রাজনীতি
বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল একতরফা ও কৃত্রিম প্রতিযোগিতা: টিআইবি
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ছিল না বলে একটি প্রতিবেদনে বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত গত ৭ তারিখের ভোটের ফলাফল মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লাভ-ক্ষতিসহ সামগ্রিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশুভ, যা গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
আজ ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এতে বক্তব্য দেন।
টিআইবি তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের অধীনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে এই জরিপ পরিচালনা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক পরস্পরবিরোধী ও অসহিষ্ণু অবস্থানের কারণে নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি।’
এতে বলা হয়,‘এই পরস্পরবিরোধী কর্মসূচি এবং অসহিষ্ণুতা কারণে সংঘাতের কাছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে জিম্মি করার অবস্থা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অব্যাহত থাকা নিশ্চিত করার কর্মসূচি সফলভাবে অর্জিত হয়েছে। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা নাও হতে পারে। আর চ্যালেঞ্জ করা হলে টিকে নাও থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সততা, গণতান্ত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধের দিক থেকে এই সাফল্য চিরদিন বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সর্বোপরি অবাধ, উন্মুক্ত ও অবাধ প্রতিযোগিতার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পূর্বশর্তের মতো জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাল অনুশীলনের মূল উপাদানগুলো পূরণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, 'নির্বাচন কমিশন কখনও সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতার নামে এবং কখনও নকশার মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মূল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনও একই ভূমিকা পালন করেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে নির্বাচনী রাজনীতির সমান সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। কোনো অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে এবং তার নিজস্ব 'স্বতন্ত্র' এবং অন্যান্য অনুসারী দলের বিরুদ্ধে বানোয়াট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সহিংস শত্রুতা রয়েছে। যেটির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
প্রতিবেদনের শেষ অংশে বলা হয়, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যেমন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশুভ অভিজ্ঞতা। তেমনি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন দেশ ও জনগণকে কী করতে হবে এবং এড়ানো উচিত, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি কৌশল ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি পাঠ হতে চলেছে।
বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির অশুভ কামনায় বাংলাদেশের কোনো অমঙ্গল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সবার সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গভীর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম এলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ড. হাছান মাহমুদ।
এরপর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দরের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে বহু নির্বাচনি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, সার্কভুক্ত, ওআইসিভক্ত ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা সবাই একযোগে মত প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যবেক্ষক তথ্য-উপাত্তের জন্য নির্বাচন কমিশনে গেছে- এ বিষয়ে বক্তব্য ড. হাছান বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আজকে কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যেই তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
মন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে ভোটের পার্সেন্টেজ প্রায় ৪২ শতাংশ ছিল। যদি কুয়াশা ও শীত না থাকত তাহলে আরও বেশি ভোট পড়ত।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমরা তাদের সঙ্গে আরও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছি, আমি ন্যাম সামিটে যাচ্ছি, সেখানে মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন বলেই দেশে সমৃদ্ধি ঘটছে: আরাফাত
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই দেশে শান্তি বিরাজ করছে, সমৃদ্ধি ঘটছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৭ আসনের কালাচাঁদপুর সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের জায়গায় জায়গায় অশান্তি, যুদ্ধ-বিগ্রহের চিত্র আমরা টেলিভিশনে দেখি, খবরের পাতায় পড়ি। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শান্তি আছে, দেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের শান্তি বিনষ্টের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এমন কি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নির্মমভাবে নারী-শিশুসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে রুখে দিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের দেখানো ভয়-ভীতিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়নি। শীতের সকালে ভোট দিতে গেছে।আমরা জরিপ করে দেখেছি, যে কোনো নির্বাচনী এলাকার ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার এলাকায় থাকেন না। অর্থাৎ বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে হিসাব করলে সারা দেশে গড়ে ৪২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে।’
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানান ও সুচারু দায়িত্বপালনে তাদের আশীর্বাদ কামনা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনসহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা মনে করেন, তিনি তার প্রভুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় থাকবেন। সেসব দিন শেষ হয়ে গেছে।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে দেশের জনগণ 'বিজয়ের লক্ষণ' দেখিয়েছে। ‘আপনাদের (সরকারের) উচিত এর থেকে জনগণের চাওয়া বোঝা।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
আরও পড়ুন: আ. লীগের নতুন 'কৃষ্ণতম মেকি সরকার': রিজভী
রিজভী বলেন, জনগণ এখন আন্দোলনে নেমেছে এবং এই কর্মসূচি সফল করতে আগামী দিনগুলোতে তারা রাজপথে থাকবে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং স্বৈরাচারী নেতাদের উৎখাত করার ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে উল্লেখ করে রিজভী ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘শেখ হাসিনার ভাগ্যও এর চেয়ে আলাদা হবে না। শেখ হাসিনার সরকারও ভেসে যাবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারকে উন্নয়নের নিদর্শন হিসেবে দেখছে, ‘যেখানে দরিদ্র মানুষ তাদের সন্তানদের নিজেদের ভরণপোষণের জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, জনগণ আবার রাস্তায় নামবে, তাদের দাবি আদায় করবে এবং তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের একটি বক্তব্যের বিরোধিতা করায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যেন 'কসমেটিক' না হয়।
আইনমন্ত্রী দাবি করেছেন, তুর্কির বক্তব্য পুরোপুরি ভুল তথ্য প্রাপ্তি থেকে হতে পারে।
তিনি বলেন, 'তিনি (হক) মিথ্যা বলতে পারেন বলেই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী। তিনি যদি সত্য বলতে পারতেন, তাহলে আওয়ামী লীগ তাকে মন্ত্রী করত না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর শান্তিনগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় সেখানে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে একটিমাত্র এজেন্ডা ছিল। সেটা হচ্ছে সামনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে।
তিনি আরও বলেন, অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। আজকে সেই অনুমোদন হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে আগামী রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য ও রোজা সংশ্লিষ্টপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্বাচনি ইশতিহার দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী সব মন্ত্রণালয় যেন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়।
কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু
যেই মন্ত্রণালয়ের যে অংশ এসব স্তম্ভের সঙ্গে জড়িত তাদের সেই অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেছেন।
এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প যেগুলো শেষ পর্যায়ে সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটা কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন।
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবহিদির কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত মানুষরা পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
নারী উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণে ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত এবং কৃষিজ পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এগুলোকে প্রয়োজনে পোশাক খাতের মতো সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন যাতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। যুব সমাজ খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাপক উন্নয়নের পেছনে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: প্রধানমন্ত্রী
জাপায় অস্থিরতা: ঢাকা উত্তরের কমিটি 'বিলুপ্ত', দুই নেতা বহিষ্কার
জাতীয় পার্টির ঢাকা উত্তরের মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সঙ্গে দলের দুই নেতাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন- শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ইয়া ইয়া চৌধুরী। তারা প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
ভোটারদের টাকা বিতরণকালে জাপার ২ নেতা-কর্মী আটক
ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না। তাই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাঙ্গণে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা (গোপালগঞ্জ-৩) কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক কাজ করার আছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের এটিকে (অগ্রগতি) দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসন নিজের শক্ত ঘাঁটি আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার শক্ত ঘাঁটি থাকায় তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তার ক্ষমতার উৎস এবং তিনি এই শক্তি দিয়ে সফলভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
'আমার গ্রাম আমার শহর' কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি গ্রাম গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ সব ধরনের শহুরে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসংযোগকারী ও তাদের পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দিতে সরকার কোনো আপস করবে না। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমরা আদেশদাতাদের গ্রেপ্তার করছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ না করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে না পারে।’
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি এবং শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সঞ্চালনা
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন আহমেদ, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান এবং প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ-৩ আসনের রাজনৈতিক প্রতিনিধি শহীদুল্লাহ খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় এসে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাড়িতে রাত কাটান এবং ঢাকায় ফেরার পথে কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির চেষ্টার কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দেশাত্মবোধ ও সেবকের মনোভাব নিয়ে প্রবাসীদের সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে অভিবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সবার সহযোগিতায় প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে যাতে কোনো অপশক্তি প্রভাবিত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের স্মার্ট মানসিকতা লালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নতুন প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এছাড়াও তিনি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বাড়িয়ে তা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সুন্দর জীবনযাপনে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয় এখন যেখানে আছে তার থেকে ভালো অবস্থানে উত্তরণ ঘটানো এবং এখান থেকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ যাতে সুবিধা পায়, সেটি নিশ্চিত করার দিকেই আমাদের দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
এসময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কাছে আমিষ সহজলভ্য করার উপর গুরুত্বারোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রির প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। যাতে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিংড়ির মানোন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
এসময় তিনি, মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাকে আরও উন্নত করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাজ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে জনগণের কাছে আমাদের অঙ্গীকারের কথা বলা আছে। আমার প্রথম কাজ হবে এই মন্ত্রণালয়ের কাজের মাধ্যমে তা পূরণ করা।
মন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন খাতে অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান। আমার কাজ হবে আমার অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এই উন্নয়ন কাজগুলোকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে্র যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের মান আরও উন্নত করা এবং নতুন নতুন লাভজনক গন্তব্যে বিমানের রুট চালু করা।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশে নতুন নতুন পরিবেশবান্ধ ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করব। পর্যটনশিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বেসরকারি খাতে অনেক কাজ হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক