রাজনীতি
নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা জানেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের সম্ভাবনা নেই। সেজন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হয়তো কোনও কোনও কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রথমে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ বেগম জিয়ার ভবিষ্যৎবাণী তার নিজেদের বেলায় সত্য হয়েছিল। এবার বেগম জিয়া কারাগারে। আমি আশ্চর্য হবো না যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের এই ভবিষ্যৎবাণী তার দলের ব্যাপারে সত্য হয়। এ ধরণের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।’
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যেতে চাওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তো কোনও সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। ইসির অধীনে যে নির্বাচন হবে আশা করি সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “ড. কামাল হোসেন সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন সাহেবকে ‘হায়ার’ করেছিল। তিনি ‘হায়ারে’ খেলতে গিয়ে ভালো খেলেন নাই এবং সেখানে মাত্র ৭টি আসন বিএনপি পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে তারা আনুবিক্ষণিক দলগুলো, যারা রাজনীতির টোকাই তাদের ওপর ভর করেছে। বিভিন্ন দলীয় মোর্চা মিলে মনে হয় ৫১-৫২ দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে আপনারা ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলার জন্য প্রশ্ন করলে তিনি বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।”
সাম্প্রতিক পঞ্চগড় সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করলেই জানা যায় কারা এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, যে কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য হয়েছিল; একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপি যে তা করেছে সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা, জিএম সিরাজ ও হারুন-অর-রশীদের পোস্ট থেকেই প্রমাণিত হয় যে তারা এটি ঘটিয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেব ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে বলছেন, ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। এটা বলে তো কোনো লাভ নাই, উনার নেতারাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এবং তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল, যেটি পুরোপুরি সফল হয়নি।”
মন্ত্রী হাছান আরও জানান, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০টি মামলা হয়েছে, ১২০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোনো দল-মত না দেখে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। সেখানে যদি প্রশাসন বা পুলিশের কোনো ব্যর্থতা থাকে তদন্ত সাপেক্ষে সে ব্যাপারেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকার আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কেন ফখরুলের প্রশ্ন, এটিকে ‘বিতর্কিত’ বলেছেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকারের অনুমতি দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে তাদের ধর্মসভাকে ‘বিতর্কিত’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফখরুল গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন যে সরকার কেন এমন বিতর্কিত অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল? – যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক হামলায় দুজন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
ফখরুলের মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন জামায়াতে ইসলামীর টুইটার অ্যাকাউন্ট বাশেরকেল্লা- আহমদিয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে সহিংসতা বন্ধে পুলিশের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে এবং সম্প্রদায়কে ‘বয়কট’ করার আহ্বান জানিয়েছে। আহমদিয়া সম্প্রদায় এটিকে তাদের বিরুদ্ধে একটি ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম ৫ মার্চ একটি বিবৃতিতে সরকারকে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অমুসলিম’ ঘোষণার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বাগেরহাট বিএনপির ১৫ নেতা
বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এমডি সেলিম এবং বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বিএনপি নেতা শাহেদ আলী রবি, সোহেল তরফদার, শহিদুল ইসলাম, এমডি সাইদ শেখ, রফিকুল নকিব, মো. আবুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, মো. ফিরোজ বিশ্বাস, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন, আমিরুল শেখ ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, নিম্ন আদালতে নেতাকর্মীদের জামিন না হওয়ায়। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করি। বিচারপতি এমডি সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ আমাদের ১৫ নেতাকর্মীকে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
এর আগে গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাসভবন এবং পুরাতন বাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে নাশকতার মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেই থেকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে রয়েছে আটক নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারে আওয়ামী লীগের আপত্তির একটাই কারণ, তারা জানে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হয়, তাদের কারও জামানত থাকবে না।
সোমবার (১৩ মার্চ) ঠাকুরগাঁয়ের নিজ বাড়িতে জেলা বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পঞ্চগড়ের সহিংসতা সরকারের পাতানো ঘটনা। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আসল আসামিদের আড়াল করতেই বিএনপি’র ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আর এর সঙ্গে তো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রয়েছেই।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,সরকার প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে এবং দেশে-বিদেশে বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। সরকার তার নিজের লোকদের দিয়ে এটা করেছে।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মূলত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে দেশে ও বিদেশে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে সরকার নৃশংস দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে দমন করতে এবং চলমান আন্দোলন বানচাল করতেই তারা এটা করেছে।
ফখরুল বলেন, যে কোনো ঘটনা নিজে ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। তারা অতীতেও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গত ৮ মার্চ সহিংসতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী,এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করে।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট একটি অমানবিক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা দেশে এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার ও পুলিশের চরম দায়িত্বে অবহেলার কারণে, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এখন এক হাজার চিহ্নিত ব্যক্তিসহ ১২ হাজার জনের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করে সহিংসতা কবলিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
ফখরুল বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই সরকার পাইকারিভাবে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে। তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এটি করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের আন্দোলনকে পুরোপুরি দমন ও বিচ্যুত করার জন্য সরকার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সব ধর্মের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের অভাব ও সরকারের জবাবদিহিতার অভাবে দেশে পঞ্চগড়ের মতো ঘটনা ঘটছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই এ ধরনের সমস্যার একমাত্র সমাধান।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য দুজন মুসলমানকে হত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর কিছু যুবক লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করে।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, ইইউকে জানালো বিএনপি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে বিএনপি। এসময় দলটির নেতারা রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
রবিবার বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মতোই সব গণতান্ত্রিক দেশও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা ইইউ রাষ্ট্রদূতদের স্পষ্ট করে বলেছে যে তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যেহেতু দেশ এবং এর বাইরেও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, স্বভাবতই বিষয়টিতে তাদের (ইইউর) দৃষ্টি রয়েছে। সেইদিক থেকে আমরা আজ (রবিবার) তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
গুলশানের এবিসি হাউসে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আমির খসরু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা কী আলোচনা করেছেন জানতে চাইলে খসরু জানান, 'বেআইনি' সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশের জনগণের ভোটাধিকার 'ছিনিয়ে' নেয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা কীভাবে ভেঙে পড়েছে তা নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারলে বাংলাদেশ সংকটে পড়বে বলে বিদেশিরাও আশঙ্কা করছে। ‘এই শঙ্কা থেকে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং কীভাবে এটিকে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তারা স্পষ্টই জানে যে এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না এবং বর্তমান ‘দখলকারী সরকারের’ কারণে তারা তাদের প্রতিনিধি, সরকার ও সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। ‘তারা (ইইউ দেশগুলো) এই সত্যটি সম্পর্কে সচেতন এবং তারা এর পিছনের কারণগুলোও জানে।’
নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে খসরু নেতিবাচক জবাব দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে: বিএনপি মহাসচিব
আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি তথাকথিত বিরোধী দল মিথ্যা প্রচার করে জাতির সাফল্যকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, কিন্তু তারা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া উচিত নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের একটি তথাকথিত বিরোধী দল রয়েছে, যারা মিথ্যা প্রচার করে এই স্বাধীনতার সাফল্যকে নষ্ট করতে চায়। কিন্তু তারা সফল হবে না, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
শনিবার নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে এক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও নগর শাখার আয়োজনে আয়োজিত এ সমাবেশ কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে সদ্য সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং আরও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন যে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। ‘তাই এদেশের মানুষের ভাগ্য আমাদেরই গড়তে হবে। দারিদ্র্যের কবল থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে, গৃহহীনদের ঘর দিতে হবে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে এবং প্রতিটি বাড়িতে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি নেতা আছেন সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।’
শনিবার তিনি মোট ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহবাসীর কাছে জানতে চান, এগুলো কি ধ্বংসের উদাহরণ? ‘ তারা কেন (বিএনপি) এত মিথ্যা কথা বলে? মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়ায় যে কেউ দূরে বসেও কথা বলতে ও রাজনীতি করতে পারছে।
তিনি বলেন, তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে এবং প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
যেহেতু তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে, তাই তারা (বিএনপি নেতারা) মাইক্রোফোন দিয়ে এত কথা বলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই তারা আমাদের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে, আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের স্বভাব। লুটপাট, চুরি ও দুর্নীতি তাদের অভ্যাস।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ‘আমাদের এই অর্জন বজায় রাখতে হবে। এই সাফল্য ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ, অর্থনীতি, কৃষি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হবে স্মার্ট। ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তৃণমূল পর্যায়ে থেকেও উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি গ্রামবাসী শহুরে সুবিধা পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহকে একটি বিভাগের রূপ দিতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তার সরকার ময়মনসিংহকে বিভাগে পরিণত করেছে।
তিনি আবারও দেশবাসীকে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা যাতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে এমন ফসল ফলানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মির্জা আজম ও আহমেদ হোসেন প্রমুখ।
সকাল থেকেই বর্ণাঢ্য ব্যানার-ফেস্টুন ও স্লোগানে স্লোগানে র্যালিতে ভিড় জমায় উৎসাহী মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর বর্ণিল গেট, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে পুরো ময়মনসিংহ আনন্দের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ তিনি একটি জনসভায় ভাষণ দিতে একই স্থানে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে ১৪ বছরের উন্নয়নে ময়মনসিংহ যেভাবে বদলেছে
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গুজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। দেশ শ্রীলংকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, কারণ শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তা করছে।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, সেটা হলো বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা অনেকগুণ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলমগীর কবির মজুমদার।
এসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১০ উপজেলা এবং ৪ পৌরসভার শীর্ষ নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উবায়দুল কবির মোহন এর নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি 'সাজানো' নির্বাচন করতে চায়।
শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিবেশি দেশের জন্য ঘুষ হিসেবে ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্যুত চুক্তি সই করেছে।
দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা। ফখরুলের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে ‘বিকৃত’ করেছে এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি নির্বাচন হয়েছে জনগণের ভোট ছাড়াই… এখন তাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। সেই নীলনকশা নিয়ে তারা ২০২৪ সালেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে, আর জনগণ তার প্রজা।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ১৮ মার্চ দেশের সব মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব জেলা শহর ও ১৩টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে বিরোধী দলের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি ও তার জোটের শরিক দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, অন্যান্য শহর ও জেলায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন এবং ১৮ মার্চ একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ, ক্ষমতা ছাড়তে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়া, খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার এবং দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো