রাজনীতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) আজ বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
এর আগে ৬ এপ্রিল তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একই হাসপাতালে যান।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, যেখানে তার লিভার সিরোসিস রোগ ধরা পড়ে।
লিভার সিরোসিসের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে ৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
আরও পড়ুন: বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেধাবী তরুণ শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন এ হত্যাকান্ডের অন্যতম 'মাস্টারমাইন্ড'। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও তারা আস্ফালন করে।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, 'আজকে শহীদ শেখ জামালের শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ শেখ জামাল ১৯৭১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলের সাথে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তিনি পালিয়ে গিয়ে, পায়ে হেঁটে নানাভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।'
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, পুরো ৯ মাস তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, সম্মুখ সমরে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। বিশ্ববিখ্যাত সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট থেকে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি একজন মেধাবী তরুণ ছিলেন। একইসঙ্গে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন, সংস্কৃতি চর্চা করতেন। খেলাধুলার প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ জামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একজন মেধাবী তরুণকে হারিয়েছিল। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ যিনি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারতেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আওলাদ হোসেন শামিম, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আ.লীগ: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ যে কাউকে যোগ্য জবাব দেবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন যাতে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই: কাদের
শুক্রবার সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সময় নিহত হন।
বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি থাকার কথা অস্বীকার করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘অশুভ রাজনীতির হাত থেকে এদেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।’
তিনি জনগণকে তাদের শান্তি আন্দোলনে যোগ দেওয়ারও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল ১৯৭৫ সালে, যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এই তিনটি ঘটনা একসঙ্গে যুক্ত।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার রাজনীতির পরিবর্তে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং তাদের পরাজিত করার জন্য তিনি জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ৬৬০.২৪ কোটি টাকা: কাদের
এবার ঈদুল ফিতরের যাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল: কাদের
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় বসতে বিদেশিদের অনুগ্রহ খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সফরে বেরিয়েছেন। যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন তারা এখন (ক্ষমতায় থাকার জন্য) বিদেশিদের আনুকূল্য খুঁজছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রের কিছু যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এবং ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য অন্যান্য শক্তির উপর নির্ভরশীল। সুতরাং, তারা দেশ থেকে দেশে এবং দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে একটি অনুগ্রহের জন্য। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শেরেবাংলা জাতীয় যুব স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে চার দিনের সরকারি সফরের শুরুতে মঙ্গলবার টোকিও যান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীর দুই সপ্তাহের তিন-দেশীয় সরকারি সফরের সময় টোকিও হলো প্রথম স্টপেজ। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে যাবেন।
খসরু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনি যত দেশেই যান না কেন, রাজনৈতিক কোনো লাভ করতে পারবেন না। ‘আপনাকে পরাজিত হতে হবে। দেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজনৈতিক অবস্থান নেয়, তখন কোনো শক্তি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের চলমান আন্দোলন জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অবশ্যই সফল হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ সব কিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে তারা সরকার ও ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনার ডুমুরিয়া থানার একটি নাশকতা মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানসহ ৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তারা খুলনার জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন। বিচারক মীর শফিকুল আলম ৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- শেখ ফরহাদ হোসেন, মোল্লা আকবর হোসাইন সৈকত, আবদুর রব আকুঞ্জী, শাহীনুর রহমান, মোল্লা মশিউর রহমান ও শাহনেওয়াজ শেখ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমরেজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, ডুমুরিয়া থানার একটি নাশকতা মামলায় বিএনপি’র ১৭ জন নেতাকর্মী হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, ডুমুরিয়া উপজেলা আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুর রহমানসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানার এস আই তারেক রাইয়ান বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগ করেন তিনি। মামলায় মোট ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
১ মে রাজধানীতে সমাবেশ করবে শ্রমিক দল
ঐতিহাসিক মে দিবস উপলক্ষে আগামী ১ মে রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ১ মে দিবস উপলক্ষে দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ ও জনসভা করবেন।
নজরুল বলেন, সমাবেশে ঢাকা ও এর আশপাশের শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, মে দিবসে ঢাকা ছাড়াও সারাদেশের অন্যান্য শহর ও জেলা শহরেও শ্রমিক দল সমাবেশের আয়োজন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, কর্মসূচি সফল করতে শ্রমিক দলের সব নগর ও জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সমাবেশে শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মানববন্ধন শেষে শ্রমিক দল সভাপতিসহ ‘আটক’ ২০
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নত, বাকস্বাধীনতা বেশি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র অনেক উন্নত এবং বাকস্বাধীনতাও বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে বিরোধী দল সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, মাঝে মাঝে রাতের বেলাতেও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, যেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে, তার উদাহরণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নেই।
এছাড়া আমি বিএনপিকে বেশি দূরে যেতে বলব না। তারা যেন ভারতের দিকে একটু তাকিয়ে দেখে।
আরও পড়ুন: ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতে বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যের কারণে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সংসদ সদস্য পদ চলে গেছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন সদস্য। বিজেপির এমপি ছিলেন।
আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়, সে জন্য কি আমরা আদালতে গিয়েছি?
এখান থেকেই বোঝা যায়, তাদের বাকস্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্র কতটুকু আছে।
এ সময়ে চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে, তখন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে।
এছাড়া আমাদের ছবি, আমাদের চলচ্চিত্র উপকৃত হবে।
পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের দুর্দশা থেকে উঠে আসার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ত্রিশ-পয়ত্রিশটিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি শুরু করে দেয়।
এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২০০ হয়েছে। তাদের চলচ্চিত্রের মানও অনেক উন্নত হয়েছে।
আমাদের দেশেও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে। সামাজিক ছবি প্রচুর হচ্ছে। ছবি থেকে অশ্লীলতা বিদায় নিয়েছে। সামাজিক ও অ্যাকশনধর্মী ছবি হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
করোনা মহামারি না হলে এরমধ্যে আরও অনেক সিনেমা হল চালু হয়ে যেতো। দেশে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও বাড়ছে।
এ সময়ে একটি চলচ্চিত্র যাদুঘর করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি যাদুঘর হতে পারে। এফডিসিতে নতুন ভবন হওয়ার পর সেটা করা হবে।
মতবিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন-পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, সদস্য এইচডি রুবেল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সেক্রেটারি চিত্রনায়িক নিপুণ, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
গ্রেপ্তারের সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহযোগী প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন।
জেলগেটে রিজভীকে স্বাগত জানান দলের শতাধিক নেতা-কর্মী ও কয়েকজন স্বজন।
শাহেদ বলেন, রিজভী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের বহুল আলোচিত সমাবেশের তিন দিন আগে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে রিজভীসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিজভীর আইনজীবীরা জানান, রিজভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা ৫০টি মামলায় জামিন পাওয়ায় রিজভীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো রিজভীকে
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মাদ সাহাবুদ্দিন অফিসের প্রথম দিনে মঙ্গলবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রথমে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো তিনি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে।
সাহাবুদ্দিন নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ কিছু সময় নীরবতা পালন করেন।
দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়।
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
সাভার থেকে রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের একটি হলোগ্রাফিক উপস্থাপনাও প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
রাষ্ট্রপতি ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও পরিদর্শন করেন।
আগের দিন সকালে তিনি সাভারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্ট গার্ড (পিজিআর) কর্তৃক তার প্রথম আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা এবং বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পিজিআর-এর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে যখন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি ব্যান্ড স্বাগত সুর বাজিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানি তিনি (রাষ্ট্রপতি) কী ভূমিকা পালন করতে পারেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার তার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আমরা মনে করি না তার সেই সাহস আছে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতির ওপর তাদের আস্থা নেই।
ফখরুল জানান, মো. সাহাবুদ্দিনকে মানুষ বেশি চেনে না। তাই ক্ষমতাসীন দল তাকে রাষ্ট্রপতি করায় তারা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। ‘আমরা এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কেন মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি করেছে তা বিএনপির কাছে পরিষ্কার না। ‘এই বছরের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ মানুষকে বিস্মিত করেছে।’
এর আগে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন।
ফখরুল বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে মানুষের সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, তাদের দল নতুন রাষ্ট্রপতির প্রেক্ষাপট নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি, কারণ তারা তাকে নিয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারা মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে চান।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করলে সবকিছুই অর্থহীন হয়ে পড়বে। তাই, আমরা এ বিষয়টির ওপর ফোকাস করছি।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করলে বিএনপি তাতে যোগ দেবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারকে পাশ কাটিয়ে কিছু করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায়, তাহলেই রাষ্ট্রপতি এটা করবেন। সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে যে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে না। তাই, সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং সংঘাতের রাজনীতি এড়াতে হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করবে।
ফখরুল বলেন, সরকারের মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে আন্দোলনের ধরন নির্ধারণ করবে দেশবাসী।
আরও পড়ুন: জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে: ফখরুল
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল