রাজনীতি
এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার বিকালে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে বসে থাকা সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিকালে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষে একজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহত প্রায় ২০ নেতাকর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি কার্যালয়ে ছুটে যান ফখরুল।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর কারণ পুলিশের গুলিতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাকে পাচ্ছে তাকে গ্রেপ্তার করছে।
তিনি অভিযোগ করেন যে তাকে পার্টি অফিসে ঢুকতে দেয়া হয়নি, তাকে পার্টি অফিসের সামনে ফুটপাতে বসতে বাধ্য করা হয়। ‘এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক।’
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
বিএনপি জানিয়েছে, সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে তারা।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আব্বাস বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা আমাদের কর্মসূচির জন্য নয়াপল্টন বেছে নিয়েছি, এখন সরকারকে বিকল্প ও গ্রহণযোগ্য স্থানের পরামর্শ দিতে হবে। সরকার যদি উপযুক্ত স্থান প্রদান করতে না পারে, যাই ঘটুক না কেন আমরা আমাদের নির্বাচিত স্থানে আমাদের সমাবেশ করব।’
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
এক প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকবে বলে তারা আশা করেন।
আব্বাস আরও বলেন, ‘তারা বলে আমাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হবে। কিন্তু গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
সড়ক গত ২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ।অবরোধের কারণে এসব এলাকার মানুষ কি কষ্ট পাচ্ছে না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন, কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করছেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী আনী বলেন, তারা চান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ তাদের সমাবেশের বিকল্প স্থান হতে।
এ্যানি বলেছেন, ‘আমরা আজ দুপুর ২টায় পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম যখন আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি যে আমরা আমাদের সমাবেশ নয়াপল্টন বা আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে করতে চাই। আমরা বর্তমানে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আটক
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষস্থল থেকে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে আহত মো. মকবুল নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মকবুলের রাজনৈতিক পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৩টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বেশকিছু মানুষ আহত হন।
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে তাদের দল নিঃসন্দেহে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে কারও কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। কারণ ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করতে হবে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন করে দুঃশাসন থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখবে।
তিনি বলেন, বর্তমান দানবীয় শাসনকে পরাস্ত করতে এই সমাবেশ থেকে জনগণ আরও নিবিড়ভাবে নতুন কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামবে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড পলিটিক্স অব ব্লেমিং’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি।
অনুষ্ঠানে ডা. শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং বর্তমান সরকারের আমলে সহিংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ফখরুল বলেন, তাদের দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত হয়।
সরকার অগ্নি সহিংসতার ষড়যন্ত্র করছে
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ২০১৪-১৫ সালের আন্দোলনে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারদের সঙ্গে বৈঠক করে নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন এবং সেখানে দোষারোপের রাজনীতি সম্পর্কে ভুল ধারণা দিতে কেঁদেছিলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের প্রচেষ্টা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের চলমান স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বন্ধ করার জন্য তার সরকারের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিএনপির সন্দেহ জাগিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছি যে প্রায় ২০০টি বাসে আগুন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সহিংসতা প্রতিরোধের নামে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু ক্যাডার মোতায়েন করা হবে বলেও কিছু ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছি।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার তাদের সহিংসতা চালানোর পুরনো খেলায় লিপ্ত হয়ে এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করছে।
সরকারকে প্রতিহত করার উপযুক্ত সময়
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে বলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার এটাই উপযুক্ত সময়।
এটি একটি নির্বাচিত শাসন ব্যবস্থা নয় এবং এতে জনগণের ম্যান্ডেটের অভাব রয়েছে।
এই শাসন নিপীড়ন ও অবিচারের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৫ বছরে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মী বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন এবং এক হাজারেরও বেশি নিহত হয়েছেন এবং অনেকে পঙ্গু ও নিপীড়িত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মানুষ এখন ভয়ঙ্কর দানবীয় শাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়। আমরা জানি একটি গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা খুবই কঠিন।
কিন্তু এ ধরনের লড়াই করার জন্য আমাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ‘মিথ্যা’ রাজনৈতিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশ থেকে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, ব্যাংকগুলোকে অবনমন এবং মেগা প্রকল্পে লুটপাট করছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার বলছে শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য কোনো অর্থনৈতিক সংকট নেই।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পর প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে কাউন্টিকে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাথে বিএনপির রাজনীতির আদর্শিক মিল নেই; ভারত বিশেষ বন্ধু: ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জায়গা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেটা সমাধান হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার বার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশস্থল নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা এখনও সমঝোতা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় আশাবাদী, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একটা সমাধান বের হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দলের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা কেন দেশে অশান্তি চাইব?
কেন আমরা এমন কিছু করব যা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে? আমাদের এটির দরকার নেই।
তিনি বলেন, ‘এখন যদি কেউ আমাদের ওপর হামলা করে, কোনো প্ররোচনা দেয়, আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আমরা কি নির্বিকার বসে থাকব? এছাড়া আমরা আশা করি বিরোধীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ করবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনারের সফরের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক যোগাযোগের আওতায় অনেক প্রকল্প রয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তিস্তা ইস্যু নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
তিস্তা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করবেন (এটি সমাধানে)।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
এছাড়া ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ জনসভা করে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করবে দলটি।
ঢাকায় পুলিশ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বললেও বিএনপি ঢাকায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। সংবিধানে এ ধরনের কোনো বিধান না থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
জনগণ নির্ধারণ করবে ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ দেশের মালিক জনগণ। ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না-তা নির্ধারণ করবে জনগণ। এছাড়া কূটনৈতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না।
তিনি বলেন, সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। বিএনপিকে জায়গা দেয়া হয়েছে৷ তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল। এটা বরাদ্দ দেয়ার পর সেখানে তাদের যেতে এত অনীহা কেন?
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জজার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনিএসব কথা বলেন।
মিশরে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৭‘ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ সম্পর্কে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু রাস্তায় জনসভা করতে চায়। নাগরিক এবং সাংবাদিকরা রাস্তায় সমাবেশ চায় না। কারণ এতে জনভোগান্তি হয়। প্রকৃতপক্ষে তারা জনসভা নয়, ইস্যু বানাতে চায়৷ আমাদের সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। কেউ অপচেষ্টা চালালে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশবাসীকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসে বিএনপির নেতকর্মীরা জড়িত। তাদের নির্দেশের ভিডিও আমাদের কাছে আছে, অডিও আছে।
তিনি আরও বলেন, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার দিয়েছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আদালত জামিন বাতিল করেছে, এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ দূরভিসন্ধিমূলক: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরেও দশগুণ মানুষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং বিএনপি ও জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভেসে যাচ্ছে। আমি আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এসবের উপযুক্ত জবাব দিতে বলতে চাই।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে, তখন আপনাকে উত্তর দেয়ার দরকার নেই। যদি শুধুমাত্র তাদের অপকর্মের কথা মন্তব্যে উল্লেখ করা যায় (সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা পোস্টের মধ্যে) তারা থামবে।’
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বিসিএলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ কাউন্সিলকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এই কাউন্সিলকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিলে যোগ দেন ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ফলে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ঐতিহাসিক এই পার্কটি।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রলীগের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫৪ জন প্রার্থী ফরম জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিষদের নির্বাচন কমিশনার শামস-ই-নোমান।
এর আগে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী ছাত্রলীগের এই জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল।
পরে ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সম্মেলনের তারিখ ৩ ডিসেম্বর থেকে পরিবর্তন করে ৮ ডিসেম্বর করা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার জন্য সম্পদ ব্যবহার করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে ২৮ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ৭ ডিসেম্বরের জনসভা 'সর্বকালের বৃহৎ' জনসভা হওয়ার আশা
ধারণা করা হচ্ছে কক্সবাজারের বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) জনসভা জনসমুদ্র পরিণত হবে। এটি হবে সর্বকালের বৃহৎ জনসভা।
জেলার প্রতিটি মানুষ উৎসুক হয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য। কারণ কক্সবাজারবাসীকে শেখ হাসিনা যা দিয়েছেন তা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিয়েছেন। গৃহহীনরা পেয়েছেন ঘর, ভূমিহীনরা পেয়েছেন জমি, বাস্তুচ্যুত পেয়েছেন ঘরবাড়ি, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই উপকৃত হয়েছেন। তাই দরদী ও উপকারী বন্ধু দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কক্সবাজারের প্রতিটি মানুষ জনসভায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজার আগমন ও জেলা আওয়ামীলীগের জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। এসময় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক (এমপি) জাফর আলম (এমপি),প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, হাসান জাহিদ তুষার,সহকারি প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৮ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দেশের জনগণকে কিছু দিতে পারেনি, বরং কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষ হত্যা, জুলুম ও নির্যাতন,আগুন সন্ত্রাস করেছে। জাতীয় নির্বাচন আসলে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং গুজব ছড়ায়। তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখায়। তাদের এসব ষড়যন্ত্রের রুখে দিতে আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য।
সোমবার বিকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকায় আজ দেশের মানুষের গড় আয় ও আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। দেশে এখন আর কোন কুঁড়েঘর নেই। কমপক্ষে টিনের ঘরের মধ্যে বসবাস করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ভাবেন এবং কাজ করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেরই অবস্থা তলানিতে। এমন পরিস্থিতেও আমরা অন্যদের তুলনায় ভাল আছি। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষগুলোতে কিছুটা হলেও কষ্টে আছেন। তবে এমন পরিস্থিতি থাকবে না।
দীপু মনি আরও বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচেন সফল করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
পৌর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আলী এরশ্বাদ মিয়াজী ও পৌর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল এর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভুঁইয়া, ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এবং চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
এর আগে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করেন ডা দীপু মনিসহ অন্যান্য নেতারা।
সম্মেলনের আলোচনা পর্ব শেষে চাঁদপুর সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিগত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
অনেক বছর পর সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নেতাকর্মীরা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে ব্যানার, ফ্যাস্টুন ও নানা ধরনের ক্যাপ, টি-শার্ট পড়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থানে এসে উপস্থিত হন। এতে শহরের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট।
আরও পড়ুন: প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কি না, তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী