%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন কারণ ব্যাখ্যা না করে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার, খালেদাকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছিল, প্রায় এক সপ্তাহ পরে তিনি একই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালে খালেদা জিয়ার কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ বছর তৃতীয়বারের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। গত ১২ অক্টোবর জ্বর ও অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় খালেদাকে দ্বিতীয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২৬ দিন চিকিৎসার পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। ২৫ অক্টোবর বিএনপি প্রধানকে এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার ও বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
পরে, তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল এবং ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ শনাক্ত করা যায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা পরবর্তী জটিলতা ও অন্যান্য কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে: বিএনপি
নাটোরে তাঁতী লীগের সভাপতি আটক
অস্ত্রের মুখে প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্রে সই করানোর অভিযোগে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা তাঁতী লীগ সভাপতি শামসুজ্জামান মোহনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম: আ’লীগ নেতা আটক
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ১০ নভেম্বর রাতে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের পকেটখালী এলাকায় পিস্তল ঠেঁকিয়ে ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রাব্বানীর কাছ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্রে সই করিয়ে নেয় মোহনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। এ ঘটনায় গোলাম রাব্বানী থানায় অভিযোগ করলে শনিবার মোহনকে করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ভাতিজিকে ধর্ষণের’ অভিযোগে আ’লীগ নেতা আটক
গত ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন নির্বাচনে জামনগর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহ আলম নির্বাচন করছেন।
সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে: বিএনপি
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) নির্বাচনী সহিংসতায় অনেক মানুষ মারা গেছে। অথচ আগে সাধারণ মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে উৎসাহের সাথে অংশ নিত, কিন্তু সরকার তা-ও ধ্বংস করে দিয়েছে।’
এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনকে যেভাবে ধারালো অস্ত্র, পিস্তল ও লাঠি হাতে দেখা গেছে তা অকল্পনীয়। কিন্তু মন্ত্রীরা বলছেন এটা একটা স্বাভাবিক ঝগড়া-ঝাটি। আমরা বলতে চাই এসব ঘটনার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য এখানে কাউকে রাজনীতি করতে না দেয়া এবং এইভাবে তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করা।’
ব্যাপক সহিংসতা সত্ত্বেও ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বর্ণনা করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘এই ভদ্রলোকের (সিইসি) লজ্জা-শরম নেই।’
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: দামুড়হুদায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভার্চুয়াল সামিট ফর ডেমোক্রেসিতে ১০০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু লজ্জার বিষয় যে সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। তার মানে দেশ এখন অগণতান্ত্রিক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ যে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দুঃশাসনের’ কারণে জাতি কঠিন সময় পার করছে। এখন কেউ সুখী নয়। আমরা সবাই এখন অস্বস্তিতে ভুগছি।’
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সর্বস্তরের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
ইউপি নির্বাচন: দামুড়হুদায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
কারচুপির অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) ও সজীব মাহমুদ (হাতপাখা)। আর নির্বাচনী এলাকায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোনাজাত হোসেন (গোলাপ ফুল)।
এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেনসহ ওই তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন ও সজীব মাহমুদ জানান,জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র বাদে সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবসায়ী নিহত
নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে নিচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও পরবর্তীতে আবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করছি।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোনাজাত হোসেন জানান, নৌকা প্রার্থীর লোকজন আধিপত্য বিস্তার করছে। তারা জুড়ানপুর ইউনিয়নে কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা নৌকায় সিল মারছে। তাই আমি ভোট বর্জন করছি।
জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তিন প্রার্থী আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: নরসিংদীতে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩
চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেনি, এর বিকাশ এখনও অব্যাহত রয়েছে। বুধবার আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের সাথে রাজধানীর ‘নূর হোসেন চত্বরে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালের স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে আমাদের দেশের গণতন্ত্র মুক্ত হলেও এতদিনেও তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেনি।
কাদের আরও বলেন, আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করছেন: ওবায়দুল কাদের
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা প্রয়াত গণতন্ত্রপন্থী নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
৮০’র দশকের শেষের দিকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তরুণ গণতন্ত্রপন্থী কর্মী নূর হোসেনের মৃত্যুর স্মরণে প্রতি বছর শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের নেতা নূর হোসেন গুলিস্তানের কাছে জিরো পয়েন্টে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচএম এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
সেদিন বুকে ও পিঠে সাদা অক্ষরে লেখা ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই যুবক। তার মৃত্যুর পর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এক গণ-অভ্যুত্থানের রূপ নেয়, যার মাধ্যমে অবশেষে এরশাদ সরকার উৎখাত হয়।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ওই যুবককে গুলি করে হত্যার পর জিরো পয়েন্টের নামকরণ করা হয় ‘নূর হোসেন চত্বর’।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: কাদের
গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১০ নভেম্বর (বুধবার) ঢাকা ছাড়া বিএনপির সব মহানগর ইউনিট বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
এছাড়া ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) জেলা সদরে দলের সব জেলা ইউনিট একই কর্মসূচি পালন করবে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
ফখরুল বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এখন আরও বাড়বে, সাধারণ মানুষকে করুণ অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, জনগণকে ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এখন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন,আমাদের মানুষকে জাগাতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে এবং মানুষ আরও অসহায় ও দরিদ্র হবে। সুতরাং, এই শাসনকে উৎখাত করতে আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ: ফখরুল
বুধবার, সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পেট্রোলিয়ামের দাম পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৭ দিনের চিকিৎসা শেষে তার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ ফিরেছেন।
তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা) শারিরীক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন।’
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীরের একটি অংশে ছোট লাম্প থাকায় বায়োপসি করানো হয়।
আরও পড়ুন:খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন বিদেশে পাঠানো হয়েছে: ডা. জাহিদ
সেসময় তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন:খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করে বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ‘বিলুপ্ত’ করে দেশে ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, দেশে যেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই সেখানে গণতন্ত্র নেই । বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। ৩৫ লাখের বেশি দেশপ্রেমিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
সরকার বিরোধীদের দমন করতে গুম, হত্যা ও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, তারা (সরকার) ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করায় দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’: ফখরুল
১৯৭৫ সালের ১৭ নভেম্বর ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের’ স্মরণে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে জনগণের শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, এই দিনে আমরা এই দেশের জনগণকে ও সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে (কারাগার থেকে) মুক্তি দিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আবারও স্বাধীন শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ অবশ্যই নিজের পায়ে দাঁড়াবে। আমরা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, সেদিন জনগণ যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল তা বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছিল। ৭ নভেম্বর বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জিয়াউর রহমানের অধীনে গণতন্ত্র, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত অর্থনীতি প্রবর্তন করেন এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন।সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশ আবার সমাজতন্ত্র, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় যখন সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছিল।আমরা এই দিনটিকে বারবার স্মরণ করি কারণ এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব অর্জন এবং জনগণের সব আশা-আকাঙ্খা ধ্বংস করেছে। তারা নিজেদের হাতে নির্মমভাবে রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ধ্বংস করেছে।
এর আগে ফখরুল ও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
বিকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ২৭ দিনের চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ রবিবার বিকেলে বাড়ি ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন,ম্যাডামের (খালেদা) অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, বিকেলে গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়বেন খালেদা জিয়া।
গত ১২ অক্টোবর জ্বর ও অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে খালেদা জিয়াকে দ্বিতীয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
২৫ অক্টোবর, বিএনপি চেয়ার এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার ও বায়োপসি পরীক্ষা করিয়েছিলেন।পরে,তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির এ ধরনের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর আগে ২৭ এপ্রিল খালেদাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
দেশের মানুষ না খেয়ে থাকার অবস্থায় পৌঁছেছে: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে লাগামহীন হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মানুষের না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।’
শনিবার সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স,বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এ সময় দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এক রাতের মধ্যে ডিজেল আর কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বলতে পারেন এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এমন সময় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালো যখন দ্রব্যমূল্য বাড়তে বাড়তে এমনিতেই আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে। তার মানে বলা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য একসাথে দ্বিগুণ বাড়ানো হলো। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সাধারণ মানুষ না খেয়েই মারা যাবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’: ফখরুল
এ সময় ফখরুল বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণমুখী সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে ফখরুল আরও বলেন,‘আসুন, এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং জনগণের সাথে রাজপথে নেমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করি।’
বিএনপির এই জেষ্ঠ্য নেতা বলেন, ‘জনগণ জেগে উঠেছে,তারা এখন তাদের ভোট ও অন্যান্য অধিকার আদায়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। তাই সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে অন্যের ওপর নির্ভরশীল একটি ব্যর্থ ও পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
সরকার বাংলাদেশকে ঋণগ্রস্ত করার জন্য উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের চারপাশে তাকাই, তবে আমরা দুর্নীতি, লুট আর চুরি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত সাত মাসে সহিংসতায় ক্ষমতাসীন দলের ৮৪ নেতা-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে তারা (আ.লীগ নেতা) নিজেরাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে। তারা লুটপাট, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও নানা সমস্যায় লিপ্ত হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার সময় ক্ষমতাসীন দলই সাম্প্রদায়িক ঘটনার উসকানি দিয়েছে। আবার তারাই বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’
তিনি বলেন,‘যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষকে দমন করতে এগুলো তাদের পুরনো স্টাইল। তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও একই কাজ করেছিল।’
আরও পড়ুন:আ’লীগের অধীনে কোন নির্বাচনের ফাঁদে পা দিচ্ছি না: ফখরুল