%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
আগামী মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সরকারের পরিকল্পনাকে 'গণবিরোধী, নিষ্ঠুর' আখ্যায়িত করে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'সরকার মার্চ মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। যে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা এ ধরনের গণবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
রিজভী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত হবে অত্যন্ত নির্মম। রমজানকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত মানে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ ইতোমধ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের কোনো প্রকার আয় বাড়েনি। মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে বসবাস করছে। কেউ কেউ ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণকে বিপদে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়লে চেইন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষি, শিল্প ও কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাম বাড়ালে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
রিজভী বলেন, বর্তমান দখলদার সরকার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করলেও বাস্তবে এ দেশ বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এর প্রমাণ বাংলাদেশের সর্বত্রই রয়েছে। আজ টেলিভিশন খুললেই হিন্দি নাটক, হিন্দি সিনেমা চোখে পড়ে। সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছে ভারতীয় ছবি। এগুলো কিসের জন্য?’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়: বিএনপি
কারামুক্ত বিএনপি নেতা আলাল
সাড়ে তিন মাস পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তিনি কারাগার থেকে বের হন বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান আলাল।
মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকের সামনে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় আলাল বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং শিগগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়: বিএনপি
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান এবং বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা সব ধরনের দমন-পীড়ন সহ্য করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে নেমেছে।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্ভয়ে উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে চায় এবং একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি- ভাষা শহীদদের দেখানো পথ অনুসরণ করে তা পালন করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, তাদের এক দফা আন্দোলন থেমে নেই। আন্দোলন চলছে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পতন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা এক দফা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তার দলকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও দলটির নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সরকার আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয় যে- আমরা মাথা নত না করে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। ‘মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিল শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। ‘কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’
‘আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়া ও সারাবিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু সাহেবরা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, তোপের মুখে। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সরকারকে ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ সমস্ত দেশ ও সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে, কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল এ সব দেখে তারা এখন চুপসে গেছে, তাদের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, এখন কি করবে দিশা পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ঐকমত্য
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উচিত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা ও সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন উপলক্ষে সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেখানে পৌঁছায় না, তারা সেখানে আলো ফেলে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করলেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস- এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিরোধী দলের যে রাজনীতি, এর মূল ইস্যুই হচ্ছে যত দোষ নন্দ ঘোষ সরকারের। সরকারই সব অপরাধে অপরাধী। তারা নালিশ করতে যায় যুক্তরাষ্ট্রকে।’
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মঈন খান মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করেছেন- দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এ হচ্ছে আমাদের প্রধান বিরোধী দলের অবস্থা।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার হব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
সোমবার রাতে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফখরুল
বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগার থেকে বের হওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ফখরুল খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় যান এবং তার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
শায়রুল আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর বিএনপি মহাসচিব কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ায় তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈঠক শেষে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হন মির্জা ফখরুল।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের ২৬টি দেশের কারাগারে ৯ হাজার ৩৭০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক আটক রয়েছেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সিলেট-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি আরবের বিভিন্ন কারাগারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশি এবং তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০৮ জন বাংলাদেশি আটক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৪টি দেশের মধ্যে পর্তুগালে একজন, আলজেরিয়ায় একজন, জাপানে ২ জন, শ্রীলঙ্কায় ৩ জন, থাইল্যান্ডে ৪ জন, কোরিয়ায় ৬ জন, মিশরে ৬ জন, চীন (কুনমিং) ৭ জন, লিবিয়ায় ৯ জন, ইতালিতে ৮১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, কাতারে ৪১৫ জন, স্পেনে ১৯ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, চীনে (বেইজিং) ১৮৪ জন, আবুধাবিতে ৪০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, লেবাননে ২৮ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, ইরাকে ২১৭ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ ও জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছে।
মাহমুদ বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিবিয়া থেকে মোট ১ হাজার ২২৬ জন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্য দেশের কারাগার থেকে ৫১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভারত, মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে আরও ১ হাজার ৯৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের কারাগার বা বন্দিশালায় আটক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া বিভিন্ন দেশে ফৌজদারি অপরাধে আটক অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা ও পাবলিক প্রসিকিউশন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কারাগারে আটক শ্রমিক বা প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ও সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ভোলা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, ৮১টি দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে, যেখানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এর ফলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ভাসানচরে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়মিত পরিদর্শন রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণেও ভূমিকা রাখছে।’
লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮ লাখের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে তা হতে হবে বৈধ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন প্রক্রিয়ায়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'প্রক্রিয়া চলমান থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার জন্য জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হবে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
রিজভী বলেন, দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
একই দিন সকাল ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলের নেতাকর্মীরা। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
রিজভী বলেন, জাতি এমন একটি সময়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে
তিনি বলেন, 'এদেশের ভোটাররা এখন ভোট দিতে পারছে না এবং এদেশের মানুষ নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারছে না। অসংখ্য জাতীয়তাবাদী শক্তির অসংখ্য নেতা-কর্মী তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বা বাবা-মাকে নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে থাকতে পারছেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী এখন অটোরিকশা চালাচ্ছেন, এমনকি রিকশা চালিয় জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এমতাবস্থায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদদের আত্মত্যাগ দেশের মানুষকে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। ‘দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এবং আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটি আমাদের সাহস যোগাবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এর আগেই তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দল এখন যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দলের নিয়মিত জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিল আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী আগামী মার্চে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সহআহ্বায়ক, গোলাম সারোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নতুন ভাঙন দেখা দেয়। গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন রওশন। তবে এবার তার দেবর ও দলের প্রধান জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দলটি রওশনের অনুগত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় রওশন একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির শক্তি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে রওশনকে সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
রওশনের কাউন্সিল করার ঘোষণার পরপরই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাবলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দলের প্রধান ও মহাসচিবকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি গুলশানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা দলের নেতাদের একাংশের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রওশন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ