রাজনীতি
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শোডাউনের মিছিল করেছে। প্রথম যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটিকে বর্তমান সরকারকে পতনের একটি সম্মিলিত আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে চাপ দেয়ার জন্য তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ১১ জানুয়ারি সারাদেশে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা একযোগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে নগরীর মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে জামায়াত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়, এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ইসলামী দলটির কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টনের সামনে থেকে বিশাল মিছিল বের করে বিএনপি। এটি বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
৯ ডিসেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর থেকে দলের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন
মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
গণমিছিল করার সময় জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগে জুম্মার নামাজের পর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
সংঘর্ষে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি গণ মিছিল বের করার জন্য জামায়াতে ইসলামী পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। ‘কিন্তু পার্টির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (রমনা বিভাগের) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো.শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন মালিবাগে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই একটি গণমিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ জামায়াতের লোকদের মিছিল না করতে বললে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথায় কর্ণপাত করেনি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।’ পরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়ে আসা হয়।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসাবে পালন করে।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দল ও জোটের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে তিন ঘণ্টার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
ভাসানী আনসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও জোটের নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল শুক্রবার তাদের গণমিছিল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বানোয়াট, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, প্রতিম দাসসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ১১ জানুয়ারি তারা সব বিভাগে গণঅবস্থান করবেন।’
ঢাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বাবুল।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণতন্ত্র মঞ্চ মিছিল বের করে।
মিছিলটি পল্টন মোড় ও বিজয় নগর সড়কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভবিষ্যতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা বলেছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হোক। নির্বাচনের আগে এবং তার পরে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে; আমরা ১৪ দফা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল একটি আলোচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই দফাগুলো আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা জনগণের কাছে এগুলো উপস্থাপন করব।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। এই সরকার রাতের আঁধারে ভোট লুটপাট করে রাষ্ট্রকে বিপর্যস্ত করেছে।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল আজ রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে।
যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিরোধী দল ও জোটের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বেলা ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল শুরু করে। এসময় অন্যান্য বিরোধী দল ও জোটগুলোর রাজধানীতে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
দুপুর ২টায় মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে নয়াপল্টন এলাকায় ভিড় শুরু করেন তারা। এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর আড়াইটার দিকে ১২ দলীয় জোটের ফকিরাপুল পানির ট্যাংক এলাকা, পুরানা পল্টন ক্রসিং থেকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিং থেকে এলডিপি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল বের করে।
মিছিল শেষে বিরোধী দল ও জোটগুলো তাদের যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেন।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তারা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সব বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচির কারণে ৩০ ডিসেম্বর একই কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে বিএনপি।
এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, তাদের গণমিছিল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হবে এবং দুপুর ২টায় মিছিল বের করবে।
জাহিদ জানান, তাদের মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছ থেকে নয়াপল্টন থেকে মগবাজার পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পেয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
গণমিছিল সফলে প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজাহার আলী বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ছয় হাজার ৭৪০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বোদা পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) থেকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
আজাহারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বোদা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন হাসান নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৭ ভোট।
এ ছাড়া অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বোদা পৌর কমিটির সদস্য সচিব দিলরেজা ফেরদৌস চিন্ময় জগ প্রতীকে ৭৮৩ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বোদা উপজেলা কমিটির মো. মওদুদ খান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩২ ভোট।
সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে (১ থেকে ৩নং ওয়ার্ড) ইসমতারা দ্বিতল বাস প্রতীকে দুই হাজার ২১৮, ২নং ওয়ার্ডে (৪ থেকে ৬নং ওয়ার্ড) মোছা. ঝর্না আনারস প্রতীকে দুই হাজার ২২৫ ও ৩নং ওয়ার্ডে (৭ থেকে ৯নং ওয়ার্ড) মোছা. সুলতানা বেগম চশমা প্রতীকে ১৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে- ১নং ওয়ার্ডে মো. আরিফুর রহমান আরিফ উট পাখি প্রতীকে এক হাজার ৯৭, ২নং ওয়ার্ডে আমজাদ হোসেন বাবলা টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৯৮৮, ৩নং ওয়ার্ডে মো. খাদেমুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৭৪১, ৪নং ওয়ার্ডে মো. জামাল উদ্দীন পাঞ্জাবি প্রতীকে ৫২৫, ৫নং ওয়ার্ডে আব্দুল মালেক টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৯১০, ৬নং ওয়ার্ডে আবু সাদাত মো. সায়েম রুবেল পাঞ্জাবি প্রতীকে ২৯৪, ৭ নং ওয়ার্ডে কাউসার আলম রুমি উটপাখি প্রতীকে ৬১১, ৮নং ওয়ার্ডে মো সৈয়দ আলী পাঞ্জাবি প্রতীকে ৪২৬ ও ৯নং ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান আলম গাজর প্রতীকে ৫৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রের ৪৮টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইভিএমে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও ভোটাররা সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এছাড়া নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোদা পৌরসভার ১৪ হাজার ৫১২ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ১১ হাজার ৮১২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: পৌরসভা নির্বাচন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়র পদে লড়বেন ৬ জন
ভোলা পৌরসভা নির্বাচন: দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০
ফরিদপুরে এক পৌরসভা ও তিন ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ও ওই উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে একটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকিগুলোতে নৌকা প্রতীকের পরাজয় হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে নৌকা প্রার্থী সাইফুর রহমান সাইফার পরাজিত হয়েছেন।
এখানে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকসাদ ঝন্টু (নারিকেল গাছ প্রতীক)।
এছাড়া তিন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খান সাইফুল ইসলাম (চশমা প্রতীক), আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে সোহরাব হোসেন বুলবুল (নৌকা) ও বুড়াইচ ইউনিয়নে আব্দুল ওহাব পান্নু (আনারস)।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্যদিকে, তিনটি (আলফাডাঙ্গা, গোপালপুর ও বুড়াইচ) ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৫ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে মোট ৩৬টি ভোট কেন্দ্রের ১৬৮টি ভোটকক্ষে ৫১ হাজার ৫১৯ জন ভোটার ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
নির্বাচনের নামে আর খেলা নয়: ফরিদপুরের জনসভায় ফখরুল
যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
বর্তমান সরকারকে পতনের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল বের করবে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
তারা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসাবে পালন করবে।
ঘোষণা অনুযায়ী বিএনপি নয়া পল্টনে মিছিল করবে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, ফকিরেরপুল পানির ট্যাঙ্ক এলাকায় ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টন ক্রসিংয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট।
মিছিল শেষে বিরোধী দল ও জোটগুলো যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তারা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সব বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচির কারণে ৩০ ডিসেম্বর একই কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে বিএনপি।
এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, তাদের গণমিছিল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হবে এবং দুপুর ২টায় মিছিল বের করবে।
জাহিদ জানান, তাদের মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি) কমিশনারের কাছ থেকে নয়াপল্টন থেকে মগবাজার পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পেয়েছেন তারা।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, সকাল ১১টায় তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করবেন।
১২-দলীয় জোটের নেতা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বিজয়নগর অভিমুখে মিছিল করতে দুপুর আড়াইটায় তাদের নেতাকর্মীরা ফকিরেরপুলের পানির ট্যাঙ্কের কাছে জড়ো হবেন।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, দুপুর আড়াইটায় তারা পুরানা পল্টন মোড় থেকে মিছিল শুরু করবেন।
এলডিপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, তারা কোনো জোটে না থাকায় তারা আলাদাভাবে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবেন।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে এফডিসির কাছে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তারা মিছিল বের করবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের সামনে থেকে গণমিছিল বের করার অনুমতি চেয়ে জামায়াতের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে যায়।
জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট গোলাম রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নায়িকা মাহি
নৌকার টিকিট পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন মাহি।
তিনি অন্তত ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মাহি বলেন, ‘আমি কত খুশি, কতটা গর্বিত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। বাংলাদেশের ইতিহাস যতটা দীর্ঘ, আমি যে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছি, তা দলের মতোই পুরনো। আমি সেই দলের মনোনয়ন কিনেছি, এর চেয়ে খুশি হতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
‘মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি কতটা আশাবাদী’- এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে একজন নারী, নারী নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। মেট্রোরেলের প্রথম চালক ছিলেন একজন নারী। শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্য শুনলেই বুঝতে পারবেন তিনি নারী নেতৃত্বকে কতটা প্রাধান্য দিচ্ছেন। ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়, এই উন্নয়ন থেকে আমার চাঁপাইনবাবগঞ্জকে পিছিয়ে রাখতে চাই না।’
জাতীয় সংসদের ৬টি আসনের উপনির্বাচনে আজ ২য় দিন শেষে মোট ৫৩টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শূন্য ৫ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের আবেদনপত্র বিতরণ শুরু বুধবার
বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
রংপুরে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নানা বিবেচনা হয়। জনমত জরিপেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিল। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যাও আছে। না হয় ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, মেয়র হবে লাঙ্গলের, দ্বিতীয় হবে নৌকা-রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিয়ে এমন ধারণাই ছিল অধিকাংশের। কিন্তু সব হিসাব উল্টে গেছে ভোটের ফলাফলে। নৌকার প্রার্থী চতুর্থ হয়ে জামানত হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: ভোট কক্ষে ২ জনের বেশি সাংবাদিক নয়
কাদের বলেন, ‘আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা ছিল। আমরাতো কেউ সেখানে যাইওনি। আমরা কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নেইনি। আমরা আগেই জানতাম এখানে এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখানে সরকারি দল থেকে কোন বাড়াবাড়িও হয়নি। আমরা পিছিয়ে আছি বলে জোর করে এগিয়ে যাওয়ার কোন চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে এখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে৷ আমি এটা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত করে দেখছি। আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি বড় রকমের। এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
দু-একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা
রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
৫ পৌরসভা ও ৬৬ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে
৫টি পৌরসভা ও ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
পাঁচটি পৌরসভা হল- রাজশাহীর বাঘা, দিনাজপুরের বিরল, পঞ্চগড়ের বোদা, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও নাটোরের বনপাড়া। পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। দিনের শুরুতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ৫ পৌরসভা ও ৬৬ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বোদা নির্বাচনে সাত হাজার ৪৬১ জন নারীসহ ১৪ হাজার ৫১২ জন ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ৯ ভোটকেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক প্লাটুন, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদেশে ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে