রাজনীতি
আগামী ২৩ ও ২৮ মে ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা করবে বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২৩ ও ২৮ মে আরও ১০টি মহানগরে পদযাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'ভুতুড়ে' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বাত্মক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানানোর জন্যই এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীর বাসাবো ও শাহজাদপুর এলাকা থেকে মালিবাগ অভিমুখে পদযাত্রা বের করা হয়।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন।
ঈদুল ফিতরের আগে ১০ দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে কয়েক দফা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে আবারো পদযাত্রা করল বিএনপি
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
খুলনা সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ৪ মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৩
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে জাকের পার্টির প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
ফলে কেসিসি নির্বাচনে বৈধ তিন মেয়র প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল এবং জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
বাতিল চার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এস এম শফিকুর রহমান, আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম তাদের ৩০০ ভোটারের সমর্থনকারীদের সমর্থনে তথ্য ভুল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল, রশিদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা না দেওয়ায় জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই চলছে। যাচাই বাছাই শেষ হলে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা দিবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গত ১৬ মে খুলনা নির্বাচন কার্যালয়ে সাত মেয়র প্রার্থীসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদে মোট ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।ি
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: বিএনপি নেতা কায়সারের বাড়িতে হামলা, নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি
বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির।
চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টিসহ ছয় মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- লুৎফুল কবির, সৈয়দ এসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, আসাদুজ্জামান ও নেছারউদ্দিন।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান ও আলী হোসেন।
উল্লেখ্য বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬ মে এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন বাছাই হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার)। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে।
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
সরকারবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে আবারো পদযাত্রা করল বিএনপি
দলের চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর বাসাবো ও শাহজাদপুর এলাকা থেকে যথাক্রমে মালিবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বারবার বিদ্যুত বিপর্যয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদেও এই কর্মসূচি ছিল।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশে এখন সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদের অবক্ষয় করা হয়েছে। দেশের মানুষ দুবেলা খাবার জোগাড় করতে পারে না। এমনকি, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াবাড়ি করায় মধ্যবিত্তরাও এখন গরিব হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় মানুষ এখন ভোটকেন্দ্রে যায় না। ‘এই সরকারের অধীনে কেউ ভোট দিতে চায় না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জনগণ আর কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। জনগণ তা হতে দেবে না।’
বর্তমান ‘স্বৈরাচারী’ শাসনকে উৎখাতে গণঅভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
পরে তারা মিছিল শুরু করে দীর্ঘ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালিবাগের আবুল হোটেল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের নেতাকর্মীরা বাসাবো বালুর মঠ থেকে মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত পদযাত্রা করেন।
সমাবেশ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আরও পড়ুন: এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাতে ভোট দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ‘তারা লাগামহীন লুণ্ঠনে লিপ্ত হয়েছে। তারা এখন বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে খেলা শুরু করেছে। মানুষ কখনই এটা হতে দেবে না।’
বিপুল রক্ত ও বহু প্রাণ বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণ আর তাদের সঙ্গে কোনো নোংরামি বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ (বুধবার) আবার আমাদের পদযাত্রা শুরু করেছি। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেই আমাদের পদযাত্রা শেষ হবে।’
সমাবেশ শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিলটি মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে ঈদুল ফিতরের আগে ঢাকা মহানগর বিএনপির দুই শাখা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে কয়েক দফায় রাজধানীতে পদযাত্রা করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চলমান আন্দোলন জোরদার করতে রোডমার্চসহ পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক তার দলীয় কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৩ মে ঢাকা দক্ষিণে এবং ২৮ মে ঢাকা উত্তরে এবং ৪-৬ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোড মার্চ।
সাইফুল বলেন, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট এবং ইউটিলিটি সেবার বারবার মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে গুরুতর অব্যবস্থাপনা, ব্যাপক চুরি, দুর্নীতি, লাগামহীন লুণ্ঠন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের জনগণকে এক অসহনীয় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটা খুব স্পষ্ট যে সরকার দেশ চালাতে পারে না।’
সরকার বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থেকে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রকে ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন সাইফুল। দেশের জনগণ এ পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকার ও শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে জোটের ১৪ দফা দাবির ভিত্তিতে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।
তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাইফুল বলেন, জোটের নেতাকর্মীরা ২৩ মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক অভিমুখে মিছিল করবে এবং ২৮ মে বাড্ডা এলাকায় আরেকটি পদযাত্রা হবে।
আরও পড়ুন: ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
এর আগে শনিবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলীয় নেতাকর্মীদের 'মিথ্যা মামলায়' গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবিতে ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে দেশব্যাপী সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না তার রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করার নীলনকশা।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব করেননি। তিনি নিজেই ক্ষমতায় থাকবেন... আমাদের বক্তব্য হচ্ছে এই সরকারকে যেতেই হবে। তারপর অভ্যন্তরীণ সরকার গঠন করা হবে।’
এ বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বে সংসদে তার রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ ‘এ ধরনের সরকার বর্তমান কর্তৃত্ববাদী নিপীড়নমূলক শাসনকে দীর্ঘায়িত করবে।’
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রহসনমূলক’ নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
সাইফুল বলেন, ‘তাই নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ১৪ দফার ভিত্তিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একযোগে গণআন্দোলন তীব্র ও সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
বরিশাল সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
মো. হুমায়ুন কবির জানান, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে মেয়র পদে ১০ জন, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান হাওলাদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার, লুৎফর কবির, মো. আসাদুজ্জামান ও নেছার উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এদিকে ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি আসনে ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে নির্বাচনে কি হয়েছে না হয়েছে সেটা দেখার বিষয় না। এবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেয়ায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। পরদিন প্রতীক বরাদ্ধ। ১২ জুন ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বলেছে, এতে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে দুইটা জিনিস মনে হয়…একটা হচ্ছে ‘চরম দায়িত্বহীনতা’, দ্বিতীয়টা ‘আত্মম্ভরিতা’ (অহংকার)।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর চূড়ান্ত শিকার হবে বাংলাদেশের জনগণ। ফলে এই সিদ্ধান্ত দায়িত্বহীনতা ছাড়া আমি কিছুই মনে করি না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে আত্মভরিতা-অহংকার কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে যেটা আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে… সম্ভবত এবার বিদেশে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঠিক সেই রকম উপযুক্ত প্রটোকল পান নাই, যে কারণে হয়ত এটা একটা প্রতিবাদ হিসেবে বা তার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা দেখতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এই প্রটোকল পেয়ে আসছেন। হঠাত করে সেই প্রটোকল বাতিল করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, সামথিং ইজ ভেরি রং উইথ দিজ কান্ট্রিজ। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা উত্তেজনা, সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এটাতে উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি কূটনীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে এটা আরও একঘরে করে তুলবে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, যারা সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা আমাদের জন্য ….., এমনকি দেখলাম যে ভারতও এরমধ্যে রয়েছে, তাদেরকে রাখা হয়েছে, জাপান আছে, অস্ট্রেলিয়া আছে… যারা আমাদের সবচাইতে বড় উন্নয়ন সহযোগী তাদের জন্য এটা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘আমি মনে করি নিঃসন্দেহে এটা বড় রকমের পরিবর্তন ঘটবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, সেটা কখনো কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় উল্লেখ করে বর্তমান সংসদ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনটা হবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে যুদ্ধ করছি-সংগ্রাম করছি-লড়াই করছি, সেই লড়াইটা হচ্ছে একটা সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সংসদ তৈরি করার জন্য। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটা হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বার বার করে সেটা বলেছি। আমরা বলছি যে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে না-কি করবেনা… দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল… সেটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই। সেই নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই নির্দলীয়ভাবে চাই, সেখানে কোনো দলীয় ব্যক্তিদেরকে আমরা চাই না।’
তাদের দলের সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনই না। এটা (সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসা) অত্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এই সংসদ জাতির আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তো বটেই্, এই সংসদে তো জাতির প্রতিনিধিত্বিই ছিলো না। বিকজ দে আর নট ইলেক্টেড।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (১৬ মে)।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯৫ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪৯ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: কেসিসি ভোট: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২২২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ (৫ দশমিক ৩৫ লাখ) ভোটার ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ থাকা কেসিসির উন্নয়ন প্রকল্প ফের শুরু
কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ
জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে মঙ্গলবার ১৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ২৯ মে থেকে শুরু হয়ে ১০ জুন শেষ হবে।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দল ও এর সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে মির্জা ফখরুল আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
একজন সামরিক শাসক ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের অন্যান্য কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় রাখা হবে।
এ ছাড়া দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা সকালে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনার আয়োজন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
আগামী ৩০ মে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর নগর ইউনিটের নেতারা।
দলটির জেলা,মহানগর ও থানা শাখাও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নস্যাৎ করতে দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখুন: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে শপথ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এই ধারাকে থামানো চলবে না। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, যারা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা চায়নি; তারা আগের মতোই ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করি না কারণ আমার জীবন নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমিতে ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং বারবার তার জীবন নেওয়ার চেষ্টাকে ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান তখনই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটে।
তিনি বলেন, এরপর আমাদের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের সকল উন্নয়নের গতি ২৯ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৪) সম্পূর্ণভাবে থেমে গিয়েছিল।
তিনি সাধারণ জনগণ যাতে সর্বদা ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করতে অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণ পায়। কেননা এই বিষয়গুলো একটি সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল মেগা প্রকল্প জনগণের সর্বোচ্চ উপকারের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
সারাবিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে থাকায় শেখ হাসিনা মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে এবং দেশের সম্পদের অপচয় বন্ধ করার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে, যাতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হবে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সরকার দেশকে একটি মর্যাদার স্থানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের তাদের সকল কাজে সততা বজায় রাখতে এবং দেশ ও জনগণকে ভালোবাসতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের ভুলে গেলে চলবে না যে তাদের বেতন-ভাতা আসে এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনগণের পকেট থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত বেতন-ভাতা আসে জনগণের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ থেকে। সুতরাং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
তিনি তাদের আরও বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১২৭তম, ১২৮তম এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের পুরস্কার দেন।
এর আগে তিনি ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স এবং গবেষণা কাজের প্রকাশনার স্যুভেনিরের ফলক উন্মোচন করেন।