রাজনীতি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি: ইসি রাশিদা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে এখনও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।
বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে নতুন করে সংলাপ সম্ভব নয়: সিইসি
তিনি আরও বলেন, শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট দেখতে পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়নি।’
ইসির আইডিয়া প্রকল্পের ডিপিডি (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে সরাসরি এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ভবনের পঞ্চম তলায় ইসি কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশিদা সুলতানা ও আনিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সকাল ১০টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে মানুষদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আগের মতোই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন নির্বাচনের জন্য ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সে অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনী অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগই একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
‘দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা হচ্ছেন শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন পুলিশ, র্যাব, প্রশাসনের সব লোক নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ ভদ্র হবে এবং নির্বাচনের প্রাক্কালে তারা ভোট চুরি করতে ভোট কেন্দ্রে যাবে না এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতার বাইরে থাকলে প্রশাসন জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
‘সে কারণেই আমরা বলছি যে শেখ হাসিনার পদত্যাগ একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত। যদি এই পূর্বশর্ত পূরণ করা হয় তবে আমাদের সমস্ত শর্ত পূরণ করা হবে,’ তিনি বলেছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হবে এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ বিরোধী দলের অন্য সব নেতাকে মুক্তি দেয়া হবে।
ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জাতীয়তাবাদী ফোরাম বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব রাজনৈতিক দলের বন্দিদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছরআলাদা করে বিএনপি নেতাদের মুক্তি চাওয়ার কোনো মানে নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের দলের উচিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে যাওয়া।তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করব। তাই আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’
গ্রেপ্তার 'অন্যায়'
গয়েশ্বর বলেন, সরকার ফখরুল, আব্বাসসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু বিচার বিভাগ এবং আদালতকে বলতে চাই যে আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমরা কোনো করুণা চাই না।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়া বিচার চেয়েছেন, কিন্তু তিনি তা পাননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়া ছাড়া এমন কোনো ব্যক্তি নেই যাকে এ ধরনের মামলায় জামিন দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম জামিন পেলেও খালেদা জিয়া জামিন পাননি। ‘এটা অন্যায়… তাহলে কার কাছে বিচার চাইব? বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে বিচারকরা স্বাধীন হলে আমরা ন্যায়বিচার পেতে পারতাম।
গয়েশ্বর বলেন, খালেদা, ফখরুল, আব্বাসসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার চান বলেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘আমরা যদি গণতন্ত্রের বর্তমান সংগ্রামে সফল হতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এবং সকল নেতাকর্মী দুঃশাসনমুক্ত হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে কমিশন ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ আগের মতোই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ইউএনবি গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মোতালেব ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানান আবদুল মোতালেব।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে সরকার দমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ তারাও ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।
নজরুল বলেন, সরকার গত তিন মাসে প্রায় ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে তাদের দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন অজ্ঞাত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।’
সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে ভুল করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।’
নজরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট কারচুপি ও রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখলের পর সরকার নিজেকে নির্বাচিত শাসনামল দাবি করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছামতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে একই সময়ে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশিদের পদলেহন এবং দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা চ্যালেঞ্জ, সেটি হচ্ছে বিরোধীদল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা। দেশবিরোধী অপতৎপরতা করতে গিয়ে বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া হচ্ছে। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়।
কিন্তু সরকারকে বেকাদায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকাদায় পড়ে গেছে।
কারণ ১০ ডিসেম্বর তারা ভেবেছিল নয়াপল্টনের সামনে একটি সমাবেশ করতে পারবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারবে। সেটি তারা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।
এরপরও বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
তিনি বলেন, তবে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে। সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কী করতে চায় বা কী করতে পারে, সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। আর তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটিই আছে। এছাড়া সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে।
এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।
সংশ্লিষ্টদের আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি
এর আগে সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব।
তিনি বলেন, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি-এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয় তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেবো।
সবাই লিখিত দিতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশির ভাগ সমিতি চাচ্ছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আর দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্পেস অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তাই, কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুণ:অর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই।
মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে পাঁচ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে চার শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।
'বিএনপির ভুল ইসলামী আন্দোলন করেনি'
এ দিন সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের জাতীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিলেও তারা পল্টনের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে গেছে।
ইসলামী আন্দোলনও বায়তুল মুকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চাইতে পারতো।
নামাজের সুবিধা হতো। কিন্তু রাস্তা বন্ধ হয়ে জনগণের ভোগান্তি হতো। তারা সেটা করেননি, বিএনপির মতো ভুল করেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
সম্মেলনের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র মুহতারাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান দেশে ইসলামের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলোকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন।
অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
রংপুর আওয়ামী লীগের গণসংস্কার চলছে
রংপুর জেলা ও আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনে ভয়ঙ্কর পরাজয় ও পারফরম্যান্সের পর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী জামানত হারিয়ে চতুর্থ অবস্থানে চলে যান।
রবিবার (১ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলীয় সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর মহানগর ও রংপুর জেলা শাখার বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং সংগঠনের সংবিধানে তাকে অর্পিত ক্ষমতাবলে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন।
ড. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল কাশেমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
একেএম সায়াদত হোসেন বকুলকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবলুকে যুগ্ম আহ্বায়ক রংপুর আওয়ামী লীগের জেলা শাখার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
২০২৩ হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর
২০২৩ সাল হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছিলেন, আমাদের লক্ষ্য সাফল্য অর্জন করা। আমরা আশা করি ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের জন্য সাফল্যের বছর।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার বছরও হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে জাতি যা অর্জন করেছে তাতে ছাত্ররা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ আশা করছে, শিক্ষার্থীরাও এখন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমুখী সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
আমরা আশা করি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অন্যায়ের প্রতিবাদের চেতনাকে কখনো দমিয়ে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
সরকার পতনের ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই নতুন বছরে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ১০ দফা বাস্তবায়ন। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের সব নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।
‘আর এটা করতে হলে যত শিগগিরই সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অতএব, আগামী দিনে আমাদের যে টার্গেট এই ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রবিবার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবির সনদ ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ সমাবেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এখন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে দেশবাসী।
এছাড়া সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই আমরা আমাদের দলের ২৭ দফার ভিত্তিতে দেশ গড়ব। অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দেশের জনগণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
সরকারের দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপি নেতা জানান, আপনারা (সরকার) বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ড করেও আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারেননি। জনগণ ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছে এবং এবার আপনাকে রেহাই দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নির্বাচনে সালাউদ্দিন রেজা ও দেবদুলাল সভাপতি-সা. সম্পাদক নির্বাচিত
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে (২০২২-২৩) সভাপতি পদে সালাউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর রাত ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর কায়সার।
সভাপতি পদে দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান সালাউদ্দিন মো. রেজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহ সভাপতি পদে এটিএন বাংলার মনজুর কাদের মনজু, সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচন: সভাপতি হাবিবুর ও সম্পাদক অমিতাভ অপু
যুগ্ম সম্পাদক পদে দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার,অর্থ সম্পাদক পদে ফটোসাংবাদিক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দৈনিক সমকালের সহ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার,ক্রীড়া সম্পাদক পদে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে দৈনিক সমকালের প্রতিবেদক কুতু্ব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আল রাহমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী খোরশেদুল আলম শামীম নির্বাচিত হন।
এছাড়াও, চারটি সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ, দৈনিক জনকন্ঠের উপসম্পাদক মোয়াজ্জেমুল হক, আইয়ূব আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
ফরিদপুরে এক পৌরসভা ও তিন ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়