রাজনীতি
প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আলো পত্রিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলা ভাষার এই দৈনিকটি তার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের শত্রু।
তিনি সংসদে বলেন, ‘পত্রিকাটির নাম প্রথম আলো (প্রথম আলো), কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের শত্রু।’
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে সংসদে তার দেওয়া প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাত, মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই’-পত্রিকাটি একটি ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলালো। আর এই মন্তব্যটি রেকর্ড করে প্রচার করা হলো।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে তারা কখনই চায় না যে এই দেশে স্থিতিশীলতা থাকুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় তখন পত্রিকাটি খুবই আনন্দিত হয় এবং সেই সময় দুটি সংবাদপত্র আন্তরিকভাবে কাজ করে।
নাম উল্লেখ না করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন যে দেশটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের পক্ষে ওকালতি করে আসছে।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সিটি করপোরেশনসহ সব নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। তবে নির্বাচনে যাবে কিনা; সেই সিদ্ধান্ত যে কোনো রাজনৈতিক দল নিতে পারে। এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে সবসময়ই নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা থাকে। তারা কোনো কোনো সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, আবার কোনো নির্বাচনে করে না। এ দোদুল্যমানতা বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনের অংশ হলেও বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারত। তাদের জন্য সেটি ভালো হতো। তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারত। নির্বাচন কী রকম হচ্ছে,সেটিও তারা পরোখ করতে পারত।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়,সেটি তাদেরই জন্য মঙ্গলজনক। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করেছে। সরকার সবসময় নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করেছে। কাজেই এ নির্বাচনে অংশ নেওয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক। নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপির জন্য শুভ হয়নি,হবেও না। বিএনপির এই নির্বাচন বিমুখতা আসলে গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল।’ভোক্তা অধিকারের তৎপরতার জন্য এবারের রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি রমজানেই আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এবারেই সেই তৎপরতা ছিল। কিন্তু সরকারের নানামুখী তৎপরতার কারণে কোনো কোনো পণ্যমূল্য কমেছে। মুরগির দামে যেমন অনেক বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, সেটি কমেছে। এতে প্রমাণিত হয়, যদি আমরা ভোক্তা অধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে পারি,তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে পারি,তাহলে পণ্যমূল্য যখন-তখন অহেতুক বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোক্তা অধিকারই না,এফবিসিসিআইও সোচ্চার হয়েছে।
তিনি জানান, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় পণ্যের সংকট আছে। কোনো কোনো বিপণিবিতানে এক লিটারের বেশি ভোজ্যতেল কিনতে দেয়া হয়নি। ছয়টি কিংবা ১২টির বেশি ডিম কিনতে দেয়া হয়নি। যে কারণে দেখা গেছে, কেনার জন্য একই পরিবারের পাঁচজন মার্কেটে গেছেন। সেখানে পণ্যের সংকট আছে। যেটি আমাদের দেশে নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে যদি পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়, তাহলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ভারতে তথ্য অধিদপ্তরকে ফ্যাক্টচেকের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কোন সংবাদটি সঠিক,কোনটি সঠিক না, সেটি তারা পরীক্ষা করবে, এ ধরনের সংবাদ যদি কেউ পোস্ট করে,তাহলে সেই দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হবে, এই সংবাদটি সঠিক না, সেটি তাদেরকে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে না নিলে সেই ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাংলাদেশে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা নিইনি। তার মানেটা এই যে আমাদের দেশের গণমাধ্যম ভারতের চেয়ে অনেকে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে বিবিসির কার্যালয়ে কয়েকদিন ধরে তল্লাশি করা হয়েছে ট্যাক্স অফিসের মাধ্যমে। আমাদের দেশে কোনো পত্রিকা অফিসে তো ট্যাক্স অফিস যায়নি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: খুলনায় বিস্ফোরক আইনে ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির খুলনার ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়কসহ ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এর আগে শনিবার সারাদেশে শহর, থানা ও উপজেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক গাজী আব্দুল হকের নেতৃত্বে জামিরা রোডে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় তাদের কর্মসূচি পালনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. রাশেদসহ বিএনপির ৯ জন নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে তারা কারাগার থেকে ছাড়া পান।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আ.লীগের হামলায় কর্মসূচি পণ্ড
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার রাজপথে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করতে থাকে এবং আগামী নির্বাচনও যদি বর্জন করে তাহলে নির্বাচনের পরে বিএনপি একটি গুরুত্বহীন দলে রূপান্তরিত হবে, এটিই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। দেশের গণতন্ত্র সংহত হোক।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে হক সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক যে দেশে যখন জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হচ্ছে, তখন তারা সংসদে নেই। আসলে তারা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি বা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে তারা সংসদে থাকলেও কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছে।
হাছান বলেন, বিএনপি ভেবেছিল তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের মধ্যে ঝাঁকুনি লাগবে, সরকার কাঁপবে, পড়ে যাবে। কিন্তু সরকারের কিছুই হয়নি, একটু কাতুকুতু লেগেছে, এর বেশি কিছু না।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সকল সাংবাদিকের কাজকে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক কাজের মধ্যদিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
সরকার দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করছি যে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিনা উসকানিতে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা ও বাধা দিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
রবিবার এক আলোচনা সভায় এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল এ পর্যন্ত সকল বাধা-বিপত্তি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে তাদের চলমান আন্দোলনের সকল কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আওয়ামী লীগ সব সময় সংবিধান মেনে চলার কথা বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সংবিধানে বিরোধীদের কথা বলার ও প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কেন আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না? সরকার কি রাষ্ট্র নাকি ঈশ্বর? সরকার ঈশ্বর নয় (যে আমরা এর সমালোচনা করতে পারি না)।’
ক্ষমতাসীন দল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তারা (যারা ক্ষমতায় আছে) একাই কথা বলবে এবং সবাইকে দাসের মতো তাদের কথা মেনে চলতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।’
গত মাসে নওগাঁয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব হেফাজতে মুত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
ফখরুল বলেন, ‘সুলতানা জেসমিনকে অবৈধভাবে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে এটা হতে পারে না। এটা আইন ও সংবিধানের চরম লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, জেসমিন হত্যার ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই। ‘এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
সরকারের উচ্চপদস্থদের নির্দেশে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা দমন-পীড়ন ও গণহত্যায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অন্যায়ের কথা যারা বলে এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার সরকার ক্রমবর্ধমান হারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) ব্যবহার করে তাদের দমন করছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক ভাই ও সম্পাদকদের সঙ্গে নিয়ে এই আইনের প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু তারা (সরকার) এটা করবে না (এটি বাতিল বা সংশোধন)।’
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার সরকারকে ডিএসএ সংস্কার এবং এর দুটি ধারা বাতিল করার আহ্বান জানালেও আইনমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার দমনমূলক আইন ব্যবহার করে জনগণের কথা বলার অধিকার এবং প্রতিবাদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিতে চায় বলে ডিএসএ বাতিলের করছে না।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে ডিএসএ-এর অধীনে করা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, রাজনীতি এখন একটি ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে যা আবেগের বিষয় ছিল।
রবিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে রাজনীতি ছিল আবেগের বিষয়, এখন এটা পেশায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, পাত্র সরকারি দল করে শুনলে, ‘তাহলে বলে আলহামদুলিল্লাহ।’
ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনীতিই দেশবাসীর জীবন পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটা একটা পেশা হয়ে গেছে। আগে রাজনীতি আবেগ ছিল, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করত।’
পাকিস্তান আমলের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, একজন মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হলে চাকরি পাবেন না বলে বিয়ে করেননি।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
ফিরোজ রশীদ দাবি করেন, সংসদের অনেক অর্জনের পাশাপাশি দুর্বলতাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (বঙ্গবন্ধু হত্যার) কমিশন গঠন করতে পারছেন না… কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল। ডালিম, ফারুক, রশিদ গিয়ে এটা করল… ঠিক তা নয়। এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র ছিল, আপনারা সেটা বুঝতে পারেননি।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, চরম বাম ও চরম ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কারণ সবাই নৌকায় উঠেছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) নৌকায় চড়বেন। আপনারা নৌকার চালক। তারা নৌকায় বসে আছে এবং জিজ্ঞাসা করছে আর কতদূর?'
ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
তিনি বলেন, ‘কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তি নেই। শিক্ষক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই বিভক্ত। গোটা দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত।’
তিনি আরও দাবি করেন, এ আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বিএনপিকে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজ(শনিবার) ৫৫০টি থানা ও উপজেলায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল এবং প্রায় সর্বত্র পুলিশ বাধা দেয়। ঢাকা মহানগরীতে, প্রায় সব নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।’
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতার উস্কানিনিতে সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার সহিংসতা চালাচ্ছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আমাদের উস্কানি দিয়ে অন্য পথে নিয়ে যেতে চায়।’
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় ১০ দফা দাবি আদায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সর্বব্যাপী দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করার জন্য এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
ফখরুল দাবি করেন, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাদের দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করছে। এটা একটা কাপুরুষোচিত শাসন যা মানুষকে ভয় পায়। তাই তারা জনগণকে কোনো সমাবেশ করতে দেয় না। তারা জনগণের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে কয়েক হাজারকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, সময় এসেছে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের জনগণ ও তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেউ এখন বলছে না বাংলাদেশ খুব ভালো, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) সংসদে বিদায়ী ভাষণে তাদের (আ.লীগ) নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কিছু সত্য কথা বলেছেন। তিনি প্রথম কথাটি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না। এটা আমরা বারবার বলে আসছি।’
রাজনীতিতে ভদ্রতা ও সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বক্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল। ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি)ও (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সংঘাত ভুলে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যে দল থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেই দল গণতন্ত্র ছাড়াই উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও জনমতের প্রতি সহনশীলতার অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারকে সহিংসতা ও সংঘাত এড়াতে হলে বিরোধী দলগুলোর দাবি মানতে হবে।
শনিবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেনে।
গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এমন মন্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার যদি সংঘাত এড়াতে চায় এবং এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে প্রথমেই বিরোধী দলগুলোর দাবি পূরণ করতে হবে। অন্য কথায়, পদত্যাগ করতে হবে, আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে তারা সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, তাদের দল সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে ২০১৮ সালের নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল, কিন্তু তারা ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতা বলেন, দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দল ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসবে না। ‘তাদের (সরকার) বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। প্রথমে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে এবং তারপর সংলাপের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
জাতীয় আইনসভার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্মারক ভাষণের প্রতি প্রতিবেদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় ফখরুল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে তার তেমন ক্ষমতা নেই। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না।’
তিনি স্মরণ করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের দল যখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন, তখন রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের কোনো প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার সেই ক্ষমতা নেই।’
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত ভাষণ পড়ে শোনান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলি যে ব্যক্তিগতভাবে আমি একটি জিনিস পছন্দ করি, কারণ তিনি বলেছিলেন যে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সর্বজনীন নয়। এটা আরেকটি ভালো কথা তিনি বলেছেন, সংঘাত ও প্রতিহিংসার মাধ্যমে কখনও গণতন্ত্র চর্চা করা যায় না। এই শব্দগুলো ভাল।’
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের চর্চা না করে ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
সহিংসতা এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুসংহত করার কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সংসদ সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ জনসমস্যার আলোচনা হয় না। ‘একজন ব্যক্তি সেখানে সর্বেসর্বা। এটি একটি অনির্বাচিত সংসদ।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল
সাম্প্রতিক বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফখরুল বলেন, সরকার ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সেবা করার উপযোগী নয়। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় তারা অনিয়মে লিপ্ত হয়।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন জোরদার করার কৌশল নিয়ে তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফকিরাপুলের সন্দ্বীপ ভবনে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব সকালে বক্তৃতা করে বলেছেন, তদন্ত হলে না-কি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে সরকারের কারা কারা যুক্ত তা বেরিয়ে আসতে পারে। এ রকম একটি দায়িত্বহীন, কান্ডজ্ঞানহীন কথা বিএনপির মতো দলের মহাসচিবের কাছে আশা করা যায় না।'
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দু:খজনক। প্রধানমন্ত্রী এটি সার্বক্ষণিক মনিটর করেছেন এবং ইতোমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে এ ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসন এবং নিরাপদ স্থায়ী কাঠামোর বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের সদস্যরা বিপদাপন্নদের পাশে দাঁড়িয়েছে।'
সিজেএফডি’র সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, মাহফুজুর রহমান মিতা এবং সাইমুম সরওয়ার কমল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে: হাছান মাহমুদ
শনিবার সব উপজেলা ও থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানানোর জন্যও এই কর্মসূচি।
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, দলের সিনিয়র নেতাদের অংশগ্রহণে সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি জানান, কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যে তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন উপজেলায় গেছেন।
রাজধানীতে টিপু বলেন, ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি ২৬টি থানায় এবং দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা ২৪টি থানায় কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি ছাড়াও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি শনিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর পান্থপথে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে সরকার ব্যর্থ: ফখরুল
এর আগে গত ১ এপ্রিল বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের