রাজনীতি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন। ফলাফল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের শুরুর দিকে নির্বাচনটির রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন।
ফরিদুল ইসলাম ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে, জিসিসি নির্বাচনের অন্যান্য প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল হলো: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ সাত হাজার ২০৬ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন-অর-রশিদ পেয়েছেন দুই হাজার ৪২৬ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো: মেয়র প্রার্থী জায়েদা
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে জিসিসি নির্বাচনে সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফলাফল যাই হোক না কেন মেনে নেব: জিসিসি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর আজমত
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ
শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কোনো সহিংসতার খবর ছাড়াই জিসিসি-এর ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
সকাল ১০টার দিকে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো রয়েছে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমার জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমও তার মায়ের সঙ্গে একই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ৭৯ জন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার হলো-১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হলো- পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬৪ জন এবং নারী ভোটার হলো- পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং হিজড়ার সংখ্যা ছিল ১৮ জন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ২০ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
সরকার আশা করে অগণতান্ত্রিক শক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তারা আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি; যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের অবলম্বন করে, তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে উন্নয়নের সুফল টিকিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকার প্রশংসা করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর টেকসই প্রতিশ্রুতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আচরণে আপস করার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার দ্বারা কোনো বেআইনি অনুশীলন বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য সরকারি যন্ত্রপাতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নোট করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার জন্য সকল স্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণা দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
এর ফলে ২০০৬ সালের মাথাপিছু দারিদ্র্য ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং একই সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংসে নেমে এসেছে।
এখন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ একটি ‘আন্তর্জাতিক রোল মডেল’, ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে।
গত চৌদ্দ বছরে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হওয়ার কারণেই এসব অর্জিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন।
এতে বলা হয়েছে, ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট হরণ করে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকার নজির নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে এবং এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছে।
সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সমাবেশ ও সমিতির স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া সমস্ত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রয়েছে।
প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ১০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন জাল ভোটারের প্রতিক্রিয়ায় ছবিসংবলিত ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।
ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে তার কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।
এ আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ দ্বারা বাধ্যতামূলকভাবে সম্পূর্ণ নির্বাহী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাতে তারা নির্দেশিতভাবে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করতে পারে।
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ভোট কারচুপির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দলের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি (আগামী সাধারণ) নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ অন্তত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আয়োজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ একটি বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা অবস্থায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট কারচুপি চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী দিনে নির্বাচনী কারচুপি বন্ধে একটি বড় বার্তা।
খসরু বলেন, জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার না করে ক্ষমতাসীন দল আবারও ভোট কারচুপিতে লিপ্ত হলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের প্রতিফলন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ অন্যান্য দেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। মার্কিন ভিসা নীতি শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং এর নির্দিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের লক্ষ্যে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেন, ‘এই নীতির অধীনে আমরা কোনো ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ভালো ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান জিসিসি নির্বাচনে ভোট দিয়ে বলেছেন, ফলাফল যাই আসুক না কেন তিনি তা মেনে নেবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় জনগণের মতামতকে সম্মান করি এবং আজ যেই নির্বাচিত হোক না কেন, আমি ফলাফল মেনে নেব।’
মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে এবং ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখে অনুমান করা যায় যে গাজীপুরে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু
তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং আপনারা (জনগণ) দেখেছেন যে আমি যখন নির্বাচনী প্রচারণায় বের হয়েছি, তখন একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জায়েদা বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমি নির্বাচনে আমার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
তিনি ভোটারদের নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং বৃহস্পতিবার ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন।
বুধবার গাজীপুর সার্কিট হাউজে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কমিশনার এ কথা বলেন।
এবারের নির্বাচন আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ নয় উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, সব নির্বাচনই সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সকাল থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
এছাড়াও বুধবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ইসি সব ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং এতে ২৪৮ জন কাউন্সিলর এবং ৭৯ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং হিজড়ার সংখ্যা ১৮ জন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মডেল নির্বাচন চাই: সিইসি
আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্ররোচনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, গত ছয় দিনে তাদের দলের ৬৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের কর্মসূচিতে হামলায় শতাধিক আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঠাণ্ডা মাথায় বিএনপিকে চিরতরে নির্মূল করার হুমকি দেন...তার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, র্যাব ও সোয়াট বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা শুরু করে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করে।’
মঙ্গলবার বিনা উসকানিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ রোডমার্চে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ ক্যাডাররা’ হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের হুমকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই বাস্তবায়ন করছে, যারা আওয়ামী চেতনাকে লালন করে।’
এমন আপত্তিকর মন্তব্য করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হলো না, এমন প্রশ্নও তোলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ঠাণ্ডা মাথায় নির্মূল করা মানেই হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার উসকানি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব কেন?" তার বিরুদ্ধে মামলা নেই কেন?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, গত ছয়দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলের নির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ হামলা চালালেও, উল্টো এসব ঘটনায় প্রায় ৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১৪৮টি মামলা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার অতীতের মতো বাসে আগুন দিয়ে আবারও বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর পুরনো নাটক শুরু করেছে।
রিজভী পুলিশ বাহিনীকে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর রোডমার্চ কর্মসূচির পর সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে শেখ রবিউল ইসলাম রবি, শাহাদাত হোসেন সৈকত ও রাইসুল ইসলাম চন্দনসহ বিএনপির ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার আবারও সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় থাকার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জনগণের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে দেশে নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টি করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার ও পুলিশের হামলা অব্যাহত রাখলে দেশের মানুষ বসে থাকবে না।
মোবাইলে ছবি দেখিয়ে রিজভী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার সময় পুলিশ নিজেরাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, এই পুলিশ জনগণের পুলিশ নয়, এরা আওয়ামী লীগের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আ. লীগ সরকারের অধীনেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন তার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
দোহার র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কতা বলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর-অ্যাট-লার্জ হাসলিন্দা আমিন সেশনে অ্যাঙ্কর করেন।
বিরোধী দল বিএনপি এবং তার মিত্ররা একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তার সরকারকে পদত্যাগ করাতে রাজপথে আন্দোলনের নতুন প্রচারণা শুরু করার সময় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এসেছে।
বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা সব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন নির্বাচন ছিল একটি খেলা।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারপর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। এবং আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে নির্বাচনে তা করেছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিরোধী দল বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো সংগঠন এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
তাহলে তখন কি ফল হয়েছিল? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছে।
দৃঢ়কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি এখানে এসেছেন, কারণ জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসি নাই। বরং আমি আমাদের জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে চাই।
তিনি বলেন, তাদের (জনগণের) সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা উল্লেখ করেন, এখন কিছু দল বলেছে তারা অংশ নেবে না। তারা কিভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের আমলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মানুষ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ।
তিনি আরও বলেন, তারা কখনো জনগণের কথা ভাবেনি। আমার দেশের জনগণের প্রতিদিন একবেলা খাবার পাওয়াই খুব কঠিন ছিল। এমন ছিল পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৩ মে) পর্যন্ত মেয়র পদে ১১ জনসহ মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ১১ জন, সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডে ৮৯ জন ও সাধারণ (পুরুষ) ওয়ার্ডে ২৮৭ জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেল (সিটি নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শুরু করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২৭ দিনে মেয়র পদে মোট ১১ জন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা করেন ৩৭৬ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১১ জন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনের জন্য চারজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম।
এছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন দাখিল করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতে এক উৎসবমুখর হয়ে উঠে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় প্রাঙ্গন। সকাল থেকেই শুরু হয় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া। এ সময় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় দলের ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মীকে সেখানে উপস্থিত দেখা গেছে। পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান এবং তাদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটির ভোট। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ২৩ মে। ২৫ মে মনোনয়ন ফরম বাছাই এবং ১ জুন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আগামি ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক
স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।
একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী