রাজনীতি
আ.লীগের অনুরোধে গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করবে বিএনপি
আওয়ামী লীগের অনুরোধে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে গণ-মিছিলের তারিখ পরিবর্তন করতে পারে বিরোধী দল বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল না। গণ-মিছিলের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী তারিখ জানানো হবে। সোমবার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
এর আগে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে দেশব্যাপী গণমিছিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে গত কয়েকদিন ধরেই গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন তারা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে উঠবে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে ওঠে না।
এ জন্য প্রতিটি পক্ষকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন (আরসিসি) নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে। রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন আর ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন এক জিনিস নয়।’
একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে সিইসি সব দলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কাউকে বাধ্য করতে পারে না।
তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি খুশি হব।
এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান সিইসি।‘যদি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয়, তাহলে তা সঠিক জনমতের প্রতিফলন ঘটায় না।’
আরসিসি নির্বাচন প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি নগরবাসীকে ২৭ ডিসেম্বর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
ঢাকা থেকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সিইসি।
গাইবান্ধা নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনী অনিয়মের জন্য দায়ী পোলিং এজেন্টরা যাতে পুনঃনির্বাচনে উপস্থিত থাকতে না পারে সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রংপুরের মেয়র, ৩৩ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সকল বাধা-বিপত্তি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করে রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ করে জনগণ বিজয়ী হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর সরকার পরাজিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি ও গ্রেপ্তারের মধ্যেও ঢাকায় আমাদের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে জনসভা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। সরকার তা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ জিতেছে এবং সরকার পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।’
মঙ্গলবার এক সমাবেশের বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ অত্যন্ত সফল হয়েছে কারণ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের দল আগামী দিনে রাজপথে ক্ষমতাসীন দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই যে আমরা আগামী দিনে তাদের (যারা ক্ষমতায়) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আমরা রাজপথে সংকটের সমাধান করব। সুতরাং, আমাদের সকলকে এই ব্যর্থ, স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী শাসনকে রাজপথে উৎখাত করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের অন্যান্য নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর।
গত ৭ ডিসেম্বর কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই ছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রথম কর্মসূচি।
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
আরও পড়ুন: বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
মোশাররফ বলেন, তাদের দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ-প্রশাসনকে জনগণের সঙ্গে একত্রে মোকাবিলা করবে
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই অতীতে দেশে এই ধরনের স্বৈরাচারী শাসন ছিল। স্বৈরাচারী শাসক এরশাদকে এ দেশের ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং পাকিস্তানের শাসনামলে আইয়ুব খানকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কায়ও মানুষ রাজপথে নেমে রাজাপাকসের ভাইদের উৎখাত করেছে। আমাদের জনগণও প্রস্তুত (রাস্তায় নামতে)।’
বিএনপি নেতা পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের শপথের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনগণ ও তাদের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনি মানুষের শত্রু নন এবং তাদের পক্ষে অবস্থান নিন। সরকার পতনের ঘণ্টা এখন বাজছে। সরকার যাবে, কিন্তু আপনি এখানেই থাকবেন কারণ আপনি এই দেশের সন্তান এবং সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী। মানুষের সঙ্গে লড়াই করা আপনাদের উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে অন্যান্য কোন মরণাস্ত্র আছে কিনা তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে 'বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি'-শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘ভাঙচুর’ করার অভিযোগের বিষয়ে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।’
তল্লাশি অভিযানের সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবাড়ি করায় বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচন্ডভাবে ‘ফ্লপ’ করেছে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন: ঢাকায় বলীখেলায় তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে বিএনপিকে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকায় আসবেন। তাই কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
গত ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা ও দেশের সব জেলা শহরসহ বড় শহরে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, দিনটি আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের সঙ্গে মিলে গেছে।
কাদের বলেন, বৈশ্বিক সংকট বিবেচনা করে তাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সহজভাবে কাউন্সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আমরা আশা করি একটি সফল কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ সুপার ফ্লপ হওয়ায়, বিএনপি নেতাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো ও উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, সব পুরনো কথা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল হয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
১৪ দফা নিয়ে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে নামবে গণতন্ত্র মঞ্চ
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং শাসনব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলনের জন্য ১৪ দফা দাবি ঘোষণা করেছে সাত বিরোধী দলের রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন প্ল্যাটফর্মের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ৭ ডিসেম্বর পুলিশের অভিযানে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করতে মঙ্গলবার গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্র মঞ্চ' রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের উদ্যোগ নিতে খুব শিগগিরই একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে।
এর আগে শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাজধানীতে দলের সমাবেশ থেকে ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচির মাধ্যমে একযোগে আন্দোলন শুরু করতে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন।
মান্না বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের (শাসনব্যবস্থার) গুণগত পরিবর্তন চাই। সেজন্যই আমরা ১৪ দফা রাখছি। আমরা বিএনপিকেও আমাদের পয়েন্ট দিয়েছি এবং আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’
নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী একজন মুঘল সম্রাটের চেয়েও বেশি শক্তিশালী, কারণ তিনি যা খুশি তাই করতে পারেন। এটা চলতে পারে না এবং সংবিধান সংশোধন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সামগ্রিকভাবে জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে দেশের প্রশাসন, আইন ও সংবিধানে উল্লেখযোগ্য সংস্কার করা উচিত।’
রাজনৈতিক এই মঞ্চটির ১৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সংসদ ভেঙে দেয়া, সরকারের পদত্যাগ, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, অতিরিক্ত অর্থের ব্যবহার বন্ধ করা। নির্বাচন ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ, আরপিও সংশোধন, প্রশাসনে পরিবর্তন আনা, ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহার এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।
এছাড়া সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, ন্যায়পাল নিয়োগ, সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠা, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার, প্রত্যক্ষ নির্বাচনসহ আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার যৌক্তিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য দাবিগুলো হলো- বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক রাজবন্দির মুক্তি, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সভা-সমাবেশে কোনও বাধা না দেয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ সব কালো আইন বাতিল এবং শিল্প পুলিশের নামে শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করা।
১৪ দফার সঙ্গে বিএনপির ১০ দফার অনেক মিল রয়েছে। কারণ গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির দাবিতে কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজেদের পতন ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজের পতন ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন ঘটাবে, ১০ তারিখের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। কিন্তু সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করে বসলেন সংসদ থেকে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করেছে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভিত নড়ে যাবে। সরকারের একটু কাতুকুতু লেগেছে এর বেশি কিছু হয়নি। তারা যেদিন পদত্যাগ করেছে সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদের আসন শুন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপনির্বাচন হবে, এখন তারা বুঝবেন কি ভুলটি তারা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে কেউ ধাক্কা দিলে সেই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে, দেয়ালের যেমন কিছু হয় না, উল্টো যে ধাক্কা দেয় সেই মাথায় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।
তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, বিএনপি বলেছিল, ১০ ডিসেম্বর তাদের ১ দফা দাবি। আর সমাবেশে তারা দিল ১০ দফা দাবি। তাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। নতুন কোন কিছু সেখানে নাই। এক দফা থেকে এখন দশ দফায় গেছে। গাধা জল ঘোলা করে খাওয়ার মতোই বিএনপি নয়াপল্টনের রাস্তায় দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করার কথা বলে গোলাপবাগ মাঠে পঞ্চাশ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। অনেক হিসেব-নিকেশ করেই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করেছিল। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন-দশ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। শেষমেষ বিএনপি অফিসে পাওয়া গেল পনেরটি তাজা বোমা, ১৬০ বস্তা চাল, আড়াই লাখ পানির বোতল আর লাঠিসোটা। তার মানে হচ্ছে তারা আসলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর জন্য নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল।
চট্টগ্রামের মানুষ বারবার আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি হাছান মাহমুদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার চেষ্ঠা করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের ৩২জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী সেদিন জীবন দিয়েছিল।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসন: ১৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে ইসি
বৃহস্পতিবার বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি সংসদ সদস্যদের ছেড়ে দেয়া আসনগুলো খালি ঘোষণা করে গেজেট আমরা পেয়েছি। শিগগিরই একটি মিটিং করে কখন উপ-নির্বাচন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’
১১ ডিসেম্বর সাতজন বিএনপির সংসদ সদস্যের (এমপি) মধ্যে পাঁচজন সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১০ দফা দাবিতে সংসদ ভেঙে দেয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে রুমিন ফারহানা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ, যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
এর আগে শনিবার দলের গোলাপবাগ সমাবেশ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রুমিন ফারহানা।
শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: গেজেট হলেই শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন: ইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব