রাজনীতি
সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণ এখন ‘আগ্নেয়গিরির’ মতো গর্জন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সমাবেশ কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা ছাড়াই (আমাদের পক্ষ থেকে) শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সরকার এতটাই কাপুরুষ যে আমাদের দলের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার আবারও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা দিতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ আপনারা (সরকার) ১৫ বছর ধরে আমাদের অনেক মামলায় জড়াচ্ছেন এবং বহু মানুষকে হত্যা করছেন। আপনারা ৬০০ মানুষকে গুম করেছেন, কিন্তু আপনারা আমাদের থামাতে পারেননি। জনগণ এখন আবার সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মতো ফুঁসে উঠছে এবং এটি সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বিস্ফোরিত হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
বুধবার মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
জননেতা' ভাসানী (দুঃখীদের নেতা) নামে পরিচিত। যিনি ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মারা যান।
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, বিএনপির বর্তমান আন্দোলন সফল হবে এবং তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, নতুন আশার আলোয় সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় তাদের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। ‘তারা আমাদের সমাবেশে লুঙ্গি পরে, ব্যাগ বহন করে এবং চিড়া, মুড়ি এবং গুড় নিয়ে তিন দিন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে এবং এভাবে আমাদের সমাবেশ সফল করে। এটা নজিরবিহীন।’
বিএনপি নেতা বলেন, আন্দোলনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারলে এবং গণমানুষের বর্তমান চেতনা ধরে রাখতে পারলে তাদের দল দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিতে অবশ্যই সফল হবে।
তিনি বলেন, ‘কে কী বলছে এবং কোথায় বলছে সেদিকে আমাদের খুব বেশি মনোযোগ দেয়ার দরকার নেই। আমরা তাদের বলতে দিই যে কে কোন গেম খেলার কথা বলছে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অটল থাকব।এবার বিজয় আমাদের, জিততেই হবে। কারণ এর বিকল্প নেই আমাদের।’
ফখরুল মাওলানা ভাসানীকে একজন বিরল রাজনীতিবিদ আখ্যায়িত করে তার আদর্শ অনুসরণ করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। ‘আমরা একটি কঠিন লড়াইয়ে ছিলাম, এবং যদি আমরা সফল হতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই তাকে মনে রাখতে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, রাজনীতি এখন পাল্টে গেছে এবং জাতি খুব খারাপ সময় পার করছে।‘এই দুঃসময়ে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করে তাকে অনুসরণ করে এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। তিনি (ভাসানী) নিজের জন্য কিছুই চাননি। তার দল ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে, কিন্তু মওলানা ভাসানী কোনও মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নেননি। এই হলো মাওলানা ভাসানী।
ফখরুল বলেন, মওলানা ভাসানী কখনও ক্ষমতার সঙ্গে আপস করেননি এবং তিনি সব সময় মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। ‘যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করছেন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেষ্টা করছেন, তাদের (ভাসানী) থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার যে আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে কখনই আপস করা উচিত নয়। কোনও আপস ছাড়াই সর্বশক্তি নিয়ে আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে আর খেলা নয়: ফরিদপুরের জনসভায় ফখরুল
বিএনপি নয়, আ.লীগ ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী: ফখরুল
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে রাজধানীর প্রধান সড়ক বন্ধ করে বিএনপি কেন জনভোগান্তি করতে চায় তা বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করে জনগণের দুর্ভোগ ঘটানো অনুচিত। কোনো রাজনৈতিক দলেরই উচিত নয়। সেজন্য আমাদের নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সে জন্য বন্ধের দিনে এবং খোলা মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে, নয়া পল্টনের প্রধান সড়কের ওপর বিএনপি সমাবেশ করতে চায়। সেটি ঢাকা শহরের প্রধান সড়ক। এর ওপর সমাবেশ করলে তো জনগণের ভোগান্তি হবেই। ঢাকা শহরে তো অনেক মাঠ আছে, সোহরাওয়ার্দী মাঠ, পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ, আরও নানা মাঠ আছে।
তিনি বলেন, মাঠ বাদ দিয়ে তারা কেন ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশ করতে চায় সেটি আমার বোধগম্য নয়। এতে ভাংচুর করতে সুবিধা হয়, সেই উদ্দেশ্যে করেছে কি না আমি জানিনা।’
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটি দল। বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিকভাবে এবং হত্যার মাধ্যমে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। অনেকের ফাঁসি কার্যকর করার পর বিচারের রায় হয়েছে, ‘দিজ আর ডকুমেন্টেড’ এবং আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
এছাড়া তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনিও কম যাননি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আমাদের সভা সমাবেশে হামলা-এগুলো বেগম জিয়ার আমলেই হয়েছে। তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিধায় সেদিন তারা সমাবেশের তারিখ ঠিক করেছে কি না, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি’র বাংলাদেশে আসা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এবং আগামী কাতার বিশ্বকাপে ‘থিম সং’ এ পারফর্ম করবেন, এর আগে বিশ্বকাপ আসরগুলোতে যেমন শাকিরাসহ বিশ্ববরেণ্য তারকারা করেছেন।
নোরা ফাতেহিকে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি করতে চায়। সেটির জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি। এই ক্ষেত্রে ট্যাক্স আদায় বা ভ্যাট আদায় এগুলোর জন্য এনবিআর অবশ্যই তাদেরকে নোটিশ দিতে পারে।
এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন (ট্যুরিজম অভ্ বাংলাদেশ)’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক মোহাম্মদ আলী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সচিবের অবসর: কারণ জানেন না তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ, সদস্য সচিব কাদের গণি
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭ম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
বুধবার এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে এই তথ্য জানান।
বিএনপির সহসভাপতি ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এই প্ল্যাটফর্মের আগের কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন।
কমিটি গঠনের আগে গত ১৮ ও ২৭ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় বিএনপির কমিটি ঘোষণা
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
৪ জেলায় বিএনপির কমিটি ঘোষণা
দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে ঢাকা, ভোলা, বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ঢাকা জেলা শাখায় খন্দকার আবু আশফাককে সভাপতি ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে খন্দকার শাহ মইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শামসুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এরফান ইবনে আমান অমিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অমি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
এদিকে, গোলাম নবী আলমগীরকে আহ্বায়ক, শফিউর রহমান কিরণকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাইসুল আলমকে সদস্য সচিব করে ভোলা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।আবুল হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল কালাম শাহীনকে সদস্য সচিব করে বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা গঠন করেছে দলটি।এছাড়া মামুন মাহমুদকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, খন্দকার মাশুকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশাররফ হোসেন ও জুয়েল আহমেদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে বহনকারী একটি গাড়িবহর মঙ্গলবার হামলার শিকার হয়। সেসময় ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পক্ষে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
তবে এ ঘটনায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ, ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমদ।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদির লুনা বিকালে জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালবাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের একটি দল এ হামলা চালায় বলে স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিসবাহও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা।
হামলার পরপরই বিএনপির এই নেতার গাড়িবহর তাকে নিয়ে তাজপুর বাজারের উদ্দেশে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এখানেই তিনি আসন্ন সমাবেশের জন্য লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
সেখান থেকে তিনি দয়ামীর বাজারে যান এবং সেখানেই পুলিশ তার সঙ্গে প্রচারণা চালাতে থাকা তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন যে হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় এবং বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন নিশ্চিত করেন যে তারা গাড়িবহর হামলার সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর বিএনপির কার্যালয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও কার্যালয়ের মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে স্থানীয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাত ৯টার দিকে কার্যালয়ের ভেতরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করার সময় অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন।’
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান যে তারা এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের লোন নিলে আরও ভারী হবে ঋণের বোঝা: বিএনপি
বিএনপি নয়, আ.লীগ ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী: ফখরুল
সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও এর অধীনে আগামী নির্বাচন করার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংলাপ শুরু হয়।
এরআগে চলতি বছরের ৮ আগস্ট ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের লক্ষ্যে সাতটি বিরোধী দলের নতুন প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠিত হয়।
জোটটির শরীক দলগুলো হচ্ছে- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গণতন্ত্র মঞ্চ গঠনের পর এটাই বিএনপির সঙ্গে তাদের প্রথম বৈঠক।
আরও পড়ুন: শিগগিরই সরকারবিরোধী ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে: ফখরুল
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপির দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের অংশ হিসেবে ফখরুল বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বসেন।
পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনের দাবিগুলো চূড়ান্ত করতে এ বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে বিএনপি ২৩ টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্র মঞ্চ' রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আরমান নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আয়োজিত দলীয় সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাদের বলেন, ‘তিনি (আরমান) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের ২৯তম সভায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল এবং সোমবার অনুষ্ঠান চলাকালে সম্মেলনের মঞ্চে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহত অবস্থায় আরমানকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ডা. লিলি নিকোলস বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এসময় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
সোমবার দুপুর দেড়টায় নিকোলস বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে 'রুদ্ধদ্বার' বৈঠক করেন তিনি।বৈঠক শেষ হয় বেলা ৩টা ১০ মিনিটে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠক ও আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।
‘আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে মানবাধিকার, আমাদের নির্বাচন, আইনের শাসন এবং জনজীবনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে আর খেলা নয়: ফরিদপুরের জনসভায় ফখরুল
খসরু বলেন, কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জনজীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসন এবং সুশাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। ‘কানাডা এবং অন্যান্য কিছু দেশ সবসময় এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়।’
তিনি বলেন, কানাডা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারকে দ্বিপাক্ষিকভাবে বলে আসছে যে এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ, গণতান্ত্রিক দেশ, বহুপাক্ষিক সংস্থা এবং সারা বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতো কানাডাও অনেক বিষয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয়।
পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কানাডা কী বলেছে জানতে চাইলে খসরু বলেন, তারা ভেতরে কী আলোচনা করেছেন তা তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন না। ‘আমরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আমরা কী আলোচনা করেছি তা বিশদভাবে বলার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির পরবর্তী নির্বাচনে যাওয়ার কোনও কারণ নেই এবং বিএনপি এই অবস্থানে কঠোর।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। ‘আওয়ামী লীগ, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যরা পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে কি বলবে তা নিয়ে আমরা কম চিন্তিত।’
খসরু বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডা দীর্ঘদিন ধরে বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কানাডায় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। কারণ ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে দেশটি বেশিরভাগ পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে কানাডায় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছিল।’
এ ছাড়া বিএনপির নেতা বলেন, গম, ডালসহ অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য আমদানির জন্য কানাডা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। ‘কানাডা এখন আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।’
কানাডায় অনেক বাংলাদেশি বসবাস করছে এবং তারা সে দেশের অর্থনীতি ও সমাজে অবদান রাখছে।’
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব না করেই আগামী সাধারণ নির্বাচনে সকল প্রতিযোগীদের জন্য সমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে সর্বাত্মক কাজ করবে।
রবিবার ইসি ভবনে কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি সব দলের রেফারি হব।’
আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগ: মাহবুব তালুকদার
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা ইসির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখব এবং কীভাবে তা করা যায় সেদিকে আরও মনোযোগ দেব। সবাই যদি তা না পায়, তাহলে ভোটের পরিবেশ থাকবে না। শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের এই প্রচেষ্টা থাকবে।’
তিনি জানান, তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনে আনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফল হব কি না জানি না। তবে শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের এই প্রচেষ্টা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দলকে মাঠে নামতে হবে।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘মাঠে না থাকলে খেলা হবে না। মাঠে না এলে কেউ বলতে পারবে না পরিবেশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না সেটা হবে। এখনও ১৩ মাস বাকি। রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে দেশ ও বিশ্বে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুর বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না বলে তিনি মনে করেন না।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার