রাজনীতি
জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিসুর রহমান বলেছেন, দুর্গম এলাকা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করতে হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে তফসিলের সম্ভাবনা নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সিইসি বলে দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তফসিল হবে।
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
নভেম্বরে দ্বিতীয়ার্ধে তফসিলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি জানান, যথাসময়ে হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে তা স্পষ্ট করে না জানালেও গত ৩০ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিুল আউয়াল বলেছেন, ‘অক্টোবরের আগে তারা তফসিল দিচ্ছেন না’। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা বা সিদ্ধান্ত কিছুই হয়নি। অক্টোবরের আগে তফসিল দেওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন,বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উচ্ছাস
বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ছাড়া কিছুই বোঝে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এখনো জনগণকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা ও গুলি ছাড়া কিছুই বোঝে না।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অগ্নিসংযোগসহ তারা মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মধ্যে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের একটি বিরোধী দল আছে। তারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহিংসতা, বাস ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে আক্রমণ এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার মতো অপকর্ম করে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যত তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ ১৫,০০০ লোককে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩৯,৩৬৫টি গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর-জমি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিলের ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে গণমিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর ইউনিট তাদের এক দফা দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে জুমার নামাজের পর পৃথক মিছিল বের করবে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
এছাড়া মিছিলে বাধা দিলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থতার’ দায়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাশেদ ইকবাল জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রাবণের ভূমিকায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন ২৯ জুলাই তাকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি বলেই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
মন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
এ সময় ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নিজাম উদ্দিন হাজারী।
সেতু বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরলেন কাদের
সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি ও একাত্তর টিভির টকশোতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতারা।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি মঙ্গলবার ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘টকশোতে অংশ নেওয়া দলীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এই দুটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নেব না।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে হেয় করতে বিভিন্ন ভিডিও দেখাচ্ছে সময় টিভি। চ্যানেলটি শত্রুর মতো আচরণ করছে, ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে।’
এ্যানি বলেন, ‘একাত্তর টিভির টকশো উপস্থাপকরা নিজেদের মতো ঘটনা বর্ণনা করেন। অনেক সময় তারা চতুরতার সঙ্গে আমাদের দল ও নেতৃত্বকে হেয় করতে অনুষ্ঠান আয়োজন করে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে কমিশন সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নতুন ২ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ইসির শুনানি
মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াবে।
ইসি সূত্র জানায়, ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার রোধ: ফেসবুকের সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না সিসিটিভি ক্যামেরা
আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে তারা শিগগিরই তাদের এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন সামনে, তারা (আ.লীগ) তাদের রং বদলাচ্ছে এবং ভদ্রলোক হওয়ার ভান করছে... কিন্তু তাদের একমাত্র লক্ষ্য যে কোনো উপায়ে, এমনকি ক্ষমতা ব্যবহার করেও নির্বাচনকে নিজেদের পক্ষে আনা। তারা এই লক্ষ্যে একটি নীলনকশা তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সময় যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা না যায় এবং বিরোধী দলকে দল হিসেবে অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা যায় সেজন্য সরকার কাজ করছে। ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার পথ তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধীদলীয় নেতাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করায় হাইকোর্টের বিচারপতিরাও এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তাকে আবারও জেলগেটে আটক করে নতুন মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। আমাদের রাজশাহীর নেতা মিলন জামিন পেলেও নতুন মামলায় তাকে আবারও জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কি ধরনের রাষ্ট্র? এ কেমন প্রশাসন ও শাসনব্যবস্থা এখানে? যেখানে শুধুমাত্র বিরোধী দলের রাজনীতিতে জড়িত থাকার অপরাধে মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হচ্ছে... হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কিছু বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে চলেছেন। ‘তারা কীভাবে এই কার্যকলাপগুলোকে সমর্থন দিতে পারে? এটা দিনে দিনে স্পষ্ট এবং সত্য যে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। তারা সাধারণ মানুষের অধিকার পুরোপুরি কেড়ে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্য কালো আইন আখ্যা দিয়ে আইনটি পরিবর্তন না করে সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে ডিএসএ পরিবর্তন করার সরকারের পদক্ষেপ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কারণ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ বাতিলের পক্ষে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনটি কোনোভাবেই বহাল থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্যতম কালো আইন।
বিএনপি নেতা বলেন, ডিএসএ প্রত্যাহার তাদের অন্যতম দাবি। যার জন্য তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য হলো- আমরা আইনটির সম্পূর্ণ বাতিল চাই। কারণ, এটি গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি আইন। সুতরাং, এই আইন (যেকোনো রূপে) রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, সরকার মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রূপান্তর করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকায় সরকার তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, উটপাখি ঝড়ের মুখোমুখি হলে বালিতে মাথা লুকানোর প্রবণতা রয়েছে। সরকারের পদক্ষেপও সেরকমই। তারা মনে করে যে তারা এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে খুব স্মার্ট কাজ করছে।
আইন পরিবর্তনে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর তারা সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেন ফখরুল।
এর আগে সোমবার ডিএসএ-এর কিছু ধারা সংশোধন করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তারা ডিএসএ’র ধারায় অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। ডিএসএ বাতিল করা হয়নি বরং রূপান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪ তম জন্মদিনে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, পঁচাত্তর থেকে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এ দেশে শুরু হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা যার প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইভি রহমানসহ ২৩ জনের জীবন চলে গেল। এই সমুদয় ইতিহাসের পেছনে একটা দল বিএনপি। এই দল দলটি বাংলাদেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের হোতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপে নেই আওয়ামী লীগ: কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমাদের ইতিহাসের এক অসাধারণ ত্যাগী বিজয়লক্ষ্মী নারী। আজ তার ৯৪ তম জন্মদিন। জন্মের আনন্দ যখন বেদনার অশ্রুতে তখন সে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি। যার কোনো প্রকাশ নেই।
তিনি বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা এই যে উত্তরণ; বঙ্গবন্ধুর জীবনে সংগ্রাম, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম- এই সকল সংগ্রামে বেগম মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নয়, তিনি ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধা।
কাদের আরও বলেন, তিনি ছিরেন বঙ্গবন্ধুর একেবারে কাছের একজন সহকর্মী। সংকটে সংগ্রামে পেছন থেকে যিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের