রাজনীতি
ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জ্যৈষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন যে নির্বাচনী এলাকার নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলার ১২৩টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলছে।
মোট তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৭২ জন ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উপনির্বাচনের আগে ভোট কেন্দ্রগুলোতে এক হাজার ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ফরিদপুর-২ আসনটি শূন্য হয়।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আকবর চৌধুরী লাবু ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বকুল মিয়া।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর
নির্বাচন কমিশনে নতুন সচিবের যোগদান
আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে নেয়া হবে: সিইসি
বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার (৫ নভেম্বর)। সমাবেশকে ঘিরে দুইদিন আগেই আসা নেতাকর্মীরা পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক) মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের প্রায় প্রতিটি স্থানেই দেখা গেছে চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে তার পাশে প্যান্ডেলে বসেই খাওয়া সারছেন। পুরো মাঠ ঘুরেই দেখা গেছে জায়গায় জায়গায় চলছে খিচুড়ির আয়োজন।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা সঙ্গে করে রান্নার সরঞ্জাম ও বাবুর্চি নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে অনেকে।
আবার কেউ কেউ বেইরে থেকে অর্ডার দিয়ে খাবার তৈরি করে এনেছেন।
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, আমাদের উপজেলা থেকে ৫শ' নেতাকর্মী এসেছি। তাদের সবার জন্যই দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুই দিনের রান্না করার সকল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি।
ছাত্রদলের ইন্ধনেই বিচারপতি মানিকের ওপরে হামলা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছাত্রদলের ইন্ধনেই বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের ওপরে হামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রদলের চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে জাতীয় সংসদে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বিএনপির অংশ না নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক একজন উদারমনের মানুষ, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্তমত চর্চা করেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর তিনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে, সেটি সত্য। এই আন্দোলনের আড়ালে তারা দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট এই ধরনের আরও হামলা করার পরিকল্পনা করেছে।’
আরও পড়ুন: রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন কাঁটাতারের বেড়া মানে না: তথ্যমন্ত্রী
হুমকি দিয়ে গণআন্দোলন বন্ধ করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো হবে’- বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন,‘দেশ যখন চরম অব্যবস্থাপনা, চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এমন হুমকি দিচ্ছেন। তিনি যদি মনে করেন এটা গণতন্ত্রের আন্দোলনকে ব্যাহত বা দমন করবে, তাহলে তিনি ঠিক ভাবছেন না।’
তিনি বলেন, জনগণের এই আন্দোলনকে কেউ দমাতে পারবে না। মানুষ তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের হুমকি এই আন্দোলনের কিছুই করতে পারবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং তারা গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অবস্থায় এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
সরকার সীমা লঙ্ঘন করছে
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই তাদের সীমা লঙ্ঘন করছে। ‘তারা আজকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং তারা তাদের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আমাদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, যা কিনা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।’
ফখরুল বলেন, ‘আপনারা কি কোনও সভ্য দেশে দেখেছেন যে সরকার ধর্মঘট করে?’ বরিশালে আমাদের সমাবেশের পাঁচ দিন আগে থেকেই পরিবহন চলাচল বন্ধ করেছে।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পটুয়াখালী থেকে বরিশাল পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ‘আপনি এটিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভুয়া নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'জনগণ এখন জেগে উঠেছে, জনগণ এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড হতে দেবে না। তারা যেকোনও মূল্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।’
ফখরুল বলেন, জনগণ আসলে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে তাদের সরকার ও সংসদ গঠন করবে। এর জন্য আমরা প্রথম শর্ত দিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে তার সরকারের সঙ্গে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণকে ভয় পায়। জনগণ জেগে উঠলে গণআন্দোলন হবে। আমি বিশ্বাস করি, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগ) সরে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
রেমিটেন্স পাচারের অভিযোগ
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্পূর্ণ তাদের (আ.লীগ) দুর্নীতির ফল।
‘আজও পত্রিকায় বেরিয়েছে, গত ১০ বছরে যারা কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন তাদের এক-তৃতীয়াংশই বাংলাদেশি। রেমিটেন্সের পতনের মতো আপনি এর প্রমাণ পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, রেমিটেন্স কমছে কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা আবার বেড়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘তাহলে রেমিটেন্স কোথায় যাচ্ছে? এর আগে একদিন আমি বলেছিলাম,এসব রেমিটেন্স দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই পাচার করছে। এ কারণে দেশে সংকট তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ হবে ঢাকায়
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ বিভাগীয় সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছি প্রতিটি বিভাগে সমাবেশ করব। এরপর তারা কী করবে, কী করবে না তার দায় সরকারের ওপর।’
ফখরুল বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে কোনও মূল্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি তার চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা,ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের দ্বারা তাদের দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
কোনও রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে বিএনপি। সরকার এ দাবিকে অসাংবিধানিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে চারটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর শনিবার বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৫ম সমাবেশ হবে বরিশালে।
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকাল ৪টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জেল হত্যা দিবস’কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস পালন করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় সেদিন খুন হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়, তখন একটি উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের একটি সিরিজ সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কাদের।
নিহত নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপদস্থদের সামলাতে হবে।
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোরে সারাদেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনটি শুরু করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলীয় নেতারা।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ-মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও রাজশাহীতে এএইচএম কামরুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় যেখানে দিবসটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, ফাতেহা পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর) নিয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ৪ ও ৫ নভেম্বর এ কর্মসূচি পালিত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে উপমহাদেশে এটিই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি।
বুধবার (২ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটি ৪ ও ৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন'।
আবদুস সবুর বলেন, 'পরিবর্তনশীল বিশ্বে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের প্রায় সব দলীয় কার্যক্রম ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালনা করছি। শুধু তা-ই নয়, তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা তৈরির মাধ্যমে মেধাবী তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দেশ ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছে।'
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, 'কনফারেন্স থেকে যে সকল সুপারিশমালা আসবে সেগুলো দলের দপ্তরে এবং সরকাররের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেয়া হবে। যেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বির্নিমাণে কার্যকর পদক্ষেপ রাখতে পারে।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দলটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. হোসেন মনসুর, উপকমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স উপলক্ষে গঠিত ১১টি উপকমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশি-বিদেশি ৬৬২ টি গবেষণাপত্র থেকে বাছাইকৃত প্রায় ২৫০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ফোরআইআরকে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে দ্রুত অগ্রসরমান বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে রোল মডেল হয়ে থাকবে। এই সম্মেলনে ফোরআইআর প্রযুক্তি ব্যবহারে সরকারের উদ্ভাবনী কর্মসূচি বাস্তবায়নে ও সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পেশাদার বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ,গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত এবং চিন্তাভাবনা বিনিময় করতে পারবেন। যা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ ও শতবর্ষী ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও পথ দেখাবে। এছাড়াও বর্তমান অবস্থান থেকে ভবিষ্যৎ স্বপ্নপূরণের পথ অনুসন্ধানে দেশি-বিদেশি প্রতিভাবানদের দলগত ব্রেইন-স্টর্মিং সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সবুর বলেন, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব আমরা ধরতে পারিনি। কিন্তু আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারি সে লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন স্থানে হাউটেক পার্ক স্থাপন করছে সরকার। উদ্যোক্তাদের সহায়তায় দেশে অনেকগুলো এক্সেলারেটর ও ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করেছে। এডভান্সড টেকনোলজিতে দেশের মেধাবী তরুনদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে গবেষকদের উৎসাহ ও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বুয়েট পোস্ট গ্রাজুয়েশন রিসার্চের জন্য বৃত্তি চালু করেছে। পিএইচডি প্রোগ্রামের গবেষকদের প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা করে,মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৩০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দিচ্ছে বুয়েট।
এছাড়াও টিচিং এসিস্ট্যান্ট ও রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রজেক্টে গবেষণার সুযোগ করে দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব
দুই দিনব্যাপী আয়োজনে যা থাকছে:
৪ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
প্রথমদিন বেলা সোয়া ১১ টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে কনফারেন্সের প্রথম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেলা ১২ টায় দ্বিতীয় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন থাইল্যান্ডের এআইটি'র বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. জয়শ্রী রায়।
দুপুর আড়াইটায় থেকে বিকাল ৫টায় পর্যন্ত আইইবিতে মোট ৯টি ভেন্যুতে আলাদা আলাদা টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দিন আইইবি'র কাউন্সিল রুমে সকাল ১০টায় তৃতীয় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
সকাল ১১ টা ২০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা আইইবিতে মোট ৯টি ভেন্যুতে আলাদা আলাদা টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে চতুর্থ এবং শেষ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আইইইই'র ইতিহাসের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট ড. সাইফুর রহমান।
বিকাল ৩ টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী মোট ৯টি ভেন্যুতে আলাদা আলাদা টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটির সমাপনী অনুষ্ঠান ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পরিকল্পনামন্ত্রী
তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভাস ও সংস্কৃতি। দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া, সরকার হস্তক্ষেপ করেনি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে গোটা দেশ গ্রাস করবে: কাদের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করার একদিন পর বুধবার ঢাকার সেতু ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে সরকার বিরোধীদলকে দমন করার জন্য ‘মিথ্যা’ মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং দেশে বিরাজনীতিকরণের ক্ষেত্র তৈরি করছে।
কাদের বলেন, এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করায় ক্ষমতাসীন দলের অনেকের বিরুদ্ধে দুদক মামলাও করছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
জিয়া পরিবার নিয়ে সরকার ‘নার্ভাস’ বলে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, জিয়া পরিবারের দুঃশাসন ও দুর্নীতির ইতিহাস সবার জানা।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট ও অপকর্মের দায়ে বিএনপির এক নেতা এখন নির্বাসিত। দেশে ফেরার সাহস তার নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না কিন্তু বিএনপি এই ধারার প্রবর্তক। ১৫ আগস্টের গণহত্যা ও গ্রেনেড হামলাকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সমাবেশের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় নি আ.লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলকে দমন ও দেশে রাজনৈতিককরণের ক্ষেত্র তৈরি করতে সরকার ‘মিথ্যা’ মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের বাংলাদেশ ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার প্রয়াস হিসেবে এই মামলা করেছে।’
তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পরোয়ানা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার সহধর্মীনি যিনি রাজনীতির সঙ্গে একেবারে জড়িত নন, তিনি একজন পেশাজীবী মেধাবী চিকিৎসক। শুধু এই পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা নিয়ে আসা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুবাইদা একজন অরাজনৈতিক পেশাজীবী হলেও, জিয়া পরিবারকে সরকার ভয় পাওয়ায় তার (জুবাইদা) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ড, আইন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ দলের সঙ্গে থাকায় বিএনপিকে দুর্বল করার সব প্রচেষ্টাই বৃথা যাবে। এত নির্যাতনের পরও বিএনপি ফিনিক্সের মতো জেগে উঠেছে। জনগণের দল হওয়ায় বিএনপির উত্থান ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।
জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য কোন খাদ্য মজুদ নেই
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘আমাদের বৈঠকে মনে হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে যে সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, গত চার মাসে খাদ্যশস্য আমদানি প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের নজিরবিহীন দুর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। একইসঙ্গে দুর্নীতি, বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং ডলারের ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’
রিজার্ভ থেকে অনৈতিকভাবে ডলার প্রত্যাহার এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর ৭/৮ বিলিয়ন ডলার পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
সারাদেশে সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি ও সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া এবং বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ কোন বিপদে নেই, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নিয়েই দেশের মানুষ বিপদে আছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, জনগণ মনে করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়। বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ঘোচানোর জন্য কখন কী ঘটিয়ে বসে তা নিয়ে জনগণ দুশ্চিন্তায় আছে।
তিনি বলেন, দেশ নাকি গভীর সংকটে আছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সংকটে দেশ নয়,গভীর সংকটে আছে বিএনপি, সংকটে তাদের পরাশ্রয়ী রাজনীতি।
বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের হুমকি দেয় কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে সেটাই তারা জানে না-এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুজনেই দণ্ডপ্রাপ্ত। একজন ইয়াতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় দণ্ডপ্রাপ্ত।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতায় ঘরে বসে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আর একজন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মত বিদেশে পালিয়েছে এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজে বিলাসী জীবন-যাপন করছেন, আর নেতাকর্মীদের চাঙা করতে দূর থেকে শব্দ বোমা ছুঁড়ছে আর স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের।
দেশের জনগণ আর পিছনে ফিরে যেতে চায় না, বিএনপি তাদের দুর্নীতির বরপুত্র,হাওয়া ভবনের স্রস্টা, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের কোনও সংকট নেই, সংকট বিএনপির মনস্তত্ত্বে।
বিএনপি সবসময় তাদের বক্তব্যে কৃত্রিম সংকটের গন্ধ পায়। তারা স্বাধীনতা গেল বলে হা-হুতাশের রাজনীতি করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপিকে এই সংকট থেকে উত্তরণে অপরাজনীতির কৌশল পরিহার করতে হবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে বিএনপি সঠিক পথে ফিরে আসলেই তা হবে দেশের রাজনীতির জন্য সহায়ক।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের