রাজনীতি
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন(ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার ইসি সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩০০ আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবে তারা ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। যা সম্ভাব্য আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
এরপর ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি এবং তার মিত্ররা, যারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয়নি।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সরকার বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম m1348 Hrs 13achines (EVMs) কেনার বিষয়টি এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই: ফখরুল
জোটের শরিকদের মধ্যে বিরোধ বাড়ার জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে আমাদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই এবং আমরা যুগপৎ আন্দোলনের গতি হারাইনি।’
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যদের মধ্যে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি ও জোটের শরিকরা শনিবার সব নগর ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও, গণতন্ত্র মঞ্চ এ কর্মসূচি পালনে বিরত থাকে।
এক সাংবাদিক এ বিষয়ে ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, সারাদেশে কখনো কখনো বিএনপির কর্মসূচি যুগপৎভাবে পালন করা হয়। তবে তাদের মধ্যে এবিষয়ে বোঝাপড়া আছে যে প্রতিটি দল চাইলে নিজস্ব কৌশলে কর্মসূচি পালন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার শামিল: মোশাররফ
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং রাষ্ট্রের সংস্কারের মূল দাবিতে একমত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এখন থেকে তাদের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি কোনটি এবং কোনটি তাদের দলের নিজস্ব কর্মসূচি তা তারা স্পষ্ট ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, মূলত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর ভিত্তি করে তাদের আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা করা হবে।
শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হামলায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে খুলনা ও নাটোরে অনেক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ‘বর্তমান আন্দোলন ও ভিন্নমতকে দমন করতে আমরা হামলা ও স্বৈরাচারী সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার জনমতকে দমন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করতে গত ১৪ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যা এবং গ্রেপ্তার, দমন ও জেলে ঢোকাচ্ছে। ‘তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করছে, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে।’
তিনি জানান, তাদের বৈঠকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার এবং সংবাদপত্রটির সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা দায়েরের নিন্দা জানানো হয়।
ফখরুল বলেন, বৈঠকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের বৈঠকে ২৪ মার্চ রাজশাহীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (রাব) হেফাজতে সরকারি কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
তিনি বলেন, তারা চলমান যুগপৎ আন্দোলনের তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং তারা আন্দোলনের অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। যাতে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অপ্রীতিকর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলন তীব্রতর হয়।
রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, তারা যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণার বিষয়েও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, তারা আশা করছেন খুব শিগগিরই তারা যৌথ ঘোষণা সম্পর্কে জানাতে পারবেন।
হাসনাত বলেন, আগামী দিনে কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়েও তারা আলোচনা করছেন।
আরও পড়ুন: অবস্থান কর্মসূচির পূর্বে খুলনায় ১৬ নেতাকর্মী আটক: বিএনপি
নির্বাচন যখনই হোক বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না: কাদের
জাতীয় নির্বাচন হলেও বিএনপি আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঠিক করবে এবং এ বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। নির্বাচন যখনই হোক, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের ধরন দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরাই হতাশ। তারা গণঅভ্যুত্থানের কথা বলছে, অথচ তাদের সমাবেশে এক হাজার মানুষও হয় না। শুধু নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসা যায় না। যে আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই, সে আন্দোলন কখনই সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে প্রতি দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যারা বলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, তারাই সরকারের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। এটা সত্য যে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকারই সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ভুল কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু অপরাধ করে ভুল লে পর পাওয়া যাবে না।
'চাইল্ড এক্সপ্লয়েটশন' কোনো ভুল নয়, এটা একটি অপরাধ উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে ওই পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল করা হত। কিন্তু শেখ হাসিনা তা করেননি।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী ইয়াসির ইনান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ও প্রথম আলো পত্রিকা একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারকে হেয় করার জন্য বাংলা ভাষার এই সংবাদপত্রটি বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে হেয় করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আরেকটি পঁচাত্তর তৈরি করতে চায়। তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে কারচুপি করা এবং একটি অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর প্রকাশিত সংবাদটি এই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যৌথসভায় ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, প্রথম আলো যা করেছে তা শুধু দেশের স্বাধীনতার প্রতি প্রশ্ন তোলা নয়, ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি বলেন, দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য পত্রিকাটি হলুদ সাংবাদিকতা করেছে। সংবাদপত্রের সম্পাদক ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি বলেন, ভুল খবরের জন্য ক্ষমা না চেয়ে পত্রিকাটি চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
অবস্থান কর্মসূচির পূর্বে খুলনায় ১৬ নেতাকর্মী আটক: বিএনপি
খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে সামনে রেখে শুক্রবার রাতে দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিষয়টি জেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ খান বাদল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান শেখ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক নুরুল হক, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল খন্দকার, সিটি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন ও যুবদল নেতা নুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার বিনা পরোয়ানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা (সরকার) বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমনের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বাত্মক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানানোর জন্যও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
সাধারণ মানুষের সামনে সরকারের সাফল্য তুলে ধরুন: ড. হাছান
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে তার দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দেশ বদলে গেছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেছেন বলে পিআইডির এক প্রেস নোটে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসান বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী এবং গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। শুধু প্রধান সড়কই নয়, এখন বাড়ি যাওয়ার ব্যক্তিগত রাস্তাও পাকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের এই সব উন্নয়ন গ্রাম, শহর, বাজার, মাঠে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে (রাঙ্গুনিয়া থেকে) এমপি নির্বাচিত হওয়ার সময় তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। কিন্তু এখন তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
আগামী সাধারণ নির্বাচন আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা, বন্যাসহ যেকোনো দুর্যোগে বিএনপিকে এক মুঠো ধান নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের সময় তাদের আবারও জনগণের মাঝে দেখা যাবে বলে জানান তিনি।
হাসান বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলে জনগণ ‘নৌকা’ প্রতীক ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবে না এবং শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।
সভায় স্থানীয় আ’লীগ নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর বিএনপি যৌথভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
একই সময়ে অন্যান্য মহানগরী ও জেলা শহরেও একই কর্মসূচি পালন করবেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ছাড়াও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং এলডিপিও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
তবে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে আসা গণতন্ত্র মঞ্চ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রবিবার বিএনপির সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার গণমাধ্যমকে ঠেকাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো 'কালো'আইন ব্যবহার করে চরম দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফখরুল বলেন,এদিন গভীর রাতেই পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিবেদক ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মাহবুব আলম লাভলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করেছেন এক যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর অধীনে একের পর এক মামলা করা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক আঘাত।’
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা গণতন্ত্রকে চিরতরে কবর দিতে চায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের কাছে একটি বার্তা দিতে চায়, তা হলো সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা যাবে না এবং স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা যাবে না।
বিএনপির জে্যষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে নির্বিচারে দমন ও পীড়ন করে দেশে তাদের ভয়াবহ দুঃশাসন চালু রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি নিঃসন্দেহে সরকারের নির্দেশেই করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়নে দেশবাসী ও গণমাধ্যম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার শামিল: মোশাররফ
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন,কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় না। বাংলাদেশে সেটি কখনো হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কারণ বিএনপি বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে তারা সিট পেয়েছিল ২৯টা। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেও মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল মাত্র ৭টি।
আর গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে এতে জনগণ তাকে যে আবার নির্বাচিত করবে।
তিনি আরও বলেন, এসব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই একজোট হয়ে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না।
এছাড়া আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে। সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি