রাজনীতি
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
অর্থের বিনিময়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করার অভিযোগে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর একটি রেঁস্তোরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. আবু ইউসুফ বাবুল।যুবদল নেতা বাবুল বলেন,কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী। অর্থের বিনিময়ে তিনি পছন্দের লোক নিয়ে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজলা যুবদলের কমিটি গঠন করে তারেক রহমানের পিএস পরিচয় দানকারী সানিকে টাকা দিয়ে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এনেছেন। যাদের বেশীরভাগই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: নারীকে মারধরের অভিযোগে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি গ্রেপ্তার
বিএনপি নেতা বাবুল আরও বলেন,যখন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করি, তখন জসিম উদ্দিন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তার মতো অযোগ্য লোক দলে থাকলে দলটার জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আজ থেকে কমিটি বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা জসিম উদ্দিনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।
উল্লেখ্য,গত ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দাবি দাওয়া জানান দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ সরকার, যুবদল নেতা কাজী ইকরামুল হক, জামাল উদ্দিন, ইসরাফিল গাজী, লিকসন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, সোহেল মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত।
এদিকে, সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। নেই উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে ভোটারের উপস্থিতি।
নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এখানে দলটির কোনো প্রার্থী (দলীয়) নেই।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
এছাড়াও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ এক হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও চারটি স্ট্রাইকিং টিম নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে তিনজন পুলিশ, অস্ত্রধারী দু’জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও দুইজন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে দুই পক্ষের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেন্দ্রের মাঠ থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওদুদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল কালাম শাহিদ জানান, দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে স্কুলমাঠে ককটেল বিস্ফোরণ!
নওগাঁর মান্দায় আমবাগান থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কোনো কোনো কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দুই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৬ হাজার ৯৪৫ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৩৫২টি। এবারই প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচনে দু’টি আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ছয়জন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে তিনজন।
এদিকে, ৩৫২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২১৯টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে সহিংশতার খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব জানান, শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুই আসনে আইনশৃংখলা বাহিনীর এক হাজার ৮০০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষায় দু’টি আসনে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ হারুন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় এ আসন দু’টি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
বিএনপির 'পদযাত্রা' কিংবা 'বসার যাত্রা', যে যাত্রাই করুক না কেন, কোনো লাভ হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির 'পদযাত্রা' কিংবা 'বসার যাত্রা', যে যাত্রাই করুক না কেন, কোনো লাভ হবেনা।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তার সরকারই তখন নির্বাচনকালীন সরকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে-তে বন্দর নগরীতে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা যে অপরাজনীতি করেছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্ভবত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে, এজন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারা তো আগে মিছিল করতো, এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে, সম্ভবত তারা কারও কাছ থেকে নকল করছে।
তিনি বলেন, তবে বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যেই যাত্রায় করুক না কেন, তাদের এ যাত্রায় জনগণ তো দূরের কথা তাদের সাধারণ কর্মীরাও পদযাত্রায় শামিল হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে।
তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে আশাপ্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার পছন্দ করুক সেটিই আমরা চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝাং কিউন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব শরিফা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন ও কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং আহ দোহ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর মিরপুর থেকে গাবতলী অভিমুখে মিছিল শুরু করেছেন বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে গাবতলী এসএ খালেক পরিবহন ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এটি বিএনপির তৃতীয় কর্মসূচি। এর আগে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট শনিবার বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত পদযাত্রা করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করে তখনই ‘দখলকারী’ সরকার সহিংসতার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ‘কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ করেছে। এছাড়াও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আরও অনেক কর্মসূচি পালন করেছি। বাস্তবতা হলো বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি নিয়ে আসে তখনই সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয় পায়।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুণ্ঠন ও বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জনগণ রাজপথে নেমেছে। ‘এই সরকার যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের ততই মঙ্গল।’
বিএনপি সহিংসতা ও বিশৃংখলা করে না তা প্রমাণ করতে তিনি আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ খুবই কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইউটিলিটি সার্ভিসের দামও বাড়াচ্ছে। ‘দেশ ও এর জনগণকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বা যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের সমর্থন করছে, অথচ বিএনপি বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। ‘জনগণের সঙ্গে মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের আবারও এটি (গণতন্ত্র) পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস
পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে সোমবার জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ১/১১-এর পর কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে: ফখরুল
শিমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালতের আদেশে তাকে মুক্তি দিতে কোনো বাধা নেই।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় শিমুলসহ বিএনপির ৪৭০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
১/১১-এর পর কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায় না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (২৯ জানুয়ারি, ২০২৩) রাজশাহীতে বলেছেন যে আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। ১/১১-এর (সরকারের) সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল তা সবাই জানে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়া ওই সময় দেশ ছাড়েননি। ‘তিনি (খালেদা) পরিষ্কার বলেছেন বিদেশে আমার কোনো জায়গা নেই। এটা আমার দেশ। আমি এখানে জন্মেছি… আমি মরলেও এখানেই মরব… তাই, সবাই জানে কে কোথায়, কখন, কীভাবে পালিয়েছে।’
সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন অভিমুখে দলের ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের পদযাত্রা কর্মসূচির সূচনাকালে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, তাদের পদযাত্রা গণতন্ত্রের বিজয় মিছিল। ‘জনগণের অধিকার ফিরে পেতে আমাদের বিজয় মিছিল।’
আরও পড়ুন: 'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
তিনি দলের নেতাকর্মীদের আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তবে তিনি ক্ষমতাসীন দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ‘দুর্বলতা’ না ভাবতে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ‘উৎখাত’ করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবেন তারা।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলায় এখন ‘অসংযত’ মন্তব্য করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারের বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের নানা ধরনের 'অশুভ' প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি জানাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা যাত্রাবাড়ী থেকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকা অভিমুখে মিছিল করেছেন।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফখরুল।
শনিবার দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা রাজধানীর বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত মিছিল করার পর এটি ছিল বিএনপির দ্বিতীয় কর্মসূচি।
ব্যানার, জাতীয়, দলীয় ও সাদা পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট। ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখার নেতাকর্মীরা যাত্রাবাড়ী থেকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় মিছিল করছেন।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এটি বিএনপির দ্বিতীয় কর্মসূচি। শনিবার দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা রাজধানীর বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত মিছিল করে।
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে দুর্বলতা না ভাবতে তিনি ক্ষমতাসীন দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
আরও পড়ুন: শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবেন বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। এই মিছিল গণতন্ত্র ও সভ্যতার বিজয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলায় এখন বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারকে বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের নানা ধরনের 'অশুভ' প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘সুতরাং, আওয়ামী লীগ সরকারকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।’
ব্যানার, জাতীয়, দলীয় ও সাদা পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।
এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের মানুষ এখন জানে না কিভাবে নির্বাচন হবে এবং তারা তাদের ভোট দিতে পারবে কি না।
রবিবার বিএনপি ও ১২-দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান শাসনের পতনের জন্য তাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলন জনগণের ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থাই দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
ফখরুল বলেন, বিগত নির্বাচনগুলো প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার ও দলীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। আমরা আরও খুশি হতাম যদি দেশের আরও বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনগুলি সত্যিই এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলত।
আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তাদের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে যুগপৎ আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আমাদের ১০ দফা দাবিতে একমত হওয়ায় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ায় যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের মধ্যে নিশ্চিতভাবে আস্থা তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ একটি ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি’
ফখরুল অভিযোগ করেন, রবিবার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এবং পাবলিক ট্রেন ভাড়া করে সমাবেশ করলেও তারা বিরোধী দলের অনুরূপ কর্মসূচিতে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট, পুলিশি অভিযান এবং বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের মতো বাধার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোকে যেকোনো মূল্যে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের চরিত্র ও কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারা এদেশে সম্পূর্ণ একদলীয় শাসন জারি করছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সব সময় ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি ’। তারা বলে এক, করে আরেক।
‘এটা বিএনপির পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি দেখে হয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতার কিশোর কুমারের ‘মরণযাত্রা’ গানের কথা মনে পড়ে গেছে। আমি জানি না তিনি নিজের (তার রাজনৈতিক মৃত্যু) সম্পর্কে ভাবছিলেন কি না।
১২ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন ও দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
এছাড়া আমরা পরবর্তী কর্মসূচি এবং কীভাবে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কেও কথা বলি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জনসমর্থনের ঢোল বাজিয়ে তারা যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম শাহজাহান, ১২ দলের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপি’র সালমান শাহজাদা, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও মুসলিম লীগের তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল