রাজনীতি
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ত্রাণ বিতরণ
রবিবার (৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশে আজ যে অরাজকতার পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ জানেনা দেশের ভবিষ্যৎ কি, কি হতে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাদের সে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬ টি হরতাল তারা দিয়েছিলো। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়। দেশটা অচল করে দিয়েছিলো তারা। আমাদের নেত্রী তাদের সে দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিয়েছিলো বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো। অথচ পরবর্তীতে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে নির্দলীয় সরকারের প্রথাটাই বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তাদের এত ভয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজকে সমগ্র বাংলাদেশ বদলে গেছে, সেই কারণে সমগ্র পৃথিবী আজকে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। শুধু প্রশংসা করতে পারে না বিএনপি। বাংলাদেশ নিয়ে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বকছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নবনির্মিত তেলিপাড়া সেতুসংলগ্ন চত্বরে বিভিন্ন দপ্তরের অর্থায়নে চার ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতাদের একটু মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সম্ভবত গরমের কারণে তাদের মাথা একটু খারাপ হয়ে গেছে। কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে বেশি গরম পড়লে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। তাদেরও এটা হয়েছে কি না সেটিই আমার প্রশ্ন?
তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু, খন্দকার মোশাররফ, রিজভী আহমেদ ও আমির খসরু সাহেব দেখি আমাদের সমালোচনা করে। আমি তাদের বলবো, আপনারা মাথা খারাপ না করে ঠান্ডা রাখুন। আপনারাও স্বীকার করুন, আজকে দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এলাকার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, 'যারা শুধু ভোট আসলে বড় বড় কথা বলে, তাদের জিজ্ঞেস করবেন আমরা যে চকচকে রাস্তা করেছি, তার গর্তগুলো তারা ভরাট করতে পারবে কিনা। আমরা কাজ করি আর তারা শুধু ভুল খোঁজে। বিএনপি মূলত: 'ভুল ধরা পার্টি'।'
এ সময় দলের কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'দলের নাম বিক্রি করে কেউ অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের কোন জায়গা আমাদের দলে নেই। তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শনিবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জেলা পরিষদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নে পৃথক তিনটি পথসভায় যোগ দেন স্থানীয় চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
বিকালে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। বিদ্যালয়ের সভাপতি খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরশাদ মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য সরকারের সমালোচনা ফখরুলের
বৈশ্বির্ক জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত 'জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ ও নদী'- শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ ইস্যুতে সরকারের অবহেলার কারণে ঢাকা দেশের অন্যতম দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে।
এসব সমস্যা সমাধানে এবং মানুষের ভবিষ্যৎ বা জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘সাভার-ধামরাইতে ছোট ছোট যে নদীগুলো ছিলো সেগু্লো প্রায় মরে গেছে। আপনারা দেখেছেন যে, তুরাগ নদীর পাশে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সযোগিতায় ও তাদের সমর্থনের ফলোশ্রুতিতে বিভিন্ন ক্লাব গড়ে উঠেছে। সেই ক্লাবগুলো একেবারেই নদীর ওপরে নদী ভরাট করে গড়ে উঠেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পানি কমে যাচ্ছে, নদী দখল করা হচ্ছে-এটার বিষয়ে যা কিছু খবর নেবেন-এই সরকারের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই এই কাজগুলো করছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না।’
তিনি পরিবেশ রক্ষায় জনমুখী সরকারের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
পরিবেশ রক্ষায় বিএনপির শাসনামলে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ, খাল খনন কর্মসূচি এবং বেবি ট্যাক্সি নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ফখরুল।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি জনমুখী সরকার প্রয়োজন এবং জবাবদিহিতার জন্য গণতন্ত্র প্রয়োজন।
ভারতের উজানে বাঁধ নির্মাণের ক্ষতিকর দিক এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি নিয়েও এসময় আলোচনা করা হয়।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যিনি সরকারের ফারাক্কা চুক্তি চুক্তি এবং গ্যারান্টি ক্লজ না রাখার সমালোচনা করেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সেভ দ্য সুন্দর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচদিন পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'তে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা পর্যালোচনা করে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, খালেদা জিয়া বিকাল সাড়ে ৪টায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান।
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তার কিছু অসুখ ও কিছু উপসর্গ ছিল। এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির পর চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে দেওয়া চিকিৎসায় তিনি মোটামুটি ভালো সাড়া দিয়েছেন।’
কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য গত শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে একটি কেবিনে রাখা হয়েছিল এবং তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
গত ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুরো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি একটি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫মার্চ সরকার তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বৃহস্পতিবার বলেছেন, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনেই দেশের পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেবে। তাই সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে অন্যভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: রওশন এরশাদ
রাজধানীর গুলশান এলাকায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমর্থকদের সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেত্রী এ মন্তব্য করেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অনুষ্ঠানে কিছু নতুন সমর্থক তার দলে যোগ দেয়।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে কেউ যদি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে, তা প্রতিহত করা হবে।’
রওশন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
নতুন ও পুরাতন সমর্থকদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে।
রাহগির আল মাহি এরশাদ এমপি (ওরফে সাদ এরশাদ) ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার আহ্বান রওশন এরশাদের
অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, তাদের বিচার হলেই হবে না, যারা এর হুকুমদাতা-অর্থদাতা-তাদেরও বিচার হতে হবে।
তিনি বলেন, এই অপরাধের যদি বিচার না হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধ আরও ঘটবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে প্রতীকী অনশন’- শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামাতের নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অবরোধের সময় যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে-তা শুধু দেশের ইতিহাসেই নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে সমসাময়িককালে কোথাও ঘটেনি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অসহায় মানুষের ওপর, স্কুলগামী বালক-বালিকার ওপর, বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরত মানুষের ওপর, বাসযাত্রীদের ওপর, অবরোধের কারণে থেমে থাকা ট্রাকে ঘুমন্ত চালকের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে তাদের শরীর অঙ্গার করে দিয়েছে, মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, শুধু পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীরাই অপরাধী নয়, এর নির্দেশ সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে লন্ডন থেকে এসেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, গয়েশ্বর রায় বাবু, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির নেতারাই এই হামলার নির্দেশদাতা।
তাদের নির্দেশে, তাদের অর্থায়নেই এই পেট্রোল বোমা হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আজকে সেই পেট্রোল বোমা হামলার শিকার যারা, তারা বিচারের দাবি নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তার দলের নেতৃত্বে যে অপরাধ হয়েছে-তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। সব অপরাধীরই বিচার হতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো এ দেশের নাগরিক ও মালিক। তারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না এবং তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যায়নি, তারা প্রাত্যহিক কাজে জীবিকার তাগিদে বেরিয়েছিল। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক মানবতাবিরোধী ঘটনা বিশ্বের কোথাও ঘটেনি।
পেট্রোল বোমা হামলার শিকার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন এবং অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
এ সময় বিদেশি সংস্থা ও কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের উচিত এই অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া মানুষগুলোর সাথে সংহতি জানানো। তাহলে এই ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ হওয়ার পথ সুগম হবে।
কর্মসূচিতে আগত পেট্রোলবোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
বর্তমান সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেরকে কোনোমতেই ক্ষমতায় আর আসতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ও অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো-আশা ছিলো, আকাঙ্খা ছিলো-একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা বহুদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা; সেটাকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই পুরনো কায়দায়।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, এখন তাদের অবস্থান স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুনীল কুমার গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ওনুসারী পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশে (বাংলাদেশ) আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করার একদিন পর ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
বুধবার ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করার জন্য সরকারের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘যখন সবাই আইনটি বাতিলের দাবি করছে, তখন আপনি দাম্ভিকতা করছেন যে এটি বাতিল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন এটা বাতিল করা উচিত নয়? আপনি এটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাই আপনি এই অস্ত্র হারাতে চান না।’
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেও স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করেছিল। এখন দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করেছে এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের জয় হবে। ’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এ কারণে আমরা দেশকে ভালোবাসে এমন সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একযোগে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছি। এই আশা নিয়েই আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে, স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষানী ওনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে অনুমতি বাতিল করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন (কেসিসি) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য মনোনয়নপত্রসংগ্রহ করছেন প্রার্থীরা।
বুধবার (৩ মে) বিকাল পর্যন্ত কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জনসহ ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এদিন দুপুরে আগুয়ান-৭১ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানান, বুধবার বিকাল পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ইসির
গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
হাসপাতাল থেকে ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পাঁচ দিনের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নিজ বাসভবনে ফিরবেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আজ বিকাল ৩টার পর গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়বেন খালেদা জিয়া।’
কিছু মেডিকেল পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কেবিনে রাখা হয়েছে এবং মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ৬ এপ্রিল তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একই হাসপাতালে যান।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, যেখানে তার লিভার সিরোসিস রোগ ধরা পড়ে।
লিভার সিরোসিসের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে ৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
যেহেতু তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই এ ধরনের মিথ্যা গোয়েবলসি প্রচার করে প্রচার করতে চায় তারা সফল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরের অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শীর্ষ প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সফরে অর্জন শূন্য’।
বুধবার দুপুরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফকে তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে কাগজপত্র দেখেছি। তারা ইতোমধ্যে একটা স্টেটমেন্ট পর্যন্ত দিয়েছে যে আমরা (আইএমএফ) এই কথা বলিনি, কেবল তার সঙ্গে মিটিংয়ের কথা বলেছি। এককভাবেই বিশ্বব্যাংকের ঋণ পূর্বনির্ধারিত। আগেই কথা হয়েছে যে তারা এই ঋণ দেবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে এচিভমেন্ট ইজ জিরো।
ফখরুল বলেন, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বেশি দিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগ সেই কাজটাই করে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তারা ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ তাদের মিথ্যাচার বুঝে গেছে। জনগণ তাদের সরিয়ে জনগণের একটা শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তিন দেশ সফরকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো বা পুরো বিষয়টা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সমস্ত সফর। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে, আইনের শাসনকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়া জনগণ যেন সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক সমাজে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়েস অব আমেরিকা’য় এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে চান না বলে যে মন্তব্য করেছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইনি।
তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার যুক্তি থাকতে পারে না এ জন্য যে, তারা পুরোপুরিভাবে মিথ্যা কথা বলে এবং তারা জাতির সঙ্গে বিট্রে করে, বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেই কারণে জনগনের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জনগন রাজপথে ফয়সালা করে নেবে।
বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে-যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ রকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগই। তারাই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তারাই এটা কন্টিনিউ করে, নিজেরা করে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপায়।
এখানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে জন্ম এবং সন্ত্রাস করেই তারা টিকে থাকে। তাদের বডি কেমেস্ট্রিতে দুই জিনিস আছে। একটা সন্ত্রাস আরেকটা দুর্নীতি। এই দুইটা ছেড়ে তারা থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল