রাজনীতি
দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক নেতারা ক্ষণে ক্ষণে যে দেশের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়; বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে, সেটি দেশবিরোধী কাজ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটি আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। অতীতেও আমরাই সমাধান করেছি। বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনে বলতে পারে। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে যে তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় সেটাও তারা বলুক। কিন্তু বিদেশিদের কাছে গিয়ে আমাদের বিষয়াদি নিয়ে ধর্ণা দেওয়া দেশবিরোধী কাজ।’
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক বিষয়ে বিদেশিদের মধ্যস্থতা নিয়ে বিএনপির প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ আমাদের। এই দেশের মালিক দেশের জনগণ। এ দেশের সরকার নির্বাচিত করার, সরকারকে বিদায় দেওয়ার দায়িত্ব কিংবা ক্ষমতা বা এখতিয়ার শুধু এ দেশের জনগণের।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি এটা বলে থাকে, তাহলে এটা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দুই পূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় একজন সফল রাষ্ট্রপতির বিদায় এবং নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সফলভাবে তার দুটি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতি ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মর্যাদার সঙ্গে অবসরে গেলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণ: পাবনায় মিষ্টি বিতরণ
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পরপরই পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।
সোমবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন সাহাবুদ্দিন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বড় পর্দায় এ শপথ অনুষ্ঠান প্রদর্শনের আয়োজন করে।
এরপর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
পরে তারা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে একই পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
সাহাবুদ্দিনকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
তারা আশা প্রকাশ করেন যে নতুন রাষ্ট্রপতি পাবনাকে মডেল জেলায় রূপান্তর, মেডিকেল কলেজকে হাসপাতালে রূপান্তর, একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আরিচা-দৌলতদিয়া-কাজিরহাটকে বহুমুখী সেতু নির্মাণ এবং ঢাকা-পাবনা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন (৭৩)।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা ছাত্রলীগের একজন কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে পাবনা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস (জুডিশিয়াল) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, যেটি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মী ও নেতাদের হত্যা, ধর্ষণ, চুরি এবং অন্যান্য অপরাধের তদন্ত করে।
২০০৬ সালে অবসর নেওয়ার আগে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ছিলেন।
সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন শি জিনপিং
নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের 'গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে' এমন বক্তব্য গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণের শামিল।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য মিডিয়ার ওপর আক্রমণ। আমি মনে করি এই আক্রমণ সমীচীন নয়। ফখরুল সাহেব প্রচন্ড হতাশা থেকে এই কথাগুলো বলেছেন।
রবিবার বিকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুর লেনের বাসভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকরা ঈদের দিন শনিবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশে যেভাবে স্বস্তির ঈদযাত্রা হয়েছে, মানুষ যেভাবে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে, বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যে এটি সত্যিই উদাহরণ।
একটু যা অস্বস্তি ছিল গরমের কারণে, তাতে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়েছে কি না আমি জানি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গাণিতিক বৃদ্ধি ঘটেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশে সাড়ে চার’শ দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন ১২শ’ ৬০ টির বেশি।
১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রাটাও শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে।
২০০৯ সালে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৪৭টির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তন্মধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাকি অনেকেই খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল হওয়াতে সাংবাদিকতা থেকে পাশ করা আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকুরির একটা বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই মিডিয়ার ব্যাপ্তি ঘটলেও আমরা দেখতে পাই গণমাধ্যমে আজকে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি সেটি ঠিকভাবে পরিস্ফুটিত হয় না।
খারাপ সংবাদ অনেক ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়। কেউ কেউ মনে করেন ‘গুড নিউজ ইজ নো নিউজ, ব্যাড নিউজ ইজ নিউজ’ এটি সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে আজকে সারা পৃথিবী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। করোনা মহামারি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপ বলছে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে পঞ্চম এবং উপমহাদেশে প্রথম।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। সেটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে প্রশংসা হয়েছে। এ নিয়ে দু’দেশের গণমাধ্যমে তাদের রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাসীনদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশংসার ফুলঝুরি বয়ে যাইনি, এটিই বাস্তবতা।
তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং এর পূর্বে দীর্ঘ সাত বছর দলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের সংসারটা সাংবাদিকদের সঙ্গেই উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাবিশ্বে বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ আছে।
বিএনপির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেখতে পাচ্ছে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে, হাত-পা মালিশ করে কোনো লাভ হয় নাই।
বিএনপি যাদের ওপর ভরসা করেছিল তারাও দেখতে পাচ্ছে বিএনপির ওপর কোন ভরসা নাই।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোলাব্যাঙের মতো আওয়াজ তুলছে মাত্র। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবদের বড় একটা গলা আছে, অন্য কোন কিছু নেই। ব্যাঙ প্রাণী ছোট, কিন্তু আওয়াজটা খুব বড়।
যখন বর্ষাকালে চারদিক ডুবে যায় তখন ব্যাঙ প্রচন্ড আওয়াজ করে। আসলে বিএনপির অবস্থাও তেমনই হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রায় ১০ মাস পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সাত সদস্য শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার বাসভবনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলের চেয়ারপার্সন জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্কে জানতে চান। তিনি তাদের দুর্দশা সম্পর্কে অবগত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কেও অবগত আছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বিদ্যমান চরম গরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সাধারণত ঈদ উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়াকে দেখে তারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখনও খুব অসুস্থ এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
গত বছর ঈদুল আজহায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েক বছর পর খালেদা জিয়া তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে এবার ভিন্ন ঈদ উদযাপন করেছেন।
জাফিয়া ও জাহিয়া গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে দাদির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকায় আসেন এবং তাদের মা সিঁথি গত বছরের নভেম্বরে লন্ডন থেকে দেশে আসেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তিনি তার বাসাতেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ‘এবারের ঈদ আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও কঠিন ছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন, অন্যদিকে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ এবারের ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। তাই, তারা দুর্দশা ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
ফখরুল আরও বলেন, এবারের ঈদের বাজার মোটেই গতি পায়নি, কারণ সব পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা পুরোপুরি কমে গেছে। যখন দামের স্তর বৃদ্ধি পায়, তখন একই পরিমাণ অর্থ স্পষ্টতই কম কিনতে সক্ষম হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীকে 'ঈদ মোবারক' জানিয়েছেন।
সকাল ১১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহায়তায় জনগণকে একটি ধারণা দিতে চায় যে দেশ ও অর্থনীতি ভালো পথে চলছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশে একটি চরম অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে খুব শিগগিরই দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাবে। কিন্তু এই সরকার জোর করে মিথ্যা ও ভুল প্রচারণা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।
আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে দেশের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। তারা এবারও সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে, যা এমন একটি সরকার তৈরি করবে যা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভাগ করে নেবে এবং এভাবে জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
'বিএনপি কোন ঈদের পর আন্দোলন করবে' সেই প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সরকারি কাজে ইউরোপ সফর শেষে ফিরে শুক্রবার সকালে মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ প্রশ্ন তোলেন।
এ সময় মন্ত্রী সবাইকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানান ও নিরাপদ যাত্রা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
ঈদের পরে বিএনপি মহাসচিবের আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের পরে, শীতের পরে, গ্রীষ্মের পরে, স্কুল ছুটির পরে, কুরবানির পরে, বর্ষার পরে-এ সব কথা চৌদ্দ বছর ধরে শুনে আসছি।
মির্জা ফখরুল সাহেবের এ সব কথা মানুষ হাস্যকর বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আর তিনি 'ঈদের পরে' বলেছেন, কিন্তু কোন ঈদের পরে সেটি বলেননি। আমার প্রশ্ন- কোন ঈদের পরের কথা তারা বলছেন?'
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করার কথা বললেও তাদের নেতারা যে এতে অংশ নিতে চায়, সেটি স্পষ্ট। অন্য নির্বাচনেও তাদের নেতারা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্যও নেতারা ছুটোছুটি করছেন,তাদের অন্দরমহলে নান আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনে আসলে আমরা বিএনপিকে স্বাগত জানাই।
আমার ধারণা তাদের অনেকেই মুখোশ লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমরা চাই, তারা মুখোশ ছাড়াই অংশ নিক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তাদের নেতাদের অংশগ্রহণ তারা ঠেকাতে পারবে না' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন এবং আনন্দমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার সকল সহযোগিতা দেবে, সব পর্যবেক্ষক নির্বাচন দেখবেন। এবং আমরা আশা করি, বিএনপি অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
কারণ নির্বাচন থেকে এভাবে পালিয়ে যেতে এক সময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে, তখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সদ্যসমাপ্ত ইউরোপ সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্কাইভ ব্রিটিশ পাথে এবং ডাচ সংস্থা রেডঅরেঞ্জের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অডিও-ভিজুয়াল ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে দু'টি চুক্তি হয়েছে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আর্কাইভের সমন্বয়কারী ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা, এসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকেও ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে যা, দেশের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করবে ও বিকৃতি থেকে রক্ষা করবে।
এ সময় সাংবাদিকরা 'ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে র্যা পিড একশন ব্যাটেলিয়ন-র্যা বকে নিয়ে ডয়েচে ভেলের একটি সংবাদ শেয়ার করা বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অবগত নয় এবং তারা ঢাকাস্থ দূতাবাসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে' -এ প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানকার মার্কিন দূতাবাস যে বিভিন্ন ধরনের ছুটাছুটি করে, নানাজনের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে, যেগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেগুলোর সঙ্গে যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্রব নেই, সেটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্যেই পরিস্কার। দূতাবাসের কোনো ব্যক্তিবিশেষ এটি শেয়ার করেছেন এবং বিরোধী দল এর প্ররোচনা দিয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের লোকজন রাত-বিরাতে দূতাবাসে গিয়ে তাদের হাত-পা ধরে তাদেরকে যে প্ররোচিত করে, যেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, এ ঘটনায় সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই চোরাগলি পথে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে, না জিতে চোরাগলি পথে বিএনপিকে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
কারণ, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নে ও সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নে ২৮শ’ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও আগুন সন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে নাই। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খায়, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে। আর ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অস্থিতিশীল করতে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
এছাড়া ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা যাওয়ায় যায় না। জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে হয়। অন্য কোনো পথ নাই।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের দল, মানবতার দল। আওয়ামী লীগ সবসময় অসহায়ের পাশে থাকে, দুর্গতদের পাশে থাকে। কোটি মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও ভালবাসার এ দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। আগামী নিবার্চনেও জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে: এনামুল হক শামীম
রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মুখে যত কথাই বলুক তাদের অন্তরে জানা হয়ে গেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সেটা জানে বলেই তারা আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগণের জন্য যদি এতই ভালো কাজ করে থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন?
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, অনেকেই বলেন আপনারা এত বড় রাজনৈতিক দল। কেন নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচনে না গেলে কীভাবে ক্ষমতায় যাবেন।
এছাড়া ছোট্ট একটি উত্তর দিচ্ছি-বিএনপি কোনো দিন বলে নাই তারা নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনের একটি মাত্র উপায় রয়েছে সেটি হচ্ছে নির্বাচন।
এছাড়া আমরা নির্বাচন অতীতে করেছি আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি আমরা নির্বাচন ভবিষ্যতে করব।
তিনি বলেন, আমরা যে নির্বাচনে যাব সেই নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এমন কোনো নির্বাচনে যাব না-যেখানে ফলাফল পূর্ব নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
এমন কোনো নির্বাচন যে নির্বাচনের চারটি বাটন টিপলে ফলাফল বেরিয়ে আসে।
চারটি বাটন হচ্ছে-ডিসি, ওসি, ইউএনও ও এসপি।
ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার যখন নির্বাচনের চারটি বাটন চাপ দেয় তখন ফলাফল প্রিন্ট আউট হয়ে বেরিয়ে যায়।
এছাড়া নির্বাচন কী হয়েছে না হয়েছে তার সঙ্গে সে প্রিন্ট আউটের কোনো সম্পর্ক থাকে না। সেই নির্বাচনে বিএনপি কোনোদিন যাবে না।
মঈন খান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্ট। আমরা এ দেশে জনগণের সরকার চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার একটি মাত্র উপায় সেটি হচ্ছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এছাড়া এদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।
তাঁতী দলের আহ্বায় আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার তাদের দলের জনপ্রিয় নেতাদের ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রেখে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য করার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনবারের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ২১ বছর আগে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে।
ফখরুল বলেন,‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টির বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়া এবং তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
‘হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সাজা দেওয়া সরকারের সেই নীল নকশারই অংশ। খুব শিগগিরই দেখবেন বিএনপি ও বিরোধী দলের অনেক শীর্ষ নেতাকে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হবে। আমরা লক্ষ্য করছি যে (আমাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে) মামলা হচ্ছে। খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে ২০০২ সালে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৪ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন সাতক্ষীরার আদালত।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার স্থানীয় নির্বাচনী এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এমন রাজনৈতিক নেতাকে মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা ষড়যন্ত্রমূলক, প্রতিহিংসামূলক এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘এই শাস্তি ন্যায়বিচারের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০০১ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ১২ বছর পর সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ ও জব্দ তালিকা আদালত কীভাবে গ্রহণ করেন?
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাজা ও দমন-পীড়ন করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন,‘বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে যে তারা এদেশে এমন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন আর মেনে নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।’
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িত করার সরকারের প্রচেষ্টার নিন্দা করেছেন।
ফখরুল বলেন, তাদের বৈঠকে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা না করে মার্কার অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে অগ্নিসংযোগের মূল হোতা ও সূচনাকারী।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) কখনও অগ্নিসংযোগ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এই সন্ত্রাস তাদের (আওয়ামী লীগের) জিনে আছে। আমি একটা কথা বলি দুইটা জিনিস, সন্ত্রাস আর দুর্নীতি তাদের (আ.লীগের) শরীরের রসায়নে আছে।’
ক্ষমতাসীন দলের বিদেশিদের কাছে যাওয়ার অভিযোগ এবং বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আনুকূল্য চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের দল কোনো অনুগ্রহ করতে বিদেশিদের কাছে যায়নি। ‘আমরা যখন তাদের দ্বারা আমন্ত্রিত হয়েছিলাম তখনই আমরা গিয়েছিলাম।’
বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদেশিদের কাছে যাচ্ছেন এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একই স্টাইলে আরেকটি নির্বাচন করতে রাজি করাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করছেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে: ফখরুল
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আমরা নির্বাচন করেছি।
তিনি বলেন, সেই নির্বাচনেও যথেষ্ট কারচুপি হয়েছে। এখন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থদের মাঝে পোশাক বিতরণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আশা করেন বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে তারা রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে। রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো নির্বাচন।
তিনি বলেন, ‘সকল দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিশ্বে যথেষ্ট মর্যাদা অর্জন করেছি। আজকে গ্রামগুলো শহর হয়েছে। আজ গ্রাম আর গ্রাম নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আপনারা শান্তিতে আছেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ