রাজনীতি
অ্যামনেস্টি'র বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক বিবৃতিকে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪ বছর'- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম।
মন্ত্রী বলেন, 'আজকে পত্রিকায় দেখলাম অ্যামনেস্টি ইান্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে- আমাদের দেশে যারা র্যাবে কাজ করবে কিংবা যদি কেউ মানবাধিকার লংঘনের সাথে যুক্ত থাকে তাদেরকে যেন স্ক্রিনিং করা হয় এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেওয়া হয়।'
তিনি বলেন, 'আমরা অ্যামনেস্টিকে চিনি, তারেক রহমানের বেয়াইন আইরিন খান অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। এখনো অ্যামনেস্টির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি তারেক রহমানের বউয়ের চাচাতো বোন। এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার শুরু হলো, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন বিএনপি-জামাত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছিল তখন সেটার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয়নি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এগুলোর বিবৃতি কিভাবে হয়, কোথায় ড্রাফট হয়, আর কিসের বিনিময়ে এদের বিবৃতি আসে সেটা আমরা জানি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো যেভাবে মানুষ শিকার করা হয় তখন ইসরাইলের বিপক্ষে কোনো বিবৃতি দেয় না, আমাদের এ সব বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক কোনো অধিকার তাদের নাই।'
এই দুটি সংগঠন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই বিবৃতির কোনো মূল্য নাই, সুতরাং এগুলোতে বিভ্রান্ত হবার কোনো দরকার নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধু ও আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে তখন আজকে আবার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তি এক হবার চেষ্ঠা করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'সেই কারণে আজকে বিএনপি-জামাতের পক্ষ থেকে দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সেই লবিষ্টের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকটা বিবৃতি আর কিছু কিছু কংগ্রেসম্যান কিংবা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বারের চিঠি ক্রয় করা হয়।'
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন ভূমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচন হচ্ছে দেশের ভুমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। দেশ কি পাকিস্তান হবে না কি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অভিযাত্রায় আরো দ্রুত বেগে এগিয়ে চলবে, সেটির ফয়সালা হবার নির্বাচন। দেশে কোনো তাঁবেদারি সরকার, যারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিবে তারা বসবে, না কি স্বাধীনচেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার থাকবে সেটি ফয়সালা হবার নির্বাচন।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সমাগত এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচন হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভুমি রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফয়সালা হবে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে নাকি সমুদ্রের একটা অংশ কেউ নিয়ে যাবে, আমাদের কোনো দ্বীপ অন্য কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশে কি 'হামিদ কারজাই' মার্কা তাঁবেদারি সরকার হবে নাকি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।'
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আত্মতুষ্ঠিতে না ভোগার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি-জামাত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সুতরাং আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দল আজকে সাড়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। সাড়ে ১৪ বছর আগের চিত্র আর আজকের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরুন, সেই উন্নয়নের চিত্রগুলোই ফেসবুকসহ সাধারন মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। শুধু নিজের ছবি ফেসবুকে দেওয়া কর্মী, উদ্ধত আচরণের কর্মী আমাদের প্রয়োজন নাই, তারা দলের জন্য বোঝা, তাদের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মঈনুদ্দীন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সসম্পাদক খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের জন্য বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই, জনগণের সমর্থন থাকলেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশিদের সমর্থনে দরকার নেই। জনগণ এ দেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে- পদ্মাসেতু, ফোর লেন রাস্তা, স্কুল-কলেজ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্রামের উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানাসহ সব দিকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। এসব উন্নয়নের কারণেই জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কোন বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। আমরা বিদেশি সহযোগিতা চাই না। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ যারা প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে হাত পাতছে, ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বলতে চাই, কোনো বিদেশি প্রভু এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো দেশে আবারও তাণ্ডব চালাতে চায়। তাদেরকে সেটি করতে দেয়া হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদের ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া বর্তমান সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থেজনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করব।
মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক আবু হাদী নূর আলী খান, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ আহমদ নাছির প্রমুখ।
সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফর ছিল ‘অত্যন্ত রহস্যজনক’।
তিনি বলেন, ‘গুরুতর ডলার সংকটের মধ্যে, বিশাল দল নিয়ে শেখ হাসিনার ঘন ঘন বিদেশ সফর এবং তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফর অত্যন্ত রহস্যজনক। দেশে ফিরে আসার পর তার বক্তব্যও রহস্যজনক।’
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সপরিবারে সুইজারল্যান্ড সফরের পরপরই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। এক বছরে টাকা তুলেছে কারা? এটি জনগণের মনে একটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, কারণ একতরফা অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লুটেরারা যে সুইস ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন দেশ নিয়ে ‘বেপরোয়া’ মন্তব্য করে দেশের স্বার্থের ক্ষতি করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের পতনের ক্ষণগণনা শুরু হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন করে সরকারবিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, গত ১৯ মে থেকে সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২১০টি মামলা করেছে।
এছাড়া বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের প্রায় ৮৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় ৯ হাজার ৩০০ জনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
মাগুরায় আ. লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মাগুরায় আ. লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মাগুরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাত করা হয়।
বিকালে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি’র নেতৃত্বে বন্যার্ঢ্য র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আ.ফ.ম আব্দুল ফাত্তাহ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
বক্তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করে তাদের আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, এটা এখন পরিষ্কার যে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতে সম্ভব ছিল না বা ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীতে রোডমার্চ কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (হাসিনা) বুঝতে পেরেছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পক্ষে নেই এবং বাংলাদেশেও তার সমর্থন নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে যে তাকে এখনই যেতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বেপরোয়া মন্তব্য করে দেশকে বিপদে ফেলেছেন।
আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পর তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করি না।
চলমান লোডশেডিং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির ১০ দফা দাবিতে রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষে ফখরুল শ্রমিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন।
বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেলের দিকে মিছিল করেন শ্রমিক দলের শত শত নেতাকর্মী।
ফখরুল তার সরকারের অধীনে প্রশ্নাতীত স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) বলছে তাদের শাসনামলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
কারণ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সরকার জনগণের ভোটাধিকারসহ সবধরনের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, সরকার জনগণের চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সকল অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে, বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে।
শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে ছয়দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন সূচনা করেন।
তিনি বলেন, সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো গঠিত হয়েছিল, সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা যেন সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্যই, যাদের নেতৃত্বে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি।
সে কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ জাতির পিতা, মহান শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
এ দিন সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের সূচনালগ্ন বর্ণনা করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল।
তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শাণিত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ হয়।
১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতাপূর্বকালেও আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির জন্য অনেক অর্জন বয়ে এনেছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই মূলত: ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়।
কারণ ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পাকিস্তানি সরকার মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠা করেনি, সেটি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
আরও পড়ুন: হায়েনার কামড়ে হাত বিচ্ছিন্ন শিশুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তথ্যমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় তাপদাহে ১৫শ’ ছাতা বিতরণ করলেন আ.লীগ নেতা দিলীপ আগরওয়ালা
চুয়াডাঙ্গায় চলমান তাপদাহ ও বর্ষায় জনসাধারণের মাঝে স্বস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দেড় হাজার মানুষের মাঝে ছাতা উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামে তিনি এই উপহারগুলো বিতরণ করেন।
উপহার বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সকলকে সমবেত হতে হবে। গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, ইউনিয় আওয়ামী লীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, রুহুল আমীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুল, আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিলন হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাহমুদুল হক সজল, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর কবীর শিপলু।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে এ জেলার মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ছাতা বিতরণ করছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জননেত্রীর এই উপহার বিতরণ করা হবে।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের ঘাটি এই খাসকররা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ছাতা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করলাম। এই কার্যক্রম চলবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবো, এটা আমার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার
আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করবে।
দলের কেন্দ্রীয় ও সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি প্রতিনিধি দল সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের জন্ম ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলের অবদানের কথা স্মরণ করে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বার্তাও দেন হাসিনা।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে যেতে ‘সক্রিয়’ নেতাদের গোয়েন্দারা ‘হুমকি’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা এক্টিভ পলিটিক্স এবং ইলেকশন করছেন বা করবেন… এই ধরনের নেতৃবৃন্দকে গোয়েন্দা তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, তোমরা নির্বাচন করবা যদি বিএনপি নির্বাচন না করে তাও।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
এসময় ফখরুল বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে (গণমাধ্যম) আজকে প্রকাশ্যেই বললাম। আই হেভ লট অব লিডারস যারা এ অভিযোগ করেছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি? একটা মধ্যযুগীয় বর্বর যুগে আমরা বাস করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো হেন কোনো অন্যায় নাই যে তারা করছে না।’
‘ওরা দেশের ভূ-রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কি রকম মরিয়া হয়ে গেছে যে, দেশের ক্ষতি করতেও তারা দ্বিধা করছে না। জানে যে, এই দেশের যে অবস্থা সেই দেশের আজকে অন্যান্য দেশ সম্পর্কে তারা যে কমেন্টস করছে, যে কথাগুলো বলছে এটা আমাদের দেশের ভূ-রাজনীতি ক্ষতিস্ত হতে পারে এবং আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি ইতোমধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের কথা-বার্তাগুলো কোনো দায়িত্বহীন নেতা বলতে পারেন, বিশেষ করে সরকার চালাচ্ছেন যিনি তিনি বলতে পারেন… এটা আমরা কল্পনা করতে পারি না। যারা আমরা সুস্থ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি আমরা মনে করি যে, তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তারা পরিস্কার বুঝতে পেরেছেন এবং আগে থেকেই বুঝতে পেরেছেন যে তাদেরকে জনগণ আর গ্রহণ করবে না। তাই কোনোভাবেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছেন না, একেবারে ওদিকে যাচ্ছেনই না।’
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘তাদের একটাই কথা হচ্ছে যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে সেই সংবিধান কে কাটাছেড়া করেছে? সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তো অবশ্যই এয়োদশ সংশোধনীতে যে কেয়ারটেকার সরকার ছিলো সেটাই থাকবে এবং সেটা থাকা উচিত। সেটা ছিলো কনসেন্সাসের ভিত্তিতে একটা রাজনৈতিক একটা সিদ্ধান্ত একটা বন্দোবস্তো হয়েছিলো সব দলগুলো মিলে।সেখান থেকে সরে গিয়ে নিজেরা বেমালুম একতরফাভাবে শুধু নিজেদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একাজগুলো করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আর এখন যখন নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, আবার একতরফা নির্বাচন করার জন্য, আবার ক্ষমতায় হাইব্রিড রেজিমের মতো চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। কিন্তু মানুষ তো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মানুষ প্রতিবাদ করছে, মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। এবার সেটা মানুষ করতে দেবে না।’
প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, যারা আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত তাদের কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ জানাতে চাই যে দয়া করে সাংবিধানিক কাজের সঙ্গে নিজেদের জড়িত করবেন না এবং জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। এদেশের মানুষ তারা বরাবরই যেকেনো অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। এখনো তারা অধিকার আদায় করে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের যেটা আশা-আকাংখা সেটা পুরণ করবার জন্যে আমরা আশা করব যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি যাদের দায়িত্বশীলতা শুধু জনগণে প্রতি, সেই জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা পালন করবেন। এই ধরনের অন্যায়-বেআইনি নির্দেশের ফলে আপনারা এ ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে ব্যাহত করবেন না। এটা সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা। জনগণ যেখানে তার অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে, তার সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চাচ্ছে সেই অধিকারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এভাবে বাধাগ্রস্ত করা, গ্রেপ্তার করা, নির্যাতন করা নাগরিকদেরকে… এটা ভয়াবহভাবে রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামীল বলে আমরা মনে করি। দয়া করে এটা থেকে বিরত থাকুন, জনগণের সঙ্গে আসুন।’
‘সরকারের প্রতি’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে আপনারা জনগনের ভাষা বুঝতে পেরে, জনগণের চাহিদা বুঝতে পেরে আপনারা পদত্যাগ করুন, একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
তিনি বলেন, ‘অন্যথায় দেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায় কিভাবে করে নিতে হয় তারা তা জানে।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়েরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে বিএনপি মহাসচিব এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন।
মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাবেক মহানগর সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, মহানগর দক্ষিন বিএনপির শেখ রবিউল আলম রবি, হারুনুর রশীদ হারুন, ওবায়দুর রহমান লিটন, আরিফুল ইসলাম আরিফসহ মহানগর দক্ষিনের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তিসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাসমূহ প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই কাজটি এখন পুরোপুরিভাবে শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই আমাদের এক্টিভ নেতাদের জেলে আটকিয়ে রাখা।’
তিনি বলেন, ‘এসব নেতাদের জামিন হচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে কিন্তু তাদেরকে আরেকটা মামলা দিয়ে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। একটা ভয়াবহ অবস্থা।’
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, হাজী মো. মনির হোসেন, আনম সাইফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিন যুব দলের সাঈদ হাসান মিন্টু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদ মোরশেদ পাপ্পা, মহানগনর দক্ষিন কৃষক দলের হাজী মো. কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাদশা ও পূর্ব ছাত্র দলের মোহাম্মদ আল আমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের