রাজনীতি
চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে বের করা মিছিল থেকে চট্টগ্রামে জামায়াত শিবিরের আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পাচঁলাইশ থানার মুরাদপুর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন বলেন, সকালে ‘শুলকবহর এলাকা থেকে মিছিলটি বের করে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে আট জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মিছিলে অংশ নেয়া জামায়াত নেতারাসহ গ্রেপ্তার আট জনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
জানাগেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে শুলকবহর মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে সিনিয়র নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিনসহ নগর জামায়াতের নেতারা অংশ নেন।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশব্যাপী বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ গণআন্দোলনে নামে জামায়াত। ২৪ ডিসেম্বর দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলায় জেলায় গণমিছিল করার ঘোষণা দেয় দলটির আমির। একই দাবিতে বিএনপিও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অনুরোধে গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করবে বিএনপি
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
নারায়ণগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন-বাছির, নজরুল, ফজলুল হক, আফছার ও মনসুর। তাদের সবাইকে চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি গ্রুপ ও পৌর যুবলীগ সভাপতি কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে। এতে উভয় গ্রুপের পাঁচজন আহত হন। একটি প্রাইভেটকারের গ্লাস ও দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো. আবির হোসেন জানান, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি কেন্দুয়া এলাকায় জনৈক হাসানের বাড়িতে পিঠা উৎসবে গিয়ে ফেরার পথে মেয়র রফিকুল ইসলামের ভাই সাইফুলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ তার ওপর হামলা করে। পরে কলির লোকজন রফিকুল ইসলামের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে কাঞ্চন পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
২২তম জাতীয় কাউন্সিল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ.লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে শনিবার সকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
এবারের কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন যাত্রা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিল সাধারণত দুই দিনের হলেও এবার অনুষ্ঠিত হবে একদিন।
এই বছরের জাতীয় কাউন্সিলে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। দুপুরে খাবার ও নামাজের বিরতি থাকবে।
দলীয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ১২ তম জাতীয় নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ তার কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
যারা নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন তারা দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। মঞ্চটি ৮০ ফুট লম্বা ও ৪৪ ফুট চওড়া।
এর আগে সকাল ৭ টায় সম্মেলনে প্রবেশের গেট খুলে দেয়া হয়। এবারের সম্মেলনে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেইট রয়েছে। তার মধ্যে একটি ভিআইপি ও চারটি গেইট রয়েছে প্রতিনিধি ও কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান
আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
আওয়ামী লীগ অতীতে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই করবে বলে বিশ্বাস করেন শিক্ষামন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন ও প্রাক্তন ছাত্রীদের পুনর্মিলনীতে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শনিবার অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ আওয়ামী লীগ সেই দল যা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য লড়াই করেছিল, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিজয়ী করেছিল। তারপরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা পুনরুদ্ধারের সমস্ত আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের কাউন্সিলের আগে নিরাপত্তা জোরদার, ঝুঁকি নেই: ডিএমপি
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর যে কমিটি ঘোষণা করা হবে, তাতে নতুন ও সিনিয়রদের সমন্বয় হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই যেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের এত বেশি অংশগ্রহণ রয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি)দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ (আ.লীগ)।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু সায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কাউন্সিলে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খানকে শনিবার কাউন্সিলে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদ সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আ.লীগের প্রতিনিধিদলকে বলেন,‘আমাদের সব নেতা এখন কারাগারে, তারা কীভাবে কাউন্সিলে যোগ দেবেন?’
এসময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সায়েম বলেন, ‘এটি (কারাবাস) সরকারের একটি বিষয়। আমরা এখানে দলের পক্ষ থেকে এসেছি। আমি আশা করি একটি প্রতিনিধি দল (আপনার দলের) কাউন্সিলে অংশ নেবে।’
প্রিন্স বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনার পরে কাউন্সিলে যোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
গণমিছিল সফলে প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে নগরের ভাতালিয়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী'র পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন -এর উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতাকে অন্যায়, অবৈধভাবে পাক হায়েনাদের কায়দায় রাতের আধারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
তিনি আরও বলেন, অবৈধ এই সরকার বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হিস্র আচরণ শুরু করেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাদের মুক্তি, জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সিলেটে গণমিছিল সফল করতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতার পদত্যাগ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতার পদত্যাগ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতা পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন তারা।
এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১০ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ্ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আমিনুল হকের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির পদত্যাগকারীরা হলেন- সহসভাপতি শামসুর রহমান শাহীন ও মো. জাহাঙ্গীর, কোষাধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন কফিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন মৃধা, সহ-কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল, সহদপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহাগ, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. লোকমান, সদস্য মো. ইউসুফ ও মো. মনির হোসেন পালোয়ান এবং সাবেক সদস্য ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুল হক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, অনেকে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পদ-পদবি না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের অনেকেই আবার যোগাযোগ করছেন। দুঃখ প্রকাশ করছেন।
বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপির পরিকল্পিত যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে ১২টি দলের একটি নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।
এর আগে এই ১২টি দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অংশ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার নতুন এই জোট গঠনের ঘোষণা দেন।
নতুন জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, জাগপা, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং সাম্যবাদী দল।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া ও ঐক্য আগের মতোই থাকবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের অংশগ্রহণে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে আমরা নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
মোস্তফা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই এবং আমরা সবাই একযোগে আন্দোলনের পথে এগোচ্ছি।
নবগঠিত ১২ দলীয় জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা ১২ দলীয় জোট হিসেবে স্বীকৃতি পাব।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করতে বিএনপির সঙ্গে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থাকবে ১২ দলীয় জোট। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ১২ দলীয় জোট বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা 'রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার' একটি 'জাতীয় মুক্তির সনদ' হিসাবে বিবেচনা করে এবং এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘বিলুপ্তির আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর। যেখানে জোটের নেতারা পূর্বের নাম ২০-দল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন। জোট ২০ দলীয় জোট গঠিত হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।
তিনি আরও বলেন, ১২-দলীয় জোটে দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে- একটি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং অন্যটি বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
মেজর ইব্রাহিম বলেন, অন্যান্য দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে তাদের আবেদন করেছে এবং আশা করা হচ্ছে একটি ইতিবাচক ফলাফল আসবে।
জোটটি ৩০ ডিসেম্বরের পর বিভাগীয় শহরে সফর করার পরিকল্পনা করছে এবং তারা শিগগিরই এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান ইব্রাহিম।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপির সকল কর্মসূচিতে যোগ দেব এবং যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর আমরা গণ মিছিল বের করব। আমরা দুপুর ২টার দিকে বিজয় নগর এলাকায় সমবেত হব।’
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
চাপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সাত এমপির মধ্যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র জমা দেন। সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদত্যাগ করেন বিএনপির এই এমপিরা।
পদত্যাগকারী এমপিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
হারুনুর রশীদ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ওই দিন অসুস্থ থাকায় স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
আজ জাতীয় সংসদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুনুর রশীদ বলেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে স্পিকারের অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
তবে স্পিকার আমাকে বলেছেন, আমি পদত্যাগ না করলে দলের দাবি সংসদে তুলে ধরার সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, ‘তবে বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় এখন আর সেই সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন যে ২০১৮ সালে সন্দেহজনক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদে বিএনপি থেকে মাত্র সাতজন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা সংসদে যোগ দিয়েছিলাম এবং আজও আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করছি।’
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের পাশাপাশি সংবিধান ও আইনের সংস্কার প্রয়োজন।
হারুনুর রশীদ ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায়’ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির শীর্ষ নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ওই দিনই সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
একইসঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে দলটি ১০ দফা দাবির কথাও ঘোষণা করে।
এদিকে তাদের পদত্যাগের পর পাঁচটি সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সংসদ সচিবালয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা করেছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির এমপিদের শূন্য থাকা পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন করবে ইসি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কোনো চাপ নেই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তারা যে মন্তব্য দিচ্ছেন সেটি রাষ্ট্রদূত ও সরকারের বিষয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মির্জাগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে নির্বাচনে কোনো দলকে বাধ্য করা হচ্ছে না। আমরা নির্বাচনে সব দলকে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান করছি। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক হবে।
এছাড়া আমরা আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুল আহসান, ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে উঠবে না: সিইসি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি