রাজনীতি
৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিনের কর্মসূচি বিএনপির
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
১ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৬টায় পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতারা দুপুর ১২টায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
পরে বিকাল ৩টায় দিনটি উদযাপনে দলের নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি করবেন।
পরদিন ২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা করা হবে।
বিএনপির অঙ্গসংগঠন ও সকল শাখার নেতা-কর্মীরা সারাদেশে দিনটির প্রতি সম্মান জানিয়ে আলোচনা সভা ও র্যালিসহ নানারকম কর্মসূচি পালন করবে।
আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ নির্মাণে ১৯ দফার ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর কয়েক মেয়াদে দেশ শাসনও করে দলটি।
রিজভী বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ছাড়াও আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির যৌথ আয়োজনে একটি মানববন্ধন করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: জনতার ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে: ফখরুল
ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
অন্যের সহায়তায় যারা ক্ষমতায় আছে তারা বাংলাদেশকে শাসন করতে পারে না: ফখরুল
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য: ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি ভিডিওতে মানহানিকর মন্তব্য করায় ছাত্রলীগ এক নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার বিকাল ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকারের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কার বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা আরিফ খান জয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দিন স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে লিখিত জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে দিতে বলেছে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে তার লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে সংগঠন থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ঘটনায় মাগুরা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার
গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসে র্যালির একটি ভিডিওতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্যের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নজরে আনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন বক্তব্যের জন্য ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তিনি ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং আরও কিছু রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, খালেদার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ফলোআপ টেস্ট করার কথা ছিল, যা প্রায় ১০ সপ্তাহ আগে ১১ জুন করা হয়েছিল।
জাহিদ বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে এটা করতে পারিনি, তাই, জরুরি ভিত্তিতে নিয়মিত চেক-আপ হিসাবে আজ (সোমবার) তাকে ওই পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। কিছু পরীক্ষা আজ করা হয়েছে এবং কিছু পরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর করা হবে।’
বুধবারের মধ্যে সব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এই চিকিৎসক।
জাহিদ বলেন, এ লক্ষ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া তার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট পরীক্ষা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার, ফুসফুস, বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড আবারও মত দিয়েছে যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিদেশে একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা খুবই জরুরি।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন গুলশানের বাসা থেকে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান এবং ডাক্তারি পরীক্ষা করান। তিনি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বের হন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে তার বাসায় পৌঁছান।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে ভুগছেন
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
পিস্তল-গুলিসহ কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতা আটক
কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর বিজিবি সেক্টরের কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, আটক খন্দকার তসলিম নিশাত (২২) জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব।
এই সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদলের নেতা!
তবে খন্দকার তসলিম নিশাতের বাবা খন্দকার টিপু সুলতান দাবি, আটকের সময় তার ছেলের কাছে কোনো অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, সোমবার আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিয়ে এসে বিজিবির ‘কিছুক্ষণ’ ক্যান্টিনে বসে বন্ধুদের সঙ্গে চা পান করছিল নিশাত। সেখান থেকে তাকে ডিবি পুলিশ আটক করে।
সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের অস্ত্র হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান জ্বালানি সংকটের মূল কারণ দুর্নীতি। এটা (জ্বালানি) তাদের (সরকার) জন্য একটি বড় অস্ত্র। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাটের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকট এর উৎস’- শীর্ষক সেমিনারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি খাত ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং জনগণের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন:আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে তারা স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে, কোভিডের সময় মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করেছে। আপনারা আরও দেখেছেন কিভাবে উত্তরায় একটি গার্ডার পড়ে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সারাদেশে সেতু ও সড়কে দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ মারা যাচ্ছেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্গিদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তারা (আ.লীগ) এখন বর্গীর ভূমিকা পালন করছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। যিনি ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে মোশাররফ হোসেন অর্থনীতিতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম, উদার ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকার দেশকে পুরোপুরি ‘ফ্যাসিবাদী’ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন:প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আজ (সোমবার) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (সোমবার) বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
মোমেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দলীয় সংসদ সদস্য হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন।’
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন। তাই আওয়ামীলীগের পক্ষে বিদেশে গিয়ে কিছু বলার দায়িত্ব তাকে দেয়া হয় নি।’
রবিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দলের কেউ নন। তাঁর বক্তব্য দলের কোনো বক্তব্য নয়’- আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমানের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য অবশ্যই, কিন্তু উনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তো কেউ নন। তাই তার সাম্প্রতিক বক্তব্য (শেখ হাসিনার প্রতি ভারতীয় সমর্থন চাওয়া) দলীয় বক্তব্য নয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি জনগণ ছাড়া কেউ সরকার টিকিয়ে রাখতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত গল্প করে আসে, সে দায় আমাদের নয়। দলের পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয় নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আপনি যদি একটি দায়িত্বশীল অবস্থানে থাকেন, তবে আপনাকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না, বরং ক্ষমতায় আসার জন্য প্রতিনিয়ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছে ছোটাছুটি করে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে কেউ কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ‘আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের ডমেস্টিক কিছু ল আছে, সেখানে কিছু জটিলতা আছে (তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে)।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র রুখতে সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য অন্য কোন কিছুর ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাদের সঙ্গে আপস করলেও বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতেন, তাঁকে গুণতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পাওয়ার যুক্তিও ছিল।
‘বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে বিশ্বাস করতেন না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। কারণ তাঁর ছিল প্রবল দেশপ্রেম এবং ছিল জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা’, বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
তিনি দুঃখ করে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা যাঁকে হত্যা করার সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করেছি। এই কলঙ্ক আমরা কোনোদিন মোচন করতে পারবো না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আত্মমর্যাদার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন সময় অবশ্যই আমরা মোকাবিলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারবো।’
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক, সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব ও গাজী কালিমুল্লাহ প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: আইনমন্ত্রী
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আইনমন্ত্রী
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের র্যালিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মর্সূচির মধ্য দিয়ে গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালন করছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলার প্রায় ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালাত।
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: রায় কার্যকর দেখে মরতে চান রেনু
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দিনব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে যানজট পরিহার করার জন্য প্রেসক্লাব, পল্টন ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতায়াত এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দিবসটির শহীদদের স্মরণে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের সম্মান জানাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী ও সর্বস্তরের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই দিন হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন লোক নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সেদিনের হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মী ল্যান্স করপোরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আব্দুল কুদ্দস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুন্সি, হাসিনা মমতাজ রীনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম, মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মো. হানিফ, আবুল কাশেম, জেহাদ আলী, মমিন আলী, এম শামছুদ্দিন এবং ইসহাক মিয়া।
এছাড়া গ্রেনেড হামলায় স্প্রিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক আবু সায়্যিদ এবং এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম।
আরও পড়ুন:২১ আগস্ট রাজধানীতে যান চলাচল সীমিত
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে আ.লীগের নানা কর্মসূচি
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের