রাজনীতি
আবার স্বাধীনতাবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আবার একটি দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপর্যস্ত-বিপন্ন বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল তখন আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
এছাড়া একবার আল জাজিরা কাহিনী শুরু করা হয়েছিল। এখন আবার আয়না ঘর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে যাদের গণ্য করা হয় সে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা না থাকলে সমৃদ্ধ, আধুনিক ও মুক্তিযুদ্ধের এ বাংলাদেশ থাকবে না, যোগ করেন শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাংগঠনিকভাবে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সে ভূমিকা আমরা রাখতে পারিনি। শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারত না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দাম্ভিকতা চূর্ণ হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না, লাল-সবুজের পতাকাকে শ্রদ্ধা জানানো হতো না, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনা হতো না। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে বাংলাদেশ নাম থাকলেও এ দেশ পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে কট্টর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হওয়ার শঙ্কা ছিল।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি। এটি ছিল পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা জানার পর যারা প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অথবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি যারা ছিল, হত্যার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও ঘটনায় তারা যে যুক্ত ছিল, সেটা আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে খণ্ডিত বিচার হয়েছে, এ খণ্ডিত বিচার থেকে আত্মতুষ্টির কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান 'গো অ্যাহেড' বলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র নয় দিনের মাথায় তিনি হয়ে সেনা প্রধান হয়েছিলেন। তিনি যে নাটের গুরু, তিনি যে মাস্টারমাইন্ড, তিনি যে ষড়যন্ত্রকারী সে সময় সেটা আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে গঠিত আন্তর্জাতিক কমিশনকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি জিয়া। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন করেছে জিয়াউর রহমান। বাঙালি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসনে এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করে দেয়ায় সবচেয়ে বড় কাজ করেছে জিয়াউর রহমান। তাকে সহায়তা করেছিল দেশি-বিদেশি চক্র।
খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক সাজু রহমানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাহুল রাহা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, বৃহত্তর খুলনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ প্রমুখ। খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ তুলে ধরতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
হাজারীবাগ বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর হাজারীবাগে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বটতলার ওই বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এক ঘন্টা ১৫ মিনিটের চেষ্টায় ৭.৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সোয়া এক ঘন্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান শাহজাহান।
আরও পড়ুন:পল্টনে ইলেকট্রনিক্স গুদামে আগুন
মাতুয়াইলে প্যাকেজিং কারখানায় আগুন
কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বুধবার সকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আব্দুর রহিম জানান, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এসময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে নাঙ্গলকোট সদরের লোটাস চত্বরের কাছে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ করতে জড়ো হন। একই সময় নাঙ্গলকোটের রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেশকিছু মেডিকেল পরীক্ষা শেষে আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন।
বিএনপি মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সব পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে।
শায়রুল জানান, বিকাল ৫টার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, রবিবার রাতে খালেদা জিয়াকে আরও কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।
পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় বুধবার একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একই স্থানে সমাবেশের ডাক দেয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আদেশ জারি করা হয়।
বুধবার জুরাছড়ি উপজেলায় প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা কঠোর অবস্থানে থেকে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এই ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র কুমার নাথ জানান, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুরাছড়ি উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বুধবার সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
এদিকে একইদিনে একইস্থানে ক্ষমতাসীন দল উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করবে বলে জানা গেছে। তাই একই সময়ে দেশের দুটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে উপজেলার স্বাভাবিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলা সদর এবং এর আশেপাশের এলাকায় সকল প্রকার মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
পাশাপাশি চার বা তার অধিক ব্যক্তি একত্রে চলাচল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী সব অবৈধ কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা অবনতি, নাশকতা বা ফৌজদারী অপরাধ করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আবদুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় গাড়িবহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিকালে উপজেলা সদরের আলাইয়ারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা বিএনপির এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। সমাবেশ শেষে তিনি দাগনভূঞা ত্যাগ করেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন অভিযোগ করেন, বিকেল চারটার দিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু গাড়িবহর নিয়ে সভাস্থলের দিকে যাওয়ার সময় ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দাগনভূঞা উপজেলা সদরের ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ সড়কের মাথায় হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বহরের পেছনের ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে উপজেলা সদর ও বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পড়ুন: গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যদি জাতিসংঘের অধীনে জোরপূর্বক গুমের ঘটনার তদন্ত না করেন, তাহলে তাদেরকে সেসকল অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা গুমের শিকার পরিবারের সদস্য, সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়ে জোরপূর্বক গুম করার ঘটনাগুলোর জাতিসংঘের অধীনে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে দ্রুত একটি তদন্ত দাবি করছি।’
‘অন্যথায়, অতীতে বলপূর্বক গুম ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের মতো বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে এক মানববন্ধন করে। এতে ভুক্তভোগীদের পরিবারের
সদস্য, সন্তান এবং অনেক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ‘তারা ভয়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে দেশ চালাচ্ছে।’
জোরপূর্বক গুম করা মানুষদের উদ্ধার করে তাদের পরিবার ও সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে দলীয় নেতাকর্মীদের আরও বেশি ত্যাগ করা ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সীমাহীন বল প্রয়োগ শুরু করেছে। মানুষ জেগে উঠেছে, কোন প্রকার দমননীতি এই সময় কাজে আসবে না।’
তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসনের কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে জনগণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারগুলোর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ‘আপনারা একা নন, সমগ্র দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে, তারা আপনার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ইউএনকপে আইজিপি’র নাম অন্তর্ভুক্তি: ফখরুলের সমালোচনা
অন্যের সহায়তায় যারা ক্ষমতায় আছে তারা বাংলাদেশকে শাসন করতে পারে না: ফখরুল
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আ.লীগ ভীত নয়: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত সাত দশক থেকে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন,কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।
মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা নিজেদের মিছিলে মারামারি করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, আর দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,‘বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।’
স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় জনগণের সম্পদ ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলেন অথচ এর সবকয়টি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এমনটা মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিক ভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার তা কঠোর ভাবে দমন করবে।’
বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোন অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন:ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন?’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কার ভাবে বলেছিলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক; সময় হলে মূল্যবৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন:যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ: ওবায়দুল কাদের
জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
জিয়া এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল এবং দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সেচ ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভক্ত করে গিয়েছেন। সে না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। এছাড়া জিয়া ছিলেন ক্ষমতালোভী। তার কোন আদর্শ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রবেশ করে নি।
তিনি বলেন, তিনি আরও বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী সারা দিন কামনা করছে দেশ যেন দেউলিয়া হয়ে যায়। দেউলিয়া হলে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে এই তাদের কামনা। কিন্তু তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিন্টু খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শাহাদারা মান্নান এবং কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
এছাড়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সারা দেশ থেকে আগত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
সোনাগাজীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত ৭
ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে। এতে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) মাশকুর রহমান ও সেকেন্ড অফিসার আমির উদ্দিন দোলন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয় তারা ।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় আহত জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপারকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিকেল ৪টা থেকে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড টিয়ালশেল নিক্ষেপ করেছে। বিএনপির দাবি, তাদের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে বলেও জানান ওসি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সোনাগাজীতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। বিকালে ভৈরব রাস্তার মাথায় বিএনপির সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা সোনাগাজীর জিরো পয়েন্টের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ইটের আঘাতে আহত হন সার্কেল এএসপি মাশকুর। তার মাথা ও তলপেটে আঘাত লেগেছে।
বিএনপি অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি করছে শরতলীর ভৈরব রাস্তার মাথায়। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে শহরের জিরো পয়েন্টে। আর আগে সকাল থেকেই থেমে থেমে চলছিল সংঘর্ষ।
এদিকে বিএনপি তাদের ৫ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু।
সকাল থেকে পৌর শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। সড়কে মানুষের চলাচলও রয়েছে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। এদিকে পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোনাগাজীতে বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পৌর শহরের টহল জোরদার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলা