ্ধে কিছুই বলা যাবে না?’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে কারও সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে এবং মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সরকার এমন এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছে যে পুলিশ আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নাম সংগ্রহ করছে। তারা দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই, এই সরকারকে আর সময় দেয়া যাবে না। কেননা তারা জাতির ওপর বোঝা হয়ে দাঁডড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) করা মামলায় বুধবার ভোররাতে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।
জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আয়োজিত আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আবদুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নয়াপল্টন থেকে বের হওয়া র্যালিটি কাকরাইল ও আরামবাগ মোড় হয়ে একই এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকার যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা যানজটের মুখে পড়েন।
ফখরুল বলেন, যুবসমাজসহ দেশের মানুষ ‘স্বৈরাচারী’ শাসন উৎখাতের শপথ নিয়ে প্রতিদিন জেগে উঠছে। ‘আমাদের মিছিল-সমাবেশে জনগণের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব।’
বাংলাদেশের জনগণ যাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক তথ্য জানতে না পারে সেজন্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, চুরি ও লুণ্ঠনের সংবাদ ঠেকাতে সরকার ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গণমাধ্যম বা অন্য কাউকে কোনো তথ্য না দেয়ার জন্য একটি সার্কুলার জারি করেছে।
তারা জাতিকে সঠিক খবর থেকে বঞ্চিত করতে চায়।
এর আগে সোমবার আইসিটি বিভাগ সংবেদনশীল ডেটার সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের অধীনে ২৯টি সংস্থাকে ‘সমালোচনামূলক তথ্য অবকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যার অধীনে কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস বা নেটওয়ার্কগুলিতে কোনও অবৈধ অ্যাক্সেস একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
ত্রয়োদশ সংশোধনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা পেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দল সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের আলোকে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি ফর্মুলা পেশ করবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সঠিক সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা জানতে পারবেন। আপনারা আরও জানতে পারবেন কখন আমরা একযোগে আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার তিনি ২০ দলীয় জোটের দুই শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এই বিএনপি নেতা বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৫৮ (বি) (সি) (ডি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা তৈরি করা হচ্ছে। ‘এই রূপরেখাটি (১৩তম সংশোধনীর) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হবে।"’
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়তে তাদের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল ১০টায় লেবার পার্টির সঙ্গে এবং বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এনপিপির সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৯৯৪ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালায় আওয়ামী লীগ এবং ১৯৯৬ সালে তীব্র আন্দোলনের মুখে বিএনপিকে তা মেনে নিতে বাধ্য করে।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে একতরফা জয়লাভ করে বিএনপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং ১৯৯৬ সালের ২৭শে মার্চ সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী পাস করে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৩ তম সংশোধনীকে বেআইনি বলে বাতিল করায় ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
গত দুটি সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পর থেকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ফখরুল বলেন, তারা লেবার পার্টি ও এনপিপির সঙ্গে খসড়া দাবি ও আসন্ন যুগপৎ আন্দোলনে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘মূল দাবির মধ্যে অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ ভেঙে দেয়া, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েকটি দাবিতে আমরা একমত হয়েছি। খালেদা জিয়া ও আমাদের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।’
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনার পর বিএনপি মহাসচিব বলেন, দাবি ও ইস্যু চূড়ান্ত করে তারা যুগপৎ আন্দোলনে যাবেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান তার দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এনপিপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার কল্যাণ পার্টির সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু করে বিএনপি। সরকারবিরোধী আন্দোলনের দাবি ও ইস্যু চূড়ান্ত করতে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও অলি আহমেদের এলডিপির সঙ্গেও সংলাপে বসে দলটি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার' করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল