%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানতে চায় জ্বালানি খাতে বছরে কত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত?’
রাজধানীর মিরপুর এলাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠে জাতীয় পার্টির মিরপুর ও শাহ আলী থানা ইউনিটের কাউন্সিলে বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি জানান, যারা প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন তাদের তালিকাও তারা জানতে চান। অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। অর্থ পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে সরকার নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাঁচাতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না।
ড. জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের স্বার্থের কথা বললে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজেন।
দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি নেতা বলেন, আমাদের বোকা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন সারা দেশে এখন লোডশেডিং হচ্ছে? ডলারের দাম কেন এত বেড়েছে? জ্বালানির দাম এত বেড়েছে কেন?
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: জিএম কাদের
জনতার ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসক আওয়ামী লীগ সরকার জনরোষের সুনামিতে ভেসে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ জেগে ওঠায় তাদের (সরকারের) পতন অনিবার্য। রাজপথে জনতার যে ঢেউ উঠবে সেই ঢেউয়ের সুনামিতে এই ফ্যাসিবাদী ও দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে চলে যাবে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংকট, পুলিশের গুলিতে রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণকে সংগঠিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আত্মাকে ধ্বংস করেছে বলে জাতি এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেই আত্মাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এই সরকারকে সরাতে আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে।’
তিনি বলেন, নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এখন তাদের সংসার চালাতে চরমভাবে হিমশিম খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ‘বিশাল শোডাউনের’ প্রস্তুতি বিএনপির
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা কী তা এখন বলার দরকার নেই। কত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা রাস্তায় বাস যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করুন। রিকশাচালক, কৃষক ও শিক্ষকসহ সকল মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, মধ্যবিত্ত মানুষ, যারা তাদের দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না এবং পণ্যের অতিরিক্ত দাম বহন করতে পারে না, তারা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি শিকার।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের চাপের কারণে সরকার এখন বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও প্ল্যাটফর্মকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিচ্ছে। ‘তারা এখন একটি গণতান্ত্রিক এবং বিনয়ী দল হওয়ার ভান করছে। এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতারণা তাদের চরিত্রের মধ্যে গেঁথে আছে।’
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
ফখরুল আরও বলেন, ‘ব্যাপক লুণ্ঠনের কারণে ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও লুট হয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার কিছুদিন আগে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পরিণত করার স্বপ্ন দেখছিল, কিন্তু ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় এখন ঋণ চাইছে। ‘তারা আমাদের সম্পদ চুরি ও ছিনতাই করেছে এবং বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৮২৭ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পাচার হচ্ছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে সরকারকে পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ফলাফল কারচুপি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরতে চাইছে। ‘ইভিএম প্রতারণার হাতিয়ার। ক্ষমতায় বসতে আওয়ামী লীগের কাছে ইভিএম ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ইভিএমের মাধ্যমে ধানের শীষে ভোট দিলে ভোট গণনা হবে নৌকায়। তাই তারা ইভিএম ব্যবহার করতে চায়।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
রাজপথ দখলের হুমকির জন্য বিএনপির নিন্দা কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পরিকল্পিত অরাজনৈতিক পন্থায় দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
শুক্রবার সকালে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে কাদের এ কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তা দখলের নির্দেশ প্রসঙ্গে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সড়ক কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, রাস্তা জনগণের। তাই অতীতের মতো আবারও রাস্তা দখলের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে জনগণ যোগ্য জবাব দেবে।
আওয়ামী লীগকে শিগগিরই রাজপথে দেখা যাবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চিৎকার তাদের ব্যর্থতা আড়াল করার কৌশল মাত্র।
তিনি বলেন, বিএনপি আবারও জনগণের সম্পদ লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করতে এবং হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের অপার সম্ভাবনাকে রুদ্ধ করতে ক্ষমতায় ফিরতে চায়।
তিনি আরও বলেন, জনগণ আর কখনও তাদের সেই সুযোগ দেবে না।
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি নিজেই দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের ওপর বিএনপির কোনো আস্থা নেই বলে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক মেরুদণ্ড খুবই নাজুক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায় কিন্তু নির্বাচনে যেতে ভয় পায়।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আর সংসদে যাননি বিএনপি মহাসচিব। এর পরিবর্তে তিনি দলের অন্যদের সংসদে পাঠিয়েছেন বলে জানান কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি বিএনপির জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে উল্লেখ করেন কাদের।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়ার দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে: ওবায়দুল কাদের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকার এখন জনদুর্ভোগ নিয়ে কম মাথা ঘামায়।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তেলের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহার করলে এবং বিগত বছরগুলোতে অর্জিত মুনাফা সমন্বয় করলে সরকারকে আর জ্বালানির দাম বাড়াতে হতো না।
তিনি বলেন, ‘যে সরকার জনদুর্ভোগের কথা না ভেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে, তারা জনগণের সরকার হতে পারে না। গণবিরোধী সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে না।’
আরও পড়ুন: দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
সরকার নানাভাবে মুনাফা করছে এবং উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অর্জিত মুনাফার অর্থ ব্যাংকে রাখছে এবং এক চতুর্থাংশ বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে প্রজাতন্ত্রের নামে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। উন্নয়নের নামে দেশে ঘুষ-দুর্নীতির জোয়ার বইছে।’
অনুষ্ঠানে জিএম কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ: জিএম কাদের
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিশাল সমাবেশ চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে সমাবেশ শুরু হয়।
সকাল থেকেই দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়ে সড়কের একপাশ অবরোধ করে।
বিজয়নগর ক্রসিং থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তার অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সিনিয়র নেতা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
এর আগে গত সোমবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চলমান লোডশেডিং এবং ভোলায় পুলিশের হাতে দলটির সহযোগী সংগঠনের দুই নেতা মৃত্যুর প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে দলের সকল মহানগর ও জেলা ইউনিট প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে।
সরকার গত শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন এবং পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই সপ্তাহ ধরে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে এবং বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
গত ৩১ মে ভোলায় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে করা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের এক মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত হন।
পরে আহতদের মধ্যে একজন ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ‘বিশাল শোডাউনের’ প্রস্তুতি বিএনপির
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে ‘বিশাল শোডাউন’ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
আন্দোলনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলকে শক্তিশালী বার্তা দিতে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট এরই মধ্যে রাজধানীর সব ওয়ার্ড থেকে জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বুধবার ইউএনবিকে দলটির শীর্ষ নেতারা এসব কথা জানিয়েছেন।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, জনগণ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে তখন সরকার জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তারা সরকারের এই অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশে বিশাল জনসমাগম প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেবেন।’
সালাম জানান, নগরবাসী যারা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, তারাও সমাবেশে অংশ নেবেন বলে তারা আশাবাদী।
তিনি বলেন, সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশকে ব্যাপক সফল করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে কি না জানতে চাইলে সালাম বলেন, তারা বিষয়টি পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন জনসমুদ্রের সাক্ষী হবে। ‘এটি একটি স্মরণীয় সমাবেশ হবে কারণ আমরা এর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তারা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাবেশ করবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সমাবেশের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে আমাদের শক্তি সম্পর্কে বার্তা দেব এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাব।’
এর আগে সোমবার জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদ সমাবেশসহ দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
'গণতন্ত্র মঞ্চ' রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন ও রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে 'গণতন্ত্র মঞ্চ' নামে যে জোট গঠন করেছে, রাজনীতি কিংবা ভোটের মাঠে তার কোনো গুরুত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় মন্ত্রী তার মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সোমবার জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন -এই সাত দলের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ জোট গঠনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ৭ দলীয় একটি জোট গতকাল গঠিত হয়েছে দেখলাম। যারা এই জোট গঠন করেছে, তারা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এরা প্রত্যেকেই নানা দল করে, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।'
'এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো গুরুত্ব নেই' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তারা মিলে একটি জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মাত্র, অন্য কিছু না।'
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
এর আগে সকালে মহাখালীতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জের ধরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, '২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামাত সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলি দিতে হবে। তাসলিমা বেগম রেনু সেসময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামাত সৃষ্ট গুজবের প্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শুধু তাসলিমা বেগমই নয়, বিএনপি-জামাতের গুজবের কারণে আরও অনেককে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।'
'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশনা দিয়েছেন' উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় রেনু বেগম হত্যার বিচারের বিষয়েও দলীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
সাতটি রাজনৈতিক দল মিলে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোটকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য বিরোধী জোট হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের উত্থান একটি সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সূচনাকে স্বাগত জানাই। তারা (নতুন জোট) যে দাবিগুলো বলেছে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি।’
মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল বলছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি তারা (নতুন জোট)ও একই দাবি করছে। তাই আমরা মনে করি এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রচেষ্টার সাফল্য। আমরা মনে করি এটি ভবিষ্যতের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য একটি পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
এর আগে সোমবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সাতটি বিরোধী দলের নতুন প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ (গণতন্ত্র ফোরাম) চালু করা হয়।
জোটের শরিক দলগুলো হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী ওনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন।
একযোগে আন্দোলনের জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর প্লাটফর্ম গড়ে তোলার পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, তাদের প্রচেষ্টা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য তারা এখনও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ছাড়া এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তাদের দল ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করেছে।
ড. নজরুল বলেন, ‘অনেক মন্ত্রী আছেন যারা বলছেন, আমরা আন্দোলন করতে পারি না... আন্দোলন মানে সংগঠিত উপায়ে জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। তা হরতাল বা অন্য বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে। এটা এমন নয় যে আমরা হরতাল বা অবরোধ কার্যকর করতে পারব না। তবে কেন আমরা অনুপযুক্ত সময়ে এলোমেলোভাবে এটি করব? ’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পতনের ভয়ে বিএনপি ও এর আন্দোলনকে নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করছেন। ‘তাদের মন্তব্যে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ আছে। তারা মহা বিপদে আছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে লোহাগড়া উপজেলার পারশালনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কাজী তারিকুল ইসলাম (৪২) উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই।
আরও পড়ুন: খালাসের পরও কারাগারে ৭ বছর: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
সোমবার সন্ধ্যায় নড়াইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গালমন্দ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে কাজী তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) সকালে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সরকার আন্দোলনে ভীত-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণতো কিছু দেখছে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একবার শুনি রাজপথ দখলে নেবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দেবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।
জ্বালানি সঙ্কটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ সংকট কোনো দেশের নয়, পুরো বিশ্ব একই সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করেই বিএনপি ও তাদের দোসররা সরকারকে দোষারোপ করছে।
দুর্নীতির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি নড়চড় হয়নি।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে এবং জনসাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া উচিত নয়। অন্যথায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
তিনি গণপরিবহনে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করার অঙ্গীকার করেন।
পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল