%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ফরিদপুরে ডিসি অফিসে বিএনপির স্মারকলিপি
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে দলটির নেতারা।
বুধবার বেলা ১১টার সময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানো না হলে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
বক্তরা বলেন, সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতেই দেশ নেত্রীর প্রতি এমন মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে। মানবিক বিবেচনায় বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান তারা।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদারেরছ আলী ইছাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছেন, একাধিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল বলেন,তিনি এখন জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড আজ বৈঠকে বসেছে। এখন পর্যন্ত আমরা যা জানতে পেরেছি তা হলো তার অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি।
তিনি বলেন, যখন আমি তাকে বেশ কয়েকবার দেখতে গিয়েছি তখন আমি তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী পেয়েছি। চিকিৎসকরা আরও বলেছেন যে তার অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী যা তাকে চিকিৎসায় সাড়া দিতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৪
ফখরুল বলেন,ইস্যুটিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে এবং দেশ ও জনগণের প্রতি তার অবদান বিবেচনা করে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এখানে তাকে সর্বকালের সেরা চিকিৎসা দিচ্ছেন, কিন্তু তার গুরুতর অবস্থার কারণে দেশে তার সুস্থতা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা আমাদের তিনটি দেশের নাম প্রস্তাব করেছেন। যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানি। যেখানে তার চিকিৎসা সম্ভব।
উল্লেখ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর খালেদা জিয়াকে ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়ায় সরকারের কোনো আইনি বাধা নেই বলে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, তারা স্মারকলিপিটি বিবেচনা করে দেখবেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০
আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন। আওয়ামী লীগ সরকারকে ২০ বছর গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। কিন্তু এখন আর আমাদের সাথে লড়াই করা সহজ হবে না। কারণ আমাদের শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে।
সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের মসৃণ এবং টেকসই উত্তরণের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির সুবিধার্থে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত, এনজিও, নাগরিক সমাজ ও শিক্ষাবিদদের সাথে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিজিএস এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী, গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন এবং নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
‘এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং কার্যকর উন্নয়ন সহযোগিতা’ শিরোনামের এই অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)- এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)- এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন ও নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. জোনায়েদ শফিক।
আরও পড়ুন: গণঅনশনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিএনপির সমালোচনা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
‘স্বল্পোন্নত দেশ বলার পরিবর্তে, আমাদের সবচেয়ে শোষিত দেশ বলা উচিত ছিল’ এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংলাপের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন, কীভাবে জাতি বিদ্যুতের অভাব এবং অনাহারে কাটিয়ে উঠে এলডিসিতে পরিণত হয়েছে তা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশে আয় বৈষম্য থাকলেও বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে বৈষম্য নেই।
তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে দুর্নীতি ছিল, কিন্তু সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক দিকে যেতে দেখলেও বাংলাদেশ এখনও ইতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে।
প্রথমে কী আসে, উন্নয়ন বা সুশাসন- এ আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুশাসনের গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রয়োজন।
আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অর্জন। এশিয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ সামাজিক সূচকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে। এ যাত্রাপথে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সেসব সমস্যা যেকোনো দেশেই হতে পারে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা নিতে হবে। ৫০ বছর আগে যেখানে দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল সমপরিমাণের, সেখানে ৫০ বছর পর এসে দক্ষিণ কোরিয়ার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি। তিনি গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের তুলনা করতে গিয়ে বলেন গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন একে অপরের বিকল্প হতে পারে না, আমাদের উভয়েরই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা আর নেই
জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, এলডিসি এর বিষয়টি এখনও শুধু নীতি-নির্ধারক পর্যায়েই রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সফলতা পেতে হলে সরকারের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, উন্নীত হওয়ার পর আমাদের কী করণীয় হবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নটা কি টেকসই হবে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সাথে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্বে তাদের অবস্থান সমুন্নত করতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন উন্নত দেশগুলোর সাথে আলোচনা করা। বেসরকারি খাতের দিকেও নজর দেয়ার কথা বলেন তিনি।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন সময় এসেছে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। যদিও বাংলাদেশ বাড়তি সময় চাচ্ছে, তবুও দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের উচিৎ হবে না বাড়তি সুবিধাটুকু নেয়ার। যদি কোরিয়া, ভিয়েতনাম পারে, তবে বাংলাদেশও পারবে।
অধ্যাপক ডা. জোনায়েদ শফিক বলেন, আমাদের দেশের ওষুধ শিল্পের প্রযুক্তি আছে, লোকবল আছে এবং কোনো কিছু আমাদের থামাতে পারবে না। এলডিসির সাথে সাথে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে। এখন শুধু প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা।
ভ্যান গুয়েন বলেন, আমাদের সবাইকে একত্রে নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিবর্তনের ধারা বজায় রাখতে হবে। ইউএনডিপি সব সময় বাংলাদেশের এই পথচলায় সাথে থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল বাধার সম্মুখীন হবে না: প্রধানমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মহাসচিবের মতবিনিময় মঙ্গলবার
দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের পরিকল্পনা নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান সোমবার ইউএনবিকে বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য চলমান আন্দোলন জোরদার করার জন্য দলের পরিকল্পনার বিষয়ে কথা বলবেন।
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
শায়রুল কবির বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফখরুল তাদের দলের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে সাংবাদিকদের মতামত নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত ১৫
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে তাদের আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের মতামতও নেবেন বিএনপি মহাসচিব।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর খালেদা জিয়াকে ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৪
খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও পাঁচজন ফটো সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে, পুলিশ চারজনকে আটকের কথা জানালেও বিএনপি নেতাদের দাবি,অন্তত ২৫জনকে আটক করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলছিল। এসময় নেতার্মীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয় এবং লাঠি চার্জ করে। দু’দফায় পুলিশ হামলা চালায়। এতে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটক করেছে।
এদিকে, পুলিশের লাঠিচার্জের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্থানীয় দৈনিক জন্মভূমি ও ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন আব্দুল হালিম, যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন আমির সোহেল, প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন ও এসএ টিভির ক্যামেরা পার্সন মোহাম্মদ ইব্রাহিম আহত হয়েছেন। তাদের জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত ১৫
নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে মারমুখী আচরণ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার বলেছেন বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য্ যে কোনো আন্দোলন করতে পারে। সেখানে পুলিশ কোন আক্রমণ করতে পারবে না। অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে।
তিনি বলেন, নেত্রীর মুক্তির জন্য মানবিক কর্মসূচীর আয়োজন করে নগর ও জেলা বিএনপি। সকাল থেকে প্রশাসন কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হাটতে বাধ্য হয়। পরে আবার তারা সমাবেশ শুরু করে। পরে সোয়া ১২ টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয়। আমাকেও গুলি করার হুমকি দেয়। তৃতীয় দফায় এসে তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ এ সময় টিয়ার সেল ছোঁড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীদের টানা হেচড়া করে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মীর কায়সেদ আলী, তিনি নিজে, সিরাজুল হক নান্নু ৫জন সাংবাদিকসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত ১৫
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলছিল। এসময় নেতার্মীদের ওপর পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এতে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ‘দৈনিক জন্মভূমি’ পত্রিকার সাংবাদিক দেবব্রত রায় আহত হয়েছেন। এসময় তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে মারমুখী আচরণ শুরু করেছে। তাদের আঘাতে আমাদের কিছু নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের দমাতে পারবেনা। খুলনার জণগন রক্ত দিতে প্রস্তুত। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য যে কোনো আন্দোলন করতে পারে। সেখানে পুলিশ কোনো আক্রমণ করতে পারে না। অনুমতি দেয়া সত্বেও পুলিশ আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০
নগর সভাপতি মঞ্জু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির জন্য মানবিক কর্মসূচির আয়োজন করে নগর ও জেলা বিএনপি। সকাল থেকে প্রশাসন কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হাটতে বাধ্য হয়। পরে আবার তারা সমাবেশ শুরু করে। পরে সোয়া ১২ টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয়। আমাকেও গুলি করার হুমকি দেয়। তৃতীয় দফায় এসে তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
এর আগে সকাল থেকে খুলনায় সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয় পুলিশ। অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড আগত দলীয় কর্মীরা জড়ো হতে থাকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলে দলে আসতে থাকে ও স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
সংসদের সামনে বিএনপির এমপিদের মানববন্ধন
নাটোরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী নাটোরে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুর দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গণঅনশনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিএনপির সমলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি নেতা কর্মীরা। এক পর্যায়ে নেতা কর্মীদের চাপে সড়কের একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিএনপি নেতা কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও বেশ কয়েক রাউন্ড টেয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে বুধবার সারাদেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেবে বিএনপি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সমাবেশে ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রীর (খালেদা) বিদেশে চিকিৎসার জন্য তার মুক্তির দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর (বুধবার) জনগণের সাথে আমাদের নেতাকর্মীরা সকল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেবে।
সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল। এসময় তিনি বলেন, আন্দোলন জোরদার করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই আমাদের হাতে।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশের কোনো উন্নত কেন্দ্রে যেতে দেয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা এখনও সঙ্কটাপন্ন: চিকিৎসক
একই দাবি আদায়ে শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে সাত ঘণ্টার গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর গত ১৩ নভেম্বর পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা আরও বলেছেন, তিনি এখন একটি গুরুতর কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি: ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোমবার বিএনপির সমাবেশ
কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা আর নেই
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা (৬৩) আর নেই। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এ রাজনীতিবিদের প্রথম নামাজে জানাযা রাজধানীর মোহাম্মদপুর তার নিজ বাসভবন এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ (কেআইবি) তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাযা হওয়ার হয়েছে। বাদ জোহর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে বাদ তৃতীয় এবং বাদ মাগরিব নিজ জন্মভূমি শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চতুর্থ নামাজে জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হবে।
কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা ১৯৫৮ সালের ৫ জানুয়ারি শেরপুরে নালিতাবাড়ীর ছিটপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
বদিউজ্জামান বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, নালিতাবাড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে তিনি অসুস্থ হলে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৩ অক্টোবর তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংকটাপন্ন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গত ৯ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় এবং ওই দিনই রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতাল এবং পরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রবিবার রাতে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
পড়ুন: টাঙ্গাইলের সাংসদ একাব্বর হোসেন আর নেই
সংসদের সামনে বিএনপির এমপিদের মানববন্ধন
রাষ্ট্রপতিকে তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। রবিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানান তারা।
বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, আমরা আজকে একটি অবৈধ সরকারের কাছে আবেদন করছি। কারণ কোন উপায় তো নেই। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। যেখানে চিকিৎসক পরিবার এবং দলের আবেদনকে উপেক্ষা করছে সরকার। সরকার তাদের নিজের মতো চলছে। আইনমন্ত্রী পাগলের প্রলাপ বকছেন। ৪০১ ধারা নিয়ে তিনি পজিটিভ নেগেটিভ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেলখানায় ঢুকে বেগম জিয়াকে আবার আবেদন করতে হবে।
খালেদা জিয়ার বাড়িকে সাবজেল ঘোষণা করে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া যেখানে আছেন সেখানেই সাবজেল ঘোষণা করা হোক। সেখান থেকেই তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশ নেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সরকার চাইলে তাকে ২৫ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে পারে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশ থেকে ডাক্তার আনার অনুমতি তিনি দিতে পারেন। পৃথিবীতে চিকিৎসাব্যবস্থা তো সহজ হয়ে গেছে। আমাদের ডাক্তাররা যা বলছে ইংল্যান্ডের ডাক্তাররাও তাই বলছে। সমস্যা তো হলো চিকিৎসা। দরকার লজিস্টিকস, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট। ম্যাডামের যে অবস্থা এদেশের ট্রিটমেন্ট নেই। তার যে সার্জারি লাগবে সেই সার্জারি ইকুইপমেন্ট কোথায়? আইনমন্ত্রীকে বলতে চাই, এর মধ্যে একটা কাজ করেন আপনি জাহাজে করে একটি হাসপাতাল এ দেশে নিয়ে আসুন।
এই সাংসদ বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার বক্তব্য শুনে আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করি না নেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে চাই আপনি আপনার নিজস্ব ক্ষমতাবলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। কারণ আপনাকে সেই সাংবিধানিক ক্ষমতা দেয়া আছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য ৫ দলের আবেদন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক
চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদদ হারুনুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি জায়গা উপনীত হয়েছে যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন, একেবারে অনুপস্থিত। সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন এর জন্য আজকে সত্যিকার অর্থেই আমার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই, প্রতিবাদ করার ভাষা নাই। একথা কি সুষ্ঠুভাবে প্রমাণ করে না প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া না পাওয়া।
তিনি বলেন, একজন আইনমন্ত্রী সিনিয়র ল ইয়ার। তিনি আইনের যে ব্যাখ্যা দেন সেটা এদেশের সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে না। হঠাৎ করে তিনি বলছেন, বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার সুযোগ দিবেন। আমরা তো বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার জন্য দাবি জানাইনি।
হারুন বলেন, ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই সরকার এযাবতকালে ৩০ জনের অধিক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা মওকুফ করেছে। বেআইনিভাবে আইনের বরখেলাপ করে খুনের আসামি, ইয়াবা সম্রাট, মানবপাচারকারী, টাকা পাচারকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর অন্যায়ভাবে সরকার জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা এখনও সঙ্কটাপন্ন: চিকিৎসক
তিনি বলেন, আমরা চাই অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। এর ব্যতিক্রম আমরা অন্য কোন কিছুই মানবো না। আপনারা আমাদেরকে বাধ্য করবেন না সংসদ থেকে বেরিয়ে যেতে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ও বিএনপির বিরোধীদলীয় হুইপ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আপনারা জানেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন করা হয়েছে। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি যখন কারাগারে জান তিনি পায়ে হেঁটে গেছেন। কিন্তু গত তিন বছরে তার কি হাল হয়েছে এটা দেশের মানুষ জানে। এর দায় এই সরকারকে নিতে হবে। কারণ গত তিন বছরে তিনি দল, পরিবার এবং নিজের হেফাজতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের হেফাজতে।
তিনি বলেন, আমরা দেখি সামান্য একটু হাঁচি, কাশি, সর্দি চিকিৎসার এমনকি রুটিন চেকআপের জন্য রাষ্ট্রপতি জার্মানি, ইংল্যান্ডে যান। কিন্তু আমাদের সরকার দলীয় এমপিরা আমাদের শোনায় উনার বেস্ট চিকিৎসা নাকি বাংলাদেশে হচ্ছে। বাংলাদেশে যদি সেরা চিকিৎসাটা হতো তাহলে কেন আমরা দেখি অতি সাধারণ মানুষও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চিকিৎসা জন্য ছুটে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি: ফখরুল
রুমিন বলেন, গত তিন বছরে বেগম জিয়ার উপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাকে কোন প্রকার ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়নি। যদি তিনি তার অসুখের চিকিৎসা করাতে পারতেন, সরকার যদি সেই সুযোগ দিতো তাহলে আজকে তার এই অবস্থা হয় না। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ৪০১ ধারায় সরকার যে কোন ব্যক্তিকে সাজাপ্রাপ্ত বা সাজাপ্রাপ্ত নয় তাদেরকে শর্তযুক্ত বা শর্তহীনভাবে দণ্ড মওকুফ করতে পারে কিংবা দন্ড স্থগিত করতে পারে। এ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সরকার দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে। কিন্তু এখন আইনমন্ত্রী বলছেন, ওনাকে কোন ভাবে তার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নাই। এটা একেবারেই ডাহা মিথ্যা কথা এবং আইনের অপব্যাখ্যা। আইনের ভুল ব্যাখ্যা। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলতে চাই, ৪০১ এর ক্ষমতাবলে সরকার যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকতো, দেশে সুশাসন থাকতো তাহলে কোর নির্বাহী আদেশের প্রয়োজন হতো না। বহু আগেই খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হতেন। জামিনে মুক্ত হতে যে শর্তগুলো প্রয়োজন- সামাজিক অবস্থা, তার বয়স, তার শারীরিক অবস্থার যেকোনো একটি বিবেচনায় তিনি জামিন লাভের যোগ্য। আমরা যেটা দেখলাম এই ফ্যাসিস্ট সরকার তার জামিন দেয়া দূরের কথা একটার পর একটা মামলা বাড়িয়ে চলছে। আজকে আমি সরকারকে আহ্বান জানাব অবিলম্বে ৪০১ ধারায় বেগম জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক। কারণ সরকার জানে তারা চাইলেই এ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার, বগুড়া ৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোমবার বিএনপির সমাবেশ