রাজনীতি
খেলা হবে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। এই মাসে খেলা হবে, বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। টাঙ্গাইল তৈরি। খেলা হবে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, বিএনপি ১৩ বছরে ১৩ মিনিট আন্দোলন করতে পারে নাই। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি নেতারা একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে নাই। তারা এখন সরকার পতনের আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি বিজয় মিছিল করবে। তারা এখন ‘খোমেনি স্টাইলে’ ক্ষমতায় আসতে চায়। আমরা যদি ডাক দেই তাহলে বিএনপি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
গতকাল সোমবার বিকালে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ সাত বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সর্বশেষ বিগত ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন, এই খুনীদের বিচারের পথ বন্ধ করতে আইন করেছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন, যারা এই খুনীদের বিচার বন্ধে আইন করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্ষমা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে তাদের ক্ষমা নাই। এদের ক্ষমা করা যায় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশালে নাকি মানুষের ঢল নেমেছিল। দুবাইয়ের টাকা আকাশে উড়ে। বিএনপি সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে উষ্কে দিচ্ছে। এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। সাধারণ মানুষের প্রতি বিএনপির কোন দরদ নেই। এদের দরকার ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। তাই জনগণকে সরকার পতনের আন্দোলনে উষ্কানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুনলাম বিএনপি তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে আন্দোলন করছে। আসলে তারা তারেক রহমানের হারানো হাওয়া ভবন ফিরে পেতে আন্দোলন করতে চাইছে। এই তারেক রহমানের অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় আমরা ঘরে থাকতে পারি নাই। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারে নাই। আর আপনারা এখন এসিতে বসে থাকেন। অপেক্ষা করুন, আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তা দেশের জনগণ আপনাদের বুঝিয়ে দেবে। এরপর বাঁশের লাঠিতে পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামলে খবর আছে।
নতুন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কমিটি নিয়ে কোন বাণিজ্য হবে না। কোন পকেট কমিটি হবে না। কর্মীরা যাকে চায় তিনিই নেতা হবেন। দুঃসময়ে যাদের হাজার পাওয়ারের লাইট দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না তাকে নেতা বানানো হবে না।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য, শাহজাহান খান এমপি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি।
মির্জা আজম তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন এই বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মারা যেত। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ আজ সুখে আছে, শান্তিতে আছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি’র পলাতক নেতা তারেক রহমান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ ডায়লগ দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ আর পেছনে ফিরে যেতে চায় না। তাই দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না। বিজয়ের মাস আমাদের মাস। এই মাসে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অপশক্তি মোকাবেলা করব।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এছাড়া দলের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক মঞ্চেই দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের নাম ঘোষণা করেন। উপস্থিত কাউন্সিলররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা সমর্থন করেন। ফারুক ও জোয়াহের দুজনেই দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দানবীয় শাসনের পতন ঘটাতে জনগণ মরিয়া হয়ে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিভাগীয় সমাবেশ দেখে আমার মনে হয়েছে জনগণ আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে বরিশালে যখন প্রতিটি যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল, তখন মানুষ সাঁতার কেটে নদী পার হয়ে সমাবেশে যোগ দিতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে মানুষ পরিবর্তন চায়।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে আন্দোলন দমনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, নগরী থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে র্যাব আটক করেছে এবং বরিশালে বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ ১১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া ভোলার বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, বিএনপি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যদি আমরা এই ভয়ঙ্কর দানবকে উৎখাত করতে এবং জনগণের সরকার গঠন করতে চাই তবে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এর জন্য জোট গঠনের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে নাকি নির্বাচনকালীন সরকার হবে তা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
আন্দোলনের পর নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই আসুক সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।
এরপর রবিবার তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত আরেকটি সমাবেশে বক্তব্য দেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
সারাদেশে বিভাগীয় শহরে বিএনপির গণসমাবেশ সমাবেশের অংশ নিসেবে আগামী ২০ নভেম্বর সিলেটে গণসমাবেশের নির্ধারিত তারিখ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর করা হয়েছে। নগরের আলীয়া মাদরাসা মাঠে ২০ নভেম্বর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করেছে দলটি।
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বিষয়টি জানিয়েছেন। মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণসমাবেশে লিফলেট বিতরণকালে হামলা, আহত ৫
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার কারণে রবিবার থেকে আলীয়া মাদরাসা এলাকায় সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
পুলিশের এই বিজ্ঞপ্তির পর সমাবেশের স্থান নিয়ে শংকা দেখা দেয়। এরমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হলো। ১৯ নভেম্বর শনিবার এইচএসসির কোন পরীক্ষা নেই।
রবিবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগের মত সকল বাধা উপেক্ষা করে সিলেটের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, ২০ নভেম্বর সমাবেশ হবার কথা থাকলেও পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে ভেবে তারিখ পরিবর্তন করে ১৯ নভেম্বর শনিবার এটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সারাদেশের ন্যায় সিলেটে নগরীর সরকারী আলিয়া মাদরাসা মাঠে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতির জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অবহিতকরণ চিঠিও দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, আজ থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আলিয়া মাদরাসায় পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। তাই পরীক্ষর্থীদের কথা বিবেচনা করে সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সারা দেশের সাথে সিলেটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে রাজনৈতিক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। সিলেটবাসী সব সময় সহনশীল। তার পরও আমাদের দলের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় সমাবেশকে ঘীরে সিলেটেও গণপরিবহন ধর্মঘট হলে বিএনপির করণীয় কি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সিলেটের পরিবহন শ্রমিক ভাইয়েরা এমনটি করবেন না। কারন আমাদের সমাবেশের দাবী শুধু বিএনপির নয়, এই দাবী সকলের। তাই আমরা আশা করছি পরিবহন শ্রমিকরা জনতার দাবীর প্রতি একাত্মতা পোষণ করবেন।
সমাবেশ সফল করতে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ দেশের কল্যাণে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান বিএনপি নেতারা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছিম হোসেইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজজামান সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে র্যালি ও গণসমাবেশ
বরিশালে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে শনিবার বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ীর কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগে ইশরাককে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, পেনাল কোড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালের পথে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা
মাহিলাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহীদ সরদার বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে বাজারের সামনে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকে প্রায় ৭০টি গাড়ির এক গাড়িবহর।
এরপর ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে থাকা বিএনপি কর্মীরা বাজারে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং ভাঙচুরের পর সাতটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাশ কবিরাজ ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সঙ্গীত শিকদারসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
ওই দিন সকালে ইশরাক হোসেন দাবি করেন, বরিশালে দলের বিভাগীয় সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে হামলায় নয়জন আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখার নেতা ইশরাকও অক্ষত ছিলেন এবং সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। হামলার সময় বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়।
ইশরাক জানান, সকালে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়।
হামলায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক ও মামুন ভূঁইয়াসহ বিএনপির নয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশস্থলের পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পাহারায় আনসার সদস্য মোতায়েন
বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে ড্রামে করে নদী পার!
বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সব বাধা-বিপত্তির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে দেশ ও দলকে এই মানুষগুলো কতটা ভালোবাসে।
শনিবার বরিশালে অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলের বিভাগীয় জন সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশস্থলের পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পাহারায় আনসার সদস্য মোতায়েন
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বরিশাল আসার পর কারোর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারিনি। ইন্টারনেট পরিষেবার অনুপস্থিতির কারণে আমাদের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার ব্যাহত হয়েছে। অথচ পুরো বরিশাল হয়ে উঠেছিল মিটিং-মিছিলের নগরী। সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে আমাদের সমাবেশ সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন, সব কিছু আটকে দিয়ে সরকারের লাভ কী?
তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরে না গেলে বর্তমান সরকার দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে। ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন আমরা কখনোই মেনে নেব না।
‘আমরা কাউকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন করতে দেব না। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং ব্যালট পেপারের মাধ্যমে হতে হবে, অন্য উপায়ে নয়,’ এই বিএনপি নেতা আরও যোগ করেন।
আরও পড়ুন: গৌরনদীতে বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে ফের হামলার অভিযোগ
বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে ড্রামে করে নদী পার!
আ. লীগ আবারও ভোট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেমন করেছিল, আবারও সেভাবে ভোট ছিনতাই করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তাদের অবস্থান পরিষ্কার যে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না; তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ‘তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।’
শনিবার বরিশাল পৌর এলাকার বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে জনতার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘তারা দেখানোর চেষ্টা করছে যে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিরপেক্ষ, যিনি বলছেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছি।’
তিনি বলেন, সরকার বারবার বলে আসছে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সর্বত্র উন্নয়ন হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন শুধু চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান বা কোনো নেতাকে বাঁচানোর জন্য নয়; বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্যও।
তিনি দলীয় কর্মী ও নেতাদের কৃতিত্ব স্বীকার ও প্রশংসা করেন, যারা বৃহস্পতিবার থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধের মধ্যেও সকল বাধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বরিশাল নগরীতে বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশ শুরু হয়। ভিড় ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের রাস্তায়।
শনিবারের সমাবেশটি বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে খুলনা ও রংপুরে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
৭ দিনের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত একটি কমিটির প্রাথমিক তদন্ত আংশিক ছিল এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য তাদের পূর্ণ তদন্ত প্রয়োজন।
শনিবার সকালে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আউয়াল বলেন, ইসি মাত্র ৫১টি বন্ধ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছে, গাইবান্ধা-৫ এ বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘তারা সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তারপর সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কমিটির নেতৃত্বে থাকা ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। এটি গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা তিন মাস বা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত মুলতুবি থাকা অবস্থায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না থাকলেও ইসি বলেছে যে একটি আসন শূন্য হওয়ার পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুসরণ করার সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫-এর সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে নেয়া হবে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনের স্থগিত নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সিইসি
কুমিল্লা মহানগর আ. লীগের সভাপতি বাহার ও সা.সম্পাদক রিফাত
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ও বর্তমান মেয়র আরফানুল হক রিফাতের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের অপর প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জর হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।এছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের আরও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে নগরীর সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।নগরীর প্রধান সড়কগুলো ছেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসম্বলিত ফেস্টুন-ব্যানারে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০১৭ সালের ২২ জুলাই কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
গৌরনদীতে বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে ফের হামলার অভিযোগ
বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার পরে একই স্থানে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িবহরে হামলা ও বাধার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে গাড়িবহরে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা সবাই বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যাচ্ছিলেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারের কাছে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িতে ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি। এ হামলা ও বাধার সময় ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজুসহ নেতারা তাদের পেশাগত পরিচয়পত্র দেখানোর পরও দুর্বৃত্তরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের মারতে উদ্ধত হন। এক পর্যায়ে তারা গাড়িবহর ঘুরিয়ে দেন।
এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স পেন-এর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামীম রাব্বি সঞ্চয়কে বহনকারী গাড়িতেও হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতা, রওনক জাহান শাহীন, কোহিনূর ফারজানা আরজুর বহনকারী গাড়িতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গাড়িতে থাকা তিনজনই আহত হন। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করেন হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে কোনো রকমে গাড়ি ঢাকা অভিমুখে ঘুরিয়ে প্রাণে বেঁচে যান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এ তিন নেত্রী।
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বরিশাল নগরীতে বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। শনিবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশ শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে যোগ দেবেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সমাবেশস্থল থেকে দেড় কিলেমিটার রাস্তা জুড়ে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
আরও পড়ুন: বরিশালের পথে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা