রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে দেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফোরাম ও পিপলস পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। গণতন্ত্র মঞ্চ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি পালন করছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করার অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে পালন করা হচ্ছে।
৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের এই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প: বিএনপির বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের এবারের কর্মসূচি হবে ইউনিয়ন পর্যায়ে। গ্যাস-বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ ও আমাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বলেন যে সকল ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে চলমান আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে।’
২৪ ও ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি, ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ এবং ২৫ ও ৪ ফেব্রুয়ারির পদযাত্রার পর এটি হচ্ছে যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ
রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্বাচনের জন্য কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ কিনবে ইসি
আগামী জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য রাষ্ট্রায়াত্ত কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) থেকে প্রায় ৭০০ মেট্টিক টন কাগজ কিনবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কেএমপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ইসি মিল থেকে কাগজ সংগ্রহ করেছে। ইসি ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো ইসিকে কাগজ দেয়া হবে।
জানা গেছে, নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য তিন রঙের কাগজ প্রয়োজন হয়। সাধারণত হলুদ, নীল ও গোলাপী রঙের কাগজ দিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে থাকে। তবে, এ বছর ইসির চাহিদা অনুযায়ী রঙিন কাগজ দেবে কেপিএম।
শুধু নির্বাচন কমিশন নয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করে থাকে।
এছাড়াও, সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা পাঠ্যবইয়ে কেপিএম-এর কাগজ ব্যবহার করছে।
কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কেপিএম গত ৭৫ বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থাকে উচ্চ মানের কাগজ সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী পেপার মিলে ফের কাগজ উৎপাদন শুরু
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করতে চায় বিএনপি
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সারাদেশে সকল ইউনিয়নে মিছিল করতে প্রস্তুত।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই কর্মসূচি পালন করবে।
বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল থেকে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে দলীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের কর্মসূচি পালন করা হবে।
এরআগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের এবারের কর্মসূচি হবে ইউনিয়ন পর্যায়ে। গ্যাস বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকারের পদত্যাগ এবং আমাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে মিছিল করব।’
শুক্রবার ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সব ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে চলমান আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প: বিএনপির বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত
সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচি সফল করতে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জেলা পর্যায়ের বিএনপি নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে তারা দলীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা ও উস্কানি দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানান প্রিন্স।
এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করবে।
এছাড়া দুপুর ৩টার দিকে এলডিপি ভাটারা থেকে বাড্ডা লিংক রোড এবং ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা করবে।
২৪ ও ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি মিছিল, ২৫ ও ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি।
এর আগে ১০ দফা দাবি আদায়ে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ ও ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আবারও শ্যামলী ক্লাব মাঠ থেকে বসিলা সাত রাস্তার মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নেমে বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হবে আওয়ামী লীগ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) মনে হয় বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে। তাদের ভূমিকা দেখলে মনে হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন দল নয়, বিরোধী দল।’
তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করলে, আওয়ামী লীগও ‘শান্তি সমাবেশ’সহ পাল্টা কর্মসূচি দেয়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া যাবে না। লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমেছে এবং এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, গুলি করে, হত্যা করে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় ফাঁসিয়ে গণজোয়ার থামানো যায় না।’
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায় এবং সমস্ত ইউটিলিটি পরিষেবাগুলো ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
বিরোধী দলের কর্মসূচির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা উল্লেখ করে খসরু প্রশ্ন তোলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা শান্তি নিশ্চিত করতে রাজপথে নেমে আসায় সরকার শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভেঙে দিয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দুর্বলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন স্বতন্ত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে জনগণকে আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। তাই তারা বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বলতে চাই আপনারা এখন মানুষের কাছে হাসির পাত্র হিসেবে পরিচিত, আপনারা যতই পাল্টা কর্মসূচি দেন, শান্তি সমাবেশ করেন এবং
জনগণের সম্পদ রক্ষার কথা বলেন না কেন। দেশের মানুষ আপনাদের কর্মসূচি দেখে হাসে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিকভাবেও আপনারা পরাজিত হয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, যারা দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করছে এবং বিদেশে অর্থ পাচার করছে তাদের ভবিষ্যতে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে এবং তাদের অর্থ দেশে ফেরত আনতে হবে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প: বিএনপির বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত
চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ফখরুল
চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ভোরে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ফখরুল ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
শায়রুল জানান, ফখরুল ও তার স্ত্রী স্বাস্থ্যগত জটিলতার জন্য সিঙ্গাপুরের দুটি পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন।
এক সপ্তাহ পর বিএনপি মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প: বিএনপির বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ইউএনবিকে বলেন, ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হওয়ায় দলের গভীর শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করে বুধবার রাতে আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতারা একটি বৈঠক করেন এবং পদযাত্রা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন।’
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবরের মধ্যে তাদের দলের নেতারা মনে করেন বৃহস্পতিবার এই পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করা ঠিক হবে না। পদযাত্রার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর গোপীবাগ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে পদযাত্রা করার কথা ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার রাজধানীতে দলের দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় শ্যামলী খেলার মাঠ থেকে বসিলা সাত রাস্তা মোড় অভিমুখে পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপিংয়ের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপ করা অনৈতিক এবং বেআইনি। এটা দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।’
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জিএম কাদের বলেন, দেশে একটি গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে জেনেছি যে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীদের স্মার্টফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো- রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিশেষ করে যারা সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জড়িত তাদের মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন মেসেঞ্জার অ্যাপ অনুমতি ছাড়াই রেকর্ড করা হচ্ছে।’
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- এসব কাজের যুক্তি ও উদ্দেশ্য কী হতে পারে?
এখানে তাদের একটি যু্ক্তি হলো- সরকারের সমালোচনাকে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা মনে করে। তাই বলে কি সরকার ও রাষ্ট্র একীভূত হয়েছে?
তিনি বলেন, আরেকটি উদ্দেশ্য (ট্যাপিং) হতে পারে যে সরকার সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিরোধীদের এ ধরনের হয়রানি, বিরোধীদের নজরদারি ও হয়রানি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা। কথা বলার অধিকার প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহ হতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য। আমরা তাদের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলি। আমরা জনগণের পক্ষে সমালোচনা করে সরকারের ভুল তুলে ধরছি। এটা কখনই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়।’
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক বৈঠকে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষকে বিভক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার স্বাধীনতার আগে আমাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই বৈষম্য এখনও অব্যাহত আছে। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী।’
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে জোটকে বন্ধুত্ব মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জোট দাসত্ব নয়। জনগণের স্বার্থ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা কখনোই সত্য ও ন্যায়ের পথে হাল ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আরও দুটি পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট আবারও পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিট ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ইউনিট ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় শ্যামলী খেলার মাঠ থেকে বসিলা সাত রাস্তা মোড় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
এর আগে গত ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীরা ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
পরে ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে আরেকটি পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: ১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১২টি হিন্দু মন্দিরে ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি শুধু আপত্তিকরই নয়, রহস্যজনক, পূর্বপরিকল্পিত এবং লজ্জাজনকও বটে। এর নিন্দা করার উপযুক্ত শব্দ নেই।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা নরকের পোকা।
তিনি বলেন, ‘বালিডাঙ্গীর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরকারী অপরাধীদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২টি হিন্দু মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাতনামারা।
ফখরুল বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির পরিপন্থী এই নৃশংস ঘটনার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারের মন্দির ও প্রতিমা বেশি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সাধারণত রাতে এই এলাকায় টহল দেয়। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিও রহস্যজনক। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে যে দুর্বৃত্তরা তাদের (পুলিশের) অবহেলার কারণেই এত বড় মন্দির ও প্রতিমা সহজেই ভাঙচুর করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সরকার তার দায় এড়াতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, দেশে চলমান দুঃশাসন একটি অস্বাভাবিক ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে প্রকৃত অপরাধীরা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অপরাধ করে পালিয়ে যায়।
ফখরুল বলেন, ‘ফলে, অপরাধীরা দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন অপরাধ করে চলেছে। দেশ এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ায় মানুষ এখন এখানে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীন।
দেশে অনিরাপদ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে হয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, অতীতেও মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, কিন্তু সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে দোষীদের বিচার করতে পারেনি।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং তাদের জমি-জমা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের আগের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গীতে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ, তার পরিবারের সদস্যরা এবং তার অনুগত লোকজন শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিই দখল করেনি, হামলা ও ভয়ভীতিও দেখিয়েছে। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
ফখরুল অবিলম্বে সরকারি খরচে ভাঙচুর করা মন্দিরের পুনর্নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল