রাজনীতি
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার দুটি আদালত।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিকে, আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার শাখার মতিঝিল থানাধীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহা আলম জানান, সময় আবেদন খারিজ করে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।৪৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলা তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের ২৪ জুন ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করতে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আতাউর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে যেকোনো মূল্যে তাদের দল রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি সারা বিশ্ব নজর রাখছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আমাদের সমাবেশের দিকে। যেকোনো মূল্যে আমাদের এই সমাবেশকে সফল করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, জনসভা সফলভাবে করতে পুলিশের গুরুতর বাধা ও গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যেও বিএনপি নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং জনগণের কাছে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে এবং গণতন্ত্র ফিরে পেতে হলে ১০ ডিসেম্বর আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও সফল সমাবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
বিএনপি’র সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
ফখরুল পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি তাদের দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগদান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের বর্তমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি পূনরায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে অতীতে যখনই দেশ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে তখন বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা এগিয়ে এসেছেন এবং অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। ‘আমরা আশা করি তারা এবারও এগিয়ে আসবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পিঠ এখন দেয়ালের বিপরীতে এবং আমরা ঘাটের একেবারে কিনারায়। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে এবং যে স্বপ্নের জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই শাসনামল দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে কারণ লুটপাট আওয়ামী লীগের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তারা দু’টি কাজে লিপ্ত হয়- জনগণের টাকা লুটপাট এবং তাদের দুঃশাসন অব্যাহত রাখতে জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ানো।’
আওয়ামী লীগের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের দুঃশাসনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এই দলটি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তারা মানুষের সঙ্গে একত্রে এগোতে পারে না। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে এবং কৌশল অবলম্বন করে তারা ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় এলে তাদের আসল রূপ উন্মোচিত হয় যা এখন স্পষ্ট।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের নয়টি বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে পুরো বাংলাদেশ এখন জেগে উঠেছে। ‘১০টির মধ্যে আমরা ইতোমধ্যে ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি এবং অনেক বাধা অতিক্রম করে জনগণ তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই কর্মসূচিগুলোকে সম্পূর্ণ সফল করেছে। তারা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সমাবেশে যোগ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ দূরভিসন্ধিমূলক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দূরভিসন্ধিমূলক।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুনসন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, মানুষ মনে করছে যে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা দরকার।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন: এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ না। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ কারণ সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করা যাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া যাবে।
ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই তো পত্রিকা লেখে যে, জনসভায় মানুষ হয়েছে তবে ভোগান্তি হয়েছে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। রবিবার যেমন আমরা চট্টগ্রামে জনসভা করেছি লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুরোটা ছিল মানুষে সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইস্তেমার মাঠ কিম্বা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ-এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারাদেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল, তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয়।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরেও দশগুণ মানুষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট: তথ্যমন্ত্রী
অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কোনক্রমেই অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে আর হুমকি দিয়ে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন হবে। নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সোমবার সকালে ঢাকায় খামারবাড়িতে কেআইবি মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। আর বাড়াবাড়ি করতে চাইলে মতিঝিল থেকে হেফাজত যেরকমভাবে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, সেরকম পরিষ্কার হয়ে যাবে। যে কোন মূল্যে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, সমাবেশে লোক সমাগম কম হওয়ার ভয়ে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরে আছে।
মাটির টেকসই ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানীদেরকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মূল সম্পদ হলো মাটি ও পানি। ছোট দেশে বেশি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য এই মাটি থেকে উৎপাদন হয়। অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটার জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবে না। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেজন্য, মাটির টেকসই ব্যবহার করতে হবে। এখানে বিজ্ঞানীরা দুর্বল ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞানীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনেও হাতেকলমে বা মাঠের শিক্ষা নিতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামের সঙ্গে মাঠের সম্পর্ক খুবই কম উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে মাঠপর্যায়ে গিয়ে শেখাতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আধুনিক ডেইরি ফার্ম নেই, পোল্ট্রি ফার্ম নেই। তারা শিখবে কোথা থাকে। অথচ অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ফার্ম আছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কীভাবে শিখাচ্ছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সব সরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। কারিকুলাম প্রণয়নে পরামর্শ দেন, কারিকুলাম আপডেট করেন।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় অর্গানিক এগ্রিকালচার করতে। কিন্তু এটা দিয়ে কি এত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব কি না? আমাদের প্রয়োজন এক বিঘায় ৩০ মণ ধান উৎপাদন করা। কিন্তু শুধু জৈব সার দিয়ে তো এত উৎপাদন হবে না।
আরও পড়ুন: পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার।
প্রবন্ধে তিনি জানান, দেশের শতকরা ৩৩ ভাগ জমি অবক্ষয়িত। টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শতকরা ৫৮ ভাগ বেশি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, ২০৫০ সালের খাদ্য চাহিদা মিটাতে হলে বর্তমানের চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে।
পরে কৃষিমন্ত্রী ‘ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান করেন।
এবছর সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এসএম ইমামুল হক, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী এমএ সাত্তার ও কৃষক গোলাম রব্বানী।
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার পেয়েছেন মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ছাব্বির হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মণ্ডল।
আরও পড়ুন: সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
সরকারের সব ধরনের দমন-পীড়ন ও ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ ডিঙিয়ে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস।
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এ নেতা এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঢাকা মহানগরের নেতাদের কেউই এখন ঘরে থাকতে পারছে না, কারণ সরকার এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা এতে ভয় পায় না।’
তিনি বলেন, দমন-পীড়ন মোকাবিলা করে তারা সমাবেশ সফল করবে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কোনও বাধা সৃষ্টি করবেন না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
সমাবেশ আয়োজনের জন্য দলের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তদারকি করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস।
তিনি আরও বলেছেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ নদীর তীর ছাড়া ঢাকার অভ্যন্তরে যে কোনও উপযুক্ত স্থানে তাদের কর্মসূচি পালনের কথা বিবেচনা করতে পারেন।
রবিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অদূরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের ওপর দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের লিফলেট বিতরণের সময় হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ইশরাকের ওপর হামলা করে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রমাণ করেছে যে বিএনপি নয়, তারা সন্ত্রাসে লিপ্ত। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন হামলা নয়, কিন্তু তারা একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে,’ বলেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীমের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা হামলা চালায় এবং নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
আব্বাস বলেন, সরকার নিজেই প্রচার করছে যে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস হবে। ‘আমি জানতে চাই কেন শাসক দল আমাদের ওপর হামলা করছে যখন আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে যাচ্ছি, যেখান থেকে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের কোনও ধরনের উসকানিতে তারা সাড়া দেবেন না কারণ কোনও বিশৃঙ্খলা ছাড়াই কর্মসূচি পালনই তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করা ছাড়া তাদের দলের অন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। ‘আমরা শুধু দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ করব তারপর আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরে যাবে।’
সকাল থেকেই পুলিশ তার শাহজাহানপুর বাড়ি ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। ‘আজ (সোমবার) আমার বাড়িতে কর্মীদের একটি সভা ছিল যেখানে আমি তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার জন্য নির্দেশ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে তা করতে দেয়া হয়নি। আমার বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশ কি সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছে যে বিএনপি নেতারা এখন বাসা ও অফিসে নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন: এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না বিএনপি: মির্জা আব্বাস
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে মানুষ ভয় পায়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় জনগণ বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ভয় পায়।
সোমবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত করে নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপির আমলে নির্বাচন প্রহসন ছিল এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরে থাকতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে ধাপে ধাপে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন।
কাদের আরও বলেন, ‘তিনি সারা দেশে ঘুরেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন।’
হোসেন সোহরাওয়ার্দীকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে।
তিনি বলেন, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না আমরা এখনো জানি না।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির মুখোমুখি অবস্থানে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ
কমিটি গঠনের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের মুখোমুখি অবস্থানে দাড়িয়েছিলেন ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা কলেজের ঠিক পাশে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে,ঢাকা কলেজ ইউনিটের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সেখানে জয়ের গাড়িবহর ঘিরে ফেলে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগে জড়িত একাধিক নেতা-কর্মী জানান, তাদের কলেজে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের কমিটি নেই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের একজন ইউএনবিকে বলেন,‘আমরা ছাত্রলীগের সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি, কিন্তু আমাদের কোনো পরিচয় নেই। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। আমরা তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিটি ঘোষণা করতে বলছি।’
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ শাখার প্রার্থী ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা সবাই জয় ভাইকে কমিটির জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগামী ৬ ডিসেম্বর বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের পর কমিটি দেয়ার সুযোগ নেই। তাই আমাদের দাবি,৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিটি দিতে হবে।
গত ছয় বছর ধরে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরেও দশগুণ মানুষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ: আ.লীগের নির্বাচনী স্লোগান প্রকাশ করলেন কাদের
রাজধানীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) কাছে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের লিফলেট বিতরণের সময় দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের ওপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ইশরাক অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছয়-সাতজন বিএনপি নেতাকর্মীকে রেখে হামলা চালায়।
বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে উঠলে প্রথমে ছাত্রলীগের লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তারা রড ও হকি স্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমার গাড়িও ভাংচুর করেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে খালেদা জিয়ার যোগদানের প্রশ্নই আসে না: বিএনপি
প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক জানান, আহত চার বিএনপি নেতাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জেএনইউ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, তারা ইশরাক ও তার অনুসারীদের ধাওয়া করেছে, কারণ এই বিএনপি নেতা লিফলেট বিতরণের সময় উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন।
ইশরাকের ‘ক্যাডার’ হামলায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদী উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয় ইশরাকের গাড়িবহর।
হামলায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও ৯ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
রাজশাহীতে বিএনপির র্যালি ‘মিডিয়া কার্ডে’ খালেদা-তারেকের ছবি ব্যবহারে সাংবাদিকদের সমালোচনা
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দশ বছর পর চট্টগ্রাম শহরে এটাই তার প্রথম জনসভা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে ও তার বক্তৃতা শুনতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কয়েক লাখ মানুষ বন্দর নগরীর সমাবেশস্থলে এসেছেন।
রেলওয়ে পলো গ্রাউন্ডে বিশাল গণসমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর ২৭ মাসেরও বেশি সময় পর ২৪ নভেম্বর যশোরে জনসভার পর এটি ঢাকার বাইরে জনসমাবেশে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় উপস্থিতি।
শেখ হাসিনার আগমন শুধু চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে আ.লীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে।
চট্টগ্রামের জনসভার মাঠে সকাল থেকেই কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এরপর জনতা আশপাশের এলাকা, রাস্তাঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে- বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা আকৃতির মঞ্চে আগমনের আগেই মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের জনসভা: বাহারি রঙের পোশাকে পলোগ্রাউন্ডে নেতাকর্মীদের ভিড়
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে স্পষ্টতই নিজেদের অবস্থান নরম করে বিএনপি বলেছে, সরকার ১০ ডিসেম্বর দলের সমাবেশের জন্য উপযুক্ত ও বিকল্প কোনো স্থান নিয়ে আসলে তারা বিবেচনা করবে।
তবে, সরকারকে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অহেতুক নৈরাজ্যকর ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ঢাকার সমাবেশ হবে সবচেয়ে সফল ও শান্তিপূর্ণ। তাই আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমাদের কর্মসূচিকে অন্য দিকে মোড় নিয়ে কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করার জন্য।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অরাজক ও সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
তিনি আবারও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ এবং সুবিধাজনক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, শনিবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে জনসভা করার বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিকল্প কোনো উপযুক্ত স্থান পাই তাহলে আমরা বিবেচনা করব, তবে সেটা সোহরাওয়াদী উদ্যান বা তুরাগ তীরে হওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ