%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
সরকার সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী বাকশালী চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ ‘মুজিবকোট’ পরা লোকেরাই সরকারের সার্চ কমিটিতে থাকবেন। নবগঠিত এই সার্চ কমিটি সেই অনুমানেরই নিরেট বাস্তবতা। এটাকে সার্চ কমিটি না বলে বরং ‘আওয়ামী লীগের খাস কমিটি’ বলাটাই যুক্তিযুক্ত মনে করি।”
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি এবং ইসি গঠন করতে তারা যাদের খুঁজে আনবে তারা সবাই একই নৌকার যাত্রী। তারা একই ঝাঁকের কৈ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রস্তাব করবে তারা সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য হবে।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার দ্বারা আরেকটি নীলনকশার ভোট ডাকাতির নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে নিখাদ আওয়ামী লীগের চেতনার মানুষদের অনুসন্ধান করাই এই সার্চ কমিটির অভীষ্ট লক্ষ্য।’
এর আগে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান (সভাপতি) করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
সার্চ কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে।
সার্চ কমিটির সদস্যরা কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত তা বর্ণনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির বর্তমান প্রধান ওবায়দুল হাসান আগের দুই সার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পরীক্ষিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ পদপ্রার্থীও ছিলেন। তিনি বাকশাল ছাত্রলীগের বড় নেতা ছিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ছহুল হোসাইন সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন। ২০১৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে সাংসদ পদের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন।’
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম হামিজ উদ্দিন সেখের ছেলে। তাঁর ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আরেক সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক জন্মান্ধ আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের একান্ত অনুরাগী ও দৃঢ় সমর্থক প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী তিনি। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মেডিকেল সেন্টারে চাকরি করেছেন। হাসিনা মার্কা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এরা বিশেষজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
রিজভী বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি অথবা নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের জনগণ বা বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ বিশ্বাস করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে আগামী নির্বাচন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে ব্যবস্থা করুন।
সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না রেখে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন হবে 'অর্থহীন চর্চা’- এমনটাই মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সার্চ কমিটির কোনো মূল্য নেই। এটা একটি অর্থহীন চর্চা মাত্র।
ইউএনবির সঙ্গে ফোনালাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, সার্চ কমিটি নিয়ে তাদের দলের কোনো আগ্রহ নেই।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা মনে করি, জনগণকে আবারও প্রতারিত করতে সরকার অপকৌশলের অংশ হিসেবে এই কমিটি গঠন করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন কোনোটি নিয়েই জনগণ আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নয় নির্বাচনকালীন সরকার জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ মনে করে আগে একটি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অতএব নির্বাচন কমিশন এখন কোনো ইস্যু নয়।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই প্রশাসনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রী
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সার্চ কমিটি তাদের দলের কথা বলার বিষয় নয়। তারা এ বিষয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, তাদের দলের মূল ফোকাস হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি মনে করেন সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারে না। ভোটের সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমরা নির্বাচনে যাব না। ’
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আর ক্ষমতায় যেতে না পেরে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা প্রতিনিয়তই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিএনপি তখন রীতিমতো টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশরিবোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত ৪০৩টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত পুনর্বাসন সহায়তার নগদ ৪৩ লাখ টাকা বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মূলত এদেশকে মনেপ্রাণে এখনও ধারণ করতে পারে নাই, তাদের ধ্যান-জ্ঞান হলো পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে জনকল্যাণের জন্য। আওয়ামী লীগই পৃথিবীর ইতিহাসে একটি মাত্র দল, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দল বাংলাদেশ নামের জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ অগ্রগতিকে ব্যহত করতে পারবে না।
এনামুল হক শামীম বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই এই দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এসেছে, এলাকা আলোকিত হয়েছে। এ এলাকায় এখন আর নদীভাঙন নেই। এ অঞ্চলের মানুষ সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলী গের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতায় কর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও নেতারা হতাশ এই ভেবে যে, বেগম জিয়ার সুস্থতা তাদের আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য 'খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিতে হবে' -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাতে বিএনপি নেতারা হতাশ; কারণ তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য তাদের দেশব্যাপী যে সভা-সমাবেশ আন্দোলন করছিল, তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে ডাক্তাররা। ডাক্তারেরা বলছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং তার যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আর্থরাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ডাক্তার কি কখনো কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে বাড়িতে পাঠায় -প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, 'রিজভী সাহেব হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। অপরদিকে কর্মীরা চেয়েছিলেন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন, কিন্তু এতে নেতাদের মনে স্বস্তি নেই।'
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক ফোরাম অনেকগুলো জনপ্রিয় পত্রিকার একটি বড় ফোরাম। করোনাকালের নানা প্রতিকূলতার এই সময়ে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বন্টন যেন কয়েকটি পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাদের বকেয়া বিল সহজে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা তুলে ধরেছেন।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ আজকে অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু যাদের এই উন্নয়ন- অগ্রগতি পছন্দ নয়, তারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বিদেশিদের কাছে নানা ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং জনগণ যেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় সেবিষয়ে সম্পাদক ফোরাম তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।'
বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু ও রিমন মাহফুজ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১৮ হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
১৩টি ছাত্র হলের নেতৃত্বে যারা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; কবি জসীমউদ্দীন হলের সভাপতি মো. সুমন খলিফা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শান্ত; বিজয় একাত্তর হলের সভাপতি সাজিদুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস; মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহান ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান; হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলের সভাপতি শহীদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন; সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন; স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন; জগন্নাথ হলের সভাপতি কাজল দাস ও সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মন; সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার; ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম; ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি আনোয়ার হাসান নাঈম ও সাধারণ সম্পদক আবু হাসিব মুক্ত; অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হাসান সোহাগ।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
পাঁচ ছাত্রী হলের নেতৃত্বে যারা
বেগম রোকেয়ায়া হলের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা; শামসুন্নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি ও সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রুবাইয়াত; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন; বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি হিসেবে পূজা কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রিমা আক্তার ডলি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নতুন হল নেতাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন থাকার পর মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে চিকিৎসকরা ম্যাডামকে (খালেদা) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে তিনি এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তিনি ক্লিনিক্যালি স্থিতিশীল, কিন্তু নিরাময় এবং রোগমুক্ত নয়... করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে আপাতত বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এরপর যদি কোনো সংকট দেখা দেয়, আমরা তাকে আবার হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত।’
তিনি জানান, তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন।
ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞসহ বিদেশের পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলেরই একই মতামত, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদার রোগের শেষ চিকিৎসা হলো লিভার প্রতিস্থাপন, কিন্তু তিনি এখন সেই অবস্থানে নেই।’
মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ রয়েছে, তবে তার অসুস্থতার জন্য তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আমরা লক্ষ্য করছি যে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এই হাসপাতালের ৩৮০ জনেরও বেশি স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, মেডিকেল বোর্ড তাকে ছেড়ে দেয়ার এবং আমাদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে তার চিকিত্সা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের উৎস বন্ধ হয়েছে। তিনি এখন ব্যাপক রক্তক্ষরণে ভুগছেন না। কিন্তু কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না যে আবার তার বেশি রক্তপাত হবে না।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যে মিথ্যাচার করে সেটি খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়াতিনি বলেন, বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেয়া না হয় তাহলে তার যেকোনো সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তারা একই কাজ করেছিলো। আগেও যখন বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করে, এটি প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো)'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ মঙ্গলবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকরা আজ সন্ধ্যায় ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন খালেদা।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
শায়রুল বলেন, এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বিএনপি প্রধানের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা বিষয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে বিএনপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: কাদের
১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের সাম্প্রতিক প্রমাণের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রের অর্জন ও ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিরোধী দল অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই এই দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করছে। দেশের সব অর্জনের সঙ্গে রয়েছে দলটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনার অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও বিতর্কিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
দেশের জনগণের জন্য সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব) নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে; সাহায্য সরকারের জন্য আসে না। যে রাজনৈতিক দল নিজে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা মহামারি ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেক্ষে প্রতিরোধসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম গতকাল বিএনপির একটি সভা হয়েছে, সেই সভায় পলাতক আসামি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে সেই সংবাদ দেখলাম। এটি হাইকোর্টের নির্দেশনার বরখেলাপ।’
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করতে হয়েছে।
বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে যত অপপ্রচার চালিয়েছে সে জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদেরও আমরা করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছি। বিএনপির যে নেতারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, আসুন আমরা আপনাদের বুস্টার ডোজ দেব। যেন আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কিন্তু দয়া করে অহেতুক সমালোচনা করবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন পাস করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ‘না’ রোগে পাওয়ায় তারা অহেতুক এ আইনের বিরোধিতা করছে। “আসলে বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সব কিছুতেই না বলা। না বলতে বলতে নিজেরাই যে কখন নাই হয়ে যায়, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।”
আরও পড়ুন: বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী