রাজনীতি
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে গেলেও একটি মহল বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটি চায় না। তারা আজ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। গত কয়েক দিন ধরে দেশে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে যারাই দায় থাক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আঁধার ভাঙার শপথে আলোক প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
দেশ ও নারী দিবসকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মা-বোনসহ সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি করার ছক এঁকেছে। তার আলামত শুরু হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীদের বলবো- আপনারা এগিয়ে যান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আপনাদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাহফিলের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা পরিচালনা করেছে। আবার কাল নাকি বিএনপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যাচ্ছে। নিজেরাই মেরে আবার দরদ দেখানোর জন্য সেখানে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশে পঞ্চগড়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
দেশে নারী উন্নয়ন নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ উন্নতি লাভ করেছে। নারী সমাজ সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধা, যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের নারীরা রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম, এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয় আর উপমহাদেশে প্রথম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নারী পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে। আমাদের নারীরা এভারেস্ট জয় করেছে, আমাদের নারীরা হিমালয় শৃঙ্গে উঠেছে, মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, সংসদ নেতা নারী, সংসদ উপনেতা নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী। এভাবে নারীর যে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশে হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে গত এক দশকে এভাবে হয়নি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ নারীরা সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদে নয়, সেনা সদস্য হিসেবেও কাজ করছে। তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) হয়েছেন, যা ১৪ বছর আগে কেউ ভাবেনি, এভাবেই বর্ণনা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নারী ফুটবল দল পাকিস্তানকে ১২ গোল দিয়েছে, সার্ক শিরোপা জয় করেছে। আমাদের নারী ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু পুরুষ ক্রিকেট দল পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নারীদের ফল ভালো। প্রধানমন্ত্রীর নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও নানামুখী কর্মসূচির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজি সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির সঞ্চালনায় সংগঠনের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আগে দেশে নারী উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সবক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতায় জনগণ বিরক্ত হওয়ায় শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও গণঅভ্যুত্থান হবে।
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ভয়ে তারা আমাদের ঢাকায় সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। আমি বলতে চাই দেশে আজ বা কাল বিস্ফোরণ নয়, গণঅভ্যুত্থান হবে; কারণ জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।’
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অতীতে পাকিস্তান শাসনামলে জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের মতো শক্তিশালী একনায়ককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।
মোশাররফ বলেন, ‘এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারী শাসক বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষ বারবার স্বৈরাচারী শাসকদের পদত্যাগে বাধ্য করেছে। শ্রীলঙ্কা পারলে আমরাও পারব ইনশাআল্লাহ। খুব শিগগিরই বাংলাদেশে সেই দিন আসবে।’
বুধবার জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ‘লুট’ করেছে: নজরুল
রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের বিষয়ে মোশাররফ বলেন, সরকারের ব্যর্থতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে এখন মানুষের জীবন নিরাপদ নয়।
দেশে খারাপ কিছু ঘটার জন্য বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর জন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিন্দা করেন।
মোশাররফ বলেন, ‘সরকার বলেছে (সিদ্দিক বাজার) বিস্ফোরণে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। পঞ্চগড়ে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে...একজন মন্ত্রী এলাকায় যেতেই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন বলেছে যারা আপনাদের সঙ্গে এসেছে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে এবং আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীরা বলেছেন এতে বিএনপির হাত থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে কম উদ্বিগ্ন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারের গাফিলতি ও ব্যর্থতার কারণেই এসব বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো তাদের (সরকার) ব্যর্থতার কারণে আক্রান্ত হয় এবং তাদের গুণ্ডা ও ক্যাডাররা এ ধরনের হামলা চালায় ও এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। কিন্তু তারা অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএনপি
জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের আরও দুটি খাল খনন পরিকল্পনায় বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খনন করে একতরফাভাবে সাধারণ নদী থেকে আরও বেশি পানি প্রত্যাহার করার জন্য কথিত পদক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘(স্থায়ী কমিটির) বৈঠকে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি চুক্তি সই না করেই আরও দুটি খাল খননের পরিকল্পনা বাংলাদেশকে (অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ থেকে) বঞ্চিত করার চেষ্টা।’
সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ‘হাঁটু গেড়ে’ বৈদেশিক নীতি এবং পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতীয় সংবাদ আউটলেট দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খনন ও সেচের পানি চ্যানেলাইজ করতে প্রায় এক হাজার একর জমির অধিগ্রহণ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিস্তা ও জলঢাকা থেকে পানি তোলার জন্য একটি ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত খনন করা হবে এবং তিস্তার বাম তীরে আরেকটি ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল তৈরি করা হবে। এতে প্রায় এক লাখ কৃষক উপকৃত হবে।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি ১৯৭৫ সালে ভারত সূচনা করেছিল। উত্তরবঙ্গের ৯ দশমিক ২২ লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি নদীর উভয় তীরে খালের মাধ্যমে চ্যানেলাইজ করে।
বাংলাদেশের পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী থেকে পানি ভারতের প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর অংশ শুকিয়ে যাওয়ায় এই প্রকল্পটি কৃষি, বাস্তুতন্ত্র এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের অপেক্ষায় থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর বিরোধিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ‘লুট’ করেছে: নজরুল
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ‘লুট’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের সরকার নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছি। বর্তমান সরকার যেভাবে লুট করেছে, আল্লাহ আমাদের সেই অধিকার ও অর্জন ফিরিয়ে দিন।’
মঙ্গলবার রাতে সারাদেশে পালিত পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশের সম্পদ প্রায় প্রকাশ্যে লুট করা হচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ রাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব যেন তিনি আমাদের দুঃশাসন,নির্যাতন ও দমন-পীড়ন থেকে মুক্ত করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল দেশের জনগণকে তাদের দলের নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন যারা জোড়পূর্বক গুম, হত্যা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও দমন-পীড়নে দেশের মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তাদের দলের নেতৃত্বে দেশের জনগণ বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
নজরুল দাবি করেন যে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সরকার ‘অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ’ করেছে এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন যাতে তিনি আবার দেশ ও জনগণের সেবা করতে পারেন।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএনপি
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'দুঃখের বিষয়, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে। আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ই মার্চের শপথ।'
মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন- তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তার এই বক্তব্যে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তার ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেটি আরও পরিস্ফুটিত হয়েছে'।
মন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চই কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল যে চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তানের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।'
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেখানে যারা কাদিয়ানীদের জলসাতে হামলা চালিয়েছে, তারা কারা সেটা তো পুলিশের খাতায় আছে। এদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি- জামায়াতের সমর্থক। তারাই সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে ও হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় দুজন মারা গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আসলে পুরো দেশে নানাভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পাঁয়তারার মধ্যে আছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। পঞ্চগড়ের এ ঘটনাও বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি যে রাজনীতি করে, তারা আরও নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেদের দায়টা এড়ানোর জন্য দুদিন পর গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন। আসলে এ ঘটনার জন্য মূলত বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা দায়ী।
সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানা এবং রোহিঙ্গা ক্যাস্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দাবি করেছে বিএনপি।
এ সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে চিকিৎসা, খাদ্য ও শিক্ষা সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে আমাদের সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনাটি তদন্তনাধীন, এটি নাশকতা কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি সার্বিকভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টার অংশ কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব ও সীতাকুণ্ডের ঘটনা; এগুলো দুর্ঘটনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে কারও চুলায় আগুন লাগলেও কয়েকদিন পর উনি বলবেন এটার জন্য সরকার দায়ী। বিষয়টা তো তা নয়। এগুলো দুর্ঘটনা, তবে এ দুর্ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। এ দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারিভাবে আহমদিয়াদের ‘অমুসলিম’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের
সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আহমদিয়া(কাদিয়ানি) সম্প্রদায়কে ‘অমুসলিম’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে ৫ মার্চ একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।
জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। এদেশে কাদিয়ানী (আহমাদিয়া) সম্প্রদায় ইসলামের বিরুদ্ধে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ইসলামপ্রেমী জনগণ এটা কখনোই মেনে নেবে না। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সরকারের উচিত জনগণের মতামতের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাদিয়ানি সংকট স্থায়ীভাবে সমাধান করা এবং কাদিয়ানিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।’
শুক্রবার, একটি আহমদিয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকার দিকে অগ্রসর হয়। খবরে বলা হয়, পুলিশ চৌরঙ্গী মোড়ে মিছিলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে লোকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল বের করার সময় জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ বহু লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে সহিংসতা কভার করা কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সহিংসতার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক।
বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
দ্য ডেইলি স্টারে আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় জেলার আহমদিয়া সম্প্রদায় আরও হামলার আশঙ্কায় দিনযাপন করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য, বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
এদিকে, শুক্রবারের সহিংসতার পর থেকে, বাশেরকেল্লার যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট থেকে - ‘জামায়াতের মুখপত্র’ হিসাবে পরিচিত - হ্যাশট্যাগে ‘পুলিশের বর্বরতা’ এবং ‘কাদিয়ানি (আহমাদিয়া) বয়কট করুন’ সহ একাধিক টুইট পোস্ট করা হয়েছে।
সম্প্রদায়ের সদস্যরা এটিকে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে একটি ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রবিবার ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিকে রাষ্ট্রবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন এবং এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি দেশপ্রেমিক ও বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে। এই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত।’
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে দেশের সম্পদ লুটপাট এবং ভারত সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই চুক্তিটি মূলত আদানির পকেট ভরার জন্য সই হয়েছিল। এটি একটি একতরফা এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল চুক্তি।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে দুর্নীতি, অপশাসন, অর্থপাচার ও সীমাহীন লুণ্ঠন জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
শুক্রবার আহমদিয়াদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নিন্দা করেছেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে তাদের ওপর হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার প্রধানের উচিত তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারকে খুশি করার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ভারত যদি কোনো দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব থাকবে না।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
শাল্লার হামলায় সরকারি দলের লোক জড়িত: ডা. জাফরুল্লাহ
চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি থেকে রবিবার ৭ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
তারা হলেন-নবগঠিত উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাহার মৌলভী, সহ-সভাপতি বাবুল সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন টাইগার, সদস্য ইউনুস শিকদার, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, আব্দুল আলিম ও আহসান হাবিব দুলাল।
পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জানান, নবগঠিত উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি যোগ্যতা নির্ভর কমিটি হয়নি। ইউপি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থনকারী এবং নৌকা প্রতীকে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া ব্যক্তিদের এ কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নিবেদিত নেতাকর্মীরা কমিটিতে স্থান পাননি। এসব কারণে তারা দলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, তিনি এখনও পদত্যাগপত্র হাতে পাননি। শুনেছি জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের কাছে তারা পদত্যাগপত্র দিয়েছে।
এরআগে ১৪ জানুয়ারি জাহিদ মোল্লাকে সভাপতি ও কারি মো. ময়নুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
আবেদন পাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত অনলাইন কেস ট্র্যাকিং সিস্টেম ‘সলট্র্যাক’ (http://soltrack.gov.bd) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোন আবেদন করা হয়েছে কি না বা তাকে কারাগারে নেয়ার কোন চিন্তা সরকারের আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো কোনও আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে তাদের মামলা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি অফিসসমূহ তাদের মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকে না। এই কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সহজেই মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবে। এতে করে দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। ৯১ হাজারের বেশি সরকারি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। সেগুলো ট্র্যাকিং ও এগুলোর সুষ্ঠু পরিসমাপ্তির জন্য এ সফটওয়্যার অত্যন্ত সহায়ক হবে। ফলে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলায় সরকারি স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হবে। আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের সঙ্গে সরকারের অন্য দপ্তরের সংযোগের মাধ্যমে একটি আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত হবে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এই পদক্ষেপ অনেকাংশে সহায়ক হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা ছিলো বঙ্গবন্ধুর অন্যতম স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৪টি ভিত্তি নির্ধারণ করে দিয়েছেন- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
প্রত্যেকটি কম্পোনেন্ট একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কিত। মূলত প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং ভোগান্তি ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই একটি স্মার্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সকল সেক্টরে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানের পদক্ষেপ হিসেবে স্মার্ট জুডিসিয়ারি প্রতিষ্ঠাও সরকারের একটি অগ্রগণ্য কাজ।
সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের কারণেই সারাদেশে বিচার বিভাগকে প্রযুক্তিবান্ধব করার জন্য ‘ই-জুডিসিয়ারি’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও পরামর্শের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।
তিনি বলেন, দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ এবং সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উক্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোট চৌষট্টি হাজার পাঁচশত বিরাশিটি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। দেশের অবশিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহকে একইভাবে ই-রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তাছাড়া, সারা দেশের বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমকে ডিজিটাইজড করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে প্রত্যেক নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বিবাহ নিবন্ধনের যাবতীয় তথ্য অনলাইনে ইনপুট দিবেন এবং পক্ষগণ কাবিননামাসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এই অনলাইন পোর্টালে প্রকৃত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারদের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, সরকারি মামলাগুলো ঠিকমত উপস্থাপন করা হলে বেশির ভাগ মামলায় সরকার জিতে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঠিক উল্টা। বেশিরভাগ মামলায় সরকার পক্ষ হেরে যায়। হেরে যাওয়ার পর সরকার পক্ষ থেকে আপিল করা হয় এবং তখন কিছু দৌঁড়ঝাপ শুরু হয় এবং একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘সলট্র্যাক’ সফটওয়্যারটি একে অপরকে দোষারোপ করার কালচার থেকে বেরিয়ে আসার একটি সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী