রাজনীতি
বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালে হত্যার মূল হোতাদের সম্পর্কে জনগণের জানা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টারমাইন্ড (কুশিলব) চিহ্নিত করা উচিত...আমাদের জানতে হবে পর্দার আড়ালে থেকে কারা সাহায্য করেছিল এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ছিল।’
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া গেলেও কয়েকজন খুনি এখনো পলাতক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুনিদের চিহ্নিত করেছি যারা এখনও পলাতক রয়েছে এবং আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হৃদয়ে রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে। আমরা তা দেখতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য দুষ্কৃতীরা বারবার টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর আরেকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাই এটা সম্ভব করেছে।
আইজিপি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানব উন্নয়নের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রয়োজন। তাই, তিনি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।’
আইজিপি বলেন, তারা স্মার্ট পুলিশ গড়তে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের রসদসহ সবকিছু দিয়েছেন। আমরা ইতো্মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছি। আমরা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে এই দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবারো পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো অপকর্ম এবং দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখতে প্রস্তুত রয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশ সদস্য হত্যা মামলা: রিজভীসহ বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পুলিশ কনস্টেবল শামীম হত্যা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির কর্মী আব্দুস সাত্তার, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন টিপু ও আলফাস ওরফে আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিলকিস আক্তার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।
রিজভীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা ১২তম দিনের অবরোধ চলাকালীন রাত পৌনে ৯টার দিকে মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০/৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমায় নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
এই ঘটনায় কনস্টেবল শামীম, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শিপন, মোরশেদ, বক্তিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলী আক্কাছ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি আনোয়ার হোসেন টিপু ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
টিপু নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের অবরোধ বেগবান করতে দলের হাইকমান্ডের সুনজরে থাকতে নাশকতার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আসামি মোহাম্মদ হোসেন নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং আসামি সাত্তার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত হন।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, ‘ইউটিউবে কেউ পোস্ট করেছে যে আমি বিক্রি হয়ে গেছি। এটি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমার কর্মজীবনে, আমি নীতিগত কারণে আমার অনেক পাওনা গ্রহণ করিনি। আমি আমার কর্মজীবনে আমার জন্য বরাদ্দের প্রয়োজনীয় অংশ নিয়েছি। যখন আমার পরিবার আমার সঙ্গে সফরে গিয়েছিল, আমি ব্যক্তিগত ভিত্তিতে তাদের বিল পরিশোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
বুধবার দুপুরে ঢাকার বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব-০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘আমি একবার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম, অন্যবার মন্ত্রিত্ব নিইনি। টাকা বা ক্ষমতার জন্য আমি আমাকে বিক্রি করতে পারব না। আমি ২৫ বছর ধরে কাজ করেছি এবং আমি গত ১০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি। গত দুই বছরে দেশের পুরো পেট্রোলিয়াম পণ্য কিনতাম। আমার কাছে অবৈধ অর্থ উপার্জনের সুযোগ ছিল কিন্তু আমি কখনই করিনি। ২৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে, আমি ২০ বছর এমপি ছিলাম এবং পাঁচ বছরে দুটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছি।’
আরও পড়ুন: সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, আমি দল, দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করি।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি... ভারত শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর নির্বাচন চায়। তারা নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা চায় না। কে ক্ষমতায় আসবে বা নির্বাচন কীভাবে হবে সে বিষয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য নেই।’
কাদের বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় রয়েছে। ‘তাই তারা কখনই বাংলাদেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ চায়নি। আসলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের কয়েকটি বড় শক্তি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কারণে এখানে তাদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছু বড় দেশ চায় এখানে (বাংলাদেশে) এমন একটি সরকার থাকুক যেটি তাদের পা চাটবে।‘
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩০ আগস্ট) এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি অভিযোগ করেন, বড় দেশগুলো সবসময় তাদের বড় ভাইয়ের মতো মনোভাব পোষণ করে।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি কারো বন্ধু হয়ে যায় তাহলে কোনো শত্রুর দরকার নেই।’ তবে ইউক্রেন তাদের বন্ধু বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ ইউক্রেনের অবস্থা কী? সেখানে নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এই ধরনের বন্ধুত্বের জন্য তাদের দেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। এটাই বাস্তবতা।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের নির্বাচনে অপ্রয়োজনীয় নাক গলানোর জন্য এসব দেশের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কিছু দেশ আছে যারা সব সময় গণতন্ত্র খুঁজছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই দলের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রক্ত দিয়েছেন।অথচ এখন গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার খুঁজছে এমন কিছু দেশের কথা আমাদের শুনতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনে দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। এই ত্যাগ ও রক্ত বৃথা যাবে না, আমরা তা হতে দেব না।
গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন,যখন তিনি তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা শোনেন তখন তিনি অবাক হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। ‘সুতরাং গণতন্ত্র শব্দটি তাদের সঙ্গে যায় না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির কিছু প্রভু আছেন যারা "বলছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে"।
প্রধনামন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলেন, সামরিক শাসন জারি ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তখন তারা কোথায় ছিলেন? আর এইচ এম এরশাদ যখন সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন তখন কোথায় ছিলেন?
তিনি বলেন, ‘সে সময় আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছি, কিন্তু তাদের দেখিনি।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাদেক খান এমপি, আবদুল কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মাজহার আনাম ও মো. আজিজুল হক রানা, পরিবারবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুন্নেছা মেরি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, মিজবাউর রহমান ভূঁইয়া রতন ও সাজেদা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।
সভার শুরুতে ১৫ আগস্টের গণহত্যা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ইউনূসকে ব্যবহার করে বিএনপির ‘নতুন খেলা’ শুরু: কাদের
বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের এই অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমূখী সমবায় সমিতি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত নোবেল বিজয়ীদের সাম্প্রতিক বিবৃতির পেছনে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পত্রিকায় বিবৃতির জন্য জায়গা পেতে দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুমের শিকারদের স্মরণে বুধবার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
মন্ত্রী বলেন, তারা আবারও ১/১১-এর স্বপ্ন দেখছে। ড. ইউনূস সে সময় অনেক চেষ্টা করেছিলেন। তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’
তিনি বলেন, কেউ কেউ ইউনুসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না দেখেন। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।
মন্ত্রী বলেন, নোবেল পেয়েছেন বলে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন- এটা কোন দেশের আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
আগামী নির্বাচনে পাবনা-৫ আসনে লড়তে আগ্রহী রাষ্ট্রপতির ছেলে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান রনি পাবনা-৫ আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রনি এ কথা বলেন।
রনি বলেন, আমি জেলার জনগণকে জানাতে চাই যে- আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবনা-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইব এবং তিনি রাজি হলে জনগণের জন্য কাজ করতে পারব।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
তিনি বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনার মানুষের জন্য কাজ করছেন।
রনি বলেন, আমার বাবা আমাকে পাবনায় গিয়ে জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
বাবা আমাকে বললেন, দয়া করে পাবনায় গিয়ে দেখ জনগণ তোমাকে মেনে নেয় কি না।
নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করি। তারপর যুবলীগে যোগদান করি।
তিনি বলেন, কখনো কখনো ব্যবসার কারণে দূরে থাকতাম। বর্তমানে আমি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। যেহেতু আমি আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং আমি পাবনার সন্তান তাই আমি বিশ্বাস করি আমার দাবির জায়গা আছে।
রনি আরও বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
গুমের শিকারদের স্মরণে বুধবার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার সারাদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল বের করবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির মিছিল বের করা হবে। নয়াপল্টনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
রিজভী দাবি করেন, দেশে ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধি, তরুণ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীসহ ৬ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক গুমের শিকার প্রায় ১০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অনেককে অনেকদিন পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জোরপূর্বক গুমের শিকার অনেক মানুষ যাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তাদের এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গুমের শিকার ব্যক্তিদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিশ্বব্যাপী গুমের অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির অফিসে তালা, সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম
অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনেতা ও নোবেল বিজয়ীদের একটি খোলা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতির ‘সূর্য সন্তান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আরও পড়ুন: নেতাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, এমনকি ১০০ বছর পরেও জাতি তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং লজ্জিত হবে এই ভেবে, দেশের সরকার এমন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে এত খারাপ আচরণ করেছে।
ড. ইউনূস এদেশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, যারা তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে চায়, তারা নতুন করে জন্ম নিলেও তার মতো মর্যাদায় পৌঁছাতে পারবে না।
তিনি বলেন, এই অনিবার্য সত্যটি স্বীকার করুন ও তাকে হয়রানি করা বন্ধ করুন এবং (তার বিরুদ্ধে) মামলা বন্ধ করুন।
এর আগে সোমবার ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০জনেরও বেশি বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সুরক্ষা এবং সুস্থতার বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তারা লিখেছেন, ‘তবে, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।’
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
ব্রিকসে প্রবেশের 'ব্যর্থতা'কে বিএনপি কীভাবে দেখছে
চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির অফিসে তালা, সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি শাখার একটি দলীয় কার্যালয় দখল করে তালা ও চাবি দিয়ে আটকে রেখেছে দলটির স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের অসন্তুষ্ট কর্মীরা। যারা চট্টগ্রাম দক্ষিণ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া ছিল।
গত ২৬শে আগস্ট কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর নগরীর নিউমার্কেট এলাকার কোতোয়ালি রোডের দোস্ত বিল্ডিংয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সদ্য ঘোষিত জেলা আহ্বায়ক কমিটিকে পকেট কমিটি দাবি করে বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি বাতিলে দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দকে।
আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পরপরই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে দোস্ত বিল্ডিংয়ের নিচে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে ‘পদবঞ্চিত’ নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জুনায়েদ বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। এ কমিটি নিয়ে বাণিজ্য হয়েছে। অযোগ্য ও বিতর্কিত নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছি। কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের করা টাকার বিনিময়ে 'পকেট কমিটি' গঠনের অভিযোগের আঙুল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রদল বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের দিকে।
গত ১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ৪২ সদস্যের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। ওই কমিটিতে রবিউল হোসেন রবিনকে আহ্বায়ক এবং কামরুদ্দিন সবুজকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হক এনমান তাদের পছন্দের অনুসারীদের কমিটিতে রেখেছেন, যার ফলশ্রুতিতে এনামের প্রতি অনুগত একটি সংগঠন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে আমরাও (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী) প্রস্তুত হচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির তিন নেতা বিদেশে গেছে, আবার জাতীয় পার্টির একনেতা বিদেশে গেছে। নির্বাচন আসলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু জনগণ পুরোনো রাজনীতি করবে না।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় আইইবির সদর দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)'র উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর সাত মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। মীরজাফরের জায়গায় মোশতাক আর সেনাপতি ইয়ার লতিফের জায়গায় জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্র করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, একটা গোষ্ঠী জিয়াউর রহমানকেও হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেনি। যে বুলেটে শেখ হাসিনা ও রেহানাকে পিতৃহারা করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করছে। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে।
আরও পড়ুনন: আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের মাষ্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান ও মোশতাক। সেই জিয়াউর রহমান ও মোশতাক জেল হত্যার মাষ্টার মাইন্ড। তা তদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন। একটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযু্দ্ধের আর্দশকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে মারতে পারেনি বলেই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারেক রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। লন্ডনের টেমস নদীর উপার থেকে ডাক দিলে মনে হয় বাংলাদেশ পানিতে ভেসে যাবে কিন্তু তা কখনো হবে না।
প্রকৌশলীদের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে সেখানে প্রকৌশলীদের অবদান আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আর মাত্র তিন মাস আছে এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা দেশে হোক আর বিদেশি হোক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যেন না হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, রাজনীতি করেন মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না। ১৩-১৪ সালের মতো
মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না।
তিনি বলেন, আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় তাহলে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করবে। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে এদেশকে পাকিস্তান বানাবে। এখন দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি।
উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ও সঞ্চালনা করেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম মনজুরুল হক মঞ্জু।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর