রাজনীতি
উৎসব মুখর পরিবেশে ফরিদপুরের ১১ ইউপিতে ভোট শুরু
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, সদর উপজেলার মাচ্চর, ইশানগোপালপুর, কৃষ্ণনগর, কানাইপুর, কৈজুরী, গেরদা, বাখুন্ডা, আলিয়াবাদ, নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে ভোট চলছে।
আরও পড়ুন: ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ সেশনের কমিটি নির্বাচনের ভোট সম্পন্ন
উপজেলার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৫টি ভোট কক্ষে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করছে। এবারই প্রথম সব কয়টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এই ১১ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে দুই লক্ষ ৩৩ হাজার ২৯ জন। ভোট গ্রহণে আমাদের ১০৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬৬৫ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
১১টি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৯ জন, ১১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ৩৫৮ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হালনাগাদ ভোটার তালিকার চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ বৃহস্পতিবার
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় আবারও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুইটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্যও করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে না। তারা আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্য দেশগুলোতে নির্বাচন হয়, সেভাবেই জাতীয় নির্বাচনের সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ‘অস্বাভাবিক চোর’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (এসসিবিএ) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতাসীন দলকে 'অস্বাভাবিক চোর' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের (আ. লীগের) লক্ষ্য একটাই, চুরি করা। আমরা সাধারণত তাদের ভোট চোর বলি। তারা জাতীয় নির্বাচনে এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কারচুপি করে। ‘এখন তারা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারে ভোট কারচুপি করেছে। আসলে, তারা অস্বাভাবিক চোর।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ চুরি ছাড়া কিছুই করে না। ‘তারা চুরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে এবং এটি তাদের পেশা এবং নেশা... তারা চুরির মাধ্যমে দেশের সম্পদও নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ব্যাপক চুরি করে দেশের বিদ্যুৎ খাত ধ্বংস করেছে।
সুপ্রীম কোর্ট বার নির্বাচনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে (মঙ্গলবার রাতে) ভূয়া ও স্ট্যাম্পযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে তোলপাড় শুরু হয়। ‘তারা (আ.লীগপন্থী আইনজীবীরা) আমাদের সাতবারের নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্ট বারের সেক্রেটারিকে (মাহবুবউদ্দিন খোকন) লাঞ্ছিত করে আহত করেছে।’
এ ঘটনায় খোকনসহ বিএনপিপন্থী এক হাজার আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এখন কোন দেশে বাস করি? এই দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে এসেছি? এর জবাব জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে দিতে হবে। তারা এ দেশকে চরম ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তারা আমাদের সকল সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে। তারা আমাদের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসসিবিএ নির্বাচনে দুই দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, কিন্তু কিছু বিএনপিপন্থী আইনজীবী একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালে তা স্থগিত করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের লেখা ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ বইয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কেন ফখরুলের প্রশ্ন, এটিকে ‘বিতর্কিত’ বলেছেন
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
'যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প' অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এতে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,সোমবার আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারের বিপজ্জনক 'যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প' নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, তাদের দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা এবং জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতি করবে।
তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যমুনা নদীর প্রস্থ ১৫ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার করতে এক হাজার ১১০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে 'যমুনা নদী তীর রক্ষা ও ঝুঁকি প্রশমনের জন্য টেকসই অবকাঠামো' শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে।
প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করে ফখরুল বলেন, এই পাইলট প্রকল্পের জন্য সরকার ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছে। ‘এটি একটি মারাত্মক এবং আত্মঘাতী প্রকল্প। সরকারের সমস্যা হলো যে দেশের জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে তাদের মনোযোগ নেই।’
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ বা প্রকল্প নেই। কার স্বার্থেই তারা হাজার বছর ধরে প্রবাহিত যমুনা নদীকে সংকুচিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার একটি নদী ধ্বংস করে বিপুল পরিমাণ জনগণের টাকা লুটপাট করার প্রকল্প নিয়েছে। ‘এই প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এই প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, সরকার দুর্নীতির প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নিয়েছে এবং তারা এ খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারও জনগণের টাকা লুট করতে একের পর এক বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কেন ফখরুলের প্রশ্ন, এটিকে ‘বিতর্কিত’ বলেছেন
নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা জানেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের সম্ভাবনা নেই। সেজন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হয়তো কোনও কোনও কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রথমে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ বেগম জিয়ার ভবিষ্যৎবাণী তার নিজেদের বেলায় সত্য হয়েছিল। এবার বেগম জিয়া কারাগারে। আমি আশ্চর্য হবো না যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের এই ভবিষ্যৎবাণী তার দলের ব্যাপারে সত্য হয়। এ ধরণের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।’
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যেতে চাওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তো কোনও সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। ইসির অধীনে যে নির্বাচন হবে আশা করি সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “ড. কামাল হোসেন সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন সাহেবকে ‘হায়ার’ করেছিল। তিনি ‘হায়ারে’ খেলতে গিয়ে ভালো খেলেন নাই এবং সেখানে মাত্র ৭টি আসন বিএনপি পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে তারা আনুবিক্ষণিক দলগুলো, যারা রাজনীতির টোকাই তাদের ওপর ভর করেছে। বিভিন্ন দলীয় মোর্চা মিলে মনে হয় ৫১-৫২ দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে আপনারা ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলার জন্য প্রশ্ন করলে তিনি বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।”
সাম্প্রতিক পঞ্চগড় সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করলেই জানা যায় কারা এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, যে কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য হয়েছিল; একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপি যে তা করেছে সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা, জিএম সিরাজ ও হারুন-অর-রশীদের পোস্ট থেকেই প্রমাণিত হয় যে তারা এটি ঘটিয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেব ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে বলছেন, ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। এটা বলে তো কোনো লাভ নাই, উনার নেতারাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এবং তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল, যেটি পুরোপুরি সফল হয়নি।”
মন্ত্রী হাছান আরও জানান, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০টি মামলা হয়েছে, ১২০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোনো দল-মত না দেখে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। সেখানে যদি প্রশাসন বা পুলিশের কোনো ব্যর্থতা থাকে তদন্ত সাপেক্ষে সে ব্যাপারেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকার আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কেন ফখরুলের প্রশ্ন, এটিকে ‘বিতর্কিত’ বলেছেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকারের অনুমতি দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে তাদের ধর্মসভাকে ‘বিতর্কিত’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফখরুল গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন যে সরকার কেন এমন বিতর্কিত অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল? – যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক হামলায় দুজন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
ফখরুলের মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন জামায়াতে ইসলামীর টুইটার অ্যাকাউন্ট বাশেরকেল্লা- আহমদিয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে সহিংসতা বন্ধে পুলিশের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে এবং সম্প্রদায়কে ‘বয়কট’ করার আহ্বান জানিয়েছে। আহমদিয়া সম্প্রদায় এটিকে তাদের বিরুদ্ধে একটি ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম ৫ মার্চ একটি বিবৃতিতে সরকারকে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অমুসলিম’ ঘোষণার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বাগেরহাট বিএনপির ১৫ নেতা
বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এমডি সেলিম এবং বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বিএনপি নেতা শাহেদ আলী রবি, সোহেল তরফদার, শহিদুল ইসলাম, এমডি সাইদ শেখ, রফিকুল নকিব, মো. আবুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, মো. ফিরোজ বিশ্বাস, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন, আমিরুল শেখ ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, নিম্ন আদালতে নেতাকর্মীদের জামিন না হওয়ায়। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করি। বিচারপতি এমডি সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ আমাদের ১৫ নেতাকর্মীকে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
এর আগে গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাসভবন এবং পুরাতন বাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে নাশকতার মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেই থেকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে রয়েছে আটক নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারে আওয়ামী লীগের আপত্তির একটাই কারণ, তারা জানে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হয়, তাদের কারও জামানত থাকবে না।
সোমবার (১৩ মার্চ) ঠাকুরগাঁয়ের নিজ বাড়িতে জেলা বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পঞ্চগড়ের সহিংসতা সরকারের পাতানো ঘটনা। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আসল আসামিদের আড়াল করতেই বিএনপি’র ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আর এর সঙ্গে তো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রয়েছেই।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,সরকার প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে এবং দেশে-বিদেশে বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। সরকার তার নিজের লোকদের দিয়ে এটা করেছে।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মূলত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে দেশে ও বিদেশে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে সরকার নৃশংস দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে দমন করতে এবং চলমান আন্দোলন বানচাল করতেই তারা এটা করেছে।
ফখরুল বলেন, যে কোনো ঘটনা নিজে ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। তারা অতীতেও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গত ৮ মার্চ সহিংসতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী,এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করে।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট একটি অমানবিক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা দেশে এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার ও পুলিশের চরম দায়িত্বে অবহেলার কারণে, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এখন এক হাজার চিহ্নিত ব্যক্তিসহ ১২ হাজার জনের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করে সহিংসতা কবলিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
ফখরুল বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই সরকার পাইকারিভাবে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে। তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এটি করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের আন্দোলনকে পুরোপুরি দমন ও বিচ্যুত করার জন্য সরকার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের অভাব ও সরকারের জবাবদিহিতার অভাবে দেশে পঞ্চগড়ের মতো ঘটনা ঘটছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই এ ধরনের সমস্যার একমাত্র সমাধান।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য দুজন মুসলমানকে হত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর কিছু যুবক লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করে।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির