রাজনীতি
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ঢাকা সমাবেশ ব্যর্থ হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দল 'অর্ধেক পরাজিত' হয়েছে।শনিবার সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।কাদের বলেন, ‘বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তারা তা করতে না পেরে অর্ধেক পরাজিত হয়েছে। পুলিশের অনুমতি পাওয়ার অনেক আগেই তারা সমাবেশের নামে পিকনিক আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ তাদের নয়াপল্টন কার্যালয়ের মধ্যে চাল, মসুর ডাল এবং রান্নার হাঁড়ির বস্তা খুঁজে পাওয়ার পর এটি প্রমাণিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদেরক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের তার বক্তব্যে বুধবারের সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলা হলে পুলিশ কি নির্বিকার বসে থাকবে? আমরা জানি কারা এই ধরনের সহিংসতার জন্য বিএনপিকে অর্থায়ন করছে। সময় হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ।‘কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের (এমপি) পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একটি বড় ভুল প্রমাণিত হবে। এই পদত্যাগের কারণে সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়বে তা ভাববেন না। এছাড়া, এখন আমরা সেই লবিস্টকে চিনি যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্ররোচিত করেছিল। তার নাম টবি ক্যাডম্যান। রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এসব ভুলের খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন, জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতারা যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত এবং পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা টবি ক্যাডম্যানকে লন্ডন-ভিত্তিক আইনি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন।
সাভারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা। সভায় কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে: কাদের
২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
সকল জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে এবং অসংখ্য বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে বিএনপি শনিবার রাজধানীতে শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিশাল সমাবেশ করেছে। সমাবেশ থেকে দলটি ২৪ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
দলটি ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে গণসমাবেশ করবে।
৭ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত, দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাতে ১৩ ডিসেম্বরও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, যে সব দল যুগপৎভাবে আন্দোলন শুরু করতে তাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাবে তারা এগিয়ে যাবে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনকে তীব্র করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য সব রাজনৈতিক বন্দিদের কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র রাখা।
রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেয় এবং জনসমাগম সমাবেশস্থলের চারপাশের কয়েক বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে দলের সাত সংসদ সদস্য ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে দমন করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট কাটিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানে এটির সুযোগ নেই বলে দাবিটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: মুগদায় আ.লীগ-বিএনপির ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ২টি মোটরসাইকেলে আগুন
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশবাসী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির জনসভায় তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই রায় কার্যকর করব, রক্ত ও জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সরকার রাজধানীতে ‘হরতাল’ জারি করেছে, যখন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা সমাবেশের দিকে আসা মানুষের ঢেউ ঠেকাতে ‘অস্ত্র নিয়ে’ পিকেটিং করছে, কিন্তু তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন এবং জনতা সমাবেশস্থলের চারপাশের কয়েক বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: অতি উৎসাহী পুলিশ ও আ.লীগ ‘ক্যাডারদের’ তালিকা করতে বললেন বিএনপি নেতা খসরু
পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার সর্বতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠছে, সেখানেই সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। বাংলাদেশে যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।শনিবার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অনেক বড়বড় অর্জন সত্ত্বেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউকেউ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার হীন চেষ্টা করছেন।বাংলাদেশের সংবিধান ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র এদুটির কোথাও অন্যের অধিকার হরণ করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা নেই- একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ২০ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এদুটি অনন্য দলিলের কোথাও বলা নেই রাস্তাঘাট বন্ধ করে, জনসাধারণের চলাচলের পথ রুন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা যাবে।তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজকাল মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি-না তা জানার আগেই অনেকে আমাদেরকে মানবাধিকার সমন্ধে ছবক দিচ্ছেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘৃণতম মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটলেও তারা মানবাধিকার রক্ষা দূরে থাক, এবিষয়ে একটি টু শব্দও করেন নাই।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোত্তম সেবা দিন: সাব-রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রীতিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধু তার সারাটা জীবন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়, যা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে ঘৃণ্যতম ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভৎসতা এত ভয়াবহ ছিল যে, ইনডেমনিটি আইন করে দীর্ঘ ২১ বছর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল এবং বিশ্বের বড়বড় দেশ খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল। দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি এখনো কয়েকটি বড় দেশের আশ্রয়ে আছে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অনেকটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।মি. হক আরও বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করে এর অধীনে শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় বর্তমানে এই কমিশনের এখতিয়ার ও কাজের পরিধি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। এটি এখন নারী, শিশু, দলিত, হিজড়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, মেহনতী মানুষ ও প্রবাসী শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে স্বল্প সময়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের সদস্য পদ লাভ করেছে এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির স্ট্যাটাস অর্জন করেছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় জবাবদিহিতার অংশ হিসেবে সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে নিয়মিত রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ছায়া প্রতিবেদন প্রেরণ করছে। দেশে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার পাশাপাশি সব ধরণের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছে। মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট উচ্চ আদালতের বিভিন্ন রায় ও আদেশ দ্রুত কার্যকর করার যথাযথ পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সরকার আরও অনেক আইন প্রণয়ণ করেছে। বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের বিষয়টিও এখন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নিকট পরীক্ষা-নিরীক্ষাধীন রয়েছে।সরকারের সুনীতি ও দৃঢ় অবস্থানের কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ড ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধসহ বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। দেশ থেকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়েছে। মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। মানবাধিকার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশ চার চার বার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেছে, বলেন আইনমন্ত্রী।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: আয়কর আইনজীবীদের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা দরকার: আইনমন্ত্রী
দেখা যাক, ছদ্মবেশে জামায়াতের নিবন্ধন ইসি কীভাবে পরিচালনা করে: আইনমন্ত্রী
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
সকল জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এবং অসংখ্য বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বিএনপি শনিবার ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে দলটি ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য সব রাজনৈতিক বন্দিদের কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র রাখা।
রাজধানী ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেয় এবং জনতার ঢল সমাবেশস্থলের চারপাশে কয়েক কিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য ইমেইলের মাধ্যমে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে বিরোধী দলকে দমন করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট কাটিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবারই তীব্রভাবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
বিএনপির সাত সংসদ সদস্য ইমেইলে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
শনিবার গোলাপবাগের দলীয় সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩; এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন এবং আগামীকাল সংসদের স্পিকারের কাছে শারীরিকভাবে তা জমা দেবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমরা এমপি হয়ে লাভবান হচ্ছি না। আমরা কতটা জায়গা পাই সেটা দেখার জন্য সংসদে যোগ দিয়েছি। কিন্তু সবই একই, এমপি হওয়া বা না হওয়া, তাই আমরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।’
এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্যদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কারণ দলটি আজকের সমাবেশ থেকে সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করবে।
বিএনপি তাদের বিভাগীয় শেষ গণসমাবেশ করছে যেখান থেকে দলটি তাদের দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার বিএনপির সংসদ সদস্যদের (এমপি) পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করায় দলীয় এমপিদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এক বৈঠকে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিএনপি আজকে বিভাগীয় পর্যায়ের শেষ জনসভা করছে যেখান থেকে দলটি তাদের দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
ঘোষণা করা হবে ১০ দফা দাবি
আরও পড়ুন: বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তাদের সমাবেশ থেকে তারা ১০ দফা দাবি জানাবেন।
তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করতে প্রস্তুত তাদের সঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে আন্দোলনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আশা করি তারা একই সঙ্গে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ১০টি পয়েন্ট ঘোষণা করবে। যেগুলো আমরা প্রণয়ন করেছি।’
মোশাররফ আশা প্রকাশ করেন যে সকল দল যারা তাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে তাদের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন শুরু করতে তারা এগিয়ে যাবে এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনকে তীব্র করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ, প্রতীকী অনশন, মানববন্ধন এবং তাদের ১০ দফা দাবিতে চাপ দেয়ার মতো কিছু নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করবে দলটি।
তিনি বলেন, তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে সমান ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন করা, বিএনপিকে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং অন্য সব রাজনৈতিক বন্দীদের কোনো শর্ত ছাড়াই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা।
সংরক্ষিত নারী আসনের একজনসহ দলের সাতজন সংসদ সদস্য রয়েছেন।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই তাদের মূল লক্ষ্য হওয়ায় তার দলের এমপিরা বর্তমান সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ঢাকায় বিএনপির বহুল আলোচিত সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ থেকে বার্তা দেয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশস্থলে সমাবেশের অনুমতি পেলে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই গোলাপবাগ মাঠ মুখরিত করে তোলে বিএনপি নেতাকর্মী ও অনুসারীদের।
সমাবেশের ভিড় আশেপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপির সিনিয়র নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয় এবং পরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের অভিযানে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু সংবিধান তা হতে দেয় না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
মানবাধিকার দিবসেই ঢাকা মহানগরীতে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করতে যাচ্ছে দলটি।
এর আগে শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরবাসীকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচালের চেষ্টার যোগ্য জবাব দিতে গোলাপবাগ মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
ঢাকার গোলাপবাগ মাঠ এখন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীতে মুখরিত।
সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন।
দলটির নেতাকর্মীরা মঞ্চ প্রস্তুত ও অন্যান্য সব আয়োজন শুরু করেছেন। সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে প্রায় ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
এদিকে সড়কে কোনো বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার প্রথমে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি দলটি।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় এর আগে নয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর এটি দশম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
দলটির নেতাকর্মীরা মঞ্চ প্রস্তুত ও অন্যান্য সব আয়োজন শুরু করেছেন।
সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
এদিকে সড়কে কোনো বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার প্রথমে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি দলটি।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় এর আগে নয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর এটি দশম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
ঢাকায় সমাবেশের আগেই ফখরুল, আব্বাসকে পাঠানো হলো কারাগারে